• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হবিগঞ্জে চিপসের কারখানায় আগুন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে অবস্থিত প্রাণের একটি কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৩ নম্বর ভবনের চিপস তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর থেকে কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।  এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, বিকেলে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানতে পেরেছি। তবে আগুনের কারণ জানতে পারিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

৯৫ শতাংশ কারখানা বোনাস দিয়েছে  
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ৯৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ৭৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে বলেও জানায় পুলিশ।  শিল্পাঞ্চল পুলিশের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়। তারা বলছে, এই পরিসংখ্যান এই পরিসংখ্যান বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার সদস্য, পাটকল ও অন্যান্য কারখানার। এসব সংগঠনের সদস্যভুক্ত দেশে মোট কারখানা আছে ৯ হাজার ৪৬৯টি। এর বাইরেও দেশে অনেক কারখানা আছে। তাদের হিসাব এই পরিসংখ্যানে নেই। শিল্প পুলিশের পাঠানো পরিসংখ্যানে কোন সংগঠনের সদস্য কতগুলো কারখানা বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেছে, সেই হিসাবও আছে। এতে দেখা গেছে, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে মোট ৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে।  বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কারখানা, বিটিএমএ’র ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ, বেপজার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ও অন্যান্য কারখানার মধ্যে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ কারখানা বেতন পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কারখানা, বিকেএমইএ’র ৯৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিটিএমএ’র ৯৭ দশমিক ১২ শতাংশ, বেপজা’র ৯৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পাটকলগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ আর অন্যান্য কারখানাগুলোর মধ্যে ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। শিল্প পুলিশের তথ্যানুসারে, গতকাল পর্যন্ত সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, কুমিল্লা ও সিলেটের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২ হাজার ৫৩৪ কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৯টি মার্চের বেতন দিয়েছে। উৎসব ভাতা দিয়েছে ২ হাজার ১৮৩টি কারখানা। কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর শীর্ষ নেতাদের দাবি, বেতন ও উৎসব ভাতা নিয়ে বড় সমস্যা নেই; আজকের মধ্যে সব কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান কচি জানান,  যেসব কারখানা বেতন-ভাতা দেয়নি, তারা মঙ্গলবার পরিশোধ করবে। যেসব কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। মিরপুরের একটি কারখানার মেশিন (যন্ত্রপাতি) বিক্রি করে আমরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়েছি।   
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৭

এবার মানিকগঞ্জে কয়েল কারখানা ও কাঠপট্টিতে আগুন
এবার মানিকগঞ্জের গোলড়া বিসিক এলাকার একটি কয়েল কারখানায় ও শিবালয় উপজেলার আরিচা কাঠপট্টিতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে। সোমবার (২৫ মার্চ) ভোর ৪টায় এ আগুন লাগে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জে ২ জায়গায় আগুন লেগেছে। এরমধ্যে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের গোলড়া বিসিক এলাকার একটি কয়েল কারখানায় আগুন লাগে। এছাড়া রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা কাঠপট্টিতে আগুন লাগে। তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৬ ইউনিট। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট রাত দুটার দিকে কয়েল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে ভোর রাত সোয়া ৪টার দিকে কাঠপট্টির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। এরআগে রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এবং আরও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর বৃষ্টি নামলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  তবে আগুনে কারখানার কয়েক কোটি টকার সম্পদ পুড়ে গেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঈদের ছুটির আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সঙ্গে ঈদের আগে কারখানাগুলো কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে আরএমজি সেক্টরসংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের ১৭তম সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিক নেতারা এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছি যে, আগামী ঈদকে সামনে রেখে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ বা কোনো অঘটন ঘটবে বলে আমরা মনে করি না। তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে গেছে। যেগুলো সমাধান হয়নি, সেগুলো সমাধানের বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা আশা করি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, সভায় উচ্চস্বরে একটা কথাও হয়নি। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলেছি। তিন পক্ষ মিলে আমরা সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছি। আশা করি এ সিদ্ধান্তগুলোর আলোকে আগামী ঈদ শুভ হবে, সুন্দর হবে। বেতন, ঈদ বোনাস কবে পরিশোধ করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, করবে। ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়নি। কোন ইন্ডাস্ট্রির মালিক কখন দিতে পারবে, কখন দিতে পারবে না, সেটা তো আমরা জানি না। আমরা বলেছি ঈদের ছুটির আগে দিতে হবে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। এটা আমাদের কড়া নির্দেশনা। পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা বেতন ও বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। শিল্প পুলিশ, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে কাজ করবে, সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমি চেষ্টা করবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি এটা গ্রহণ করবেন। আমরা শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করি, যথাসম্ভব শিগগিরই আমি এটা চালু করবো ইনশাআল্লাহ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বোর্ডের সভায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আইনমন্ত্রী এবং আমি বক্তব্য রেখেছি। তারা আমাদের দাবি গ্রহণ করেছেন। ভোটের মাধ্যমে তারা সেটা গ্রহণ করেছেন। বেশির ভাগ দেশ বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আমাদের ভোট দিয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বিশাল একটা বিজয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:১১

আরও ২ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
গাজীপুর টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ নামে আরও দুই পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।     শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩–তে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে কারখানা দুটি পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।  উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কমফিট বানানা লিফ লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর। আর কমফিট বানানা লিফ এর নম্বর ৭৩। বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস। উইন্ডি অ্যাপারেলসের কারখানা গাজীপুরে টঙ্গীতে এবং কমফিট ব্যানানা লিফের কারখানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে অবস্থিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০

ঝিনাইদহে ১২ গরুর মৃত্যুর পর অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালা
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় বুধবার আরও তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই মালিকের আরও ৫টি গরু অসুস্থ হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরু মারা গেছে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হরিণাকুন্ডুর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায়। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে চারাতলা বাজারের পাশে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ডালিম মন্ডলের জমি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন গাইবান্ধার মশিয়ার রহমান। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরানো ব্যাটারি সংগ্রহ করে সীসা তৈরি করতেন তিনি। এই কারখানা থেকে তীব্র ঝাঝালো এসিডের গন্ধে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। এ দিকে শিতলী গ্রামের আলো জোয়ারদার অভিযোগ করেন, বুধবার ওই কারখানার পাশে তার ৮টি গরু ঘাস খাচ্ছিল। বিষক্রিয়ায় তার গরুর পাল অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি আনার পর ৩টি গরু মারা যায়। বাকি ৫টি গরু তড়িঘড়ি করে স্থানীয় ইবাদত কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মকলেছুর রহমান জানান, এর আগে ভালকী গ্রামের খেলাফৎ ও পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীনসহ একাধিক কৃষকের ১০-১২টি গরু মারা গেছে। এসব গরুর দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। এ অবৈধ সীসা কারখানা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী বহুবার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন ও ঝিনাাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানালেও তারা অদৃশ্য কারণে বন্ধ করেনি। অবশেষে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরুর মৃত্যুর পর বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এ বিষয়ে কারখানার পরিচালক মশিয়ার রহমান জানান, ‘তিনি ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে এই কারখখানা চালিয়ে আসছিলেন। আমার টাকা সবার পকেটে আছে। তিনি দাবি করেন ৪০ জায়গায় তিনি মাসিক টাকা দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।’ বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান জানান, আমার লোকবল নেই। একটা অভিযান পরিচালনা করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ। কিন্তু অফিসের কোন বরাদ্দ নেই। তিনি বলেন, বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭

নকল ট্যাং প্রস্তুতকালে হাতেনাতে আটক কারখানা মালিক 
রোজা ঘিরে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নকল ভোগ্যপণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অসাধু চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমনই একটি চক্রের সন্ধান পেয়ে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় একটি কারখানায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালস নামে কারখানাটিতে কাপড়ের রং আর চিনি মিশিয়ে নকল ট্যাং তৈরি হচ্ছিল ওই সময়। শুধু ট্যাংই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর, মটরভাজা, ডিটারজেন্ট ও হারপিকসহ বিভিন্ন পণ্যের ভেজাল সংস্করণ তৈরির মহাযজ্ঞ নজরে পড়ে অভিযানিক দলের। সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় কারখানাটির মালিক আনোয়ার হোসেনকে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা আলিফনগর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল হক। অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গোপন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে আবিদ ফুড অ্যান্ড কেমিক্যালসের কথা জানতে পারি। এরপর আজ অভিযানে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ট্যাং, চানাচুর, ডিটারজেন্ট, মটর ভাজাসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করতে দেখি। আমাদের কর্মকর্তারা বাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে, এখানে উৎপাদিত কোনো পণ্যই ব্যবহার উপযোগী নয়। এখানে ভয়াবহ আরেকটি বিষয় পেয়েছি তা হলো তারা একইসঙ্গে সফট ড্রিংকস, চানাচুর তৈরির পাশাপাশি একজায়গায় ডিটারজেন্ট-হারপিকও তৈরি করছিল, যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। রেজাউল হক বলেন, রোজার মাসে রোজাদারদের অন্যতম একটি পানীয় হলো শরবত, যা বিভিন্ন রকমের ট্যাং দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের মালিকও রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বড় প্রস্তুতি নিয়ে রাতদিন ট্যাং তৈরি করছিল। এই প্রতিষ্ঠানের ট্যাং যদি কেউ রোজা রেখে খায়, তাহলে তাদের পেটের পীড়া থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ট্যাংয়ে তারা যে রংটি ব্যবহার করছে, সেই রংয়ের কোথাও ফুডগ্রেড উল্লেখ ছিল না। তারা কাপড়ের রং ব্যবহার করছিল বলে আমাদের ধারণা। বিএসটিআই উপপরিচালক আরও বলেন, আমরা সোমবারই আমাদের একটি টিমকে গোপনে পাঠিয়েছি, তারা এসে প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করে যায়। তারা অনেক আগে দুই-তিনটি পণ্য তৈরির অনুমোদন নিয়েছিল, যার মেয়াদও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। 
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৭

কবুতর পালার আড়ালে ছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা
নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি আবাসিক ভবনে কবুতর পালার আড়ালে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি কারখানা দেওয়ার অভিযোগে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আটক করা হয় তাকে। আটক ব্যক্তির নাম করিম মিয়া। তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাসিন্দা।  নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া শাহ সুজা রোড এলাকায় বোনের ভাড়া করা বাসায় থাকতেন। গোয়েন্দা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে দুটি পিস্তল ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ধরেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, করিমের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান (এক নলা বন্দুক), একটি কার্তুজ, শটগানের গুলি, দেশি রিভলবার ও পাইপগান তৈরির সরঞ্জাম, ড্রিল মেশিন ও কাটার জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করিম মিয়া পিস্তল ও রিভলবার তৈরি করে বিক্রি করতেন। প্রায় এক মাস আগে থেকে আমরা তাকে নজরে রাখছিলাম। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত, ক্রেতা কারা, তাও খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। তার আরেকজন সহযোগী আছে বলেও জেনেছি৷ তাকেও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনব৷ এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন৷
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

ভালুকায় তুলার গোডাউনে আগুন
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় একটি সুতার কারখানার তুলার গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।   শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিডস্টোর উত্তর বাজার এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ব্রাইভেন্ট নিটিং লিমিটেডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকেলে ব্রাইভেন্ট নিটিং লিমিটেডে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে সুতার গোডাউন থেকে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ভালুকার দুটিসহ ময়মনসিংহ, শ্রীপুর, গফরগাঁও ও ত্রিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু পানির অভাবে প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এতে আগুনে গোডাউনে থাকা বেশির ভাগ সুতা পুড়ে গেছে। পরে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ ্কর্মকর্তা।    এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ সরকার জানান, চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়