• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ওষুধ কিনতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
রাজধানীর মগবাজারের মধুবাগে একটি বাসায় জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক অসুস্থ রিকশাচালক ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই রিকশাচালকের ভাতিজা মো. মোতালেব বলেন, চাচা প্রায় তিন বছর ধরে অসুস্থ। অভাব অনটনে থাকায় ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের ওপর জিদ করে ধারালো ছুরি পেটে ঢুকিয়ে দেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ইসলামপুরে বলেও জানান তিনি।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০১:১৪

গোবিন্দগঞ্জে ইফতারি কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নছিমনের ধাক্কায় আহত দুজনের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. বেলাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়ালো। এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।  নিহতরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৮), আজিজুলের ছেলে মো. বেলাল (৫০) এবং পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাবাড়ী এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মো. মোত্তালিব (৫২)। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমারগাড়ি এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে নাকাইহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি নাকাইহাট-গাইবান্ধা সড়কের বড়পুল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা মাটির হাড়ি ভর্তি একটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ভটভটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক আশরাফুল ইসলাম মারা যান। ইজিবাইকে থাকা চারযাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান এবং বিকেলে মো. বেলাল মিয়া মারা যান। কুমারগাড়ী এলাকার প্রতিবেশী মোনারুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার গ্রামের মসজিদের ইফতার পার্টি ছিল। সেই ইফতার সামগ্রী কিনতে তারা একটি ইজিবাইক যোগে নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনই আহত হন।  বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকালে দুজন এবং বিকেলে আরও একজন মারা যান।  তিনি আরও বলেন, ডিজেল ইঞ্জিনচালিত নছিমনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৬

ইফতারি কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাটারিচালিত নছিমনের ধাক্কায় অটোরিকশাচালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (২২ মার্চ) গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মুত্তালিব মিয়া, একই গ্রামের বুধা শেখের ছেলে সবুজ মিয়া ও মজিবুর রহমানের ছেলে অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়াও বেলাল মিয়া (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামের আরও দুজন রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার হতাহতদের গ্রামের মসজিদে ইফতার পার্টি ছিল। ইফতারসামগ্রী কিনতে ওই পাঁচজন নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা বাড়ি থেকে অটোরিকশায় করে নাকাইহাট যাচ্ছিলেন। পথে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-ভাইয়া নাকাইহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে মাটির পাতিলবোঝাই একটি নছিমনকে ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা ও নছিমন খাদে পড়ে পাঁচজন আহত হন।  পুলিশ আরও জানায়, আশপাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান। অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মধ্যরাতে মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হবে!
রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে  উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত, আইএমএফ’র ঋণ প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হিসেবে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। ১৪ মার্চ শেষে আইএমএফের বিপিএম৬ পদ্ধতিতে দেশের গ্রস রিজার্ভ রয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বিপিএম৬ অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের চেয়ে নিট রিজার্ভ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার কম হবে। এদিকে, বর্তমানে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো রেমিট্যান্সের রেট ডলারপ্রতি ১১২ থেকে ১১২ দশমিক ৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। কাতার, মালেয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছে। যদিও  গত ১৮ মার্চ কয়েকটি ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ১১৪ থেকে ১১৪.৫০ টাকায়। অন্যদিকে, গত কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্সের রেট ১০৯ দশমিক ৫০ টাকায় স্থির রয়েছে। আমদানি পেমেন্টে ডলারের দাম স্থির রয়েছে ১১০ টাকায়। যদিও খুব কম ব্যাংকই এই নির্ধারিত রেটে বেচাবিক্রি করছে। বাজারের প্রকৃত দাম এর চেয়েও ৬ থেকে ৮ টাকা বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রেটে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে। ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে বেশি ডলার আনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের থেকে কিনতে পারবে। এটি নিট রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া সোয়াপ পদ্ধতিতে ডলার নিলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ বাড়বে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, কিনতে গিয়ে হিমশিম মানুষ
মাসখানেক আগেও বেগুন ছিল ৫০-৬০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। একই সময়ে শসার দাম ৪০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। শসার মতো ১০০ ছুঁয়েছে বরবটি ও পটলের দামও। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে অন্যান্য ধরনের সবজির দাম বাড়তিই রয়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।   শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকালে বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি খুব বেশি নেই। বাজারে সবজির দোকানগুলোতে সবজির চড়া দামই চলছে। শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে চললেও বরবটি, পটলের দাম বাড়তি হয়ে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে।  এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ভালো মানের লেবু রমজানের প্রথম দিন ৮০ টাকা হালি বিক্রি হলে আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি। পাশাপাশি বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রমজানের আগে যে করলা প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটির দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা,  লাউ  প্রতি পিস ৬০, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০, শিম প্রতি কেজি  ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আল আমিন তুর্জ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে রমজান মাসে সব কিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হলেও, আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা। সবজির দাম বেড়ে যায়। সেই জিনিস বেশি কেনে মানুষ, সেটার দামই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের মত সাধারণ মানুষ শসা কীভাবে ১০০/১২০ টাকা কেজি দরে কিনবো? এ ছাড়া লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি, পটল, বরবটির দামও প্রতি কেজি ১০০ টাকার ওপরে।   সবজির সার্বিক দাম নিয়ে গুলশান-সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই একটি সবজির দাম রমজানে বেড়েছে, বাকিগুলোর দাম আগের মতোই আছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু দাম বেশি। আজকের বাজারে শসা, বরবটি, পটল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকিগুলোর দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। বাজারে বিভিন্ন সবজি নতুন করে উঠছে। এগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে সেগুলোর দাম কমে আসবে। আর যেই সবজিগুলোর দাম ১০০ বা তার চেয়ে বেশি চলছে এগুলো এখন সিজন শেষের সবজি, নতুন করে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। এ ছাড়া রমজানের বাজারের হিসেব করলে আজকের বাজারে  সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শসা। তবে অন্যান্যবার রমজান মাসে যেভাবে বেগুনের বাড়তি থাকে সেই তুলনায় এবার তুলনামূলক বেগুনের দাম কম। ক্রেতারা বলছেন, মুরগির দাম কমলেও তারা স্বস্তিতে নেই। কারণ কম ওজনের মুরগি বাজারে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। কিনতে গেলে বড় মুরগি কিনতে হচ্ছে। ফলে প্রয়োজন না থাকার পরও অনেককে বেশি ওজনের মুরগি কিনতে হচ্ছে। ওজন বেশি হলে দামও বেশি আসে। আর কম ওজনের মুরগি পাওয়া গেলেও স্বাভাবিকের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি। দেখা গেছে, ২০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, সোনালি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩৪০ টাকা দরে। সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ২৯৫ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।   বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকা। ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে)  ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫১

ভোট কিনতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মেয়র
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং তার কর্মী-সমর্থকরা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে গিয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণধোলাই খেয়েছেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করেছে র‍্যাব ও পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা গেছে, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় ভোটারদের হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় ভোটারদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন।  পুরাতন বাজার এলাকায় একাধিক ভোটার বলেন, বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত শতাধিক লোক পুরাতন বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় হিন্দু ভোটারদের টাকা দিয়ে জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করে। এতে সাধারণ ভোটার রাজি না হলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে মহিউদ্দিনের কর্মী-সমর্থকদের অনৈতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। মুহূর্তেই এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে প্রতিহত করে। সিসিটিভি ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে। এ ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আহমেদ একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫, কাউন্সিলর পদে ৪১ এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জনসহ ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার ৫০ হাজার ৬৯৯ জন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

শ্বশুরের কাফনের কাপড় কিনতে গিয়ে জামাইয়ের মৃত্যু
পিরোজপুরে শ্বশুরের কাফনের কাপড় কিনে ফেরার পথে জামাই মো. রবিউল ইসলাম শেখের (৩২) মৃত্যু হয়েছে।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের মৃত জালাল শেখের ছেলে। জানা গেছে, এদিন দুপুরে রবিউলের শ্বশুর ফজর আলীর মৃত্যু হয়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে দাফনের জন্য স্থানীয় বাজারে কাপড় কিনতে যায় রবিউল। ফেরার সময় রাস্তার ওপর পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল কৌশিক সাহা বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শুনেছি শ্বশুরের কাফনের কাপড় নিয়ে ফেরার পথে পা পিছলে পড়ে রবিউল ইসলাম শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৫

যে মেলায় মাছ কিনতে প্রতিযোগিতায় নামেন জামাইরা
অন্তত চারশো বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বগুড়ার গাবতলীতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। সন্নাসী পূজার মেলা হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হলেও কালের বিবর্তনে এটি পোড়াদহ মাছের মেলা এবং জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। একদিন ব্যাপি এ মেলার প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ। মেলা উপলক্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে জামাই সমাগম, অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও ও নানা আনন্দ উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষের ভীড়ে মুখোরিত মেলা প্রাঙ্গন। কেবল বগুড়া নয় অতি প্রাচীন পোড়াদহের এই মেলায় মাছ কিনতে ও দেখতে সারাদিন সেখানে ভীড় করে দূরদূরান্তের হাজারো মানুষ। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার এই মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো বগুড়া ছাড়াও উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষ এসেছে পোড়াদহ মেলা প্রাঙ্গনে। ছেলে-বুড়ো সকলেই কাকডাকা ভোর থেকে দল বেঁধে মাছ-মিষ্টি বেচা-কেনার উৎসবে মেতেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি নদীর তীরে বিস্তৃর্ণ মাঠে বাড়তে থাকে মানুষ। কেবল বিশাল আকৃতির মাছই নয় একশো একর জমি জুড়ে আয়োজন করা এই মেলায় নাগোরদোলা, সার্কাস, বাহারী সব মিষ্টিসহ সংসারের খুটিনাটির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা স্থানীয়রা জানান, গাবতলির অন্তত ৩০ গ্রামে বছরের এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করতে মেয়ে-মেয়ে জামাই, আত্মীয়-স্বজনদের জানানো হয় আমন্ত্রণ। ঈদ-পূজো-পার্বনের মতোই সব ধর্মের লোকেরা নতুন জামা-কাপড়, পিঠা-পুলি আর বিশাল আকারের মাছ-ভাতে কয়েকদিন মাতেন এই উৎসবে। সাতসকালেই ইছামতী নদীর তীরে মানুষের ঢল। নদীর তীরে ছিল ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে দল বেঁধে লোকজন মেলায় ছুটে আসছেন। মেলা উপলক্ষে আশপাশের ৩০ গ্রামে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। গৃহস্থ ঘরে নাইওর এসেছে নববধূ আর মেয়ে জামাই। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যবারের মতো এবারও মেলায় উঠেছে নদীতে ধরা হরেক প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ। প্রতিবছর দুই থকে আড়াইমণ ওজনের বাঘাইড় মাছ এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলেও প্রশাসনিক নিষেধাঞ্জার কারণে এবারও মেলায় ছিলনা কোনো বাঘাইড়। তবে আকর্ষণ হিসেবে ছিল প্রায় ৪০ কেজি ওজনের সামুদ্রিক পাখি মাছ।  টাঙ্গাইলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাছ বিক্রেতা জানান, পাখি মাছটি কুয়াকাটা হতে মেলায় নিয়ে এসেছেন। মাছটির প্রতিকেজি ১৫ শত টাকা দরে বিক্রি করার জন্য দাম হাকাচ্ছেন তিনি। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই মাছটি দেখলেও আশানুরূপ দাম না বলায় বিক্রি হয়নি।  প্রায় ৪শ’ বছর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সন্ন্যাসীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে আস্তানা গাড়েন। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি গোড়াপত্তন করেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। সেই থেকে প্রতিবছর মেলাটি মাঘ মাসের শেষ বুধবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ মেলাটির সর্বজনীন মেলা হিসেবে বগুড়াসহ আশপাশে জেলায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।   মেলাতে আসা ক্রেতা  বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় শিশুদের জন্য খেলাধূলার সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের খাবারের দোকান। ছাড়াও প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছের সরবরাহ। অনেকে এই মেলাকে বলেন, মাছের মেলা। আর সকাল থেকে মেলায় ভীড় জমান বগুড়াসহ আশপাশের জেলার মানুষ। জানা যায়, প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ বুধবার প্রথম দিকে সন্নাসী মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এই মেলা। কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে পূর্ব বগুড়াবাসীর মিলনমেলা। পোড়াদহ নামকস্থানে হয় বলে এ মেলার নাম হয়ে যায় পোড়াদহ মেলা। আবার অনেকেই এটাকে জামাই মেলা বলেও অভিহিত করেন। মেলাকে ঘিরে আশপাশে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ মেয়ে ও জামাইকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এ কারণে স্থানীয়রা আবার এ মেলাকে জামাই মেলাও বলে থাকে অনেকেই। এবার সর্বোচ্চ ৩০ কেজির কাতল ছাড়াও বিশাল আকৃতির বোয়াল, রুইসহ হরেক রকম মাছ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা যার কোনটি ৩৫ কোনটির দাম হাঁকা হয় ৪০ হাজারেরও বেশি। মাছের আদলে তৈরি ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের বাহারী মিষ্টিও মেলে এখানে। এক দিনের এই মেলায় প্রায় শত কোটি টাকার বেচাকেনা হয় প্রতি বছর।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

নতুন করে বাড়ি-গাড়ি কিনতে পারবেন না ঋণখেলাপিরা
খেলা‌পি ঋণ কমাতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোনো গ্রাহক ঋণ নি‌য়মিত প‌রি‌শোধ না কর‌লে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলা‌পি হিসেবে চি‌হ্নিত করা হবে। এসব খেলা‌পিদের ‌বিভি‌ন্নি সু‌বিধা থেকে ব‌ঞ্চিত করা হ‌বে। তারা নতুন করে জ‌মি, বা‌ড়ি-গা‌ড়ি কিনতে পারবেন না। এমনকি নতুন ব্যবসাও খুলতে পার‌বেন না। রোববার (৪ ফেব্রুয়া‌রি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়ে‌ছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ তথ্য  নিশ্চিত করেছেন  ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের। সভায় উপ‌স্থি‌ত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী প‌রিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ডেপুটি গভর্নর জানান, ব্যাংকিং খাতে ২০২৬ সালে ৩০ জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার সার্বিক ৮ শতাংশের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার যথাক্রমে ১০ ও ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  ডেপুটি গভর্নর আরও জানান, ব্যাংকিং খাতে কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সীমাতিরিক্ত, বেনামী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ১১ দফা রোডম্যাপ করা হয়েছে।  
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১১

ত্রিশ টাকায় চাল কিনতে পারবে কোটি পরিবার
দেশের এক কোটি পরিবারকে প্রতি‌কে‌জি চাল ৩০ টাকা, ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০০ টাকা দরে বিক্রি করবে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।  বুধবার (১৭ জানুয়া‌রি) টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে এ ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকার-ভোগী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দিতে সারা দেশে জানুয়ারি মাসের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে তেল, ডাল ও চাল। সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারী ব্যক্তিরা। এ বিক্রয় কার্যক্রম শুধু মহানগরীগুলোতে এবং আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো পরিচালনা করা হবে। এতে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৬০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি মসুর ডাল ও ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়