• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কারচুপি স্বীকার করায় পাকিস্তানের নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা আটক হয়েছেন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চাতা তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের পর পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন লিয়াকত আলী চাতা। পরে তার অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেটি বন্ধ করে দেয়। প্রশাসন রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এক কর্মকর্তা। পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডন জানায়, চাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী চাতা বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে, আমি নিজেও বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। শুধু অনিয়ম ও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়াকে তিনি নিতান্তই কম। নির্বাচনে অনেক বড় জালিয়াতি হয়েছে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন যারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এবং তাদের আমরা জাল ভোট দিয়ে হারিয়ে দিয়েছি। এমন অনেক প্রার্থী আছেন যারা হেরে যেতেন; কিন্তু তাদের আমরা ভোট জালিয়াতি করে জিতিয়ে দিয়েছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপি প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, তার আইনি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর দ্য ডনের। ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে তা পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আগামী দিনগুলোতে এটি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব। ‘মার্কিন আইন প্রণেতারা বাইডেন প্রশাসনকে কথিত নির্বাচনী জালিয়াতির দাবির বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের জন্য চাপ দিচ্ছেন?’- এমন  প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি জানি না তারা ঠিক কোন সংস্থার কাছে প্রস্তাব করেছেন। আমরা মনে করি পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থা এ ঘটনার তদন্ত করতে নিজেই কার্যকর। আর এটিই প্রথম কাজ হওয়া উচিত। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটিই সঠিক হবে আর তাদের এটিই করা উচিত। তিনি বলেন,  সহিংসতা এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবার উপর বিধিনিষেধের মতো রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সহিংসতার নিন্দা জানায়। এগুলো নির্বাচনের উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলেছে। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কথিত নির্বাচনী অনিয়ম সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটি স্পষ্টতই একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে।   সর্বশেষে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং সরকার গঠনের পর দেশটির সঙ্গে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র। প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছরের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে বহুল কাঙিক্ষত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা শীর্ষে উঠে এসেছেন। সহিংসতা, অনিয়ম ও অভিযোগের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের সময় শুরু হয় টালবাহানা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর খুবই ধীর গতিতে শুরু হয়েছিল বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ। এরপর নির্বাচনের তিনদিন পর রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যখন নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৫ আসনের মধ্যে নওয়াজের দল পিএমএল-এন মাত্র ৭৫টি আসন পেয়েছে। আর পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০১টি আসন। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই), এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামসহ (জেইউআই-এফ) বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২০

‘ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক, কোথাও কারচুপি হয়নি’
বিএনপির নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টার পরও সারাদেশে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। এটা গণতন্ত্রের জয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল, সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টার পরও সারাদেশে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। এটা গণতন্ত্রের জয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল, সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে। বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কোথাও কোনো কারচুপি নেই, নির্বাচনবিরোধী চক্রের আগাম অভিযোগ সঠিক নয়। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু সুন্দর হচ্ছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকা চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শীতের কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। ঢাকার ভোটাররা ছুটি পেয়ে অনেকেই গ্রামে গেছেন, অনেকেই ঘুরতে গেছেন। তাই ঢাকায় ভোটার উপস্থিতি কম।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়