• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
নজরুলের বিখ্যাত গজল ‘হে নামাজী’ নিয়ে এলেন পাভেল আরিন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গজল ‘হে নামাজী’ প্রকাশ করল ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশান’। পাভেল আরিনের সঙ্গীত পরিচালনায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ নিরব। ‘হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ,দিলাম তোমার চরণ তলে হৃদয় জায়নামাজ’-এমন কথার গানটি কিংবদন্তি শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের হাতে নিজেই তুলে দিয়েছিলেন নজরুল। আব্বাস উদ্দিনের সুরে ও কণ্ঠেই প্রথম জনপ্রিয় হয় গানটি। এবার পবিত্র রমজান মাসে নতুন সঙ্গীতায়োজনে সকলের সামনে গানটি হাজির করলেন পাভেল। সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে উঠলেও সকলের চেনা শিল্পী জাহিদ নিরবের আতুড়ঘর ব্যান্ড চিরকুট। আরও গভীরে গেলে পাভেল আরিনের সাথেই শুরু তার ইন্ডাস্ট্রির পথ চলা। সে জানা-শোনা থেকেই প্রার্থনামূলক গজলটিতে আব্বাস উদ্দিন আহমেদের উত্তরাধীকারি হিসেবে নতুন প্রজন্মের নিরবের কণ্ঠটিকেই যোগ্য বলে মনে করেছেন পাভেল। আট বছর আগের একদিনের গল্পটা এমন-নিরব যখন আমার কাছে আসলো তখন অ্যাসিস্টেন্ট মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করে। কিন্তু সপ্তাহখানেক যাওয়ার পর আমার মনে হল ও আসলে তৈরি। তারপর আমরা দুজনই মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবেই কাজ করেছি দীর্ঘদিন। সে সূত্রেই আমাদের ব্যান্ড চিরকুটেও তার যাত্রা শুরু হয়। এখন সে আমার প্রতিষ্ঠান বাটার কমিউনিকেশনের প্রডিউসার হিসেবে দেশের বিজ্ঞাপনের বাজারে জনপ্রিয় একটি নাম। জাতীয় কবির একটি গান যখন আমরা করব বলে ভাবলাম, তখন মনে হয়ছে নিরবই গানটি যথাযথভাবে তুলতে পারবে। গ্রামাটিকেলি এবং ক্লাসিকেলি নিরবই গানটি সঠিকভাবে আমার জন্য তুলে আনতে পারবে। সে তা পেরেছে। শ্রোতারাও পছন্দ করবেন বলে আশা করছি। -বলছিলেন সঙ্গীত পরিচালক পাভেল আরিন। মূলত স্রষ্টার কাছে নতি স্বীকার ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জায়গা থেকেই লিভিং রুম সেশানে যুক্ত হয়েছে গানটি। এ প্রসঙ্গে জাহিদ নিরব বলেন, গানটি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই জনপ্রিয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি গান। ছোটবেলা থেকেই এ গানটি আমার পছন্দের। এবার পাভেল ভাই যেভাবে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে আশা করছি শ্রোতারা নতুন কিছু পাবে। গানটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় টাইম জোন লিভিং রুম সেশানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৪

সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৩১ ছাত্রীর কুপ্রস্তাবের অভিযোগ
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ আনেন এক ছাত্রী। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন আরও ৩০ ছাত্রী। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের অন্তরঙ্গ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।  স্ক্রিনশটগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। এতে অঙ্ক বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও চাওয়া, অশ্লীল ভিডিও লিংক শেয়ার করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকেই সাজন সাহা স্যার আমাকে নানান ধরনের মেসেজ দিতেন। রাত বিরাতে চা পানের আমন্ত্রণ, বাসায় কেউ না থাকলে আসতে বলা, একাকি অফিসে ডাকা এবং পাশাপাশি অশ্লীল ছবি ও ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে বিরক্ত করতেন। তার কোর্সে ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অফারও দিয়েছেন বহুবার। তার কথায় রাজি না হলে আমার ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট আটকে রাখাসহ নানাভাবে হয়রানি করেন শিক্ষক সাজন সাহা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাজন সাহা স্যারের চা পানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার সব বিপদ নেমে আসে। ক্লাসে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা গুনতে হয়েছে আমাকে। পরীক্ষার নম্বর কমে গেছে, থিসিস পেপার নিয়ে বারবার হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া এমন আর অনেক ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাকে। সবশেষ উপায় না পেয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি।’ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ২০১৮-১৯ ব্যাচে ভর্তি হই। এরপর ২০১৯ সাল থেকে শিক্ষক সাজন সাহা আমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছেন। এখন অপারগ হয়ে আমি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছি। আমার দাবি একটাই, ওই শিক্ষকের বহিষ্কার।’ ওই ছাত্রী মুখ খোলার পর আরও অন্তত ৩০ জন ছাত্রী একই অভিযোগ করেছে। তারা জানান, ফেসবুকে তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলেন সাজন সাহা। শিক্ষক বলে তার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন তারা। এরপরেই তাদেরকে জ্বালানো শুরু করেন সাজন সাহা। তাদেরকে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলেন ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের জ্বালায় অতিষ্ঠ তারা। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র সাজন সাহাকে পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাকে জানালে তিনি বিষয়টি সমাধানে নানা শর্ত জুড়ে দিতেন।  এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকরিচ্যুতি, অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনতিবিলম্বে পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ভবিষ্যতে এ ঘটনার কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ার নিশ্চয়তার দফা দাবিসহ একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্যের কাছে জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্য শিক্ষকের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় তো আমরা নেবো না। এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওই শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেবে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে শিক্ষার্থীরা এসেছিল। এটি খুবই বিব্রতকর, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭

দেশে ফিরেই পরীর সঙ্গে ফাইনাল কথা বলবেন মারুফ
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন জনপ্রিয় নায়ক কাজী মারুফ। সেখান থেকেই ‘রাজা গোলাম’ সিনেমার শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এই সিনেমার জন্য নায়িকা হিসেবে অভিনেতার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন পরীমণি। ইতোমধ্যে ‘রাজা গোলাম’ সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়ে পরীমণির সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ করেছেন সিনেমাটির নির্মাতা। এবার জানা গেল, দেশেই ফিরেই নায়িকার সঙ্গে চূড়ান্ত আলাপ করবেন মারুফ। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে মারুফ বলেন, ‘রাজা গোলাম’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। সিনেমার গল্প পরীমণিকে শোনানো হয়েছে। তবে ফাইনাল কোনো কথা হয়নি। আমি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরে পরীর সঙ্গে চূড়ান্ত আলাপ করব।   তবে এর আগে ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমাটি মুক্তি দেবেন বলে জানান মারুফ। এরপরই একটানা শুটিং হবে ‘রাজা গোলাম’ সিনেমার। জানা গেছে, ‘গ্রিন কার্ড’র মুক্তিকে সামনে রেখে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সিনেমার গান মুক্তি দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন মারুফ। ফিল্ম ফ্যাক্টরির ব্যানারে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। আর এই সিনেমার মাধ্যমে নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন মারুফ। শুধু তাই নয়, পারিচালনার পাশাপাশি সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি।    ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমায় মারুফের বিপরীতে দেখা যাবে আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি মডেল, ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার নুসরাত তিসাম ও নাজিদা সৈয়দকে। এ ছাড়া সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন— নওশীন, হিল্লোল, শিরিন বকুল, শিশুশিল্পী কাজী আরিশা, আকাশ রহমান, রাফি আহমেদ প্রমুখ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৩

সুখবর দিলেন কাজী মারুফ
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন এই তারকা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে মারুফের বেশ কিছু সিনেমা। এবার ভক্তদের জন্য সুখবর দিলেন এই অভিনেতা।    বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন মারুফ। সেখানেই ‘গ্রিন কার্ড’ নামের একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। ফিল্ম ফ্যাক্টরির ব্যানারে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় নির্মিত হয়েছে এটি। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন মারুফ।     বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে দেশের এক গণমাধ্যমে সিনেমার নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন মারুফ।  মারুফ বলেন, ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এটি প্রথম বাংলা সিনেমা, যার পুরোপুরি দৃশ্যধারণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালিদের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। বর্তমানে এটি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।   কবে নাগাদ ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমাটি মুক্তি দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মারুফ বলেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরব। দেশে ফিরেই সিনেমাটি মুক্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব। ‘গ্রিন কার্ড’র চিত্রনাট্য রচনা এবং পারিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন মারুফ। সিনেমাটি নির্মাণে অভিনেতার সঙ্গে পরিচালনায় আরও ছিলেন রওশান আরা নিপা। অনলাইনে পরামর্শ দিয়েছেন মারুফের বাবা নির্মাতা কাজী হায়াৎ। সিনেমায় মারুফের বিপরীতে অভিনয় করেছেন আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি মডেল, ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার নুসরাত তিসাম ও নাজিদা সৈয়দ।   এ ছাড়া সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন— নওশীন, হিল্লোল, শিরিন বকুল, শিশুশিল্পী কাজী আরিশা, আকাশ রহমান, রাফি আহমেদ প্রমুখ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫

কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় ক্রীড়ামন্ত্রী পাপন, যেসব কথা হলো তাদের
গত বছর নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে বাহাস হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও  বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থার প্রধানের মধ্যকার এই কথার লড়াই শুরু করেছিলেন বাফুফে সভাপতি, আর তাকে জবাব দেন বিসিবি বস। সে সময়ে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠেছিল তাদের কথার লড়াই। তাদের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১০ মাস। এদিকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার সভাপতির পাশাপাশি পাপন এখন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। তবে আগের পদেই আছেন সালাউদ্দিন। সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি হয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের। এরপর থেকে বাসাতেই থাকছেন তিনি।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সালাউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার বারিধারার বাসায় যান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল। এ সময়ে পাপনের সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।  বৈঠক শেষে পাপনের দাবি,‌ এতদিনের সম্পর্ক একদিনে নষ্ট হয় না। প্রায় ২০ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে নাজমুল হাসানের ভাষ্য, ওনার যখন সার্জারিটা হয়, তখন তো নির্বাচনে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) শেষ মুহূর্ত। আমি তখন এলাকায় ছিলাম। তখন থেকেই ওনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। ঢাকায় এসেই ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে দেখতে যেতে চাই, কী অবস্থা আমাকে জানাতে বলি। ওনারা বলেন, জানাবেন। আমি আবার বাইরে চলে গেলাম এসিসির এজিএমের জন্য। আসার পর বললেন যেকোনো সময় আসতে পারেন। পরশু দিন বলল, আমি আজ চলে এলাম দেখতে। নাজমুল যোগ করেন, দেখে মনে হলো আল্লাহর রহমতে উনি খুব ভালো আছেন এখন। অনেক সুস্থ। হাঁটাচলা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, সেটা দেখে ভালো লেগেছে। সার্জারির পর পুনর্বাসন দরকার আছে। আরও কিছুদিন সেটা করতে হবে। সৌজন্য সাক্ষাতে ফুটবল নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রীর মন্তব্য, ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমি আগেই বসেছি। তখনই ওনাদের মূল ইস্যুগুলো শুনেছি। আজকে উনি (কাজী সালাউদ্দিন) কয়েকটি সমস্যার কথা বলেছেন। আমি বলেছি, ঠিক আছে আপনি একেবারে সুস্থ হয়ে আসেন। এর মধ্যে কিছু কাগজপত্র পাঠাতে বলেছি, আমি দেখব। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, একই জিনিস। একটা হচ্ছে, খেলার মাঠ নেই। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম লম্বা সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে, ওনাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। এটা বড় সমস্যা। পরশু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখতে যাচ্ছি আমি। কীভাবে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, আপ্রাণ চেষ্টা করব। খেলার কোনো জায়গা বের করতে পারি কি না, দেখব। দুজনের বৈরিত প্রশ্নে নাজমুলের জবাব, এতো বছরের সম্পর্ক একদিনের কথায় তো আর শেষ হয়ে যায় না। ছোটবেলা থেকে মাঠে যেতামই ওনার খেলা দেখতে। এটা তো অস্বীকার করার পথ নেই। ওনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার বাংলাদেশে আর নেই। অনেক সময় অনেক কথায় উনি আহত হতে পারেন, আমিও পারি। সেটা ওখানেই শেষ। এর আগে, গত বছরের মার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে ফোন করেছিল। দল পাঠাতে আর্থিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাইনি, এ কথাও আমাকে বলা হয়েছে। সে সময়ে নাজমুলকে খোঁচা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফুটবলেরও প্রিয়। সবার ব্যক্তিত্ব তো এক নয়। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। স্বাধীনতা থেকে আজ পর্যন্ত। আমি ওই নাটক করতে পারব না। লোক দেখাতে পারব না। দুঃখিত, এটাই আমার চরিত্র। সালাউদ্দিনের কথার জবাবে বিসিবিপ্রধান বলেছিলেন, যে যত কথাই বলুক, এসব নিয়ে আমি মন খারাপ করি না। তবে আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লাগছে মেয়েরা (অলিম্পিক বাছাই) যেতে পারল না! তা–ও মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য! এর চেয়ে দুঃখ, কষ্ট… মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী কষ্টটাই না পেয়েছেন! নাজমুল তখন এ-ও বলেছিলেন, আমি জানি না, এটা নিয়ে কেন বলেছে। আমার মনে হয় সমস্যাটা আপনাদের (গণমাধ্যম), আপনারা (সাংবাদিক) এতো বাজে প্রশ্ন করলেন কেন। আপনারা হিসাব চাচ্ছেন, টাকা কী করেছেন। এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে যান কেন। এটা করলে তো উনার মাথা খারাপ হবে, এটা সবাই জানেন। এমন প্রশ্ন করেন কেন। করলে মাথা ঠিক থাকবে?
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ২ সাংবাদিক আহত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে ছবি তুলতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যায়যায়দিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. হাবীব এবং আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মো. ফাহাদ বিন সাইদ। এ সময় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।     আহত সাংবাদিকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষের সিট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে ছবি তুলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবের অনুসারী যাযাবর নাইমের নেতৃত্বে এই অতর্কিত হামলা চালানো হয়।  পরে আহত সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন হয়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।   এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর আহত সাংবাদিকদেরকে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। এ সময় তিনি বলেন, যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯

জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পেয়ে যা বললেন কাজী ফিরোজ রশিদ
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদকে হঠাৎ করেই দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মোটেই আশ্চর্য হননি তিনি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে দলটির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কাজী ফিরোজ রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মোটেও আশ্চর্য হইনি। আপনাদের থেকে আমি বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি ঠিক আছে। তিনি (জি এম কাদের) ভালো করেছেন। তবে এ মুহূর্তে আমি কিছুই বলব না। অনুসন্ধান করলে সব বের হবে। জাপার দুই নেতাকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলটির যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে। এসব কারণে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) পরাজিত প্রার্থীরা বুধবার দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৪

‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের এ আর রহমান ভার্সন সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ রিমেক করেছিলেন এ আর রহমান। মূলত বলিউডের ‘পিপ্পা’ সিনেমার জন্যই গানটি নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরই গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে— এমন অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী কবির নাতি অনির্বাণ কাজী।   এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রহমানের কম্পোজ করা ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের ভার্সনটি সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।   মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রলসহ এ আদেশ দেন। গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ রিট দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী হলেন— ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, শহিদুল ইসলাম, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান। পাশাপাশি রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে ১৯ নভেম্বর অবিলম্বে বাংলাদেশে ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের এ আর রহমান ভার্সন ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ওটিটি প্ল্যার্টফর্ম, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য নেটমাধ্যম থেকে অপসারণ বা ব্লক করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।  আর এতে সাড়া না পেয়ে রিট করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘পিপ্পা’। এতে কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের রিমেক ব্যবহার হয়েছে। রিমেকটি তৈরি করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রহমান। নতুন সুরের গানটিকে মেনে নিতে পারছেন না পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের নজরুলের ভক্তরা।  গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ এনে অনির্বাণ বলেন, রহমানকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই জানতে চাই, তাকে কে অধিকার দিল গানটি বিকৃত করার? স্বত্ব দেওয়ার সময় তো সুর বদলের কথা বলা হয়নি। কী রকম একটা করে দিয়েছে গানটাকে! একটা গ্রামীণ সংগীতের মতো, ভাটিয়ালির মতো করে দিয়েছে। অনেক সস্তা করে দিয়েছে’।  গানের ক্রেডিট থেকে তার পরিবারের নাম মুছে ফেলা হোক। প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ২০ জুন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি লিখেছিলেন কবি কাজী নজরুল। পরে ১৯৪৯ সালের জুন মাসে রেকর্ড করা হয় গানটি। গিরিন চক্রবর্তীর গলায় প্রথম ভেসে ওঠে বিদ্রোহের এই গান।   
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়