• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি : ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের নামে মামলা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলার এবং অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জন ব্যাংকার ও দুইজন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মালিককে আসামি করা হয়েছে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার আসামিরা হলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী ও মো. হুমায়ুন কবির। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এবিএম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো. আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন, এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমাস সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদকে আসামি করা হয়। এ বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করছেন। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। দুদক এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রা আনেন। এসব ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করছে চক্রটি।  জাল ভাউচারে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে পরে তা খোলা বাজারে ছাড়া হচ্ছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করছেন।
২৩ ঘণ্টা আগে

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী 
আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত চেক উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরেই চালের দাম বাড়িয়ে একটি চক্র খেলতে চেয়েছিল। তাদের সে খেলা আমরা শক্তভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনিকভাবে আমরা তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চালের বাজার এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের চেক অনেকেই পেয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাহায্য পায় বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সকলকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া এবং তার পাশে থাকার আহ্বান জানান। শেষে উপজেলার ৩৭জন উপকারভোগী প্রতিজনের হাতে একটি করে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম, কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার তারিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইউএনও’র কার্যালয়ে সেচ কমিটির সভায় যোগদান করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৪

‘পণ্যের সংকট নেই, কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো সংকট নেই। কেউ কারসাজি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে কেউ যাতে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক বলেও জানান মন্ত্রী। রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বিকেলে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। বৈঠকে শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রমজান আসছে। আমরা দেখলাম লেটেস্ট কারেন্ট সিচুয়েশিন। কোনো পণ্যের শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডিস্ট্যাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায় সে কাজগুলো সরকার করছে। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নাই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাবো। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাবো, কাউকে ছাড় দেবো না। এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না। এখনও হয়নি। তাহলে জরুরি বৈঠকের কারণ কী? সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর ন্যাচারালি সবাই বলছে কী করছেন, কী করলেন? আপনাদের টার্গেট কি শুধু রমজান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু রমজান না, রমজান নিয়ে চিন্তা আছে মানুষের মধ্যে, সেজন্য। জিনিসপত্রের দাম কত দিনের মধ্যে কমবে, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেভাবে এটা কখনোই বলা সম্ভব না। আমদানিকে প্রাধান্য দেবেন কি না, এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো এ রকম কিছু হয় নাই। রিজার্ভ বাড়াতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, করছি তো আমরা। আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টি কারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না। বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চলতে পারছে, আপনি কি মনে করেন? অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টর তো প্রাইভেট সেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়া তো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো তো আন্ডার কন্ট্রোলড আছে। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়