• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হলমার্ক কেলেঙ্কারি / তানভীর-জেসমিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা হলমার্ক। যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলা মনে করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত মর্মে অত্র আদালত মনে করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গত ১২ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। মামলায় আদালত অভিযোগপত্রে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আসামিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জি এম মীর মহিদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এ জি এম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জি এম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি। এ ছাড়া জামিনে রয়েছেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার। ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। 
১৫ মিনিট আগে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ : স্টোর কিপারের ৩ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক স্টোর কিপার হামিদুর রহমান মণ্ডলকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও ৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। এ দিকে আসামি আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামি হায়দার আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা রংপুরের গুড়াতিপাড়া। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিশেষ পিপি হারুন উর রশীদ। তিনি জানান, আসামি হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডল রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত থাকা কালে অবৈধভাবে নিজের ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর নগরীতে তার তিন তলা আলিশান বাড়ি, বেশ কয়েকটি প্লট এবং নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কিনে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ঘটনায় রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন।  পরে তার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে

সাংবাদিককে কারাদণ্ড : প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলেন প্রধান তথ্য কমিশনার        
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে অবহিত করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে তার দপ্তর কক্ষে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।  প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইতোমধ্যে তথ্য কমিশনে দাখিল করেছেন বলেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ সময় তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা প্রতিনিধি শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন।  সাংবাদিককে কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সাথে কথা বলে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। একইদিন বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন।  
২৩ ঘণ্টা আগে

অভয়াশ্রমে মৎস্য শিকার, ১৮ জেলের কারাদণ্ড
বরিশালের হিজলায় নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে ১৮ জেলেকে কারাদণ্ড ও এক জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ১৯ জেলেকে আটক করা হয়। এরমধ্যে ১৮ জন জেলের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একশ' টাকা করে জরিমানা এবং একজন জেলেকে পাঁচশ' টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ। এ সময় হিজলা থানার এসআই মো. ইসমাইলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৭

স্ত্রীকে নকল সরবরাহ, স্বামীর ২ বছরের কারাদণ্ড
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এসএসসি পরীক্ষায় স্ত্রীকে নকল সরবরাহের দায়ে স্বামীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।    দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম (২৩) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিনয়নগর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। সোমবার (১১ মার্চ) সোনাইমুড়ী পৌরসভার সোনাইমুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া। দণ্ডিত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিনয়গড় গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া সোমবার (১১ মার্চ) সকালে সোনাইমুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। এ সময় জানালা দিয়ে স্ত্রীকে এমসিকিউ বলে দেওয়ার সময় হাতেনাতে সাইফুল ইসলামকে আটক করেন তিনি। তারপর তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনে পূর্বের পরীক্ষার উত্তরপত্রও পান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাইফুল ইসলামকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়া বলেন, দণ্ডিত সাইফুল স্মার্টফোনে থাকা উত্তরপত্র থেকে তার স্ত্রীকে জানালা দিয়ে বলে দিচ্ছিলেন। আমি তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। তার মোবাইলে পূর্বের সকল বিষয়ের উত্তরপত্র পাওয়া গেছে। তাই তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৭

হত্যা মামলায় ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
জামালপুরে ট্রেনে ডাকাতির পর অজ্ঞাত ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জীবন (২৫), রাকিব (২৮), সোহেল (৩৩), শিপন (৩৪) ও রনি (২৬)। তাদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন রনি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নুরুল করিম ছোটন বলেন, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি লোকাল ট্রেনে ডাকাতির পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আসামিরা। এরপর সেই ব্যক্তিকে জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি এলাকায় ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ মে জামালপুর রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন এএসআই মীর মজনু। পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচার প্রক্রিয়া শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যর ভিত্তিতে পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪০

জাটকা ধরায় ২৯ জেলে আটক, ২০ জনের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরায় ২৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জেলের একমাস করে কারাদণ্ড, ৩ জনকে ১০ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৬ জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন। অভিযানের সময় ছয়টি মাছ ধরার নৌকা, ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ১৫ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সদর উপজেলার লালপুর, কাচিকাটা ও মতলবের আমিরাবাদ এলাকা থেকে ২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। তিনি জানান, জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট, জাটকা গরিবদের মাঝে বিতরণ এবং মাছ ধারর ৬টি নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের কারাগারে পাঠানো হবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৪২

পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে আনচেলত্তির
চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপা ঘরে তোলার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আনচেলত্তির শিষ্যদের পারফরম্যান্স বেশ উজ্জ্বল। তাই স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে দারুণ সময় পার করছেন কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু এর মধ্যেই মাঠের বাইরের এক ঘটনায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন তিনি।  মাদ্রিদের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর অফিস আনচেলত্তির বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকির মামলায় চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। জনপ্রিয় স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ম্যানেজার হয়ে আসেন এই ইতালিয়ান কোচ। ওই সময়ে তার সম্পদের ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৯ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তাই আনচেলত্তির বিরুদ্ধে মামলায় চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে মাদ্রিদের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর অফিস । জানা গেছে, দুটি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। কর প্রদানের ক্ষেত্রে আনচেলত্তি স্পেনের বাসিন্দা হিসেবে নিজের অবস্থানের কথা জানালেও, তিনি থেকেছেন স্পেনের বাইরে মাদ্রিদে। যেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ইমেজ স্বত্ব বাদ দিয়ে কেবল রিয়ালের ম্যানেজার হিসেবে আয়ের তথ্য দেখিয়েছেন।  বাড়তি আয়ের বিষয়ে মাদ্রিদ বস বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ প্রসিকিউটর অফিসের। তবে আনচেলত্তির সামনে কারাদণ্ড এড়ানোর সুযোগ রয়েছে । এক্ষেত্রে রিয়াল বসকে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিতে হবে।  এর আগে মাদ্রিদ কোচ জোসে মরিনিয়ো ২০১৯ সালে কর ফাঁকির দায়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায়, এক বছরের বরখাস্ত আদেশ পেয়েছিলেন। একইভাবে স্পেনের ক্লাবে থাকাকালে একই মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরাও।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৬

মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৬ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ জালে জাটকা ধরার দায়ে জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে আটক ২৯ জেলের মধ্যে ২৬ জনের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং বয়স কম হওয়ায় দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন। আটক অধিকাংশ জেলের বাড়ি মেঘনা নদীর পশ্চিমে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকায়। চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত মেঘনা নদীর রাজরাজেশ্বর, মোলহেড, বহরিয়া, হরিনা, আলু বাজার, হাইমচরের কাটাখালি ও ইশানবালা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারেন্ট জাল, ২ হাজার মিটার চরঘেরা জাল, দুটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ এবং ২৯ জেলেকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, আটক জেলেদের কারাদণ্ড দেওয়ার পর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো সুলতান মাহমুদ, হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ, ইলিশ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মুশফিকুর রহমানসহ কোস্ট গার্ড চাঁদপুর ও হাইমচর আউট পোস্টের সদস্যরা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড  
রংপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আয়শা বেগম বিউটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টোকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। এ ছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে ভুট্টুর বাবা বেলাল হোসেন, মা কুলসুম বেগম, মামাতো ভাই বিটু সরকার বিটু, আবু সাইদ, নুরুদ্দিন ও খাজির উদ্দিককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি বিলকিস বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে আয়শা বেগম বিউটিকে যৌতুকের জন্য স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টো নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ১ জুন তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গোয়াল ঘরে পুঁতে রাখেন। এর তিন দিন পর গোপনে লাশটি আবারও উত্তোলন করে বাড়ির পাশে একটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ৭ জুন পুলিশ বিউটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১ জুন পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়