• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলে হামলার পর কমেছে তেলের দাম
ইরান ইসরায়েলের ওপর হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে  বাস্তবে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। ইসরায়েলে হামলার পর সামান্য হলেও কমেছে তেলের দাম।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। এদিন সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে। তবে তা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। যদিও ইরান ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওপর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। এদিকে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। যা গত ছয় মাসের মধ্যেও ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত। গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে হিসাব করলে তা ছিল সর্বোচ্চ। এরপর থেকে কমে তা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমে আসে।  সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমে যায়। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ এবং বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। দেশটিতে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করা হয়। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ওই আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১১

কালবৈশাখীর পর কমেছে তাপমাত্রা, জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বয়ে গেছে কালবৈশাখীর তাণ্ডব। এ সময়ে ঝোড়ো হওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। ফলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তীব্র ভ্যাবসা গরম কিছুটা কমছে। তবে রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর রমনা এলাকায় রিক্সাচালক আকবর হোসেন বলেন, গত দুই দিনের তুলনায়, গরম কম। ঠান্ডা বাতাসও বইছে। অনেকটা স্বস্তি লাগছে। অপরদিকে বসুন্ধরা এলাকায় পথচারী লোকমান হোসেন বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। শনিবারও এসেছিলাম। তবে আজ গরম কিছুটা কম। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রোববার (৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার (৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সাতক্ষীরায় ২৯ মিলিমিটার। সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি। এছাড়া, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। তবে আগামী ৫ দিনে সারাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে  ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১১

হিলিতে কমেছে জিরার দাম, বেড়েছে অন্যান্য মসলার দাম
ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজারে বেড়েছে বিক্রি, আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম। তবে জিরার দাম কিছুটা কমেছে। ভালো মানের মসলা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিলি বাজারে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। দাম বেশি হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।  উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুরের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত হিলি সীমান্ত। হিলি সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এখানে খুব সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের মসলা। চলছে রমজান মাস, আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে বিক্রি। জিরার দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমে বর্তমানে নিম্ন মানের জিরা ৫৯০ টাকা এবং ভাল মানের জিরা কেজিপ্রতি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জিরার দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে সাদা এলাচ, কালো এলাচ, লবঙ্গ, কিসমিচ এর দাম। সাদা এলাচ কেজি ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকায়, কালো এলাচ কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকায় এবং কেজিপ্রতি ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষগুলো।  বগুড়া থেকে হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম, মেহেদি হামান বলেন, আমরা হিলি বাজারে বগুড়া থেকে মসলা কিনতে এসেছি। হিলিতে মসলার দাম অনেকটাই কম। কিন্তু এসে দেখি শুরু জিরার দাম কম, এ ছাড়া সব মসলার দামই বেশি। তবে হিলিতে এসে বিভিন্ন রকমের মসলা দেখে কিনা যায়। যার জন্য হিলিতে আসা।  হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা মহসীন আলী বলেন, রমজান মাস এবং সামনে ঈদকে সামনে রেখে হিলি বাজারে মসলা বিক্রি শুরু হয়েছে। আগের থেকে বর্তমানে বেশি পরিমাণ মসলা বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের দোকান খোলা থাকে। বর্তমানে চাহিদা বেশি থাকার কারণে মসলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে।  হিলি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী বলেন, বাজারে ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে বাজার করতে পারে সেই লক্ষে আমরা বাজার কমিটি কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাজারের ব্যবসায়ীরা গত বছরের থেকে এই বছর ভাল ব্যবসা আসা করছি।   হিলি স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারকের প্রতিনিধি জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনেকটাই বেড়েছে জিরার আমদানি। আগে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ ট্রাক জিরা আমদানি হতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এখন তা ৭ থেকে ৮ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। এসব জিরা আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। প্রতি কেজি জিরার শুল্ক দিতে হয় ২৩৩ টাকা। আমদানি বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে জিরার দাম কমেছে।  হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে জিরা আমদানি হয়েছে ৪৫৭ ট্রাকে ৭ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম, অপরিবর্তিত আদা-রসুনের দাম 
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আরেক দফায় কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বেশি এবং ক্রেতা সংকটের কারণে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।  অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহ থেকে আদা এবং রসুনের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। আদা কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় এবং রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।  হিলিতে কাঁচাবাজার করতে আসা গোলাম মোস্তফা বলেন, হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ অনেক রয়েছে। দামও অনেকটাই কমেছে। হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ৩০ টাকার মধ্যে যদি কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হতো তাহলে আমাদের জন্য অনেকটাই সুবিধা হতো।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও অনেকটাই কমেছে দাম। আমরা মোকামে কম দামে কিনে খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলেও চলবে। দেশের বাজারে এখনো অনেক পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে। 
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারত। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও দেশের বাজারে কমেছে পণ্যটির দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা থেকে কমে ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৭ থেকে ৫৩ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫২ টাকায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, কারওয়ান বাজার এবং শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কিনেছে। তাই বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় ইতোমধ্যে খেত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমে গেছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আশরাফ সরকার জানান, তিন দিন আগে তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪২ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৩৭ টাকায়। তিনি বলেন, সাঁথিয়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতাম। তারা দাম কম দেওয়ায় কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে যাই। পরিবহনের জন্য বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে লাভ হয়নি। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম দুইদিন বেশি ছিল উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানা নাসিরা বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় বাড়তি দাম স্থায়ী হয়নি। বাজারে দেশি পেঁয়াজ চলে আসায় দাম কমে গেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে এর মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর চলতি বছরের ২৩ মার্চ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তখন দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কিছুটা বাড়লেও, দুইদিন পর থেকে কমতে শুরু করে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫

দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ কমেছে
দেশে দুই বছরের ব্যবধানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বাড়া এবং এ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতি থাকায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, দেশে ২০২১ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা ২০২২ সালে কমে হয় ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর ২০২৩ সালে এই হার আরও কমে ৬২ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহাকারী বেশি কমেছে (১ দশমিক ৩ শতাংশ)। ২০২২ সালে গ্রামে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ থাকলেও ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২২ সালে শহরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে শহরাঞ্চলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কমার হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  গ্রামাঞ্চলে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মেয়ের কিশোরী বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেই না। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়ে এখন মাঠকর্মীরা আর বাড়ি বাড়ি যান না। এ বিষয়ে তেমন প্রচারণাও নেই। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী বাড়াতে প্রচার-প্রচারণায় জোর দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তারা। জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সরকারের দৃষ্টি কমে গেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে, বাজেটেও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মনজুর হোসেন বলেন, একদিকে দেশে ধনি শ্রেণির পরিবারে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হারের ওপর।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৫

আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম, বেড়েছে ডিমের
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম, তবে বেড়েছে ডিমের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। এ সময় ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কমলাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিল এখন বর্তমানে তা ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত শুক্রবারও এক ডজন ডিম ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। তবে দুদিনের ব্যবধানে নতুন করে ডিমের দাম বেড়েছে। এখন প্রতি ডজন ডিম ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়াই পেঁয়াজের দাম কমেছে। অন্যদিকে, চাহিদা বাড়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, হটাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। সোমবার আড়ত থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনে এনে আজ তা ৬০ টাকাতেই বিক্রি করছি। গত শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি করেছি। ডিম বিক্রেতা সোহান রহমান বলেন, রমজানের শুরুতেই ডিমের দাম ১৪০ টাকা ছিল। মাঝে কমে ১২০ টাকায় আসে। শুক্রবার থেকে দুই তা আবারও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি করছি। ডিমের চাহিদা বাড়ার কারণে হয়তো দাম বেড়েছে। এদিকে, ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। লাল লেয়ার ও সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৪০ টাকা। সবজির বাজারে বরবটি ৭০-৮০ টাকা, সজনে ডাটা ৩০০-৩২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৪০ টাকা, গুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, শিম ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কলা ৩০-৪০ টাকা ও প্রতি আটি ডাটা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৭

ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।  গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’ এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৯

হিলিতে ক্রেতা সংকট, কমেছে পেঁয়াজের দাম
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বর্তমানে প্রকারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। যা গত তিনদিন আগে বিক্রি হয়েছিলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।  ক্রেতা সংকটের কারণে বিক্রি না হওয়াতেই কমেছে দাম, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।  রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম, মিনারুল আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম এই বৃদ্ধি এই কম। কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে কিছুটা দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো। হিলিতে কোনো প্রকার বাজার মনিটরিং করা হয় না। আগে ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতাম এখন কমিয়ে দিয়েছি। ১ থেকে ২ কেজি পরিমাণ পেঁয়াজ এখন ক্রয় করি।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, বৈরী আবহাওয়া সেই সঙ্গে বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আমাদের কিছুটা লোকসান হলেও কাঁচামাল বেশি দিন রাখা যাবে না, সেই জন্য লোকসান করেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯

দেশে তালাকের সঙ্গে বিচ্ছেদও কমেছে
দেশে ২০২৩ সালে তালাকের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.১ শতাংশে। যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪ শতাংশ। ০.৭ শতাংশ ছিল ২০২১ সালে। এ ছাড়াও দেশে দাম্পত্য বিচ্ছেদের হারও কমেছে। গত বছর দাম্পত্য বিচ্ছেদের হার ছিল ০.২৬ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ০.২৯ শতাংশ ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গ্রামে তালাকের হার ছিল ২০২৩ সালে ১.১ শতাংশ, এর আগের বছর যা ১.৪ শতাংশ ছিল। আর শহরে এ হার ০.৯ শতাংশ, এক বছর আগে যা ১.০% ছিল। এদিকে, প্রাপ্তবয়স্ক হলেও দেশের পুরুষরা ৩৫.৮ ভাগ অবিবাহিত। এদের কখনো বিয়ে হয়নি। এটি ২০২৩ সালের অবস্থা। ২০২২ সালেও ছিল একই চিত্র। নারী মধ্যে বর্তমানে ২১ দশমিক ৭ ভাগ কখনো বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালে এর হার ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিয়ের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে নারীরা। এছাড়া মৃত্যুহারের বিষয়ে বলা হয়, নারীর থেকে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর সেখানে নারীর ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। আর প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়