• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোডে আগুন / ভবন কর্তৃপক্ষকে ৩ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা ওই ভবনের কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। মাইন উদ্দিন বলেন, ওই ভবনে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। ভবন কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই ভবন কর্তৃপক্ষকে এর আগে অগ্নি নিরাপত্তাসংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচ তলা থেকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্তে করে সবকিছু দেখা হবে।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

বিয়ে করলেই কর দিতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে (ভিডিও)
এবার বিয়ে করলেই কর দিতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যবস্থা চালু করেছে। সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বিয়ে ব্যবস্থা শৃঙ্খলার আওতায় আনতে ৭৫টি ওয়ার্ডেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম বিয়েতে দিতে হবে ১০০ টাকা। এরপর প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি সাপেক্ষে দ্বিতীয় বিয়েতে পাঁচ হাজার, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় অনুমতি সাপেক্ষে তৃতীয় বিয়েতে ২০ হাজার এবং একইভাবে চতুর্থ বিয়েতে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রী যদি মানসিক ভারসাম্যহীন বা বন্ধ্যা হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ের জন্য দিতে হবে ২০০ টাকা। আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী এ কর আদায় হবে। এক্ষেত্রে কনে পক্ষের কোনো টেনশন নেই। কারণ টাকা গুণতে হবে পাত্র পক্ষকে। আগে থেকেই এমন আইন থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রথম। ধারাবাহিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রথমে ম্যানুয়ালি টাকা আদায় করা হলেও পরবর্তীতে অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।  শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে বিয়েতে অতিথি নিয়ন্ত্রণ কর আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়