• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ‘অ্যামাউন্ট’ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম অ্যাফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে, এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন / মার্চে সড়কে ঝরল ৫৬৫ প্রাণ, আহত ১২২৮
গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।  ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬

ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।  ১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১

শবে কদরে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে এক বাণীতে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে আল্লাহ মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাজিল করেন। মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কী জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫) প্রধানমন্ত্রী বলেন, কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়। মহান আল্লাহ শবে কদরের রাতে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদরে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সব অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন। পবিত্র এই রজনীতে মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৯

‘ভাড়া ৩ পয়সা কমানো যাত্রী সাধারণের সঙ্গে তামাশার শামিল’  
প্রতি কিলোমিটারে বাস ভাড়া মাত্র ৩ পয়সা কমানো যাত্রী সাধারণের সঙ্গে তামাশার শামিল বলে মনে করছে  বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির দাবি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানোর পরিবর্তে প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমিয়ে  দেশের যাত্রী সাধারণের সঙ্গে তামাশা করছে সরকার।  সোমবার (১ এপ্রিল)  দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে ২ দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর সরকার আজ বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। যা কোনোভাবেই কার্যকরযোগ্য নয়।  বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, এর আগে ২০১১ সালেও বাসের ভাড়া ২ পয়সা কমিয়েছিল সরকার। এর সুফল যাত্রী সাধারণ পায়নি। এরপর ২০১৬ সালেও জ্বালানির তেলে মূল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকে দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারো বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকেরা ভোগ করলেও বঞ্চিত হবে দেশের জনগণ।  বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে জনসাধারণের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহণ ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর দাবি জানানো হয়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৪

বাস ভাড়া কমানোর দাবি
দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। রোববার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম ইতোমধ্যে দুই দফা কমানো হয়েছে। অথচ বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া কমানোর কোনো উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এর আগেও জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ টাকা কমানোর পরে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা হারে কমিয়ে বাস ভাড়ার তালিকা পুনঃনির্ধারণ করা হলেও যাত্রীসাধারণ এই ৩ পয়সা কমানোর সুফল পাইনি। তখন থেকে সরকার পরিবহন মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এহেন ছোট ছোট অংকের হারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হচ্ছে কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস, লঞ্চ ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবি জানান তিনি। এদিকে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বাস ভাড়া নির্ধারণে বৈঠকে বসবে সরকারি কমিটি। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

প্রবাসীদের জন্য সুখবর
প্রবাসী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সমস্যা সমাধানে শিগগিরই ‘প্রবাসী কল্যাণ সেল’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লেসন লার্নিং ফ্রম দ্য স্ট্রেঞ্জথেন অ্যান্ড ইনফরমেটিভ মাইগ্রেশন সিস্টেম (এসআইএমএস) প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগ‌গিরই প্রবাসী কল্যাণ সেল গঠন হবে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ সেল প্রবাসীদের সমস্যা তড়িৎগতিতে সমাধানে সর্বদা তৎপর থাকবে। হ্যালভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনঞ্জামিন ব্লুলু মেন্থালের সভাপতিত্বে পার্লামেন্টারি ককাসের সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। শ‌ফিকুর রহমান ব‌লেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ পুরাতন আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া তা নতুন প্রজন্মের কাজে লাগছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রবাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেই হবে না, প্রশিক্ষকদের ও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।  তি‌নি ব‌লেন, আমি আশা করছি, আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ ঢেলে সাজাতে সক্ষম হবো। বিএমইটির ট্রেনিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএমইটির মাধ্যমে মাত্র তিনদিনের প্রি-ওরিয়েন্টেশন কোর্স করা হয়। দ্রুত এটা আরও বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের মোটিভেশন কাজ করতে হবে। তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে কেন মানুষ বিদেশে যেতে চায়? বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। সবাইকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছে। তারপরও আরো কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নাই।  প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার কি কি করছে তা জনগণ জানতে পারে না জা‌নি‌য়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।  কল্যাণ বোর্ড প্রবাসীর পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ় করণের লক্ষ্যে তাদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের উন্নয়নে ও সহায়তায় ভাতা দেওয়া হয়। যা প্রবাসীর পরিবারের অর্থবহ ও টেকসই কল্যাণ নিশ্চতকল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। শ‌ফিকুর রহমান বলেন, মানুষকে জানতে হবে তাদের জন্য কি ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। বিদেশে যাওয়ার পরে তাকে কি করতে হবে, বিদেশে সে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে। দেশে ফেরত আসার পর তার কি কি সুযোগ সুবিধা আছে। প্রধানমন্ত্রীর মহতী উদ্যোগ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সভায় এসআইএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে অভিবাসী সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এসব প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর জোর দেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিরা।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৯

ফেব্রুয়ারিতে সড়কে ঝরেছে ৫৫৫ প্রাণ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২১০ জনের। বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এ ছাড়া রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৭ জন এবং নৌপথে দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ফেব্রুয়ারিতে মোট ৫৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক হাজার ৯৯ জন। নিহতদের মধ্যে ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৬২ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ৩৪ জন শিক্ষার্থী, ৩৪ জন পথচারী, ১৫ জন পরিবহন শ্রমিক, তিনজন পুলিশ, একজন আনসার সদস্য, দুইজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন শিক্ষক ও পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছে। গত মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২১টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক দুর্ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো উল্লেখ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এরমধ্যে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম, মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি, অদক্ষ চালক, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, সড়কে চাদাঁবাজি ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালাচলকে দায়ি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৯

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করতে হবে, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে হবে, অটোমেশন চালু করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাতে হবে। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামীম স্রোতের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয় আসা মেহনতি কর্মজীবী কৃষিজীবীদের সন্তানরা যেন পড়তে না পারে তারই একটা পাঁয়তারা করছে প্রশাসন। এ ছাড়া ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই যে,  বিল্ডিংগুলো করছে এগুলো অপ্রয়োজনীয়। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে  রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে এই টাকাগুলো যেন ফেরত নেওয়া হয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসফার সাদী এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ জেনিচ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৪

রমজানে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর
দেশের আকাশে দেখা গেছে মাহে রমজানের চাঁদ। এ অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   সোমবার (১১ মার্চ) রাতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাণী দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক। পবিত্র মাহে রমজানে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।’     দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। বাণীতে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন, সব ধরনের কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।’  
১২ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়