• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট
সপ্তাহের প্রথম ও শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। শেষ কর্মদিবসে অফিস শেষে অনেকে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় সড়কে গাড়ির চাপ যেমন বাড়ে তেমনই বাড়ে যানজট। আজ সকাল থেকে যানজটের মুখে পড়েছে নগরবাসী। দুপুরের পর অফিস ছুটির সময় যানজট আরও তীব্র হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টু রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।  সকালে সড়কে যানজটের ফলে অফিসগামী অনেককেই হেঁটে রওনা দিতেও দেখা গেছে। বেশি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিদের। বাড্ডা থেকে বিজয় সরণি যাবেন একজন চাকরিজীবী। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম শুরু। থেমে থেমে মহাখালী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে। আরেক চাকরিজীবী বলেন, রোজা রেখে জ্যামের মধ্যে বসে থাকা কষ্টকর। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি। শিক্ষার্থী মেজবাহ যাবেন ফার্মগেটে। তিনি বলেন, বনানী থেকে বাসে উঠেছি। প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়ে যাবে, এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রোজা রেখে এমন ভোগান্তি বেশ কষ্টকর। বাসচালকরা বলছেন, সড়কে অন্যান্য দিন যানজট থাকলেও বৃহস্পতিবার গাড়ির চাপ বেশি থাকে। সে কারণে এদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে। বাসের জন্য অপেক্ষা করা একজন যাত্রী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাস নেই। বাস এলেও উঠতে পারব কি না সন্দেহ। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার জ্যামের কারণে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কি না কে জানে।   এদিকে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশির ভাগ গণপরিবহনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তা-ও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার। এবার রমজানে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে। এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার ওপর আজকে শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ, রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। গতকাল গাড়ির চাপ আরও বেশি ছিল, সেই তুলনায় আজকে একটু কম। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছি আনতে কাজ করছি।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়