নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সম্মিলিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হল, অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট সমূহের সম্মিলিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্মীসভাটি দুপুর ২টায় শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত।
কর্মীসভার শুরুতেই ২টি হল, ৬টি অনুষদ এবং ২টি ইনস্টিটিউটের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে কর্মীসভায় অংশগ্রহণ করেন। পুরো অনুষ্ঠান কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ছিল। কর্মীসভা আনুষ্ঠানিক শুরুর প্রথমে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক ক্লাব ধ্রুপদ ও নোবিপ্রবি ড্যান্স ক্লাব।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভর সঞ্চালনায় নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হল, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটসমূহের মধ্যে শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রতিষ্ঠাতা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান লিশু ও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ বায়োজিদ তপু। বাকি কমিটিগুলো অতিশিগগিরই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানান শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা।
সম্মিলিত কর্মীসভার বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের যে সাংগাঠনিক জট রয়েছে সেটা ভাঙতেই আমরা দ্রুতসময়ের মধ্যে মাত্র তিনমাসে মতবিনিময় সভাসহ আজকের সম্মিলিত কর্মীসভা আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘদিন যাবৎ যারা একসঙ্গে রাজপথে স্লোগান ধরেছে, একইসঙ্গে গ্রীষ্মের দুপুরে ঘামে ভেজা শরীরে জয় বাংলা স্লোগান ধরেছে, যারা শীতের কুয়াশায় আমাদের সঙ্গে স্লোগান ধরেছে, যারা বসন্তের হাওয়ায় স্লোগান ধরেছে তারাও যেনো একটু সাংগঠনিক পরিচয় পায় তাদেরকে নিয়ে আমরা সৃজনশীল ও ভালোকিছু উপহার দিতে পারি সে চেষ্টা করবো।
নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, আমাদের দায়িত্ব পালনের সম্ভবত তিনমাস বা সাড়ে তিনমাস চলে। আমাদের নেতা সাদ্দাম আর ইনান ভাই আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে পালন করবো আপনাদের দোয়ায়। নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল করতে আমরা দুই ভাই আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কতটুকু পেরেছি তা আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমরা জানি ছাত্রলীগের একজন কর্মী পদ পদবী ছাড়া কতটা অসহায়। তাই আমরা অতি দ্রুত সময়ে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের হল, ফ্যাকাল্টি ও ইনস্টিটিউটের কমিটিগুলো দিয়ে ছাত্রলীগেকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি হলো ধৈর্য্য ও লেগে থাকার বিষয়। রাজনীতিতে ধৈর্য্য ও শ্রম থাকলে স্রষ্টা আপনাকে সফল করবেনই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবেন আর সঠিক পথে কাজ করে যাবেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার পথকে মসৃণ করবে ইনশাআল্লাহ। যারা দায়িত্বে আসবেন তাদের কাছে অনুরোধ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করবেন। রাজনীতিতে আমার হলে একা হবেন, আমরা হলে ঐক্যবদ্ধ হবেন। রাজনীতি কখনো একা করা যায় না। নেতা হওয়ার পর নিজেকে কর্মী ভাবুন। এতে কর্মীরা আপনার কাছে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। আশা করি আপনাদের হাত ধরে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ একটি শক্তিশালী ইউনিট হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কাজ করে যাবেন। নিজেদের পবিত্র দায়িত্ব পবিত্রতার সঙ্গে পালন করবেন। গ্রুপিং এর বাইরে থেকে নিজেদের রাজনীতি করবেন। মনের মধ্যে কখনো অহংকার রাখবেক না। মনে রাখবেন অহংকার অনেক ভালো গুণকে নষ্ট করে দেয়।
তিনি পদ প্রত্যাশীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দায়িত্ব পালন অবস্থায় কেউ যদি মাদক, নারী বা সন্ত্রাসীঘটিত কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন তাকে তার স্বপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির জন্য আপনারা দোয়া করবেন, যাতে দায়িত্ব পালনের শেষদিন পর্যন্ত আমরা আদর্শচ্যুত না হয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো, আপনাদের আগামী সুন্দর হোক। আমাদের প্রতিটি কাজে আপনাদের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা থাকবে আশা করি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০