• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাকরি স্থায়ীর দাবিতে বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী কর্মচারীদের মানববন্ধন 
নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানান তারা। রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির সামনের সড়কে ‘বিআইডব্লিউটিসির অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। বর্তমানে তারা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে কাজ করছেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।  মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিআইডব্লিউটিসিতে দীর্ঘদিন ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে প্রায় ৬০০ শ্রমিক ও কর্মচারী নিরলস অস্থায়ীভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে আমাদের স্থায়ী করণ না করে বারবার পত্রপত্রিকাতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আদেশ জারি আছে, অভিজ্ঞ ও দীর্ঘ মেয়াদে চাকরিরতদের অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর শূন্য পদে বাহির থেকে লোকবল নিযুক্ত করা যাবে। সেই ভিত্তিতে ২০০৬ সালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি পদে প্রায় ৪২৫ জনকে বোর্ড-বাই সার্কুলেশনের মাধ্যমে স্থায়ী করা হয়। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন বহুপদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও পত্রিকাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লোকবল নিযুক্তির মতো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটি বার বার করে আসছে শুধু বিআইডব্লিউটিসি’র কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য। বর্তমানে আমাদের বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হয় যেখানে আমাদের প্রতিমাসে বেতন পেতে মাসের প্রায় ১০ তারিখ থেকে ২০ তারিখ লেগে যায়। বক্তারা আরও বলেন, আমরা বর্তমানে দৈনিক মাত্র ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হারে বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছি। বর্ধিত বাসা ভাড়া, বর্ধিত দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদার সবকটি সেক্টরে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমরা আমাদের পরিবারের মুখে দু’বেলা ভাতের যোগানটুকু দিতে পারছি না। অন্যদিকে আমাদের স্থায়ী না করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। অস্থায়ী পদে নিযুক্তির সময়েও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের স্থায়ী না করে বরং এখন নতুন করে বিভিন্ন পদে স্থায়ীভাবে লোকবল নিযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সমস্ত অস্থায়ীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এ সময় তারা প্রকাশিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ সংস্থার অস্থায়ী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের পর্ষদ সভার মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি ও আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬

নওগাঁয় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নেসকো কর্মচারীদের কর্মবিরতি
নওগাঁয় ১০ দিন ধরে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বিক্রয় ও বিতরণ রাজশাহী-রংপুর বিভাগের কর্মচারীরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে নওগাঁ শহরের কাঠালতলি এলাকায় নেসকো কার্যালয়ের সামনে বগুড়া, পাবনা, গাইবন্ধা ও জয়পুরহাট থেকে আসা পিচরেট মিটার রিডার ও বিল বিতরণকারীরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নেয়। কর্মবিরতিতে নওগাঁ পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন, বগুড়া সার্কেলের মুখপাত্র সুব্রুত সরকার, বগুড়ার সান্তাহার সার্কেলের সভাপতি মতলেবুর রহমান, জয়পুরহাট জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, নওগাঁ উত্তর শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ অন্যান্যরা। কর্মবিরতী অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী (পিচরেট) ভিত্তিতে মিটার পাঠক ও বিল বিতরণকারী হিসেবে তারা কর্মরত আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি, অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন। ফলে রাজশাহী ও রংপুর এই দুই বিভাগের প্রায় ৬শ জনের ঊর্ধ্বে পিচরেট কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে চরম হতাশার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অবিলম্বে তারা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান। আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রি-প্রেইড সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেম পুরোপুরি চালু হলে আমরা চাকরিচ্যুত হবো। তাই আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এর আগে চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। আমরা এমডির এই প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়