• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সামিরা খান মাহির এ কী হাল!
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। পেশাগত ও ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো সেখানে প্রকাশ করেন। এবার এমন এক ছবি প্রকাশ করলেন যাতে যারপরনাই অবাক হতে হয়।   মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিজের ফেসবুকে যে ছবি প্রকাশ করেছেন মাহি সেখানে দেখা গেছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন অভিনেত্রী। পরনে পুরোনো সাদা শাড়ি, হাতে ভিক্ষার থালা। ক্যাপশনে লিখেছেন, আজ আমাকে ভিক্ষা দে, মানবতা আর কিছু চাই না আমি, পেটের ক্ষুধা তৃষ্ণায় ভাত চাই না, আমাকে মানবতা ভিক্ষা দে। ছবিটি দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কেননা এটি একটি নাটকের দৃশ্য। নাম ‘ফকির থেকে কোটিপতি’। রচনা ও পরিচালনায় প্রীতি দত্ত। নাটকটিতে মাহির বিপরীতে রয়েছেন নিলয় আলমগীর। নাটকটি নিয়ে মাহি বলেন, এটা আসলে ঈদের একটি নাটক। আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। নানা চরিত্র ও গেটআপ নিতেও আমার ভালো লাগে। একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানে আসলে গল্পের প্রয়োজনেই ভিক্ষুকের লুক নিয়েছি। তবে ছবিটি পোস্ট করার পর দেখলাম আমি এমন লুকে কেন, এটা জানার আগ্রহ সবার। আসলে এমন বেশ কিছু চরিত্রেই আমি এবারের ঈদে হাজির হচ্ছি। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই সামিরা খান মাহির। এক লহমায় দর্শক বন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। ছোটপর্দায় এরইমধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ওটিটিতেও প্রশংসিত হয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে

এশা না পড়ে তারাবির নামাজ পড়া যাবে কী
তারাবির নামাজ রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নামাজ হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবে। রাসুল (সা.) নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবাদেরকেও তা আদায় করতে বলেছেন। রমজানে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়া যায়। তারাবির নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি  ঈমানের সঙ্গে পুণ্য অর্জনের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ শেষ করে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯ এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া প্রসঙ্গে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদরা বলেন, তারাবি নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য আগে এশার ফরজ আদায় করা জরুরি। এশার ফরজ পড়ার আগে তারাবি পড়লে তা আদায় হয় না। তাই কেউ মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ শুরু হয়ে গেছে দেখলে তার করণীয় হলো— আগে এশার ফরজ আদায় করা, এরপর তারাবির জামাত পেলে এতে শরীক হওয়া। -(আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়েখ, পৃ. ৮৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৫; আল কাউসার অনলাইন, আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪) তাই কেউ যদি রমজান মাসে এশার নামাজে মসজিদে যেতে দেরি করে। এবং মসজিদে গিয়ে দেখে এশার জামাত শেষে তারাবি শুরু হয়ে গেছে। তখন খতম ছুটে যাবে ভেবে এশার নামাজ না পড়েই তারাবিতে শরীক হয়ে যায় এবং পরে মসজিদ বা বাসায় এসে এশা ও বিতির আদায় করে তাহলে তার তারাবি নামাজ আদায় হবে না।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

রাস্তায় বিরিয়ানি রান্না, এ কী দুর্দশা সুপারস্টারের (ভিডিও)
রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রাঁধছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতা অজিত কুমার। কয়েকদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। তারপরই হঠাৎ রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেল অভিনেতাকে। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।  কী কারণে রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত? সত্যিই কি অর্থাভাব নাকি বিরিয়ানি তৈরির নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে অভিনেতার ভক্তদের মনে।  নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়— বড় মাপের একটি পাত্রে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত। পাশে আরও কয়েকটি স্টোভ রয়েছে। স্তরে স্তরে মাংস সাজিয়ে, ভাজা পেঁয়াজ ভাতের উপরে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন অজিত। ভাতের প্রতিটি লেয়ারও সুন্দর করে সাজাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তার ওপর এভাবে তাকে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখে রীতিমতো ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে বাইক ট্রিপে গিয়েছিলেন অজিত। ওই ট্রিপের মাঝেই বন্ধুদের সঙ্গে বিরিয়ানি রান্নার প্ল্যানিং করেন তিনি। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেছে অজিতকে। তবে এই ভিডিও থেকে এটা স্পষ্ট— দাপুটে অভিনেতা, ভিলেনের পাশাপাশি ভালো রাঁধুনিও তিনি।          প্রসঙ্গত, 'বিদা ময়ূর্চি' সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আজারবাইজানে গিয়েছিলেন অজিত কুমার। অসুস্থতার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেতা। ছোট একটা অস্ত্রোপচারও হয় তার। চলতি মাসের শেষ দিকে আবার সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন অজিত। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে একটু কোয়ালিটি সময় কাটালেন এই অভিনেতা।    ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন সূত্র : এই সময়    
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯

ফেসবুক লাইভে কী নিয়ে কথা বলবেন তামিম
নিজের ৩৫তম জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল।  বুধবার (২০ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় লাইভে আসবেন তিনি। তামিমের ভাষ্যমতে, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমাকে মনে রাখার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গতকাল থেকে একটা ফোন কল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় লাইভে আসছি। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে দেশের বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোনালাপ প্রচারিত হয়। এরপর থেকেই বিষয়টি নানান আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, ফোনালাপের ঘটনা খোলাসা করতেই লাইভে আসছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। একই সঙ্গে নিজের জন্মদিন এবং ক্রিকেট নিয়েও কথা বলতে পারেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার। অন্যদিকে বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত সেই ফোনালাপ কারা রেকর্ড করেছেন কিংবা কিভাবে তাদের হাতে এসেছে; সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিবেদনে কিছুই বলা হয়নি। তবে অনেকের ধারণা, বিষয়টি পরিকল্পিত রেকর্ড। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইরাল হওয়া সেই ফোনালাপ কোনো বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। তবে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রত্যাশা করছেন, তামিমের লাইভের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে কী বলেছেন তামিম-মিরাজ?
গেল কয়েক মাস ধরেই সংবাদের শিরোনামে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। গত এক বছরে মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প ছাড়িয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিব-তামিম ইস্যু। রহস্যময় ইনজুরি, অবসর-অবসরে ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার নাটকীয় আভাস, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়াসহ নানান কারণে আলোচনায় ছিলেন তামিম। এ ছাড়া নানানভাবে ড্যাশিং এই ওপেনারকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি। এরই মধ্যে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন দাবি করেছে, তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যকার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা পেয়েছে তারা। সেই ফোনালাপে তামিমকে সতীর্থ মিরাজের সঙ্গে কথা বলছে দেখা যায়। ফোনালাপে তামিমকে বিপিএল শিরোপাজয়ী ফরচুন বরিশালের এই সতীর্থের কাছে দলটির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর রহিমের নামে বিষোদগার করতে দেখা গেছে।  তবে কী আছে, সেই ফোনালাপে! ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝেও সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এর নেপথ্য কারণ-ই বা কি হতে পারে। পাঠকের সুবিধার্থে ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো : তামিম: ‘হ্যালো, মিরাজ?’ মিরাজ: ‘হ্যাঁ, তামিম (ভাই)। আসসালামু আলাইকুম।’ তামিম: ‘কী অবস্থা রে, কেমন আছিস?’ মিরাজ: ‘এই তো আলহামদুলিল্লাহ (ভাই)। আপনি কেমন আছেন?’ তামিম: ‘কেমন থাকি রে? মুশফিক এটা কোনো কাজ করছেরে মিরাজ?’ মিরাজ: ‘(ভাই), শুনলাম আমিও। সে জিনিসটা…  ঠিক আছে… এখন কী করবেন।’ তামিম: ‘না, এটা তো একটা... লাস্টে আমাদের… ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথার আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সবসহ। ঠিক না?’ তামিম: ‘মুশফিক আমার জন্য ইম্পরট্যান্ট একজন ছিল। সে করছেটা কী শোন। সে আমার সাথে তো কথা বলেই নাই, সে বলে এখন আলাদা একটা টিম বানাচ্ছে। শুনছস এটা?’ মিরাজ: ‘আমি একটু হালকা একটু শুনেছিলাম বাট হান্ড্রেড পারসেন্ট কনফার্ম ছিলাম না। বাট আপনি এখন যেটা বললেন আমি তো এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট শিওর হলাম যে (ভাই) মনে হয় আলাদা টিম বানাচ্ছে।’ তামিম: ‘না, (ভাই) মিরাজ, তুই দেখছস… আমি ওরে কী ধরনের ফ্রিডম দিছি পুরা টিমে, হ্যাঁ? আমি ওরে দায়িত্ব দিছি পুরা টিম চালানোর। খেলা শেষ হইছে, খেলা শেষে আমি সবচেয়ে বেশি ওরে প্রেইজ করছি। আমি এখন পর্যন্ত ওরে প্রেইজ করি যে সে পুরা টিমটা হ্যান্ডেল করছে, তার কন্ট্রিবিউশনটা কত বেশি। সে এই মুহূর্তে আমাকে এই রকম মাঝপথে ছেড়ে যাওয়াটা কি উচিত ছিল?’ মিরাজ: ‘এখন কী করবেন (ভাই)? এখন (ভাই) গেছে। এখন সে তো আপনারই ফ্রেন্ড।’ তামিম: ‘আরে না। এখন তোদের সাথে নাই, খেলি না তো ন্যাশনাল টিমে, এখন অনেকের অনেক ভাবটাব বেড়ে গেছে। এটা হলো সমস্যা। ঠিক আছে।’ মিরাজ: ‘ভাই?’ তামিম: ‘কারণ হলো, যখন তোদের সাথে খেলতাম, ক্যাপ্টেন থাকলে তো আর এরকম তোরা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাকি, দাম কমে যাচ্ছে দেখে তোরা এসব করতেছস।’ মিরাজ: ‘(ভাই) শোনেন… রাগ কইরেন না। প্লিজ। কারণ, কী (ভাই), আপনি তো জানেন মুশফিক (ভাই) সম্পর্কে। সে তো একটু ইমোশনাল। হতো ইমোশনাল হয়ে…’ তামিম: ‘ছোটবেলা থেকে ও আমার ফ্রেন্ড। ও একবার আমাকে অ্যাটলিস্ট বলত চলে যাওয়ার আগে। অ্যাটলিস্ট তখন তো আমার একটু শান্তি হইতো যে, না অ্যাটলিস্ট বলে গেছে। অসুবিধা নাই মিরাজ। সময় আমারও তো আসবে। পৃথিবী গোল কিন্তু… শুনে রাখ মিরাজ। একটা কথা শোন… পৃথিবী গোল… আজকে তুই ওই সাইড, আমি এই সাইড। কালকে আমি ওই সাইডে বসব, তুই ওই সাইডে আসবি। ভুলে যাইস না। আর তোর বড় ভাইরেও বলে দিস।’ মিরাজ: ‘(ভাই) আপনি রাগ কইরেন না, ঠান্ডা হন। আমি দরকার হলে তার (ভাইয়ের) সাথে…’ তামিম: ‘তুই দেখ আমি কী করি। আমি কথা কবনে তোর সাথে। এ ব্যাপারে কথা কব। জিনিসটা, কাজটা ও কোনোভাবেই ঠিক করে নাই।’ মিরাজ: ‘না (ভাই), কিছু করার দরকার নাই। কিছু করার দরকার নাই।’ এই পর্যায়ে কলটি কেটে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। তবে কীভাবে এমন ফোনালাপ ফাঁস হয়, সেটা নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে ফোনালাপ কাটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি ফাঁস হয়ে থাকলে তা মিরাজের প্রান্ত থেকে হয়েছে। অন্যদিকে সূত্র বলছে, কথিত এই ফোনালাপটি মূলত একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ।  এর আগেও, তামিম ও সাকিবের মধ্যকার দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্বকাপের আগে তাদের নিয়ে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে দেশসেরা এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সৌহার্দ্য দেখানো হয়েছিল।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

রণদীপ হুদার এ কী হাল!
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রণদীপ হুদা। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বরাবরই চরিত্রের জন্য নিজেকে ভেঙেছেন তিনি। যখন যে চরিত্রে কাজ করেছেন, সেটাই সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়।  তবে এবার হঠাৎ কি হলো রণদীপের? হাড়-জিরজিরে চেহারা, মাথায় টাক, চেনাই যাচ্ছে না এই অভিনেতাকে। রণদীপের এমনই এক ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেতার এমন ছবি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে নেটদুনিয়ায়। রণদীপ তার ইনস্টাগ্রামে সাদা-কালো একটি মিরর সেলফি শেয়ার করেছেন। ছবির ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, ‘কালাপানি’। সেই সঙ্গে হ্যাশট্যাগে লেখেন— ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’। রণদীপের এই চেহারা ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ সিনেমার জন্য। মূলত সেলুলার জেল (কালা পানি) ঘিরে আবর্তিত সিনেমার দৃশ্যে অভিনয়ের সময়কার লুক শেয়ার করেছেন। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৬

ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী এবং কেন জরুরি
  ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের মধ্যে অনেক বড় একটা পার্থক্য রয়েছে, যা আমরা সাধারণ চোখে কখনোই ভেবে দেখি না। বেইলি রোড দুর্ঘটনার পর অনেকেই বলছেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য আগুনের ভয়াবহতা অনেক অনেক গুণ বেড়েছে। কথা ঠিক যে, অপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস আছে, যেগুলো থাকার কারণে একটা জায়গায় আগুন লেগে গেলে  তীব্রতা অনেক বেড়ে যেতে পারে। যেখানে দাহ্য পদার্থ যত বেশি থাকবে, সেখানে আগুন দ্রুত ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা নানারকম আলোচনা-সমালোচনা করে থাকি, কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা একটু চিন্তা না করে কোনো বিষয়ে কিছু একটা বলে ফেলার কারণে সমাজে এর অনেক বড় ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তেমনই একটা ক্ষতিকর প্রভাব হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা। ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী?  খুব সহজে এবং সংক্ষেপে যদি বুঝতে চাই তাহলে, কোনো একটা আবদ্ধ স্থানকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট আবদ্ধ স্থান রয়েছে এখন এই আবদ্ধ স্থানটির কোথায় আপনি কোন কাজের জন্য ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করা। স্থাপত্যের ভাষায় বললে, কোনো স্থাপনার অভ্যন্তরীণ স্থানকে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ।  প্রথমত, এই কাজে অনেকগুলো বিষয় নিশ্চিত করতে হয়, যেমন- যথাসম্ভব পর্যাপ্ত বাহিরের আলো–বাতাসের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিটা মানুষ যেন আরামে বসে কাজ করতে পারে, কাজের স্থানে যেন চলাচলের সুব্যবস্থা থাকে, কাজের ধরন অনুযায়ী পর্যাপ্ত আসবাবপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকা, এমনভাবে আসনগুলোকে স্থাপন করা যেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে তাদের কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকজন একসাথে বসে কাজ করতে পারে। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে যেন সবাই খুব দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে ইত্যাদি আরও অনেকগুলো বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি কাজ করে থাকেন।  দ্বিতীয়ত, ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ নির্ধারণ করা, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। ক্লায়েন্টের সামর্থ্য, পছন্দ, ব্যবহারকারীর ওপর প্রভাব ইত্যাদি নানান বিষয় মাথায় রেখে ডিজাইনের উপকরণ বাছাই করতে হয়। উপকরণের গঠন, রং, আলোর প্রতিফলন, ঠান্ডা-গরম এমনকি ব্যবহারকারীর মানসিক নানান দিক ও চিন্তা করতে হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পূর্ণরুপে একটি সৃষ্টিশীল বা সৃজনশীল কাজ।  ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন কী?  একটি আবদ্ধ স্থানকে যখন কাজের ধরন অনুযায়ী ভাগ করা হয়, তখন ওই ভাগ করা একেকটি অংশকে আমরা আমাদের পছন্দমতো উপকরণ দিয়ে অলংকৃত করি। মূলত এই অলংকরণ করাটাই হলো ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। এই কাজে খুব একটা সৃষ্টিশীলতার তেমন কিছু নেই। ব্যবহারকারীর রুচির ওপর বেশির ভাগ নির্ভর করে।   কেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি  ইন্টেরিয়র ডিজাইন একজন ব্যবহারকারীকে তার স্থানটিকে উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দিবে যা একজন ব্যবহারকারীর খুবই প্রয়োজন। একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি। আমাদের দেশে এই বিষয়টি খুব বেশি দিন আগে থেকে তেমন পরিচিত নয়। আবার নিয়ম-কানুন না মেনে অনেক কিছুই আমরা করে ফেলতে পারি বলে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের গুরুত্বকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাই যা বেশির ভাগ সময়ে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য না বোঝার কারণে আজকে একটা সুন্দর শিল্পকে আমরা ধ্বংশ করে ফেলতে যাচ্ছি। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের নামে শুধুমাত্র কিছু গৎবাধা ডেকোরেশন করে চালিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে আমি মনে করি। আমদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নয় আর এই অসচেতনতার সুযোগ নিচ্ছে একদল লোভী, সুবিধাভোগী মানুষ। তারা কিছু না জেনেই অতি মুনাফার আশায় মানুষের ক্ষতি করে আসছে। একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন করার জন্য একজন মানুষকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়, তাকে অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হয়, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হয় এবং ভালো মন-মানসিকতার অধিকারী হতে হয়, তারপর একজন মানুষ একটি ভালো কাজ উপহার দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোড ট্রাজেডির ফলে অনেকেই না বুঝে ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে অনেকাংশে দায়ী করছেন।  আসলে দেখতে হবে যে, এই ট্রাজেডির জন্য কে দায়ী, ইন্টেরিয়র ডিজাইন নাকি ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন? আমাদের কিছু ভুল ধারণার কারণে একটা সুন্দর শিল্পকে যেন ধ্বংস করে না ফেলি! আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি পারেন একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই খুব ভালো ভালো কাজ করছেন। আমরা অনেকেই জানিনা যে, আন্তর্জান্তিক পরিমণ্ডলে আমাদের দেশের স্থপতিদের করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রজেক্ট পুরস্কার পাচ্ছে এবং সমাদৃত হচ্ছে।   অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে কোর্স করাচ্ছেন এমনকি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অনার্স (ব্যাচেলর ডিগ্রি) কোর্স ও করানো হচ্ছে। তাই আমরা জেনে-বুঝে ও শুনে একজন ডিজাইনারের পটভূমি যাচাই করে তবেই তাকে বা তার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাব। এখন সময় এসেছে এই শিল্পকে নিয়ে গর্ব করার। স্থপতি মো. মোকসেদুর রাহমান রিপন সাবেক শিক্ষক, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

সাদির মৃত্যুর আগে কী ঘটেছিল, জানালেন শিবলী মহম্মদ
না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সাংবাদিকদের শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। বুধবার সন্ধ্যার পরের ঘটনা বর্ণনা করে এই নৃত্যশিল্পী বলেন, ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো।  শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নিব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিসনি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বলল- না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো বিব্রত করবে। এর আগে সাদি মহম্মদের ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল মাহমুদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেগুনি ও মুড়ি দিয়ে ইফতারি শেষে নিজ রুমে যান শিল্পী। বেশ কিছুক্ষণ রেয়াজ করেন তানপুরা দিয়ে। এরপর অনেকসময় চুপচাপ থাকায় রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকিতে সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় শিল্পীর নিথর দেহ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন সাদি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক। ২০১২ সালে সাদি মহাম্মদকে আজীবন সম্মাননা দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

সেদিন কী হয়েছিল জানালেন মাহি
সম্প্রতি একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও না বলে রেগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। যা নিয়ে কদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অগ্নিকন্যা’খ্যাত এই চিত্রনায়িক। তিনি বলেন, সেখানে শুধু সাংবাদিকই নয়, অনেক ইউটিউবার ছিলেন। সবাই আমার ইন্টারভিউ নিতে ঘিরে ধরেছিল। কেউই স্থির থাকতে পারছিল না। চিৎকার-চেঁচামেচি, হইহুল্লোড় চলছিল। একবার পেছন থেকে কেউ মাইক্রোফোন এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কেউ অন্য পাশ থেকে। খুব বাজে একটা পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল সেদিন। কেউ আবার গায়ের ওপর এসেও পড়ছিল। সেখানে দাঁড়ানোর মতোই পরিস্থিতি ছিল না, কথা বলা তো দূরের কথা। তাই বাধ্য হয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয়েছে আমাকে। মাহি আরও বলেন, এটা নিয়ে মানুষজন যেভাবে আলোচনা-সমালোচনা করছে, আসলে বিষয়টা কিন্তু তা না। এদিকে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। বর্তমানে তারা আলাদাই থাকছেন। আর শিগগিরই তারা বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করছেন বলে জানান মাহি।  বিচ্ছেদের ঘোষণার পরেও মাহি বলেছেন, স্বামী রকিবের প্রতি তার পূর্ণ সম্মান রয়েছে। এমনকি মাথায় পিস্তল ধরলেও রকিবকে নিয়ে কখনও খারাপ কিছু বলতে পারবেন না তিনি। অন্যদিকে রকিবও বলেছেন, স্ত্রী হিসেবে মাহির সম্মান রয়েছে তার কাছে। নিজের স্ত্রীকে কখনও হেয় করে কিছু বলতে পারবেন না তিনি। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রকিব সরকার বলেন, গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা আলাদা থাকতে শুরু করেছি। আমি ও মাহি উত্তরার বাসায় আলাদা থাকতাম। কেন আলাদা থাকতেন সেটাও জানিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী বলেন, আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’ রকিব সরকার আরও বলেন, মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। একপর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও মাহিকে বোঝাতে পারেনি। একবার বুঝে তো পরেরবারই উল্টে যায়। এভাবেই আমাদের আলাদা থাকার দিনগুলো পার হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে বিচ্ছেদের পথে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৮

গণতন্ত্র নিয়ে কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যে পারে সে নির্বাচন করবে। তাই আমরা মনে করি আমাদের দেশে যদি গণতন্ত্রের চর্চা না হয় যারা বলেন, তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করব। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন প্রমুখ। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়