• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:১৭

কুড়িগ্রামে দৈনিক সময়ের আলোর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সময়ের আলো’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।  শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামের প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামছুল হক মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে সময়ের আলোর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।  এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, আরটিভি কুড়িগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি খন্দকার একরামুল হক সম্রাটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, জেলার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খমির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক প্রতীমা রায় চৌধুরী, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহফুজ টিউটর প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক সময়ের আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম বকসী ঠান্ডা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, হুমায়ুন কবির সূর্য, ফজলে ইলাহী স্বপন, মিজানুর রহমান মিন্টু, শাহীন আহমেদ প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।   
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৭

কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ স্কুলছাত্র নিহত
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় ২ স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ধরলা সেতুর পশ্চিম পাড়ের কাছে ট্যানারিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাদমান সাদিক (১৬) ও হিমু (১৭) নামের ওই ২ স্কুলছাত্র দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাইদ সরকার। জানা যায়, সাদিক কুড়িগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এবং হিমু কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষার্থী। সাদিক পৌর শহরের পলাশবাড়ী বানিয়াপাড়া গ্রামের ঠিকাদার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। হিমু ভেলাকোপা গ্রামের শিক্ষক মো. নুর ইসলামের ছেলে। পুলিশ জানায়, সাদিক ও হিমু দুই বন্ধু। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ধরলা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেতুর পশ্চিমে ট্যানারিপাড়ায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভুরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে দুজনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাদিককে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাইদ সরকার বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮

কুড়িগ্রামে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে পুলিশের ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’
কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার চরাঞ্চলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’ স্থাপন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ। আর এমন লাইব্রেরি পেয়ে এলাকার জ্ঞানপিপাসু মানুষসহ সকল পেশার মানুষ অত্যন্ত খুশি। তারা কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানিয়েছেন। এ ধরনের লিটল ফ্রি লাইব্রেরি রয়েছে জেলার নদনদী চরাঞ্চলের হাট-ঘাট প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় অর্ধশত। এ লাইব্রেরিগুলো স্থাপন করে ওইসব এলাকায় প্রতিদিন জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় ও বউ বাজার এলাকায় নতুন করে লিটল ফ্রি লাইব্রেরির আয়োজন করে জেলা পুলিশ। এতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ব্যক্তি মো. আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ আসলেই এটি একটি পুলিশের ব্যতিক্রম আয়োজন। এই লাইব্রেরি স্থাপন হওয়ার কারণে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা অবসর সময়টাতে বই পড়ে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারবে।  বউ বাজার এলাকার শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, চরাঞ্চলে শিক্ষার হার অনেক কম। এসব এলাকা তো একদম প্রত্যন্ত। এখানে আশেপাশে কোনো লাইব্রেরি নেই। বই পড়ার সুযোগও নেই তেমন এ জায়গায়।কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ এমন বই পড়ার যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, লিটল ফ্রি লাইব্রেরি আমাদের পুলিশি কার্যক্রমের বাইরে একটি ব্যতিক্রমী বই পড়ার প্রয়াস। টেকসই নিরাপত্তা, সমাজে সহনশীল শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতাকে সুদূরপ্রসারী করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ লাইব্রেরি। আমরা চাই জেলার প্রত্যন্ত চরের সম্মানিত নাগরিক বৃন্দ অবসরে আষাঢ়ে গল্প না করে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করবেন। তিনি আরও বলেন, মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ, অতুলনীয় নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন প্রচেষ্টা ও কার্যসমূহ সম্পর্কে জেনে নিজেকে বিকশিত করতে সক্ষম হবেন এখানকার নাগরিকগণ। প্রসঙ্গত, লিটল ফ্রি লাইব্রেরিতে প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ,সমাজ জীবন নির্ভর ও ভবিষ্যতমুখী বই সমূহ রাখা হয়েছে পাঠকদের জন্য। ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য বই এ লাইব্রেরিতে যেমন সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তেমনি এমন লাইব্রেরি জেলা জুড়েই পর্যায়ক্রমে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

কুড়িগ্রামে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩ 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুইজন ও তাদের সহায়তাকারী একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপর একজন সহায়তাকারী পলাতক রয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ঐ যুবতীকে। পরিবারের লোকজন জানান, বুধবার বিকাল তিনটার দিকে ওই যুবতী মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাশেরতল জামতলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তাইয়ের পাড় গ্রামে খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে নাগেশ্বরীর ভাইভাই মোড় পার হলে পূর্ব পরিচিত মালভাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরুন্নবী মিয়ার ছেলে খোকা মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় খোকা মিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কোথায় যাচ্ছে। উত্তরে ওই যুবতী বলে সে খালার বাড়িতে যাচ্ছে এবং সেখানেই রাতে থাকবে। এ সময় খোকা তাকে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তার প্রতিবেশী মৃত আইনউল্লার ছেলে মূসা মিয়াকে ডেকে আনে। পরে মূসার মোটরসাইকেলে ওই যুবতীকে তুলে তারা সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহালমের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যুবতীকে দুজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অভিযোগ আছে শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম নিজ বাড়িতে বহুদিন থেকে মেয়ে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার যুবতীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে দুইজনই চলে যায়। পরে যুবতীকে শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম একটি ঘরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই যুবতির বাবা লোকজনের সহায়তায় শাহালমের বাড়ি হতে রাত ৮টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই যুবতির বাবা নাগেশ্বরী থানায় খোকা, মূসা, শাহালম ও শাহলমের স্ত্রী খুশি বেগমের নামে অভিযোগ করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত খোকা ও মূসাসহ ধর্ষণে সহায়তা করায় খুশি বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তবে শাহালম পলাতক রয়েছে। মেয়ের বাবা জানান, খোকা ও মূসা আমার মেয়ের সম্পর্কে চাচা হয়। তাই ওদের মোটরসাইকেলে উঠেছে। তারা দুজন মেয়েটাকে নিয়ে নির্যাতন করেছে আবার ওখানেই বিক্রি করে দিয়েছে। আমার মেয়ের সামনেই অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শাহালমের বউ ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। মেয়ে সব কিছুই আমাকে জানিয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে চারজনের নামে মামলা হয়েছে। রাতেই এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই যুবক ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। অপরজন একজন নারী। তিনি সহায়তাকারী। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪১

কুড়িগ্রামে প্রথম দিনে এসএসসিতে অনুপস্থিত ৪৯৯ শিক্ষার্থী
কুড়িগ্রামে চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৩৭ জন। এরমধ্যে, চলতি বছরের শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫ হাজার ৯২০ জন। কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২৫ হাজার ৪২১ জন। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯। উপস্থিতির হার ৯৮ দশমিক ৭ ভাগ। এমতাবস্থায় অনুপস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া চলতি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৪৯৯জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম জানান, এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৯৩৭জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। এরমধ্যে গতবছরের অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ৪ হাজার ১৭ জন রয়েছে। এ ছাড়াও চলতি এসএসসি সাধারণে অংশ নিচ্ছে ২২ হাজার ৬৫ জন, ভোকেশনালে ১ হাজার ৯৫৩ জন এবং দাখিলে ৫ হাজার ৯১৯ জন রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৭টি সেন্টারে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে এসএসসি সাধারণে ৩৪টি কেন্দ্র, ভকেশনালে ১২টি কেন্দ্র এবং দাখিলে ১১টি কেন্দ্র রয়েছে। এর আগে এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নকল ও অসাধু উপায় ঠেকাতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী নাইমুল, হাসান তকদীর ও রাফসানজানী জানান, প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নপত্র তেমন কঠিন ছিল না। পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

কুড়িগ্রামে আগুন আতঙ্কে গ্রামবাসী 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার একটি গ্রামে হঠাৎ করে বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গেল দেড় মাসে গ্রামটিতে ১০-১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আগুন আতঙ্কে রাত পার করছে গ্রামটির মানুষ। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ শোনার পরেই ঘটছে আগুন লাগার ঘটনা।  আগুন লাগার আগে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না আলামত হিসেবে। এমন আগুন লাগার ঘটনায় রাতে গ্রামের লোকজন পথহারা দিলেও মিলছে না সুরাহা। ফায়ার সার্ভিস কয়েক-দফা আগুন নিভালেও আগুন লাগার উৎস খুঁজে পাচ্ছে না। গ্রামের কেউ কেউ জিন-ভূতের কারবার বলে গালগল্প ছড়ালেও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি গ্রামবাসীর।  এসব আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাঘডাঙ্গা গ্রামে। সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আগুন লাগে আব্দুর রহিমের বাড়ির রান্নাঘরের চালে। এর আগে ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি একই ঘরের চালে আগুন লাগে। রহিম মিয়ার দাবি হঠাৎ গভীর রাতে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ পাওয়া যায় তার পরেই এরকম আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তার রান্না ঘরে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ বার আগুন লাগে। একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। গেল ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে তার বাড়িতে খড়ের গাদায় আগুন লেগে পুড়ে যায়। গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।   এছাড়া গতমাস জুড়ে একই গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, মজিদ মিয়াসহ দেড় মাসে প্রায় ১০-১২টি খড়ের গাদায় আগুন লাগে। ফলে আগুন আতঙ্কে রাত-দিন পাড় করতে হচ্ছে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির মানুষকে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে রাত জেগে পাহারা দিয়েও তাদের ধরতে পারছেন গ্রামবাসী। রহস্য উৎঘাটন হচ্ছে না মোটরসাইকেল যাওয়া শব্দের। গ্রামবাসীর অনেকে ধরেই নিয়েছে এগুলো জ্বীন-ভূতের কাজ। গ্রামের সচেতন মানুষের দাবি গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে এমন আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিবেশী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও আগুন লাগার উৎস থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। রহস্য ঘেরা এসব আগুনের ঘটনা ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামের মানুষ পাহারা দিলেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে আগুন আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামের মানুষের।  আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় দেড় মাসে আমাদের এখানে ১০-১২টি বাড়ি আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। আমরা এখন গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়েও কাউকে ধরতে পারছি না। গহুরন বেগম বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় রাত ৩-৪টার দিকে আগুন লাগে। বাড়ির লোকজন, গ্রামবাসী এবং ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভেয়েছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে প্রতি রাত দুশ্চিন্তা আর ভয়ে কাটাচ্ছি।  নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের কোন পরিবারের সাথে কারও কোনো বিবাদ নেই। গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর কিছুক্ষণ পরেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটতেছে। গ্রামের প্রতিটি মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।  মজিদ মিয়া বলেন, গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে কে বা কারা আতঙ্ক ছড়ানো উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।  নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিলি ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার ইমন মিয়া বলেন, বেশির ভাগ আগুন লাগার ঘটনায় আগুনের উৎস পাওয়া গেলেও গভীর রাতে খড়ের গাদায় আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। জানুয়ারি হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনার মধ্যে ২৪টি বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা খড়ের গাদায় লেগেছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯

কুড়িগ্রামে ভটভটির ধাক্কায় নিহত ২
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে ভটভটির ধাক্কায় বৃদ্ধসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কোম্পানি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন__পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নাদু তেলির ছেলে আলহাজ্ব আইজুদ্দিন (৮০) ও ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (১৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আইজুদ্দিন নামের ওই বয়স্ক ব্যক্তি ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর গামী সড়কের একপাশ থেকে অপর-পাশে পার হওয়ার সময় ভূরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা একটি তিন চাকার ভটভটির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। এ ঘটনায় ভটভটিতে থাকা চালকের ছেলে রুবেল মিয়া ভটভটি থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। ভটভটির চাকায় তার দুপা থেতলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে পাঠান। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। পৃথক পৃথক এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর যাওয়ার পথে রাত ৮ টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।  আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  শীতের তীব্রতা ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।  কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি রোগী প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  এ দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ২-৩ দিনের মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।  
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৮

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বাড়লেও ভোগান্তিতে জনজীবন
কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট কোনোভাবেই যেন কমছে না। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলায় শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন মেঘের আনাগোনা। ফলে দেখা যায় না সূর্যের মুখ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলায় শনিবার আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দুপুরের পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপমাত্রা তেমন না থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি মেলেনি। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে না পেরে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই নিম্নগামী হওয়ায় শীত কষ্টে ভুগছেন নদনদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। জেলায় সাড়ে ৪০০ শতাধিক চরের বাসিন্দা ঠাণ্ডায় কাতর অবস্থায় রয়েছেন। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।  এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ৬ দিন ধরে। রোববার তাপমাত্রা কমে গিয়ে ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানায় জেলা শিক্ষা বিভাগ। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বোরো আবাদ।  রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরও দুএকদিন তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হতে পারে। এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান অনেক শীতার্ত মানুষ।  এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই ৬৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার কম্বল শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়