• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে বিচারকাজ অনলাইনে করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও বাড়িয়েছে। এ কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ অনলাইনে সম্পন্ন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক এ চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজমান, যাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের অনেকের পক্ষে শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়োজ্যেষ্ঠতার কারণে তীব্র গরমে শারীরিকভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে আইনজীবীরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। একইভাবে বিচার প্রার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে হলেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে আইনজীবীরা এবং বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হবেন। চিঠিতে বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ আইনজীবীদের সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করলে আইনজীবীরা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
২৩ ঘণ্টা আগে

রাজস্থানের কাছে ৯ উইকেটে মুম্বাইয়ের হার
ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই তুলেছিল ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। ১৮০ রানের টার্গেটে ৮ বল হাতে রেখে রাজস্থান জিতেছে ৯ উইকেটে। সেঞ্চুরি করেন রাজস্থানের ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। খেলেন  ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ৬০ বলে ১০৪ রান তুলেন এই বাঁহাতি। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৭ ছক্কার মার। ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হন  জস বাটলার। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ১০৯ রানের অবিচ্ছিন্ন ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েন জয়সোয়াল ও সঞ্জু স্যামসন। ২৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন স্যামসন। সাজান ২ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংস। জয়পুরে মানসিংহ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল মুম্বাই। চার ওভারের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় মুম্বাই। এরপর চতুর্থ উইকেটে মুম্বাইয়ের ইনিংস মেরামত করেন নবী ও তিলক ভার্মা। এই জুটি করেন ২৬ বলে ৩২ রান। ১৭ বলে ২৩ রানে আউট হন নবী। নেহাল ওয়াধেরা ও তিলকের জুটিতে পঞ্চম উইকেটে ৫২ বলে ৯৯ রানের শক্তিশালী সংগ্রহের ভিত পায় মুম্বাই। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৫ বলে ৬৫ রান করেন তিলক। ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে নেহাল করেন ৪৯ রান। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯৫ রান তুলে ফেলে রাজস্থান। জয়ের মুখ দেখতে শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ৮৫। সমীকরণটি শেষ ৫ ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্যে ঠিক করেন জয়সোয়াল-স্যামসন জুটি। এরপর আর জয়ের মুখ দেখতে অসুবিধা হয়নি রাজস্থানের। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সংহত করে রাজস্থান। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ ম্যাচে ৩ জয় ও ৫ হারে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম মুম্বাই। রাজস্থানের লেগ স্পিনার চাহাল ২০১৩ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। ১৫৩ ম্যাচে (১৫২ ইনিংস) ২১.৬০ গড়ে নিয়েছেন ২০০ উইকেট। ১৬১ ম্যাচে (১৫৮ ইনিংস) ২৩.৮২ গড়ে ১৮৩ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। ১৮৬ ম্যাচে (১৮৫ ইনিংস) ২৭.১৬ গড়ে ১৮২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় হলেন মুম্বাইয়ের লেগ স্পিনার পীযূষ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস : ২০ ওভারে ১৭৯/৯ ( তিলক ৬৫, নেহাল ৪৯, নবী ২৩, সূর্যকুমার ১০, পান্ডিয়া ১০; সন্দ্বীপ ৫/১৮, বোল্ট ২/৩২, চাহাল ১/৪৮, আবেশ ১/৪৯) রাজস্থান রয়্যালস: ১৮.৪ ওভারে ১৮৩/১ (জয়সোয়াল ১০৪*, বাটলার ৩৫, স্যামসন ৩৮*; পীযূষ ১/৩৩, বুমরা ০/৩৭, নবী ০/৩০) ফল: রাজস্থান ৯ উইকেটে জয়ী।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩২

বার্সাকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনাকে কাঁদিয়ে শিরোপার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।  রোববার (২১ এপ্রিল) স্পেনের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ভিনিসিয়াস-বেলিংহামরা।  ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে রাফিনিয়ার ক্রস থেকে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের দারুণ হেডে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে আনচেলত্তির বাহিনীকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র।  দারুণ আক্রমণে বক্সে ঢুকে পড়েন ভাসকেস। তাকে ফাউল করে বসেন কুবারসি। এতে বার্সার বিপদ ডেকে এনে রিয়ালকে পেনাল্টি উপহার দেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে ফেরমিন লোপেসের নৈপুণ্যে আবারও এগিয়ে যায় সফরকারী।  তবে চার মিনিটের ব্যবধানে রিয়ালকে সমতায় আনেন ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা লুকাস ভাসকেস। এতে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে সমতায় ফেরে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়েও রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য ছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো দলই। ম্যাচের ৯১তম মিনিটে বার্সা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে জুড বেলিংহ্যামের দুর্দান্ত এক গোলে জয় নিশ্চিত করে আনচেলত্তির দল। অনেকটা চলতি মৌসুমের প্রথম লেগের এল ক্লাসিকোর পুনরাবৃত্তি করেন ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। রুদ্ধশ্বাস এল ক্লাসিকোয় জয়ের পর ৩২ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট ৮১। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ২১ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬

শিল্পী সমিতির নির্বাচন / মিশা-ডিপজলের কাছে কত ভোটে হারলেন কলি-নিপুণ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনে  নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন  চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।  এছাড়া সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহসাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ কমল (২৩১)। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়।  ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়ে ৪৭৫টি। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৬ মেয়াদে সমিতির ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ঠাঁই পেতে এবারের নির্বাচনে ৬জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৫

প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে  প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-  ​১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে​ মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত  তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।  ২. দেবেন সম্মান​ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন। ​​৩. নিজের থেকেও আপন​ মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ​৪. সততার নেই বিকল্প​ প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।  ​৫. সবসময় রাখবেন ভালো​ আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন। ৬. মনোযোগ মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।  ৭. সারপ্রাইজ মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

নিখোঁজের ২০ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরলেন সন্তান 
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ২০ বছর পরে নিখোঁজ হওয়া সন্তানের দেখা পেয়েছেন এক পরিবার। এদিকে নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা। বলছিলাম উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র নিখোঁজ হওয়া শ্যাম্ভুর কথা।  নিখোঁজের ২০ বছর পরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে, ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৬ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি। বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই। এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।   তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

আটালান্টার কাছে বিধ্বস্ত লিভারপুল
হঠাৎই ছন্নছাড়া লিভারপুল। ইংলিশ লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্রয়ের পর এবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার কাছে মানতে হলো বড় পরাজয়। পরাজয়টা আবার এসেছে লিভারপুলের ঘরের মাঠেই। দলটাকে যেন চিনতে পারছেন না স্বয়ং কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। যদিও প্রথম থেকে লিভারপুলই বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু ভাগ্য অনুকূলে না থাকায় গোল পায়নি দলটি। উল্টো ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোল পায় আটালান্টা। কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন জিয়ানলুকা স্কামাকা।  গোল হজম করে যেন খেই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। সে সুযোগে ম্যাচের ৬০তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় স্কামাকা। আটালান্টা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।  এরপর ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে মারিও পাসালিচ গোল করলে ৩-০ গোলের বড় জয় পায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। এ জয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল আটালান্টা।    ইউরোপা লিগের আরেক ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানেরও নিজ মাঠে পরাজয় মানতে হয়েছে। নিজ দেশের এ এস রোমার বিপক্ষে তাদের পরাজয় ১-০ গোলের। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন জিয়ানলুকা মানচিনি।  ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার এ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে একই দিনে আরও দুটি ম্যাচ হয়। যেখানে ফ্রান্সের মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকা। আরেক ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে জার্মান ক্লাব লেভারকুসেনের জয় ২-০ গোলের।  ইউরোপা কাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ১৯ এপ্রিল ফিরতি লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দলগুলো।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

গাজার শিশুদের কাছে এবারের ঈদ এসেছে ভিন্নভাবে
রমজান মাসের শেষে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালনের জন্য যখন মুসলিমরা প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গাজার শিশুরা বলছে তাদের কাছ থেকে ঈদের আনন্দ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে যত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের মধ্যে এক শতাংশ শিশু অনাথ হয়েছে অথবা তাদের দেখাশোনা করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নেই। এমন কোন ক্যাম্প নেই যেখানকার শিশুরা একজন বা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। যেমন লায়ান ও তার ১৮ মাস বয়সী বোন সিয়ার। তাদের পরিবারে একমাত্র তারাই এখন বেঁচে রয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা গাজায় অক্টোবরের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে শহরের আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলো। সে সময় তারা নিহত হয়। লায়ান সেই রাতে তার পরিবারের ৩৫ সদস্যকে হারায়। তাদের মধ্যে বাবা–মা ও নিজের পাঁচ ভাই বোন ও ছিলো। লায়ান বলেন, “ আমাদের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছানোর মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে দুইটা ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের উপর আঘাত করে। আমি জেগে উঠে দেখলাম, আমার পরিবারের সব সদস্যরা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে”। গাজা শহরের জনাকীর্ণ হাসপাতালে এই হামলায় শত শত লোক নিহত হয়। এ হামলার জন্য ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এবং ইসরায়েল একে অপরকে দায়ী করেছে। লায়ান আরও বলেন, সে তার আন্টি এবং বড় কাজিন আলীর সঙ্গে স্বচ্ছন্দে আছে, যাদের সঙ্গে সে ও তার বোন দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। যুদ্ধে সবকিছু নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আগে, লায়ান ঈদের আগে বাবা-মার সাথে নতুন জামা কিনতে যেতো। তারা ঈদে বিস্কুট বানাতো যা স্থানীয়ভাবে এটি ‘মামোল’ নামে পরিচিত। তারা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করতো। কিন্তু এই বছর আর কোন পারিবারিক জমায়েত হবে না। “এই ঈদে কেউ আমাদের দেখতে আসবে না। যুদ্ধের কারণে কয়েক হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে। অর্থ স্বল্পতায় থাকলেও ২৪ বছর বয়সী আলী এই মুহূর্তে লায়ান ও তার বোনের দেখাশোনা করছে। সে নিজের সামর্থ্যের মধ্যে তাদের ও অন্যান্য কাজিনদের পোশাক ও খেলনা কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুদ্ধের আগে গাজা শহরের নিকটবর্তী জৈতুনে লায়ানের কাজিনরা তাদের পরিবারের অন্যান্য ৪৩ সদস্যের সঙ্গে একটি ভবনে থাকতেন। এখন যারা বেঁচে আছেন তারা দক্ষিণ গাজার একটি তাঁবুতে থাকেন।  লায়ানের মতো তার আরেক কাজিন ১৪ বছর বয়সী মাহমুদও যুদ্ধে অনাথ হয়েছে। মাহমুদ তার বাবা-মা ও বেশিরভাগ ভাই-বোনকেই আল আহলি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একই ঘটনায় হারিয়েছে। যখন ওই হামলা হয় তখন সে বাইরে তার পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়েছিলো। মাহমুদ বলেন, যখন আমি ফিরে এসেছিলাম, আমি সবাইকে মৃত দেখতে পেলাম। যা দেখলাম তাতে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। যুদ্ধের আগে, মাহমুদ বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতো এবং মিশরে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এখন তার একমাত্র স্বপ্ন উত্তর গাজা ভূখণ্ডে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং বাবা-মার স্মৃতিচারণ করা। এই ঈদে কোন আনন্দ নেই। আমরা আগে ঈদের সময় রাস্তায় বাতি জ্বালাতাম কিন্তু এখন আমরা সাজসজ্জা হিসেবে শুধুমাত্র তাঁবুতে একটা দড়ি ঝুলাতে পারি। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি শিশু বাস করে যাদের একজন বা বাবা-মা উভয়ই নেই। সঠিক পরিসংখ্যান বের করা কঠিন, কিন্তু ইউনিসেফ ধারণা করেছে যে, গাজা ভূখণ্ডে অন্তত ১৭ হাজার শিশু সঙ্গীহীন অবস্থায় রয়েছে অথবা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাবা -মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে পড়েছে। সাধারণত ঈদ বলতে পরিবারের সদস্যদের জমায়েত এবং এই উৎসব পালন করতে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করাকে বুঝায়। কিন্তু এ দুইটিরই অনুপস্থিতি ও চলমান যুদ্ধের কারণে শিশুদের শুধুমাত্র তাদের আগের স্মৃতি ধারণ করেই থাকতে হবে। গাজাবাসীদের টেবিলে ঈদে যেসব খাবার থাকে তার অন্যতম হচ্ছে সুমাকিয়া (মাংসের ঝোল) এবং ফাসিখ (লবণাক্ত মাছ)। কিন্তু উৎসবের প্রধান আকর্ষণ থাকে ঈদ বিস্কুট। বাস্তুচ্যুত লোকেদের জন্য রাফাহ শহরের দক্ষিণে একটি ক্যাম্পে অন্তত ১০ জন মহিলা ঈদের বিস্কুট তৈরি করতে ফিলিস্তিনি মাজদ নাসার ও তার পরিবারের তাঁবুতে জড়ো হয়েছেন। গাজার উত্তর থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ২০ বছর বয়সী মাজদ একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যাতে “ ক্যাম্পে থাকা শিশু ও তাদের পরিবারকে ঈদের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়া যায় ”। তিনি নিকটস্থ তাঁবুর সব প্রতিবেশীদের একসঙ্গে বিস্কুট বানাতে আমন্ত্রণ জানান। “ মামোল তৈরির উপকরণগুলোর দাম আগের বছরের চাইতে তিন থেকে চার গুণ বেশি হয়ে গেছে” বলেন মাজদ। এই যুবক ক্যাম্পে থাকা ৬০টি পরিবারের মধ্যে গোল কেক বিতরণ করেছে, যেগুলোর কেন্দ্র ফাঁপা বা গর্ত করা। পুরো গাজা ভূখণ্ড জুড়ে সতের লাখ বাস্তুচ্যুত লোক কঠোর পরিস্থিতিতে বাস করছে এবং খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে তারা ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভর করে। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, আহমেদ মুসতাহা এবং তার দল ঈদের সময় উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকেদের একটি ক্যাম্পে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন। এর কারণ সার্কাসের মাধ্যমে যত বেশি সংখ্যক অনাথ শিশুদের আনন্দ দেওয়া যায়। আনুমানিক তিন লাখ লোক এই এলাকায় দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। আমরা শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই যাতে তারা ঈদের উৎসব পালন করতে পারে ” সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা মুসতাহা এসব কথা বলেন। এই সার্কাসটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যুদ্ধে বোমা হামলার আগে যে ভবন থেকে এটি পরিচালিত হতো সেখানে শিশুদের সার্কাস আর্ট শেখানো হতো। যুদ্ধের আগে, মুসতাহা এবং তার দলের দশজন সদস্য পার্কে শিশু ও অনাথদের অভিনয় করে দেখাতেন। এখানে ক্যাম্প ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া এলাকা তাদের অভিনয়ের পটভূমি তৈরি করে। যেখান থেকে একজন সার্কাসের ভাঁড় অ্যাক্রোবেটিক ও ভেলকি দেখানো থেকে শুরু করে মজার স্কেচও করে। এটা বাচ্চাদের হাসতে বাধ্য করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩১

২ রানে হায়দরাবাদের কাছে হারল পাঞ্জাব
মুল্লানপুরে টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় পাঞ্জাব। শুরুতে ব্যাট করা হায়দরাবাদের হয়ে ১৫ বলে ২১ রান করেন ওপেনার ট্রাভিস হেড, অপর ওপেনার ১৬ রান যোগ করেন অভিষেক শর্মা। ৩৭ বলে ৬৪ রান করেন সেরা ইনিংস খেলা রেড্ডি। তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি ছক্কা ও চারটি চারের শট। ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় পাঞ্জাব। একশ'র আগে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। ২২ বল করে খেলে যথাক্রমে ২৯ ও ২৮ রান করেন মিডল অর্ডারে আশা দেওয়া স্যাম কারেন ও সিকান্দার রাজা। শেষে হাল ধরে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা। শেষ ওভারে ২৬ রান নিলেও দলকে জেতাতে পারেনরি তারা। শশাঙ্ক ২৫ বলে ৪৬ ও আশুতোষ ১৫ বলে ৩৩ রান করেন। তবু অশ্বদ্বীপ-শশাঙ্করা এক রেড্ডির কাছে পরাজিত হন। পাঞ্জাব কিংসের বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ সিংয়ের খাবি কেটে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিতিশ কুমার রেড্ডি ছাড়া ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি কেউ। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলে ফেলে হায়দরাবাদ। অশ্বদ্বীপ ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। হায়দরাবাদের কেউ অশ্বদ্বীপের মতো আগুন ঝরাতে পারেননি। দলকে ২ রানের জয় এনে দিয়েছেন প্যাট কামিন্স-ভুবনেশ্বর কুমাররা।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৭

মোস্তাফিজদের কাছে হেরে যে ব্যাখ্যা কলকাতা অধিনায়কের
মোস্তাফিজুর রহমানের চূড়ায় ওঠার দিনে হেসেখেলে জিতেছে চেন্নাই। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক জয়ে আসর শুরু করার পর প্রথম হারের মুখ দেখেছে কলকাতা। দলের ঘুরে দাঁড়ানোর দিনে যুজবেন্দ্র চাহালকে টপকে চলতি আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার এখন টাইগার এই পেসার। কেকেআরের বিপক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৫ দশমিক ৫ ইকোনমিতে ২২ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন কাটার মাস্টার। সোমবার (৮ এপ্রিল) এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা। জবাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ফিফটিতে ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এমন হারের পর কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ারের ভাষ্য, আমরা পাওয়ার প্লে-তে দারুণ খেলেছি। খুব ভালো শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরের দিকে একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। আমরা পাওয়ার প্লের পর পিচের চরিত্র ভালো করে বুঝতেই পারিনি। রান করাও খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল। চেন্নাই এই পরিবেশ ভালো রকম চেনে। ওরা নিজেদের পরিকল্পনা মতো বল করেছে। তিনি যোগ করেন, প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলা সহজ ছিল না। আমরা চাইছিলাম ধীরে ধীরে ইনিংস গড়তে। সেই পরিকল্পনাও ঠিক করে কাজে লাগাতে পারিনি। পাওয়ার প্লের পরে উইকেটের চরিত্র এতটাই বদলে যায় যে ধরতে পারিনি। একটা সময়ে ১৬০-১৭০ রান হয়ে যাবে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু ছন্দ হারিয়ে ফেলাতেই সব সমস্যা হয়ে যায়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়