• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, যে ৫ খাবারেই দ্রুত কমবে যন্ত্রণা
ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার যুগলবন্দিতে জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত, বয়স্কদের মধ্যেই এই সমস্যার প্রকোপ বেশি। তবে চিন্তার বিষয় হলো, আজকাল কম বয়সিরাও এই অসুখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই জয়েন্টের ব্যথা নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়েন্টের মধ্যে অবস্থিত কুশনের ক্ষয়জনিত কারণেই ব্যথা বাড়ছে। আসলে জয়েন্টে অবস্থিত এই কুশনটি দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ হতে দেয় না। তবে কোনও কারণে কুশনটি ক্ষয়ে গেলে হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়াও হাড়ের ক্ষয়জনিত কারণে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। সমস্যা হলো, অনেকেই জয়েন্টে ব্যথা হলো কি না পেইনকিলার খাওয়া শুরু করে দেন। তবে এই অভ্যাস আদতে শরীরের ক্ষতি করে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ধরনের ব্যথার ওষুধ নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। বিশেষত, কিডনি ও লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। এদিকে জয়েন্টে ব্যথা, ঠিকমতো অঙ্গ সঞ্চালন করতে না পারা অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের লক্ষণ বলেও জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তাই সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেও তা এড়ানো ঠিক নয়। এতে রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চিকিৎসকদের কথায়, বর্তমান সময়ে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসে অনেকেই ভুগছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা সঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। সঠিক সময়ে রোগটি ধরা গেলে হাঁটাচলার সমস্যা হয় না। ওষুধ ও সঠিক চিকিৎসার সাহায্যে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে অধিকাংশ রোগী জয়েন্ট ক্ষতি অনেকটা হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে আসেন। সেই সময় হাঁটু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একেবারেই সম্ভব হয় না। তখন জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না। অন্যদিকে অনেক রোগী ব্যথার ওষুধ খেয়েই ব্যথা কমান। এই প্রবণতাও মারাত্মক। ঘন ঘন হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হলে হাঁটতে অসুবিধা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। এ ছাড়াও এরকম সমস্যায় পেইনকিলারের বদলে কয়েকটি পরিচিত খাবারকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে দিলেই জয়েন্টের ব্যথার প্রকোপ কমবে অনেকটাই। এই ৫ খাবার খেলেই দ্রুত কমবে হাঁটু ব্যথার যন্ত্রণা- ১. সামুদ্রিক মাছ  ২. সবুজ শাক, সবজি ​৩. বাদাম  ৪. বেরি জাতীয় ফল ৫. আদা ও রসুন
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা রমজানে মাসে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত সানীর উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুধু জেলা ও পৌর এলাকায় নয়, তারা ইউনিয়ন পর্যায়েও নিজেদের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের লক্ষ্যে। আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান, কোনো গোষ্ঠী কিংবা গুটি কয়েকজনের অপরাধের জন্য একটি সংগঠনের ঐতিহ্য একসাথে ধুলোয় মিশে যেতে পারে না। কাজেই তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেটাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে, ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ এবং অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সস্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরাফাত সানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

‘জনগণের কষ্ট নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা মশকরা করছে’
প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় জনগণ কষ্টে আছে আর সরকারের মন্ত্রীরা এসব নিয়ে মশকরা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৮ মার্চ) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, দেশে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এমনকি ইফতারের খেজুরের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজান মাসে খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক মওকুফের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার হয়েছে। এ সময় আন্দোলনে এ সরকারের পতন হবে। রিজভী বলেন, আজ সারাবিশ্বে নারী দিবস পালিত হচ্ছে, আর বাংলাদেশের নারীরা ঘরে-বাইরে-কর্মস্থলে সর্বত্রই নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত ও খুনের শিকার হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৬ বছরের শাসনে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন নারীরা। এখন দিনে-দুপুরে পথ চলতে নারীসহ সাধারণ মানুষের গা ছমছম করে। বিএনপির এই অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকার কাউকে মানুষ বলে গণ্য করে না। এক যুগেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একটি হামলারও সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচার হয়নি।  তিনি আরও বলেন, দেশে সংঘটিত একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনারও বিচার হয়নি। অথচ ঠুনকো অভিযোগে একজন নোবেলজয়ীকে প্রায় প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৪

এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার, লামিশার বাবাকে ডিআইজি
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মারা গেছেন।  ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- মৃত্যুর আগে লামিশা তার বাবাকে ফোন করে এই শেষ কথা বলেছিলেন। লামিশার চাচা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেয়ের আকুতির সামনে অসহায় বাবা মেয়েকে হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালে লামিশার মা আফরিনা মাহমুদ মিতু মারা গেলেও মেয়ের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি নাসিরুল। তার বাঁচার অবলম্বন দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে। তার যে শোক তাতে একইভাবে মর্মাহত তার সহকর্মীরাও। এমনই একজন নাসিরুলের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী পুলিশের ডিআইজি রুহুল আমিন শিপার। যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাসিরুলকে নিয়ে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। ‘অগ্নিপরীক্ষা’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে নাসিরুলের জীবনের কঠিন পথের নানা দিক তুলে ধরেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ডিআইজি রুহুল আমিন শিপারের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- #অগ্নি_পরীক্ষা প্রায় বছর ছয়েক আগের কথা। নাসির পাথরের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। বিএসএমএমইউ (পিজি) হাসপাতালের ডি ব্লক-এর সামনে একটা ফ্রিজার ভ্যানে ওর স্ত্রীর মরদেহ রাখা। বিয়ের আগে ওরা মামাতো ফুপাতো ভাই-বোন ছিল। নাসিরের জিম্মায় ছোট্ট দুটি মেয়ে রেখে ভাবি একা চলে গেলেন। একটু পরে তখনকার আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী স্যার এলেন। এরপর দাফনের জন্য নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হলো মরদেহ। ২২তম বিসিএস ব্যাচের অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসির পদার্থবিদ্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। আমার পাশের ফজলুল হক হলে থাকতো। এখনো আমরা একই কম্পাউন্ডে থাকি এবং একই অফিসে কাজ করি। কয়েক বছর আগের কথা। তখন বেনজীর আহমেদ স্যার র‌্যাবের মহাপরিচালক। পুলিশ সদরদপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নাসিরের একটা প্রেজেন্টেশন দেখে প্রকাশ্যে বলে ফেললেন, ইউ আর সো ইন্টেলিজেন্ট। কিন্তু আমি তোমাকে চিনি না কেন? এরপর বেনজীর স্যার আইজিপি হয়ে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারে হাত দিলেন। এআইজি রিক্রুটমেন্ট হিসেবে মেধাবী নাসির একটা অসাধারণ নিয়োগ কাঠামো তৈরি করে দেয়। যেখানে চাইলেও দুর্নীতি কিংবা পক্ষপাতিত্ব করা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে সেই কাঠামোতেই নিয়োগ চলছে। দুই মেয়ে নিয়ে নাসিরের একার সংসার। একদিন শুধু বলেছিলাম, আর বিয়েশাদি করলে না? একটু হেসে মাথা নেড়ে ও বললো, না, স্যার। ওর মেয়েরা খুবই মেধাবী। বড় মেয়ে সম্ভবত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ফার্স্ট গার্ল ছিল। কলেজ শেষ করে সে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। নাসিরের জীবনে ছয় বছর আগের সেই রাত আবার ফিরে এলো। গতরাতে (২৯ ফেব্রুয়ারি) আগুন লাগার সময় বেইলি রোডের সেই রেস্তোরাঁয় ওর বুয়েট পড়ুয়া মেয়েটা ছিল। সে আর ফেরেনি, চলে গেছে জীবনের ওপারে। বছর ছয়েক আগে স্ত্রী মরে যাওয়ার রাতে নাসিরের সেই চেহারার কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। এবার অবশ্য ওর সাথে দেখা হয়নি। মেয়ের মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের পথে আছে সে। ওকে ফোন দিতে মন চাইছে না। তাই হোয়াটসঅ্যাপে শুধু নিচের মেসেজটা দিয়েছি- ‘নাসির, আমার অন্তরটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বাসায় বসে এখন কাঁদছি। এক জনমে আর কত কষ্ট বাকি তোমার?’
০২ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭

‘বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে’
কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টকে রীতিমতো সার্কাসের সঙ্গেই তুলনা করেছিলেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাস্টার। তিনি এও মন্তব্য করেছিলেন, বিপিএল দেখতে দেখতে মাঝেমাঝেই টিভি বন্ধ করে দেন তিনি। তবে হেডমাস্টারের কথায় সুর মেলাতে পারলেন না উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উল্টো বিপিএলের এবারের উন্নতির কথা জানালেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ইতিবাচক বার্তায় মুশির মন্তব্য, বিপিএলের কল্যাণেই অনেক ক্রিকেটারের সংসার চলে। মুশফিকের ভাষ্যমতে, প্রথমত বিপিএল না হলে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এটা ভাই মোদ্দা কথা। বিপিএলে যে পারিশ্রমিক পায়, জাতীয় দলে কেউ যদি টপ-পেইড স্যালারি হয়; ২-৩ বছর খেলে তাহলে হয়তো ইনকাম করতে পারবেন। এটার মান যদি খারাপ হয়, এটা কোন দিক দিয়ে করেন। কেউ চাইবে না এখানে এসে খারাপ খেলে পরের বছর আনসোল্ড থেকে টিভিতে বসে খেলা দেখবে। মুশি যোগ করেন, কোয়ালিটি অনেক উঁচুতে। হ্যাঁ, এটা বলতে পারেন যে এক বা দুটা পিচ একটু এদিক-সেদিক হতে পারে। এই বছর অনেক ভালো ছিল পিচ। খেলার কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়েছে আগের তুলনায়। যারা বলেছে তারা কোন মর্মে বলেছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন। বিপিএলের কোয়ালিটি বলেন সবকিছু উন্নত হয়েছে। এ সময়ে সংবাদ সম্মেলনে তরুণদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ প্রসঙ্গে মুশির মন্তব্য, না, না। আপনার (সাংবাদিক) সঙ্গে আমি একমত না। তারা অবশ্যই অনেক সামর্থ্যবান। তারা যদি সুযোগ পায়… যেমন হৃদয় সে কিন্তু জাতীয় দলে তিনে খেলে না। ৪,৫,৬ এ-ও খেলে। কুমিল্লাতে তিনে খেলছে। সে তার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। জুনিয়র তামিম ওপেন করছে। উইকেটকিপার এই ব্যাটার যোগ করেন, আমার মনে হয় সুযোগ দিলে তারাও সামর্থ্যবান এবারের বিপিএলেও অনেক দেশি আছে যারা ভালো ভালো ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছে। হ্যাঁ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা একটু কঠিন। যে অবদান রাখছে তা যেন দলের জয়ে হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩

এরশাদের ছেলে বললেন, খুব কষ্ট হচ্ছে, মানবেতর জীবনযাপন করছি
অর্থের অভাবে মানবেতর দিন কাটছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় অবস্থিত পৈতৃক বাসভবন পল্লি নিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এরিক। এসময় তার মা বিদিশা এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে না এসে দূরে দাঁড়িয়েছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে এরশাদপুত্র বলেন, আমি একজন এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। আমার নামে বাবার করে যাওয়া ট্রাস্ট থেকে কোনও টাকা পাচ্ছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে আমার মানবেতর দিন কাটছে। ট্রাস্টের টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে আমি চরম অসহায়ত্ব বোধ করছি।  এ সময় এরিক বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে মরহুম বাবা এরশাদের কবর জিয়ারত করার জন্য রংপুরে আসি। জিয়ারতের পর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত পল্লিবন্ধু এরশাদ কোল্ড স্টোরেজে যাই মাকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে গেলে বারী মুন্সি, মুকুল ও তার ছেলে মান্নু আমাকে ও আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাদের কোল্ড স্টোরেজে ঢুকতে দেননি। এমনকি আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই কোল্ড স্টোরেজের মালিক আমি, আমাকে ঢুকতে দেবে না, দেখে নেবে! দুই বছর ধরে কোল্ড স্টোরেজে যে আয় হচ্ছে, সেখান থেকে আমাকে এক পয়সাও দেওয়া হচ্ছে না। সব টাকা তারা লুটেপুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের বোঝা উচিত, আমি এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। তারা আমার মাকেও গালি দিয়েছে, তার অশোভন আচরণ করেছে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে বলেছি, তারা পূর্ণ সহায়তা করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এরিখের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ একমাত্র সন্তান এরিকের কল্যাণের জন্য জন্য তিনি জীবিত থাকা কালে একটি ট্রাস্ট করে যান। যার নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট। রংপুরে পল্লী নিবাস বাস ভবন, নগরীর মাহিগঞ্জে একটি কোল্ড স্টোরেজসহ ঢাকায় কিছু সহায়সম্পদ আছে। এরশাদ যে ট্রাস্টের কমিটি করে গেছেন। তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এখনও দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না। ফলে আয়-উপার্জন না থাকায় এরিখ প্রচণ্ড রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বারবার বলার পরেও ট্রাস্টের দায়িত্ব এরিখকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ ছাড়া এরিখের চাচা জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান তাকে পুরো বিষয় জানানো হবে তিনি কি করেন দেখি। জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের পাল্টাপাল্টি দল করার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৩

শবেবরাতের দিনে কলিজার মধ্যে কষ্ট দিয়ে দিল : পরীমণি
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন। মাঝে মধ্যেই নিজের ছবি, ভিডিও কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি। অন্যদিকে যে কোনো ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেও ভোলেন না পরীমণি। এবার বেজায় চটেছেন এই নায়িকা।     রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‍শুধু প্রতিবাদই করেননি। রীতিমতো ক্ষেপে বিস্ফোরক হয়ে নেটদুনিয়ায় ধরা দিলেন পরীমণি। তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেশ অগ্নিশর্মা হয়েছেন তিনি।    এদিন আজ দুপুরে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘মিথ্যুক, ভণ্ড, প্রতারক। শবেবরাতের দিনে কলিজার মধ্যে কষ্ট দিয়ে দিল। এই কষ্ট তাদের না হোক। আল্লাহ তাদের মাফ করে দিক।’ হঠাৎ কেনো চটেছেন পরীমণি? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জাল বুনেছে নায়িকার ভক্তদের মনে। বিষয়টি জানতে পরীমণির মন্তব্যের ঘরে জানতে চাইলেও ভক্তদের কোনো জবাব দিচ্ছেন না তিনি।   তবে পরীর স্ট্যাটাসে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর কমেন্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে বেশ অবগত তিনি। নায়িকার মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন— খুব দুঃখিত। ভয়ংকর ব্যাপার। এটা কোন কথা নাকি? পরীমণি কি আর বলব! সব শুনে আমি স্তম্ভিত।  স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন একমাত্র সন্তান রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। বর্তমানে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন পরীমণি। পাশাপাশি কাজেও ফিরেছেন এই নায়িকা।  ইতোমধ্যে ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন পরীমণি। এরপর যুক্ত হয়েছেন ‘খেলা হবে’ নামের নতুন একটি সিনেমায়। এছাড়া তার হাতে রয়েছে অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’।   সম্প্রতি নায়ক ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন পরীমণি। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে পরীমণি অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘বুকিং’। এটি  নির্মাণ করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। এতে পরীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

‘আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো’
ইটের স্তূপ এবং দেয়াল দেখলাম, স্থানীরা যতগুলো ইট তুলে রেখেছে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি একটা সাইটে এত পরিমাণ ইট তুলে কেউ গুছিয়ে রাখেনি। আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো  ঢাকার কাছে এত বড় একটা প্রতিস্থাপন, যেখানে কলচুরির রাজা লক্ষ্মকর্ণের ইতিহাসের কথা বলা হয়, লক্ষ্মকর্ণের কথা বলা হয়, এটা আমাদের পাশের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া দুর্গের কাছেই। এটা ইতিহাসের সমৃদ্ধ একটা স্থান এবং ইতিহাসের পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনার একটা জায়গা। এটা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে এখানে দেশের কোনো শাসক আছে বলে মনে হয় না। এখানে কোনো কাস্টোডিয়ান আছে বলে মনে হয় না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের বড়-দিঘি ও এর আশপাশের এলাকা দিনব্যাপী ঘুরে এসব মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, কর্ণপুর এখন একটি গ্রাম। কিন্তু একসময় যে এটা কত সমৃদ্ধ বসতি ছিল, কেউ এ জায়গায় না এসে বলতে পারবে না। তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয় লেখকরা সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আসেননি। এখানকার ইট দিয়ে কেমন করে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে, সবকিছু কেমন করে ধূসর হয়ে যাচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখজনক। এখানকার সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। তারা অবশ্যই তাদের জায়গার ইতিহাস দেখবেন এবং সংরক্ষণ করবেন। সংবিধানেও নিজ এলাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। তাহলে তারা কি তাদের সংবিধান মানছেন না? শুধু তারাই নয়, আমারা যারা গবেষণা করি, অধ্যাপকরাও দায়ী, মন্ত্রণালয় দায়ী, সরকার দায়ী। সকলেই আমরা একটা ধংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি। এটা কোনোভাবেই একটা দেশের জন্য শুভকর নয়। দেশকে বাঁচাতে গেলে ইতিহাস আমাদের একটা পরিচয়। সেই পরিচয় আমরা মুছে দিতে পারি না। খুব দ্রুত সরকারের উচিত এখানে এসে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা। তারপর যারা গবেষক তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো, তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এটা নাহলে দেশ এগোতে পারবে না। স্থানীয় আবদুল হাকিম আকন্দ বলেন, বড়-দিঘি থেকেই পাকিস্তান আমলে শ্রীপুরের কালু মণ্ডল সাহেব ইট তুলে নিয়েছিলেন। এরপর আমরাও সেখান থেকে কমপক্ষে দুই ফুট প্রশস্তের দেয়াল দেখেছি। স্থানীয়রা নানা প্রয়োজনে এসব সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজনে স্থাপনা করেছেন। স্থানীয় বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ইট সরিয়ে নেওয়ার পর পাথর বের হয়। দিঘির পাড়ের অনেকের বাড়িতেই ইট পাথর পাওয়া যাবে। নানান ধরনের নকশা করাও রয়েছে এসব পাথরে। এর আগে ড. সুফী মোস্তাফিজ একই ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের কিছু পুরাকীর্তির চিহ্ন দেখতে পান। ওই এলাকার আকন্দপাড়া, শেখপাড়া, টেক্কার ভিটার টেক-টিলা, একটি মাজারের আশপাশ ও প্রাকৃতিক অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। সেখানে থাকা প্রাচীন ইটের খণ্ড খণ্ড অংশ পর্যবেক্ষণ করেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের দরদরিয়া দুর্গের পশ্চিমে তথা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের অবস্থান। অধ্যাপক সূফী জানান, খোঁজেখানী গ্রামে যেসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে ,সেগুলো মধ্যযুগীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ত্রয়োদশ শতাব্দী বা তার পরে ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত সময়ের বলে মনে হচ্ছে। কোথাও স্থাপিত দেয়ালের অংশবিশেষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইতিহাস থেকে বলা যায়, দরদরিয়া যদি একদল দুর্গ হয় তাহলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় তুঘলকির অবস্থান ছিল। তুঘলকি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানে সেনাবাহিনীর বসতি ছিল এটা একটা একটা ক্লু। এসব জায়গায় প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।  ইট, মৃৎপাত্র, ছোট একাধিক ডিবি পাওয়া গেছে। এগুলো চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে আমরা সেগুলো কোন সময়ের সেটা বলার চেষ্টা করি। এটা খনন করার দরকার। খনন করা হলে বেশি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খোঁজেখানী গ্রামের কিছু কিছু অংশ খনন করা হলে ভালো কিছু পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। খননকাজে নিজেকে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বেশি প্রয়োজন। খোঁজেখানী গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, চার কোণাকৃতির যেসব ইট পাওয়া যায় সেগুলো গুঁড়া করে এলাকার অনেকেই বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। এগুলো বেশ শক্ত। তারাও এগুলো ব্যবহার করেছে। আরেক গৃহিণী রুনা আক্তার বলেন, আশপাশের জমিগুলো খনন করলে ইটের স্তর বের হতো। এখনও ইটের ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লেখক মিশকাত রাসেল বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বিশেষ করে এক যুগেরও আগে তিনি একটি বইয়ে ইতিহাস পড়ে এসব এলাকায় প্রাচীন স্থাপনার খোঁজ নিতে আসেন। বছরের পর বছর ধরে খোঁজ করতে করতে প্রাচীন স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কয়েকটি প্রবন্ধ তৈরি করেন। প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেউ কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেন। এখন এগুলো জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে। শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু বাক্কার ছিদ্দিক আকন্দ বলেন, প্রাচীন স্থাপত্য-কীর্তি একটি এলাকার মানুষের ঐতিহাসিক পরিচয় বহন করে। যেগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে দ্রুত সময়ে সেগুলোর সংরক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ হয় বাঙালিরা অনেক আগে থেকেই কর্মে বেশ সুদক্ষ ছিল। প্রাচীন পুরাকীর্তির সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি এলাকা পর্যটন-সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে। এতে মানুষের মানসিক চাহিদার পূরণের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। পুরাকীর্তির এসব স্থাপনা অনুসন্ধান করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের পর্যটন খাতও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। পুরাকীর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফুল ও ছকের আকৃতিবেষ্টিত পাথর বসানো রয়েছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনা কাদামুক্ত রাখতে প্রশস্ত ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশস্ত ইটগুলো সংরক্ষণ করেছেন পরবর্তী কোনো কাজের উদ্দেশ্যে।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২

মন্ত্রিত্ব না থাকলেও তার কষ্ট নেই
দীর্ঘ ১০ বছর পর মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে এখন বিদায় নিচ্ছেন। এই সময়ে অনেক বিষয় নিয়ে হয়ে ছিলেন ভাইরাল। এই আলোচনা-সমালোচনা কোনোটাই তিনি কানে নেননি। একটানা কাজ করে গেছেন। শুধু সিলেটবাসীর জন্য নয় তিনি সারাদেশের জন্য কাজ করেছেন। যদিওবা তার কিছু বক্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কচুরিপানা খাওয়ার বক্তব্য। তিনি বলেন, কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কি না, কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনোমতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন? পরে অবশ্য তিনি এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, গবেষণা করতে ভয় কেন? আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারি। গবেষকদের পরামর্শ দিতে বলেছি, নিউজ করতে বলিনি। বিষয়টি এভাবে আসবে ভাবিনি। আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য বলতে পারি। মন্ত্রী থাকার সময় তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। যা উদ্ধার হতে বেশ কয়েক মাস লেগে যায়। এবার নতুন মন্ত্রিপরিষদ থেকে ছিটকে গেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গঠিত নতুন পরিষদে তার ঠাঁই হয়নি। এতে অবশ্য তার কষ্ট নেই। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের অফিসে মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কুশলবিনিময় করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বিদায় নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দায়িত্ব পালন আমি উপভোগ করেছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। আমি দলের একজন কর্মী। তিনি বলেন, চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার, প্রত্যেকে কাজের মানুষ। দল যেখানে কাজে লাগাবে, সেখানে কাজ করব। এখানে নতুন যিনি আসবেন, তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত প্রয়োজন হলে ওনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নয়। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। যিনি আসবেন তাকে স্বাগত জানাব। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান। এখানে কাজ উপভোগ করার মতো। কাজের পরিবেশ ভালো, প্রাণবন্ত। এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, আশা অনেক বেশি। এখানে নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। দেশের সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে একাডেমিক পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টিভি-পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে প্রকল্প পাস হয়, এটা সবাই দেখতে চায়।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়