• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে যা বললেন সেলিমা রহমান 
‘বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয় না। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর লালবাগে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনরা বলেছে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এখন কাদের সাহেবের কথায়ই প্রমাণ হয়েছে এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, ভারতের দয়ায় জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, বিদেশে বিএনপির কোনো প্রভু নেই। দেশের জনগণই আমাদের শক্তি। কিন্তু বর্তমান সরকারের মূলশক্তি জনগণ নয়, প্রভু রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।  বিএনপির এই নেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা নিজ স্বার্থে সবকিছু বিকিয়ে দিচ্ছে। দমন-পীড়ন করে মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। এ থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাসেল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য লতিফ উল্লাহ জাফরু, বংশাল থানা বিএনপি নেতা ইয়াকুব সরকারসহ অনেকেই।
২২ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৩

রমজানে বিএনপিকে সংযম করার পরামর্শ কাদেরের
রমজানে বিএনপিকে সংযম রেখে কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  রমজানে বিএনপি সরকারবিরোধী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেছেন, এতে করে তাদের জনসম্পৃক্ততা অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। রোজার মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই আন্দোলন করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে তারা। একইসঙ্গে রমজান ঘিরে নিজেদের কর্মসূচী প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গতবারের মতো এবারও রমজানে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনও ইফতার পার্টি করা হবে না। এর পরিবর্তে সারাদেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গরিব ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের একটা বিষয় আছে। সরকার অত্যন্ত সতর্ক ও সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে, যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে সংকটের প্রেক্ষাপটেও এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। যা বিএনপির সময় হয়নি। তারা শুধু দাম বাড়াতে পারে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে তেলের কমানো নিয়ে যারা সরকারের প্রশংসা করে না, তারা বিরোধিতার নামে বিরোধিতা করে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি। কিন্তু তাদের কথায় রাজনীতি করি না। রাজনৈতিকভাবে চরমভাবে পরাজিত, বিপর্যস্ত বিএনপির পায়ের তলার মাটি ক্রমেই সরে যাচ্ছে। দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করা- এই অসম্মানজনক কর্মকাণ্ড তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তারেক জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়া যে দুর্নাম অর্জন করেছে, তার জন্য সে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বিএনপি তাকে যতই নেতা বানানোর চেষ্টা করুক দেশের জনগণ তাকে নেতা হিসেবে মেনে নেবে না। যতদিন তারেক জিয়া থাকবে ততদিন বিএনপি স্বাভাবিক কারণে জনবিচ্ছিন্ন ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে। বিএনপির মিথ্যাচার এখন দলটির নেতাকর্মীরাও বিশ্বাস করে না। বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে তিনি বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তি এখানে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না। যারা অপরাধী, সন্ত্রাস করে এবং আগুন সন্ত্রাসে জড়িত জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের ছাড় দেওয়া কোনও দেশপ্রেমিক সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে থাকা নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছেন। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৪

পিটার হাসের সঙ্গে জি এম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।  বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে তারা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। এ সময় জি এম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।  মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান কাদেরের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার জেল থেকে বের হয়ে নেতাকর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন। ফখরুলের এমন মন্তব্যের পর বিএনপিকে আন্দোলনের কথা না ভেবে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথসভা শেষে এই আহ্বান জানান তিনি।    ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আন্দোলনের দিবাস্বপ্ন দেখছে।  তিনি বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়া যায় না, এটা বিএনপির টের পাওয়া উচিত। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের বিষয়ে কাদের বলেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো দেশের জন্য সম্মানের এবং গর্বের। অতীতে কখনও এটা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিন ষড়যন্ত্র ও বাধার মুখে নির্বাচন করেছেন জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে যারা মনোনয়ন পাননি তাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১১

জিএম কাদেরের উপস্থিতিতে পদত্যাগ করা নিয়ে যা বললেন রসিক মেয়র
রংপুরে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় জিএম কাদেরের সামনে দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, মহানগর জাপার সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রংপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সামনে তিনি বলেন, তিনি আর জাতীয় পার্টি করবেন না। দল থেকে পদত্যাগ করবেন। তার এমন বক্তব্যে সভাস্থলে তুমুল হইচই শুরু হয়। যদিও মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সভাস্থলে বসে ছিলেন। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে কোনও নেতাই রাজি হননি। অনেকেই বলেছেন, এটা ঠিক হয়ে গেছে। জানা গেছে, আজ বিকালে রংপুরে দলীয় জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগর জাপার যৌথ কর্মীসভা শুরু হলে সিটি মেয়র মোস্তফা আকস্মিকভাবে মাইক হাতে নিয়ে বলে ওঠেন, জেলা জাপার সভাপতি ছিলেন আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু তিনি মারা যাওয়ার পর আমাকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে জেলা জাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মহানগর জাপার সভাপতির দায়িত্বে আছি ওই দায়িত্বে থাকবো। জেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবো না। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে তার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলে জাপার নেতাকর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে সব সাংবাদিকদের সভাস্থল থেকে বাইরে যেতে অনেকটা বাধ্য করা হয়। এরপর ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে তা জানাতে জাপার কোনও নেতাই রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন জাপা নেতা বলেন, একটি জেলার কমিটি গঠন নিয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে জি এম কাদেরের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে সিটি মেয়র মোস্তফার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০০

জামানত হারালেন জি এম কাদেরের স্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। আসনটিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী। ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়েছেন খসরু চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। আর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।   উল্লেখ্য, জোটগত সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকা-১৮ আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এ কারণে আসনটিতে নৌকা প্রতীকে কোনো প্রার্থী ছিল না দলটির। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদেরের জয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে আসনটির মোট ১৭৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিএম কাদের লাঙ্গল প্রতীকে ৮১ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট। রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৩

একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালুর শঙ্কা জি এম কাদেরের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি না। সবসময়ই আমাদের আশঙ্কা ছিল যে, নির্বাচনে এনে আমাদের কোরবানি দেওয়া হয় কি না।  রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরে নিজ সংসদীয় আসনের শিশু মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমাদের কোরবানি দিলে যা হবে, তা হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন বা একটা নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেশে কায়েম হয়ে যাবে। আমরা এই আশঙ্কায় রয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না দেখে আমি আর কিছু বলতে পারব না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু খবর পেয়েছি এবং যতটুকু দেখলাম, খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের স্বাভাবিক উপস্থিতি রয়েছে। সামনের দিকে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।   তিনি আরও বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকে পাওয়া বিভিন্ন খবর স্বস্তিদায়ক নয়। কিছুক্ষণ আগে আমি মোবাইল ফোনে জানতে পারলাম যে কুমিল্লাতে আমাদের একজন প্রার্থীর সব পোলিং এজেন্টকে জোর করে আওয়ামী লীগের লোকজন বের করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাকেও বের করে দিচ্ছেন। এখন তিনি কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না।   জি এম কাদের বলেন, আমরা শনিবার রাতে খবর পেয়েছি ঢাকা-১ (দোহার নবাবগঞ্জ) এলাকায় প্রায় সব ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের কর্মী দিয়ে ভোট ডাকাতি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এজেন্টদের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ঘটেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।  তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওখানকার মানুষের মাঝে অস্বস্তি রয়েছে যে, সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে কি না। কিংবা ভোট দেওয়ার পর কী হবে, সেটি নিয়ে মানুষ খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না। এ রকম খবর কয়েক জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক জায়গা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হওয়ার খবরই পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখন তো আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখন তো আর বর্জন করার কোনো স্কোপ নেই। নির্বাচনের ফলাফল দেখে পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। কারণ, একটি জিনিস শুরু হয়ে গেলে হঠাৎ করে থামিয়ে দিতে খুব অসুবিধা।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫

ভোটের দিনে হামলার আশঙ্কা কাদেরের
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মর্যাদা বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। দেশের মর্যাদা বাড়াবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা অবিচল, অটল। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্র রক্ষা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে। তিনি বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জনগণ যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য বিএনপি ও তার দোসররা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। ৭ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে তা থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই—সন্ত্রাস, আগুন-যা কিছুই তারা করুক না কেন। বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আমরা অবাক হচ্ছি ৪ তারিখও তারা লিফলেট বিতরণ করছে। খুবই রহস্যময় কিছু প্রোগ্রাম তাদের। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নীরবতা দেখানো হলেও তারা সশস্ত্র হয়ে উঠবে—এমন খবর আমরা পাচ্ছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এবারও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে দেশজুড়ে। সরকারি অফিস ভাঙচুর করেছে, রাস্তা কেটে ফেলেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ব্যর্থতার হতাশায় আরও অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ, তারা জানে আন্দোলনে তারা সফল হয়নি।নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। সবকিছুই সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত। আমি এক কথায় বলব, সন্তোষজনক।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়