• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নুর মোহাম্মদের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় রোববার (১৪ এপ্রিল) নিহত নুর মোহাম্মদের মা ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।   নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনেরর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল তার দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজানে ওই বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটা খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি আসে নুর মোহাম্মদ।   বিবি খতিজা আরও জানান, বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইলে হুমকি দিতে থাকেন মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং ওই টাকা ফেরত দেন।   তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর মঈন উদ্দিনের চার ভাই তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। পরদিনও মারধর করা হয়। শনিবার ১৩ এপ্রিল বিকেলে মারা যায় নুর মোহাম্মদ।   তিনি আরও বলেন, আমি তাদের কাছে ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তাদের মন গলেনি। নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পিটাতে পিটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। এ হত্যার বিচার চাই।   ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম।   তিনি জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বিবি খতিজা ছয়জনকে আসামি করে রোববার ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। মারধরের কথা স্বীকার করেছে সে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৭

পদ্মায় ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেসহ প্রকৌশলী নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে জুয়েল রানা নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুই জন। তারা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আনসার উজ্জামান। তিনি জানান, জুয়েল রানা (৪০) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা। আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডের রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫)। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। তার ছেলে রিয়াদ রামিন আরিদ (২০)। রিয়াদ মাইলস্টোন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। এর আগে বিকেলে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ৩০-৩৫ জন ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদী ঘুরতে বের হন। এ সময় ধানকোড়ার কাছে পদ্মায় গোসলে নামেন ১০-১২ জন। এদের মধ্যে তিনজন তলিয়ে নিখোঁজ যান।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৫

বন কর্মকর্তা হত্যার রহস্য উন্মোচন
কক্সবাজার উখিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই মামলার প্রধান আসামি ডাম্পার চালক মো. নুরুল ইসলাম বাপ্পিকে ৯ দিন পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উখিয়া থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাপ্পি উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড  হরিণ মারা গ্রামের মো. কাসেমের ছেলে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল জানান, উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দোছড়ি বিটের হরিণমারা এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে ড্রাম ট্রাক (ডাম্পার) গাড়ি ভর্তি করে মাটি চুরি করে নিয়ে যেত। ওই দিন  বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাটি পরিবহনে বাধা দিলে তাকে ডাম্পার ধাক্কায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উখিয়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মামলার এক নাম্বার আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পি চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন, এমন সংবাদে গত সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল পাহাড়খেকো। খবর পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজলসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক চাপা দেয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন। এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো ব্যাংক কর্মকর্তার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রাকচাপায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।  সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোরে শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতের নাম হাসানুজ্জামান (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে। জানা যায়, নিহত হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরা আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, ভোরে ঝিনাইদহ থেকে হাসানুজ্জামান মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থল সাতক্ষীরা আইএফআইসি ব্যাংকের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি সড়কের ওপর পড়ে গেলে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আজিফ।  তিনি জানান, ভোরে ট্রাকচাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করেছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৮

ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ : যত টাকা মুক্তিপণ দাবি 
বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনের পরিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  নেজাম উদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। পরে পরিবার বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পরিবার ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনও আশ্বস্ত করেছে যে, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে তাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।  সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান গণি গণমাধ্যমকে বলেন, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর। তবে মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।  উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

চাঁদা আদায় করতে গিয়ে পিটুনি খেলেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা
ভোলার মনপুরায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা। মেঘনায় অভিযানের নামে চাঁদা দাবি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা এই গণধোলাই দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন। এই ঘটনার জেরে মনপুরা থানায় শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক বিধবা নারী। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭ টায় উপজেলার ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ঢাকার লঞ্চ ঘাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান ও ক্ষেত্র সহকারী মনির হোসেন অভিযানের নামে মেঘনায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। জেলেরা নিয়মিত চাঁদা দিলেও মাঝে মধ্যে তারা জেলেদের জাল পুড়িয়ে দিতো। এতে দিনদিন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জেলেরা। মঙ্গলবার সকালে ফের অভিযান করতে গিয়ে উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের জেলেদের কাছে চাঁদা আদায়ের জন্য ট্রলারে ধাওয়া করে তারা। ধাওয়া খেয়ে জেলেরা নদী তীরবর্তী এক বিধবা নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় দুই মৎস্য কর্মকর্তা বিধবা নারীর ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে চাইলে ওই নারী বাধা দেয়। এ সময় জেলেসহ ওই নারীকে মারধর করে। জেলেদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণধোলাই দেয়। পরে মনপুরা থানা পুলিশ খবর পেয়ে আহত দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান জানান, অবরোধকালীন নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। মেঘনা নদীতে পেতে রাখা জালের কাছে গেলে জেলেরা স্পিডবোটযোগে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার সহকর্মী মনির হোসেন গুরুতর আহত হই। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। উপরস্ত মহলের নির্দেশনা মেনে এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় অভিযোগ করা হবে। উক্ত ঘটনায় ওই বিধবা নারী মনপুরা থানায় এসে দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্তি দায়িত্ব) মারুফ হোসেন মিনার জানান, অনুমতিসাপেক্ষে আমাদের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জেলেরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুজনে গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে উপরস্ত মহলের পরামর্শক্রমে থানায় অভিযোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এ ব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের জেলেদের সঙ্গে মৎস্য কর্মকর্তাদের মারামারি ঘটনার জেরে এক বিধবা নারী থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকেও অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

বন কর্মকর্তা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। রোববার (৩১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। চিঠিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন সাজাদুজ্জামান। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক বন কর্মকর্তা। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মহেশখালীতে মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে আরও এক বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনারও সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। পাহাড় ও বন খেকোদের দমন করতে না পারার ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ধারাবাহিকতায়ই সাজাদুজ্জামানকেও অপহত্যার শিকার হতে হলো। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। একইসঙ্গে প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে বনভূমি রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানোসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানবিভাগ ও ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

ময়মনসিংহে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ত্রিশালের ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫) ও এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, এএসআই রাকিবের পেটে কোপ লেগেছে। তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ ছাড়া এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই রসুলের কনুইয়ের ওপরে কোপানোর আঘাত রয়েছে। শুরুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। আহতদের বেডে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, বেদেনা নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। আসামিকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাতাড়ি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে তার মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আসামি বেদেনাসহ অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯

৭০০ শিক্ষার্থীকে হলে পৌঁছে প্রশংসায় ভাসছেন রেল কর্মকর্তা অসীম
মানবহিতৈষী আমাদের ‘রেলওয়ে ম্যান’ অসীম কুমার তালুকদার। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। এতে প্রশংসায় ভাসছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ওই মহাব্যবস্থাপক। জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ছিল। এদিন এই ইউনিটের চতুর্থ ও শেষ শিফটের পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা দিতে ধূমকেতু ট্রেনে আসছিলেন প্রায় ৭০০ পরীক্ষার্থী। আর তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে হলে পৌঁছাতে ঘটে এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে ট্রেনের ইঞ্জিন খুলে আরেক ট্রেনে লাগাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে হয়েছিল ট্রেন। অসীম কুমার তালুকদার ৫ মার্চের সেই ভ্রমণের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখে পোস্ট করেছেন। হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আজকের ধূমকেতুর যাত্রা’ শিরোনামে ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, গতকাল (৫ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়তেই দেরি হয়ে যায়। বেলা ১১টায় হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বেলা ৩টা নাগাদ রাজশাহীতে পৌঁছাবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ট্রেনটি অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন এনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস আবার চালু করা হয়। তখন হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছিল। তবে দুশ্চিন্তা ছাড়ছিল না। সময়মতো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। উপায় না পেয়ে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাস করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটি থামে। পরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত দৌড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেন। অসীম কুমারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা তাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর দাবিও তুলেছেন। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্ট ছিল। ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। থ্যাংকফুলি পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনের মহাব্যবস্থাপক সেটা মনিটর করেছেন। নিজে রাবি’র ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষায় লেট এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছেন। অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ওই নষ্ট ট্রেনে সেট করে দ্রুত রাজশাহী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতো কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। একটু সহমর্মিতা, একটু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে চোখের পানি ফেলতে হয়নি। তার নাম অসীম কুমার তালুকদার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একটা পচে যাওয়া সময়ে অসীম যা করেছেন, তা আসলেই রেলওয়ের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরাও সুর মিলিয়ে বলতে পারি- অসীম, আপনি যা করলেন, তার জন্য ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। এই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-ও হয়, তবু আপনার ঠাঁই হবে মহাকালের অনন্ত যাত্রায়।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

গাজীপুরে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমসের উপকমিশনার বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। সোমবার (৪ মার্চ) দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বায়েজিদুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। বিল্লাল হোসেন বর্তমানে রংপুর কাস্টমস হাউজে ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটে কর্মরত। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের সম্পদের তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। পরে তিনি ২০২০ সালে ২৭ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে উপকমিশনার বিল্লাল হোসেনের নামে ৫১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পান। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে বিল্লাল হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে ৫৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ এক কোটি ১৩ লাখ এক হাজার ৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ওই সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের নামেও আরেকটি মামলা করা হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়