• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বইমেলায় আদনীন কুয়াশার নতুন উপন্যাস ‘বোহেমিয়ান’
অমর একুশে বইমেলায় জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক আদনীন কুয়াশার নতুন উপন্যাস ‘বোহেমিয়ান’।  বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মো. সাদিত উজ জামান। জ্ঞানকোষ প্রকাশনীর ১২ নং প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে।  দাম ৩৪০ টাকা। আদনীন কুয়াশার আসল নাম রুদাবা আদনীন। তবে লেখক হিসেবে তিনি আদনীন কুয়াশা নামেই পরিচিত।  জন্ম ঢাকায় তবে বাবার চাকরির সুবাদে নানান জেলায় ঘুরে বেড়ালেও শৈশবের বিশাল একটা সময় কেটেছে চট্টগ্রামে।  ছোটবেলা থেকে শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৮ সালের নতুন কুঁড়ির ৪টি বিষয়ে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ অর্জন করেছিলেন।  জীবনের বেশকিছু বসন্ত পার করার পর হঠাৎ করেই যখন সিদ্ধান্ত নেন লেখিকা হওয়ার। এরপর ফেসবুকে ব্লগ লিখতে লিখতে হয়ে ওঠেন লেখিকা। লিখতে গিয়ে তিনি খেয়াল করেন, তার গল্পের চরিত্রগুলো আশপাশের মানুষেরই প্রতিচ্ছবি। এমনকি তিনি নিজেও কখনও কখনও তার গল্পেরই চরিত্র হয়ে ওঠেন। ‘বোহেমিয়ান’ উপন্যাস প্রসঙ্গে আদনীন কুয়াশা বলেন, এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। নাম শুনেই হয়তো অনেকে ভাবছেন এই গল্প কোনো যাযাবরের। যার চালচুলোর কোনো ঠিক নেই। ‘যেখানে রাইত সেখানে কাইত’ টাইপের কোনো ভবঘুরের গল্প। আমি এবার লেখার চেষ্টা করেছি বেশ কিছু বোহেমিয়ান মানুষের গল্প। যে গল্প কখনো হাসাবে, কখনো ভাবাবে, কখনো কাঁদাতেও পারে। আদনীন কুয়াশার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে অষ্ট অম্বর, এখানে যুক্তিরা মৃত, মেঘ বলেছে যাব যাব, যুক্তিরা উড়ে গেছে , ক্লান্ত কপোত লেখকের ছোটগল্প সংকলন। ভ্রম-বিভ্রম, এ তুমি কেমন তুমি, ওরা মনের গোপন চেনে না এবং এবছর বের হলো ‘বোহেমিয়ান’।  রাণী মৌমাছির দল, হৃদ মাঝারে রাখিব, মুক্তমঞ্চ সংকলন আমাদের গল্প তার সম্পাদিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি পাললিক সৌরভ প্রকাশনীতে উপদেষ্টা এবং সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।  লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’ বইটির জন্য সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরষ্কার এবং ‘ওরা মনের গোপন চেনে না’ বইটির জন্য সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ থেকে পেয়েছেন গ্রন্থ স্মারক-২০২৪। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

ঘন কুয়াশা নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
টানা কয়েকদিনের তীব্র শীতের পর দেশের অনেক জায়গায় আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীসহ বেশ কিছু জেলায় কুয়াশার দাপটও কিছুটা কমেছে। তবে, আগামী তিনদিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় কুয়াশার ঘনত্ব থাকতে পারে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া রোববার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস কমতে পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া শনিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোববার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

ঘন কুয়াশা : হায়দারাবাদ ও কলকাতায় নামল ঢাকার ৪ ফ্লাইট
ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরগামী আন্তর্জাতিক চারটি ফ্লাইট ভারতের হায়দারাবাদ ও কলকাতায় অবতরণ করেছে। এ ছাড়া শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে  ১০টি ফ্লাইটের। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রিয়াদ থেকে আসা সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের রাত ২টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে নামতে না পেরে সেটি অবতরণ করে ভারতের হায়দারাবাদে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটরাডার পোর্টাল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।      একই কারণে রাত ৪টার পর দুবাই, মাসকাট ও কুয়ালালামপুর থেকে আসা আরও তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করে ভারতের কলকাতার নেতাজি সুভাস চন্দ্র বিমানবন্দরে।   এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরগামী ১০টির বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। বিভিন্ন এয়ারলাইনসের কুয়ালালামপুর, গুয়াংজু, দুবাই, শারজাহ, দোহা, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মাসকাট ও কুয়েত সিটি থেকে আসাএসব ফ্লাইট ১ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে অবতরণ করছে।   তবে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে স্বাভাবিকভাবেই সব ফ্লাইট ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৫

নীলফামারীতে হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত আচ্ছন্ন থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতের দাপটে বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এমন অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন বাস টার্মিনালসহ লোকালয়ে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। শহরের কালীতলা এলাকার একজন রিকশাচালক বলেন, খুব ঠান্ডায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রী হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি। দিন এসে দিন খাই তাই ঠান্ডা সহ্য করি বাইরে বের হইছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। গতকালের থেকে আজকে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপও বেড়েছে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন মা বলেন, তিন দিন ধরে আমার বাচ্চার জ্বর শ্বাসকষ্ট তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তারের চিকিৎসায় এখন ভালো আছে। নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আউয়াল বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চার থেকে পাঁচজন শিশু ভর্তি হতো সেখানে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের সকালে ঘর থেকে বের না করে কুসুম গরম পানি খাওয়ানো ও সতেজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় তিন দফায় ৩৬ হাজার ৮৮০টি কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শীতার্ত মানুষের কথা চিন্তা করে আরও শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯

নওগাঁয় বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা
গেল তিন দিন থেকে নওগাঁয় সূর্যের দেখা মেলেনি। তার ওপর সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জেলায় বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। গতদিনের তুলনায় তাপমাত্রা আরও কমেছে।  বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তর জেলায় আজ সকাল ৬টা ও ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, জেলায় সকাল থেকেই কুয়াশা বৃষ্টির মতো ঝরছে। তবে এটা মঙ্গলবারের মধ্যে কেটে যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু কুয়াশা ঝরছে তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় ভালো। কুয়াশা শরীরে পড়লে মৌসুমী নানান রোগব্যাধির সম্ভাবনা থাকে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৮

তীব্র শীত নিয়ে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়াবিদ
সারাদেশেই তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা নেই। ফলে দিন ও রাতে প্রায় একইরকম শীত পড়ছে। শৈত্যপ্রবাহ বইছে বেশ কিছু জেলায়। এ অবস্থায় তীব্র এই শীত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করে না। ফলে দিন ও রাতে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। আগামী দুই-তিন দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। এরপর তীব্রতা কিছুটা কমলেও ফের বাড়তে পারে শীত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পর ফের তীব্র শীত নামবে, যা মাসের বাকি সময়জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে দেশের কিছু কিছু জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।  এদিকে, সারাদেশে আজও (শনিবার) মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।  এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৬

ঘন কুয়াশা আরও যতদিন থাকতে পারে
সারাদেশে কনকনে শীতে জবুথবু মানুষ। তারমধ্যে ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চলমান এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঘন কুয়াশা খুব একটা কমবে না। আগামী তিন দিন কুয়াশা এমন থাকতে পারে। এরপর আবার তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।  তিনি আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। এতে শীত আবার বেড়ে যেতে পারে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তার বলছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

কুয়াশা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার
উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। কয়েক দিন থেকেই শীতের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশাতে ঢেকে থাকছে চারপাশ। এর মধ্যেও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। তবে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। দিনাজপুরের ৬টি আসনে ৮৩০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৯৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ২৩১টি কেন্দ্রকে সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ৬টি আসনে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে সেনা, বিজিবি, র‌্যাব-পুলিশ-আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল মিলে ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে মাঠে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সাত টিমের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও ৩৩ প্লাটুন বিজিবি, ১৫টি টহল গাড়িতে ১০৫ জন র‌্যাব সদস্য ও ৯ হাজার ৯৬০ জন আনসার সদস্য ভোটকেন্দ্রে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১৬টি টিমে ১৩৬ জন আনসার সদস্য এবং ২ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ভিডিপির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। দিনাজপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জেলার ছয়টি আসনে ২৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৬ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৫ জন মহিলা ভোটার। ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে ছয়টি আসনে ৮৩০টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬৬১টি ভোট কক্ষ করা হয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০

ফেনীতে ভোটগ্রহণ শুরু, কুয়াশা মাড়িয়ে আসছে ভোটার
সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ফেনী শহরের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। শীত সকালের কুয়াশাভেদ করে ভোটাররা আসতে শুরু করেছে।  ফেনীর তিনটি আসনে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ১২৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৫ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ২ হাজার ৪৭১ জন। ভোটারের জন্য ৩৯৯টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৯টি সাধারণ আর ৬০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।  নির্বাচনী মাঠে ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার ভিডিপি ৪ হাজার ৮৬৮ জন, র‍্যাব ৮০ জন, বিজিবি ১০ প্লাটুন, সেনাবাহিনীর ৩৫০ জন, পুলিশের ১১৫০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া ভোটগ্রহণে ৮ হাজার ১৬৮ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। ফেনী-১ আসনে ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ২৬টি, ছাগলনাইয়াতে ৫৪টি ও ফুলগাজীতে ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।  ফেনী-২ আসনে (সদর উপজেলা) ১৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ফেনী-৩ আসনে ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৮টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রের সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া দাগনভূঞা উপজেলার ২৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ৬ জন প্রার্থী, ফেনী-২ আসনে ৮ জন প্রার্থী এবং ফেনী-৩ আসনে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়