• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে ইসরায়েল
গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে; সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা অঞ্চলটিতে। সবশেষ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  এরই মধ্যে সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরালের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের আরেকটি স্বাক্ষর রাখলো বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘ ও শান্তিকামী বিশ্বের সব আহ্বানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।  ইতোমধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে এসব সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য একটি প্রস্তাব কংগ্রেসনাল কমিটির সামনে এনেছে। এর আগে ইসরায়েলকে সহায়তায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আরেকটি প্রস্তাব আনা হয় ওই কমিটির সামনে। এদিকে সিএনএনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব তোলে পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদেশ আলজেরিয়া। কিন্তু ভেটো ক্ষমতার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি নস্যাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটির বিষফোঁড়া হয়ে ওঠা দখলদার রাষ্ট্রটি তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় তাদের মার্কিন মিত্রের কাছ থেকে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।  ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮

কেন এত সোনা কিনছে চীন!
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ কিনেছে৷ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও গাজার সংঘাতের পাশাপাশি চীনের এ পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে৷ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে সুদের হার কমানোর চেষ্টা ও চীনের স্বর্ণ জমা করার কারণে এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো মূল্যবান এ ধাতুটির দাম দুই হাজার ২১২ ইউরো ছাড়িয়েছে৷ বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক অস্থিরতা ও মুদ্রাস্ফীতির সময় স্বর্ণকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করেন৷ তাই করোনা পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে চলমান সংঘাত স্বর্ণের সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে৷ চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার (পিবিসি) এই পদক্ষেপে উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও প্রভাবিত হয়েছে৷ তারাও স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, পিবিসি সবশেষ ১৬ মাস ধরে তার স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়িয়েছে৷ ২০২৩ সালে অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় পিবিসি বেশি স্বর্ণ কিনেছে৷ সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীন ২২৫ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে৷ যা বিশ্বের অন্য সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কেনা এক হাজার ৩৭ টনের প্রায় এক চতুর্থাংশ৷ এ মুহূর্তে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে প্রায় দুই হাজার ২৫৭ টন স্বর্ণ মজুদ আছে৷ পিবিসির পাশাপাশি, চীনের সাধারণ নাগরিকেরাও স্বর্ণের মুদ্রা, বার ও গহনা কিনছেন৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট জন রিড গত মাসে ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, বছরের শুরু থেকেই আমরা চীনকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ কিনতে দেখেছি৷ চীনের অভ্যন্তরীণ সাংহাই গোল্ড এক্সচেঞ্জে রেকর্ড পরিমাণ বেচাকেনা দেখেছি৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য চীন মার্কিন ডলারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল৷ বিশ্বের সংরক্ষিত মুদ্রা হিসাবে, বেশিরভাগ পণ্যের দাম ডলারে হয় ও বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি বাণিজ্য মার্কিন ডলার ব্যবহার করে পরিচালিত হয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য গত ৩০ বছরে চীন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করেছে, যার বেশিরভাগই ডলার৷ একই পরিস্থিতি ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ এ দেশগুলোর অর্থনীতি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে প্রস্তুত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ব্রিকস ভবিষ্যতে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করার কথাও ভাবছে৷ যা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ মুদ্রা হিসাবে পরিচিত মার্কিন ডলারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে৷ ওয়াশিংটন তার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রাখতে ডলারকে কিভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে তা নিয়ে চীনসহ ব্রিকস এর সদস্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন৷ ডলারে বিনিময়ের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম খরচে ঋণ নিতে পারে৷ উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সময় ওয়াশিংটন এই মুদ্রাকে কূটনীতির হাতিয়ার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারে৷ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ জব্দ করাসহ মস্কোর উপর বেশ কয়েক দফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ মার্কিন চাপের মুখে, বেশিরভাগ রাশিয়ান ব্যাংককে সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহজেই লেনদেন করা যায়৷ এছাড়াও ভবিষ্যতে চীন যদি তার সামরিক শক্তি আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় বা ওয়াশিংটনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ায় , তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একইরকম নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে বলে চিন্তিত চীনের রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ৷ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ প্রয়োজনে বলপূর্বক তাইওয়ানকে পুনরায় দখল করতে পারে৷ গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে বেইজিং তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার এই ধারা আরও কয়েক বছর ধরে চলমান থাকবে৷ এ প্রক্রিয়াটিকে ডলারের বিকল্প তৈরির একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন তিনি৷
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

বাংলাদেশের জন্য পেঁয়াজ কিনছে ভারত
বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সূত্র। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অনুরোধ করা দেশগুলোতে ৬৪,৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন। জানা গেছে, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনও জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল। মহারাষ্ট্রের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকে খোদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের এত দাম, কিন্তু ভারতের কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশে রপ্তানিতে পেঁয়াজের দাম কত হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি এনসিইএল।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

৪৩৯ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার
সরকার ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি আলাদা প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে দ্বিতীয় লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৭১.৩৭৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬.৬২৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৫৭২ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮২ ডলার। প্রধান সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারক চায়নার জুনজুয়াই ইকো টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন সরবরাহ করবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

আমেরিকা থেকে ৩১ ড্রোন কিনছে ভারত
আমেরিকার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ড্রোন কিনতে চেয়েছিল ভারত। এতে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ৩১টি এমকিউ ৯বি সি গার্ডিয়ান ড্রোন কিনবে ভারত। ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি এজন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। তারা সিনেটকেও বিষয়টি জানিয়েছে। গতবছর প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ই ভারত এই ড্রোন কিনতে চায়। এই ড্রোনগুলি ভারত সরকার সরাসরি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে কিনতে চেয়েছে। তাই বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদন জরুরি। ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, এই ড্রোন বিক্রি অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেই হচ্ছে। এর ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। তারা আরও বলেছে, এই ড্রোন হাতে পেলে ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রয়োজন মিটবে। সমুদ্র ও স্থলভাগে মানবহীন এই ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করা যাবে। ভারত তার সেনাবাহিনীকে আধুনিক করতে চায়। তারা এই ড্রোনগুলি সেনার কাজে লাগাতে পারবে। গত প্রায় ছয় বছর ধরে এই ড্রোন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের সময় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ভারতীয় নৌ, বিমান ও স্থলবাহিনী এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবে। কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই ড্রোন বিক্রি করার বিষয়টি স্থগিত রেখেছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি নেতাকে হত্যার চেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, আমেরিকা এই ড্রোন বিক্রিতে সম্মতি দিয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়