• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নরসিংদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। তার নাম ফাহিম খা (১৭)।   মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে নরসিংদী-রায়পুরা সড়কের আমিরগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত ফাহিম আমিরগঞ্জের খা বাড়ির আওলাদ খার ছেলে। তিনি এসএসসি পাস করে বাবার সঙ্গে মিষ্টির দোকানের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকান থেকে ইফতার করার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে বাসায় ফিরছিলেন ফাহিম। এক পথচারী রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার মাঝামাঝি চলে এলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে হঠাৎ ব্রেক করায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফাহিম ছিটকে পড়েন। পরে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাকার নিচে চাপা পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা কোনো অভিযোগ করবে না। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭

জয়পুরহাটে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
জয়পুরহাটে কিশোর গ্যাং ‘জানু গ্রুপ’-এর লিডার সোহানসহ আট সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় দেশীয় অস্ত্র ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্প। আটকরা হলেন, গ্রুপ লিডার সোহান (২৪) সাকিব খান রাতুল (২৩), আবদুল্লাহ মুমিন (২৩), জয়ন্ত কুমার (২১), আব্দুল হাই কাফি তামিম (২৩), পীযুষ কুমার মহন্ত আনন্দ (২৪), জয় মহন্ত (২২) ও পিপাস মোল্লা (২৩)। তাদের বাড়ি জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকায়। জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক জানান, সমসাময়িক সময়ে জয়পুরহাটে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এমন বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতে স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং লিডার সোহানসহ আট জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৬

পল্লবীতে ফয়সাল হত্যা / কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবীতে ফয়সাল নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ ও গালকাটা রাব্বিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  নরসিংদী ও গাজীপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্য তিনজনের নাম ইমরান, রাসেল কাজী ও নয়ন বলে জানা গেছে। রাব্বি ও আকাশের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি বাগান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে র‍্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার প্রত্যেকে। শনিবার (২৩ মার্চ) র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে নরসিংদী ও গাজীপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪।  এর আগে পটুয়াখালী, নেত্রকোণা ও রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে একই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গত ১৫ মার্চ রাতে পল্লবীতে বিহারি ক্যাম্পের কাছে ফয়সাল (২৫) ও রাশেদ (২৪) নামে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার রাব্বি ৪-৫ মাস আগে ‘গালকাটা রাব্বি’ নামের একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে মিরপুর এলাকায় মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক সেবন ও মাদক বেচাকেনামহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করত। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, মারামারি ও মাদক সংক্রান্ত চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় একাধিক বার কারাভোগও করেছে সে।  এছাড়া গ্রেপ্তার আকাশ মিরপুর পল্লবী এলাকার কিশোর গ্যাং ‘গালকাটা রাব্বি’ গ্রুপের অন্যতম একজন সদস্য। গ্রুপটির বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতো সে।  এ মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হওয়া রাসেল, ইমরান ও নয়ন কিশোর গ্যাং ‘গালকাটা রাব্বি’ গ্রুপেরই সদস্য। রাব্বি ও আকাশের নেতৃত্বে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক সেবন ও কেনাবেচাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত তারা। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০২

কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত, গুলিবিদ্ধ ১ 
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)। জানা যায়, রোববার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে মারধর করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।  আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।  কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।  কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:০০

কিশোর গ্যাংয়ে জড়ানোয় সন্তানকে ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সন্তান কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ায় তাকে ত্যাজ্য করেছেন মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক বাবা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) লক্ষ্মীপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামার মাধ্যমে এফিডেভিট করে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেন তিনি।  মো. সিরাজুল ইসলাম উপজেলার ৩ নম্বর চরলরেন্স ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য বলে জানা গেছে। আর ঘোষিত ত্যাজ্যপুত্র মো. সাগর হোসেন (২২) তার বড় ছেলে।  লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মাহমুদ এফিডেভিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এফিডেভিটে সিরাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাগর হোসেন তার আপন সন্তান। সাগর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ইতোমধ্যে তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। তাছাড়া তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমাজে সম্মানহানি হচ্ছে সিরাজুল ইসলামের।  এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সিরাজুল ইসলাম কিছুদিন আগে নিজেই সন্তান সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সে কিছু দিন কারাগারে থাকার পর সবকিছু ভুলে ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি নিজেই সন্তানের জামিন করান। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে ফের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে সাগর এবং এলাকায় প্রকাশ্যে বহু অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায়।  এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে ধারাল দা ছেনি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় সে। সর্বশেষ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে একজন বয়স্ক ও দুই সন্তানের জননীকে বিয়েও করে। এ পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন বলে এফিডেভিটে জানিয়েছেন সিরাজুল। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ থেকে সাগরের কোনও ধরনের কর্মকাণ্ড, দায়-দেনা ও অপরাধের জন্য আমি ও আমার পরিবারের কেউ দায়ী থাকবে না। এখন থেকে সে আমার সন্তান নয়।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৭

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিবিপ্রধান
সম্প্রতি পুলিশের একটি প্রতিবেদনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অন্তত ২১ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ তদন্তে কিশোর গ্যাং পরিচালনায় যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে জড়িত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী ও গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তাররা বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ, তিনশো ফিট ও যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট করা ব্যক্তিদের উত্ত্যক্ত করতো। এরপর সংঘবদ্ধভাবে ঘেরাও করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণের অলঙ্কার ছিনিয়ে নিতো। ছিনতাই ছাড়াও চাঁদাবাজি, চুরি এবং মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত এই কিশোর গ্যাং সদস্যরা। গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ‘বড় ভাইয়ের’ নাম পাওয়া গেছে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, তারা কিছু বড় ভাইয়ের নাম আমাদের জানিয়েছে।  এই বড় ভাইদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ঢাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারী এই বড় ভাইদের মধ্যে কিছু কাউন্সিলরের নাম এসেছে। ডিবি তাদের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না, জানতে চাইলে  হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা সাবেক ও বর্তমান কিছু কাউন্সিলরের নাম জানিয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি কোনও কাউন্সিলরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

যশোরে ট্রাক্টরচাপায় কিশোর নিহত
যশোরের শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। নিহত কিশোরের নাম নিরব হোসেন (১৬)। সোমবার (৪ মার্চ) যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জোহরা তেল পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নিরব হোসেন উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের শাহিন হোসেনের ছেলে ও ট্রাক্টরচালক ছিলেন। জানা যায়, নিরব ট্রাক্টরে করে মাটি বহনের কাজ করেন। ওই দিন নিরব হোসেন ট্রাক্টরে মাটি বহন করে নিজে চালিয়ে জামতলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ওই এলাকায় বিপরীতমুখী যাত্রীবাহী একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টর থেকে সড়কে পড়ে যান। এ সময় তিনি নিজের ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাভারন হাইওয়ে থানার ওসি সিদ্ধার্থ সাহা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার পূর্বক ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের আবেদনের পেক্ষিতে মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৪

কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ জন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটককৃতরা কিশোর গ্যাং-জিরো জিরো সেভেন গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর একাধিক দল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।   শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় র‌্যাব-১ উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার (সিও) (অধিনায়ক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   এদের মধ্যে ০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানি (লন্ডন পাপ্পু চালায়) আকাশ ও আমির হোসেন গ্রুপ’ জাহাঙ্গীর গ্রুপ ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর।  গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- রাসেল (১৭), আরাফাত (১৭), রবিন (১৫), আল-আমিন (২৪), ইসলাম (২৯), জুয়েল (২২), রবিউল (১৬), মুরাদ (১৭), মাহাবুব (১৯), সাদ (২২), রোহান (২২), মনা (২৮), হৃদয় (২০), ওবায়েদ (১৮), মো. জিসান (১৯), মো. আকাশ (৩০), মো. ঈমন (২০), মো. রমজান (২১), মো. সজিব (১৮),  মো. শাকিব (২২), মো. রাজিব (১৯), মো. আমির হোসেন (৩৬), শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল (৪৫), মো. জিলাদ মিয়া (২০), মো. হৃদয় (১৯), আ. রায়হান (১৫), মো. বাবু মিয়া (২২), মো. শাহজাহান (২১), মো. জালাল মিয়া (২৮), লামিম মিয়া (১৫), মো. রাকিব (১৬), মো. হিরা মিয়া (১৭), ইমরুল হাসান (১৭), মো. সাকিন সরকার রাব্বি (১৮), মো. সুজন মিয়া (১৯), খাইরুল (১৯) ও রাহাত (১৯)। এসব কিশোর গ্যাং গ্রুপের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ি, ১টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, এরা প্রত্যেকেই গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০-১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যে কোনো পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল বলে অকপটে স্বীকার করেছে।  জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আরও জানায়, তাদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের মদদ দিচ্ছেন, ওই সকল ব্যক্তিরা (তারা) নজরদারীতে থাকে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, সে যেই হউক, আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী। সে ওই কাজের মধ্যে তার সম্পৃক্ততা থাকা কিংবা তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১০ / ‘কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাইদেরও গ্রেপ্তার করা হবে’
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোড, জেনেভা ক্যাম্প, বসিলাসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার  করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম। এসব কিশোর গ্যাং সম্পর্কে ডিবি হারুন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা দিনে বড়ভাইদের পিছে ঘুরে বেড়ায় এবং রাতে ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকতো তারা। শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের বড় ভাইদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজা (৩৫), মো. জালাল (২৫), মো. মৃদুল (২৬), মো. জাহাঙ্গীর (৩৫), মো. শামিম মিয়া (২৪), মো. শহিদ (২৫), মো. শিমুল (২৫), মো. মনিরুল ইসলাম (২৭), মো. সোহেল খান (২৩) ও নুর মোহাম্মদ (২০)। গ্রেপ্তারদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রাজার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ও মৃদুলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশ সক্রিয়। এসব গ্রুপের সদস্যরা চুরি-ছিনতাই ও ইভটিজিংসহ নানান অপরাধে জড়িত। তাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অনেকেই অভিযোগ করছেন। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দিনে-দুপুরে গাড়ি থেকে মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে যায়। হারুন অর রশীদ বলেন, তারা উঠতি বয়সী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার  করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পৃথক দলে ভাগ হয়ে ছিনতাই করতো। দীর্ঘদিন ধরে কিছু বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা এই কাজ করতো। বিশেষ করে রাতের বেলা চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। তারা ছিনতাইয়ের জন্য লেগুনা ব্যবহার করে। লেগুনা চালক ও হেলপারও তাদের সঙ্গে জড়িত। আমরা বেশ কয়েকজন বড় ভাইয়ের নাম পেয়েছি। তারা যে দলেরই হোক না কেনো তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, আমাদের ডিবির ৪০টিরও বেশি চৌকস টিম রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই কাজ করবে। শুধু বড় ভাই না, কোনো ভাইয়েরই খাওয়া থাকবে না। তারা যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটায় তাহলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের কোনো পরিচয় নেই। তাদের একটাই পরিচয় তারা অপরাধী। তারা কোনো দলের সদস্য না। দিনের বেলা বড় ভাইদের সঙ্গে ঘুরবে আর রাতের বেলা ছিনতাই করবে, এটা চলবে না। ১০ জনকেকে গ্রেপ্তার করেছি, কেউ তদবির করার সাহস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। কেউ যদি বড় ভাইদের নাম বলে বাঁচার চেষ্টা করে আমরা সেই বড় ভাইদেরও গ্রেপ্তার করবো। ডিবিপ্রধান বলেন, কিশোর গ্যাং ও ইভটিজারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় ডিবির অভিযান চলবে। ছিনতাইকারী ও বড় ভাইদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে গোয়েন্দা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করছি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৪

অর্ধশত ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানী ও এর আশপাশ থেকে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র‍্যাব। এরা টপবাজ গ্রুপ, গ্যাংস্টার প্যারাডাইস গ্রুপ, বয়েস হাই ভোল্টেজ গ্রুপ, দে-দৌড় গ্রুপ, হ্যাঁচকা টান গ্রুপ ও বুস্টারসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১১টি লাঠি, ১৭টি চাকু, ৬টি ছুরি, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১টি চাপাতি, ১টি চায়নিজ কুড়াল ও ১টি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা বলেন, তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, পাড়া–মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত এক বছরে র‌্যাবের অভিযানে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের ৩৪৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিশোর গ্যাং নির্মূলে র‌্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়