• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভূঞাপুরে ১ হাজার কলা গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এক হাজারের অধিক ছড়িসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সহযোগী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল আওয়াল টাঙ্গাইল কোর্টে মাজেদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এ গাছগুলো কেটে ফেলেন বলে দাবি করেছেন আব্দুল আওয়াল। জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাস অবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চারপাশে কলাগাছ রোপণ করা হয়। এরপর মাজেদুল তার ব্যবসায়িক সহযোগী আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। যদিও গাছগুলো কাটার কোনো শর্ত ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।  অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছুদিন রয়েছে। তাই আমি পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের আগাছা পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও কলা বাগান ও পুকুরের ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে আমার।  ভুক্তভোগী কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলা বাগান শুরু করার সময় থেকেই মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার শেয়ার দিয়ে সবকিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়ছয় করেছে।  তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে টালবাহানা করতে থাকে। এ ছাড়া তার কাছে ২ বছরের জন্য কলাগাছ বিক্রি করলেও চুক্তিতে কর্তনের কোনো শর্ত ছিল না। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।  অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের কাছে জেনেছি মাজেদুল ইসলামসহ আরও দু-একজন আওয়ালের পার্টনার ছিল। তারমধ্যে মাজেদুল ও কলাগাছের মালিক আওয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৪

৬ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা
মেহেরপুরের গাংনীতে শাহজাহান আলী ও রহিদুল ইসলাম নামের দুই কৃষকের ৬ বিঘা জমির কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।   শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।  জানা গেছে, বালিয়াঘাট গ্রামের মাঠে ৬ বিঘা জমিতে কলা আবাদ করেছিলেন কৃষক শাহাজাহান আলী ও রহিদুল ইসলাম। কলা আবাদে প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় খরচ করার পর ফলের আশায় ছিলেন তারা। কলার কাধি আসার আগ মুর্হুতে রাতের আধারে গাছ কেটে তছরুপ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ক্ষতির শিকার চাষি দুজন থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।  গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। 
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই, কলা বাগানে পড়েছিল মরদেহ
ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাগান এলাকার একটি কলাবাগানে পড়েছিল মো. রাকিব মিয়া (১৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ।   মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাগান এলাকার মতি চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন একটি কলা বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ত্রিশাল থানা পুলিশ। নিহত রাকিব মিয়া উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি জানান, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে রাকিব সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে আজ সকালে ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পরিবার।     এরই মাঝে স্থানীয়রা কলাবাগানে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় পরিবারের লোকজন মরদেহটি রাকিবের বলে নিশ্চিত করে। ওসি আরও বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে ঘটনার তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি (তদন্ত) মো. আবু বকর সিদ্দিক।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা
এক বছর মেয়াদি ফসল কলা। বারো মাস লাভের অঙ্ক কষে কৃষকের ফল দাঁড়াচ্ছে লোকসানের ঘরে। বাগানেই পেঁকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কলা। স্তূপ করে রাখা হচ্ছে বাগানের পাশে। মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গবাদি পশুও। কলার দাম কমে যাওয়ায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভাবাচ্ছে চাষিদের। চাষে ভাটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। নীরবে কাঁদছেন কৃষক। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।  ঘাটাইল উপজেলার আয়তনের এক তৃতীয়াংশই হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বারোমাসি এ ফসলের ফলন হয়েছে বাম্পার। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর কলার চাষ হয়েছে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এখানকার কৃষকের ফলানো কলা পুষ্টির চাহিদা মেটায় রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের। এদিকে কলার বাজার পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। আরও পড়ুন : বিরোধী দলে ছিলাম, থাকতে চাই : জি এম কাদের   উপজেলার পাহাড়ী সাত ইউনিয়ন সাগরদিঘি, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, লক্ষিন্দর রসুলপুর, সন্ধানপুর ও সংগ্রামপুর এসব এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরি ফসল হচ্ছে কলা। সাগরদীঘি এলাকায় কলার ২০ জন বড় চাষি রয়েছেন। অধিকাংশ চাষিই চাষ করেন সাগরকলা। তাদের একজন নাসির সিকদার।  তিনি জানান, এ বছর ৮৫ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। গত বছর কলার যে ছড়া বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকায়, এ বছর একই ধরনের ছড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫০ টাকায়। তিনি বলেন, লাভ নয়, আসলের ঘর থেকে লোকসান হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। ২৯ বছর ধরে কলা চাষের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার ভাষ্য, কলার বাজারে এমন ধস এর আগে দেখেননি।  কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এ বছর তিনি ১০১ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। কলা ব্যবসায়ীরা তাদের জানিয়েছেন গার্মেন্টসে এখন আর নাকি নাস্তার সঙ্গে কলা দেওয়া হয়না। আর কিছুদিন আগে হরতাল এবং অবরোধের কারণে সঠিক সময়ে তারা কলা বিক্রি করতে পারেননি। তাই কলা বাগানে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।  আরও পড়ুন : বিরোধী দল গঠন নিয়ে যা বললেন নিক্সন চৌধুরী   তার ভাষ্য, গরু-ছাগলেও কলা খাচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রায় তার ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।  কথা হয় কলা ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় সব গার্মেন্টসে টিফিন বন্ধ রয়েছে। কলার বড় একটা চালান আমরা গার্মেন্টসে দিতাম, এখন আর তা হচ্ছে না। ঢাকার পাইকারি বাজারেও খুব একটা টান নেই কলার। কলার দাম গত বছর যা ছিল, এ বছর তার অর্ধেকে নেমে এসছে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলা হচ্ছে কলা চাষের জন্য বিখ্যাত। কলা এমন একটা ফল যা সারা বছরই লাগে। প্রকৃতপক্ষে আমরা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বাজারটা নির্ভর করে সাধারণত মার্কেটিং পলিসির ওপর। কৃষকদের বাঁচানোর জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়