• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বকাপে ফিরবেন কি না, জানালেন নারিন
ঘরের মাঠে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলে না ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিন অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলে নারিনকে ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে নারিন জানিয়েছেন, জাতীয় দলে ফেরার দরজা বন্ধ। চলতি আইপিএলে ব্যাট-বলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা নারিন। ব্যাট হাতে ৭ ইনিংসে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৭৬ দশমিক ৫৪ স্ট্রাইক রেটে ২৮৬ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া বল হাতে ৯ উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন এই স্পিনার। গেল সপ্তাহে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের যেকোনো ফরম্যাট ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মিলিয়ে ৭৫৬ ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ৫৬ বলে ১০৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। তার এমন দুর্দান্ত ফর্ম দেখে, তাকে দলে ফেরাতে উঠে পড়ে লাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, ‘গত ১২ মাস ধরে তার কানে ফিসফিস করছি আমি। কিন্তু সে কারও কথাই শুনছে না।’ কিন্তু সতীর্থদের ইচ্ছায় জল ঢেলে দিলেন ৩৫ বছর বয়সী নারিন। জাতীয় দলে পুনরায় ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।  নারিনের ভাষ্যমতে, ‘আমার পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই অবসর ভেঙে আমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা খেলতে অনুরোধ করেছেন, আমি খুবই খুশি এবং আনন্দিত। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তটি নিয়ে শান্তিতে আছি ও কাউকে কখনো হতাশ করতে চাই না। কিন্তু দরজাটা (জাতীয় দলের ফেরার) বন্ধই আছে এবং আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যারা মাঠে নামবে, আমি তাদের সমর্থন করবো।’ ২০১২ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ সালে বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য ছিলেন নারিন। বর্তমান দলটি তৃতীয় শিরোপা জয়ের সামর্থ্য রাখে বলে মনে করেন তিনি।  দলের খেলোয়াড়দের শুভকামনা জানিয়ে নারিন বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে ছেলেরা এবং আমাদের সমর্থকদের তারা বুঝাতে পেরেছে যে আরও একবার শিরোপা জয়ের সামর্থ্য আছে তাদের। সবার জন্য আমার শুভকামনা।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চার বছর আগে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ৩৫ বছর বয়সী নারিন। দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৭

নিজের পায়ে কি নিজেই কুড়াল মারলেন তামিম ইকবাল?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি রয়েছে আর মাত্র দেড় মাস। চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্ট কেন্দ্র করে দলে গঠনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে অংশ গ্রহণকারী দলগুলোর নির্বাচকরা। তবে দল নির্বাচনকে ছাপিয়ে টাইগার ক্রিকেটে এখনও আলোচনা কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে তামিম ইকবাল। এই বাঁহাতি ব্যাটারের দলে ফেরা না ফেরার নাটক যেনো কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই। তবে একটু চিন্তা করলে বোঝা যায়, নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন তামিম ইকবাল। যদি খেয়াল করি, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২২ এশিয়া কাপকে কেন্দ্র করে টি-টোয়েন্টি দলের তামিমকে ফেরানোর জন্য অনেক বার আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সে সময় তিনি বার বার একটা কথা বলে গেছেন পাপনকে। যে টি-টোয়েন্টি নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি ভাবছেন না। তার ভাবনায় শুধু ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে সেই সময় ওপেনার শঙ্কটে ভুগছিল দল। মূলত, ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি পাপন। তাই তামিমের এমন বেছে খেলার পরিকল্পনা ভালো না লাগারই কথা বিসিবির। সেই বছর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় টাইগাররা। এতে অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দল থেকে নিজের জায়গা হারান রিয়াদ। এরপর সাকিবের কাঁধে ওঠে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব। এরপর বিশ্বকাপের বছরে টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২২ সালে ব্যাট হাতে রান পেলেও ২০২৩ সালে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন তামিম।  তবে আফগানিস্তানের সিরিজের প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ফিট না হয়ে ফেলার বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করায় তামিমকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন কোচ হাথুরুসিংহে। যেখান থেকেই নাটকের সূচনা হয়। সিরিজের মাঝ পথে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন তামিম। যার উত্তাপ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে পুরে দেশে। পরিস্থিতি সামলাতে পর দিন তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই অবসর ভেঙ্গে ক্রিকেটে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আপাতত দৃষ্টিতে বিষয়টির সমাধান হয়েছে মনে হলেও আসলেই কি সমাধান হয়েছিল? তামিমের হঠাৎ অবসর নেওয়ার কারণ জানতে পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হয় বিসিবি বসকে। বিষয়টি পাপনের কাছে ভালো না লাগারই কথা। এদিকে দেড় মাস ছুটিতে থাকায় এশিয়া কাপ মিস করেন তামিম। এ সময় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব ওঠে সাকিবের কাঁধে। এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ। তবে পুরো দায় ওঠে অধিনায়ক সাকিবের কাঁধে। এখানে তামিমের একটি মন্তব্য বড় ভূমিকা পালন করেন। ইনজুরি কারণে ছুটিতে থাকলেও বিসিবির চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে মিরপুরে আসেন তামিম। এসময় বিসিবির এক কর্মচারীকে তামিম বলে বসেন, ‘রিয়াদ ভাইকে দল থেকে বাদ দিয়েদিলেন’। এই ঘটনা চোখ এড়ায়নি গণমাধ্যম কর্মীদের। যার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। নেটিজেন মধ্যে ধরণা তৈরি হয় সাকিবের ইচ্ছায় এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আলোচনার ভিড়ে চাপা পড়ে যায় তামিমের অধীনেই আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন রিয়াদ। এদিকে এশিয়া কাপে দল খারাপ করলেও ওপেনিং দুর্দান্ত ব্যাট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, বিশেষ করে আফগানিস্তান ম্যাচে। সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। তাই বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান ম্যাচে মিরাজকে দিয়ে ওপেন করানো কথা ভাবছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে ছাড়া খেলবেন না তামিম এটা ভালো করেই জানতে বিসিবি। ফলে এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তামিমকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়ার হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তামিম। যার ফলেই বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম। অন্যদিকে সেই সময় বন্ধু সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টিও আগে থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার পিছনে ভিলেন বানানো হয় সাকিব আল হাসানকে।  এতে পুরো ক্রিকেট ভক্তরা সাকিবের বিপক্ষে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু সব কিছু ভিড়ে একটা প্রশ্ন চাপা পড়ে যায়, সাকিবের কি তামিমকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? যেখানে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তামিমকে ক্রিকেটে ফিরিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।  সুতরাং বোঝা যায় তামিমের দুর্বলতা এবং সাকিবের দ্বন্দ্বকে ভালোভাবেই কাজে লাগানে হয় তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আর সেটার সুযোগ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল নিজেই। কারণ, অনেকেই মনে করেন সেদিন তামিমকে প্রস্তাবটা দিতে পারতেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অথবা কোচ নিজেই। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা এবং আফগানিস্তান সিরিজের মাঝ পথে হুট করে অবসর নেওয়ায় হাথুরুসিংহের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না তামিমের। এমন অবস্থায় সাকিব কিন্তু কোচের কাছে থেকে প্রস্তাব আশার করাটা কতটা যৌক্তিক এটাও বড় প্রশ্ন। তবে তামিম বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতেও পারতেন। কারণ ইনজুরির কারণে দলের বাইরে ছিলেন অনেক দিন। ফলে আফগানিস্তান ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করা পরিকল্পনা করতেই পারতেন দেশসেরা এই ওপেনার। এতে বিসিবির ভুল পরিকল্পনার জবাব এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার সক্ষমতাও দেখাতে পারতেন কি না তিনি? যেমনটা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম করে বিসিবির অবহেলার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন দেশসেরা এই ফিনিশার ব্যাটার। পেশাদার ক্রিকেট এমনটাই হওয়া উচিক নয় কি? ফলে বিসিবির পাতানো ফাঁদে পা দিলে এখনও লাল সবুজের জার্সিতে নিয়মিত দেখা যেতো তামিমকে। তবে সম্প্রতি তামিমকে দলে ফেরাতে নানা ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতটা বাস্তবে রূপ নেই সেটাই দেখার বিষয়।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

আগে ইকামত না দিলে কি নামাজ শুদ্ধ হবে?
নামাজ একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। তবে প্রতিদিন আবশ্যকরণীয় বা ফরজ ছাড়াও বিবিধ নামাজ রয়েছে যা সময়ভিত্তিক বা বিষয়ভিত্তিক। ইসলামে ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। নামাজ (সালাত) ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। নামাজ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয়। পবিত্র কুরআনের ১৭টি আয়াতে বলা হয়েছে সালাত প্রতিষ্ঠা করো। ফরজ নামাজের জামাতের আগে ইকামত দেওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। নবিজি সব সময় ইকামত দিয়েই নামাজ পড়াতেন। তাই জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইকামত না দেওয়া মাকরূহ। একা নামাজ পড়ার সময়ও ইকামত দেওয়া উত্তম। তবে ভুল করে বা অন্য কোনো কারণে ইকামত ছাড়া জামাতে নামাজ আদায় করলে সুন্নতের খেলাফ ও মাকরুহ হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। পুনরায় ওই নামাজ আদায় করতে হবে না। নামাজের ইকামত শুরু হলে মুক্তাদীদের করণীয় হলো দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতে থাকা যেন ইকামত শেষ হতে হতে জামাতের কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হলে ইমাম নামাজ শুরু করতে পারেন।  সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, বেলাল (রা.) আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসতে দেখে ইকামত শুরু করতেন। মুক্তাদিরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জায়গায় পৌঁছার আগেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহিহ মুসলিম: ১/২২০)
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৬

‘এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’
জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী শহিদুল খান (৪৬)। মানসিক অবস্থা ভালো থাকলেও তার দু'পা ছিলো বিকলাঙ্গ। হাতে ভর করে পাছায় টিউব বেধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন শহিদুল। ৮ বছর বয়স থেকেই ঝালকাঠির গাবখান ফেরিঘাটে ও ফেরিতে তার ভিক্ষা করা শুরু । গত ৪/৫ বছর যাবৎ তাকে নিয়মিত দেখা যেতো গাবখান সেতুর পূর্বপাড়ে টোল প্লাজায়। সেতুর টোল প্লাজার কর্মী হিসেবে কাজ করে তার আপণ দুই ছোট ভাই। বুধবার দুপুরে প্রতিদিনের মত রামনগর গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র দুইশগজ দূরত্বে গাবখান সেতুর টোলে ভিক্ষা করছিল শহিদুল। সেদিন সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেভটকার ও ৩টি অটোরিক্সাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। গুরুতর আহত হন প্রতিবন্ধী শহিদুলও।বিকেল ৪টায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গাবখান সেতুর টোলে আর কোনদিন দেখা যাবে না শহিদুলকে। শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী হেলেনা বেগম স্বামী হারানোর শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। আড়াই বছর বয়সি ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে করুণ ভাষায় বিলাপ করে বলছেন ‘আল্লাহরে এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু, কেমনে বাঁচমু। ও আল্লাহ তুমি এ কেমন বিচার করলা’। দাম্পত্য জীবনে শহিদুলের আড়াই বছর বয়সী সায়মা আক্তার নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ভিক্ষার টাকায় চলতো শহিদুলের সংসার। শহিদুলের বাবা বাদশা খান ছিলেন নৌকার মাঝি। ঝালকাঠির অতুল মাঝির খেয়াঘাট আর গাবখান নদীতে সে খেয়া নৌকা চালাতো। তার আপন দুই ভাই সাইদুল ও  সাদ্দাম গাবখান সেতুর টোলে টোল আদায়ের কাজ করে। ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, আমি বুধবার টোলের ডিউটি শেষ করে দুপুরে খাবারের জন্য বাড়িতে আসার পরে গোসলে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে দৌড় দিয়ে টোলের সামনে গিয়ে দেখি আমার ভাই ঘাতক ট্র্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে। সাদ্দাম আরও বলেন স্থানীয়রা তাকে ট্রাকের নিচ থেকে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থা ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যায়। ভাই আর কোনদিন ফিরেও আসবে না, আর মানুষের কাছে হাতও পাতবে না।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪

তবে কি প্রিয়াঙ্কা-পরিণীতির সম্পর্কে ফাটল
বলিউডের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও পরিণীতি চোপড়া। বিয়ের পর থেকেই বিদেশে গিয়ে পাকাপাকিভাবে থাকছেন প্রিয়াংকা। তবে সেখানে গিয়ে থাকলেও  পরিবারের সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি তার। পরিবারের ভাইবোনদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে প্রিয়াংকার।  তবে সাম্প্রতিক এক ঘটনা বলছে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে প্রিয়াঙ্কা-পরিণীতির। দুই বোনের মাঝে নাকি দূরত্ব হয়তো তৈরি হয়েছে।    জানা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন পরিণীতি। তবে চোপড়া পরিবারের সব সদস্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সেখানে ছিলেন না প্রিয়াঙ্কা।  শুধুমাত্র নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু করায় সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে আত্মীয়তা সেরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। পরিণীতির বিয়েতে প্রিয়াঙ্কা না থাকায় সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয় নেটদুনিয়ায়।  প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া অবশ্য মেয়ের অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে বলেছিলেন, বিয়ের জন্য আগে থেকে নিজের সব কাজ সম্পন্ন করার অনেক চেষ্টা করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বোনের বিয়েতে আসতে পারেনি সে। চলতি মাসে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা নীলম উপাধ্যায়ের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারেন প্রিয়াঙ্কার ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়া। এদিকে ভাইয়ের আংটি বদলের অনুষ্ঠানে ছিলেন না পরিণীতি। কিন্তু হাজির ছিলেন প্রিয়াঙ্কার অন্য কাজিন মান্নারা চোপড়া। শোনা যায়, পরিণীতিকে নাকি খানিকটা এড়িয়েই চলেন প্রিয়াঙ্কা। তাই পারিবারিক অনুষ্ঠানে একজন হাজির হলে অন্যজন অনুপস্থিত থাকেন। তবে পরিণীতির চেয়ে   মান্নারার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক প্রিয়াঙ্কার।    কয়েকদিন আগে প্রিয়াংকা যখন ভারতে এসেছিলেন, তখনও পরিণীতির সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও না আসায় প্রিয়াঙ্কার উপর অভিমানও করেন পরিণীতি। মিডিয়াপাড়ার একাংশের দাবি— এ কারণেই নাকি দুই বোনের সম্পর্কে চিড় ধরেছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০১

৩২ দেশকে ইসরায়েলের চিঠি, কি ছিল সেই চিঠিতে
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংসতা চালানোর জেরে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রসহ ঘনিষ্ঠ মিত্ররা দেশটির সমালোচনা করছিল। তবে ইরানের হামলার পর অনেক মিত্রকে ফের পাশে পেয়েছে ইসরায়েল। এ সুযোগে তেহরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা জোড়দার করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি। খবর আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার।   বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ তৎপরতার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস ৩২টি দেশকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অনুরোধ করা হয়েছে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করতে। এছাড়াও নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও আহ্বান জানান কাৎস।   উল্লেখ্য যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত অক্টোবর থেকে সেগুলো কার্যকর নেই। কেননা ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে নতুন চুক্তির আওতায় সেগুলো পড়েছে। তবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাজ্য এ বিসয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭

তামিমের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা আছে কি কোচদের?
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে মেরুর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিসিবি এবং অপর প্রান্তে তামিম ইকবাল খান। দু’পক্ষ যেন কোনোভাবেই এক হতে পারছে না। জাতীয় দলে ফিরতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে রেখেছেন তামিম। অন্যদিকে তামিমকে ফেরাতে সবকিছু পরিবর্তন করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই। বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার মূল কারণ, আফগানিস্তান ম্যাচে এই ওপেনারকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়; যা কোনোভাবেই মানতে পারেননি তিনি। মূলত আফগান পেসার ফারুকীর বলে শুরুতেই উইকেট না দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তামিমকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।   সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। অন্যদিকে সবশেষ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত ভাবে ফারুকীদের সামাল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মিরাজকে দিয়েই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত তামিমকে জানানো হলেও বিশ্বকাপ থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি। তাই তামিমের এমন অপেশাদার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে ১৭ বছর ধরে ওপেন করা একজন ব্যাটারকে নিচে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়াটা কতটা যুক্তিসম্মত তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে একজন ক্রিকেটার যখন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে দলের স্বার্থে তাকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ এবং অধিনায়ক। এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। এরপর ২০২২ সালে ব্যাটে রান পাওয়ার কারণে তামিমকে চারে ব্যাট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডেন্স। তবে এই অজি কোচের ভাবনাকে স্টুপিড বলে মন্তব্য করেছিলেন তামিম। ফলে প্রশ্ন ওঠে কোনো ক্রিকেটার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা বা মন্তব্য করতে পারবে না টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচ। প্রশ্ন ওঠে কোচদের পরামর্শ গুলোকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি কতটুকু রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। তাদের পরামর্শ দাতা হিসেবেই তো কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। সবকিছু পিছনে ফেলে তামিম ইকবালকে দলে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে শর্ত আর নানা জটিলতায় সেই সম্ভবনাও দিন দিন কমে আসছে। এদিকে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই দলের প্রয়োজনে তামিমের দলে ফেরার সুষ্ঠ সমাধান দরকার খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে এতো নাটকীয়তার পর দলে ফেরাটাও অনেক চাপের হবে তামিমের জন্য। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর ব্যাট হাতে কতটা অবদান রাখতে পারবে সেটাও চিন্তার কারণ হতে পারে এই বাঁহাতি ওপেনারের। ২০২৩ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন দেশসেরা এই ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে বিপিএল দিয়ে দুর্দান্তভাবে কাম ব্যাক করেন তিনি। ডিপিএলেও ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন তিনি। তাই বলা যায় বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
আমাদের দেশে যে পা ছুঁয়ে সালাম করা বা কদমবুসি করার প্রথা প্রচলিত আছে তা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলা ইসলামের দৃষ্টিতে সালাম বলে। হাদিসে মুসাফাহা-মুআনাকার কথা আসলেও কদমবুসির কথা আসেনি। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন তার কোনো ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহলে কি কেবল হাত ধরবে ও মুসাফাহা করবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি: ২৭২৮; ইবনে মাজাহ: ৩৭০২; আহমদ: ১৩০৪৪) রাসুল (স.) মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পা ছুঁয়ে ‘সালাম’ করার সময় সাধারণত মাথা ঝুঁকে যায়। আর ‘রুকুর কাছাকাছি হয়ে সালামের জন্য ইশারা করা, ঝুঁকে পড়া এসব মাকরুহ।’ (সাকবুল আনহুর: ৪/২০৫) আরেক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয়, তারপর তারা মুসাফাহা করে, তাহলে তারা পরস্পর আলাদা হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৪৭, ইবনে মাজাহ: ৩৭০৩, আবু দাউদ: ৫২১২, তিরমিজি: ২৭২৭) হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের লক্ষ করে বললেন, হে বৎস! তুমি গৃহে পরিবার-পরিজনের কাছে প্রবেশকালে সবাইকে সালাম করবে। এতে তোমার এবং তোমার গৃহের সবার জন্য কল্যাণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮, আলমুজামুল আওসাত: ৫৯৯১) তবে কেউ কেউ কদমবুসি বা পদচুম্বনকে সম্মানসূচক জায়েজ বলেছেন। তবে সেই সঙ্গে শর্তও দিয়েছেন। শর্ত হচ্ছে, ‘যদি রুকু বা সেজদার সুরত হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। (আলমুজতাবা: ৪/২০৫, আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১১৮, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৬৯) ইসলামে উত্তমভাবে সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়ার কথা রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামরা রাসুল (সা.)-কে আসসালামু আলাইকুম বলেই সালাম দিয়েছেন। হাদিসে লক্ষণীয়, যত উত্তমভাবে সালাম দেওয়া যায় তত বেশি সওয়াব। আবার উত্তমভাবে সালামের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬) ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম’। রাসুলুল্লাহ (স.) তার সালামের উত্তর দিলে লোকটি বসল। তারপর রাসুল (স.) বললেন ‘দশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।’ রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দেয়ার পর লোকটি বসল। তার সম্পর্কে রাসুল (স.) বললেন ‘বিশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু’, রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন ‘ত্রিশ’। (আবু দাউদ: ৫১৯৫; তিরমিজি: ২৬৮৯)
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩

ঈদ সালামি কি জায়েজ?
ঈদ আরবি শব্দ। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, ফিরে আসা ইত্যাদি। যেহেতু প্রতি বছর দিনটি ফিরে আসে তাই, একে ঈদ বলা হয়। ঈদ আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ। আনন্দ ও খুশির মধ্যে শিশু-কিশোরদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে ঈদি বা ঈদ সালামি। বড়দের পক্ষ থেকে পাওয়া এই সালামি শিশুদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়। একটি সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক রীতি ঈদ সালামি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদ সালামি দেওয়ার এ প্রচলনে কোনো আপত্তি বা ধর্মীয় বাধা-নিষেধ নেই। বরং এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে পারস্পারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। তা ছাড়া ইসলামে উপহার দেওয়া-নেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (কাউকে কিছু) দেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দেয়া থেকে বিরত থাকে; আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে ভালোবাসে আর আল্লাহর জন্যই যে ঘৃণা করে, সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (তিরমিজি: ২৫২১) অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪) তবে ছোটদের কল্যাণে ঈদ সালামি দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখা দরকার। সেগুলো হলো- সেলামি দেওয়ার সময় ছোট ভাইবোন ও সন্তানদের কাউকে দেওয়া হবে আর কাউকে বঞ্চিত করা হবে-এমনটি যেন না হয়। এতে কারো মনে আঘাত লাগতে পারে। যা পারস্পরিক মনোমালিন্যেরও কারণ হতে পারে। সবাইকে সমানভাবে উপহার দেয়া জরুরি নয় বরং বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী কমবেশি করা যাবে। যেমন- বড়কে বেশি আর ছোটকে কম, বিবাহিতকে এক রকম অবিবাহিতকে অন্য রকম— এতে কোনো আপত্তি নেই।  আমাদের দেশে ঈদ সালামি পাওয়ার জন্য ছোটরা বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করে। এটি অনৈসলামিক কালচার। এর সম্প্রসারণ রোধ করা জরুরি। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে। অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চারা হাতে টাকা পেয়ে যেন আজেবাজে ও গুনাহের কাজে ব্যয় না করে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩০

বুধবার ঈদ কি না, জানা যাবে সন্ধ্যায়
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখতে আজ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে ‍‘জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি’। দেশের আকাশে আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বুধবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর না দেখা গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ করতে হবে। আর ঈদ হবে আগামী বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে চাঁদ দেখা কমিটির  বৈঠক। এতে  সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি এবং ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   এতে বলা হয়, সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।   মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়