• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বড় মনিরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঢাকায় এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। মামলার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী উল্লেখ করেন, ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো। এরপর গত ২৯ মার্চ ইফতারের পর গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সঙ্গে এপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলে। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করি। এর ১০/১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসে এবং রিকশায় উঠতে বলে। বড় মনিরের কথামতো ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় উঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানাধীন প্রিয়াংকাসিটি ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এর আগে, এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৩

নরসিংদীতে কলেজছাত্রীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৩
নরসিংদী সদর উপজেলার বড় বাজারের সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে কলেজছাত্রীকে মাইক্রোবাসে অপহরণের ঘটনায় ৩ জনকে করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে নরসিংদীর মাধবদীর ছনপাড়া থেকে মাইক্রোবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আলাউদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান (২৫), আমিরুল ইসলামের ছেলে ইরফান (২১)। তারা সদর উপজেলা আলোকবালী ইউনিয়নের কাজিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন হলেন শহরের বীরপুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে জিয়াউল হক মোবিন (২২)।  পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী (১৮) নরসিংদী সরকারী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আলোকবালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। একই এলাকার মাইনউদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত আনিকুল ইসলাম অরফে আশিক (২৩) ভুক্তভোগী মেয়ে ২ বছর আগে স্কুলে পড়া অবস্থায় আশিক প্রেমের প্রস্তাব দেয়া সহ বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে আসছিল। পরে, মেয়ের বাসায় বিয়ের প্রস্তাবও পাঠালে ভুক্তভোগীর পরিবার নাকচ করে দেয়।  বুধবার সকালে ২ বান্ধবীসহ আলোকবালী থেকে তারা নরসিংদী সরকারী মহিলা কলেজে যাচ্ছিল। পরে সকাল ৯ টার নরসিংদী শহরের বড় বাজার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ৩ যুবক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তার বান্ধবীরা গাড়ীর নাম্বার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে এবং পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মাধবদীর ছনপাড়া থেকে মুজিবুর, মোবিন এবং ইরফানকে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।  পরে ভুক্তভোগীর মা আশিকসহ আরও ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন। নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত মো. তানভীর আহমেদ বলেন, আশিক ৩ জন যুবককে মেয়েটি অপহরণ করে নেয়ার জন্য পাঠায়। আমরা খবর পেয়ে ভুক্তভোগী মেয়েসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর মা লিখিত অভিযোগটি আমরা সন্ধ্যায় মামলা হিসেবে এজহারভুক্ত করেছি এবং প্রধান অভিযুক্ত আশিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

কলেজছাত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে ওসি, অতঃপর...
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম এক কলেজছাত্রীকে নিয়ে জেলার রাজেন্দ্রপুরের একটি রিসোর্টে কয়েক দিন ধরে রাত্রিযাপন করছিলেন। পরে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে সেই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় তোলাপাড় সৃষ্টি হয়েছে।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় গ্রিন শালবন নামের একটি রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে মিজানুর ইসলাম জয়দেবপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানিকগঞ্জে থাকা অবস্থায় তিনি সিঙ্গাইর থানায় এক বছর ও সদর থানায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ওই কলেজছাত্রীর অন্যত্র বিয়ের কথা শুরু হয়। এ খবর জানতে পেরে ওসি তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের মাধ্যমে মেয়েটিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়দেবপুর নিয়ে আসেন। ১০ থেকে ১২ দিন ধরে তাকে ওই রিসোর্টের একটি কক্ষে রাখেন তিনি। পরে মেয়েটিকে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ছাত্রী মানিকগঞ্জ না গিয়ে ওসিকে বলে যে, তাকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু ওসি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। গত বুধবার রাতে ওসি ওই রিসোর্টে কয়েক জন যুবক পাঠিয়ে ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটিকে গ্রামের বাড়ি না গেলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। রাতে ওই কলেজছাত্রী ওসির ঘনিষ্ঠ সেই ব্যক্তিকে বিষয়টি জানান। ছাত্রীর খারাপ কিছু হলে তিনি ফেঁসে যেতে পারেন এ ভয়ে ওই ব্যক্তি গাজীপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম বুধবার রাতেই রিসোর্টে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে এসপি অফিসে নিয়ে আসেন। পরে ওসিকে এসপি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। এদিকে এই খবর শুনে ওসির প্রথম স্ত্রী জয়দেবপুর ছুটে আসেন। অন্যদিকে ওই ছাত্রীর মা এবং এক ফুপাও সেখানে হাজির হন। বৃহস্পতিবার দিনভর উভয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ছাত্রী ওসির সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কলেজছাত্রীকে তার মায়ের জিম্মায় দিয়ে গাজীপুর জেলা শহরের একটি কাজী অফিসে ১০ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কাবিননামায় নগদ ১ লাখ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়। বিয়েতে মেয়ে পক্ষের উকিল নিযুক্ত করা হয় মেয়ের ফুপা মো. কছিম উদ্দিনকে। এ সময় উভয় পক্ষের আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। কাজী অফিসের সহকারী কাজী মোস্তফা কামাল তাদের বিয়ে পড়ান। কাজী মোস্তফা কামাল তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে গতকাল বিকালে জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ওসিকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমি কোনো লিখিত কাগজ পাইনি। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওসির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘আমি দুই মাস আগে মেয়েটিকে বিয়ে করেছি। বাসা ভাড়া না পাওয়ায় তাকে ওই রিসোর্টে রেখেছিলাম। একটু ঝামেলা হয়েছিল। সব ঠিক হয়ে যাবে।’ অন্যদিকে, গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়