কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আটককৃতরা কিশোর গ্যাং-জিরো জিরো সেভেন গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একাধিক দল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় র্যাব-১ উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার (সিও) (অধিনায়ক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদের মধ্যে ০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানি (লন্ডন পাপ্পু চালায়) আকাশ ও আমির হোসেন গ্রুপ’ জাহাঙ্গীর গ্রুপ ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- রাসেল (১৭), আরাফাত (১৭), রবিন (১৫), আল-আমিন (২৪), ইসলাম (২৯), জুয়েল (২২), রবিউল (১৬), মুরাদ (১৭), মাহাবুব (১৯), সাদ (২২), রোহান (২২), মনা (২৮), হৃদয় (২০), ওবায়েদ (১৮), মো. জিসান (১৯), মো. আকাশ (৩০), মো. ঈমন (২০), মো. রমজান (২১), মো. সজিব (১৮), মো. শাকিব (২২), মো. রাজিব (১৯), মো. আমির হোসেন (৩৬), শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল (৪৫), মো. জিলাদ মিয়া (২০), মো. হৃদয় (১৯), আ. রায়হান (১৫), মো. বাবু মিয়া (২২), মো. শাহজাহান (২১), মো. জালাল মিয়া (২৮), লামিম মিয়া (১৫), মো. রাকিব (১৬), মো. হিরা মিয়া (১৭), ইমরুল হাসান (১৭), মো. সাকিন সরকার রাব্বি (১৮), মো. সুজন মিয়া (১৯), খাইরুল (১৯) ও রাহাত (১৯)।
এসব কিশোর গ্যাং গ্রুপের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল, ১টি ব্লেড, ১টি কুড়াল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ৫টি রড, ১৬টি চাকু, ৩টি লোহার চেইন, ১টি হাতুড়ি, ১টি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, এরা প্রত্যেকেই গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০-১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যে কোনো পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল বলে অকপটে স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আরও জানায়, তাদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের মদদ দিচ্ছেন, ওই সকল ব্যক্তিরা (তারা) নজরদারীতে থাকে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, সে যেই হউক, আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী। সে ওই কাজের মধ্যে তার সম্পৃক্ততা থাকা কিংবা তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১