• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনে কমিটির কার্যক্রম শুরু
ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গঠিত ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম সংক্রান্ত মতামত/সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিব মুহাম্মদ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নির্দেশে গত ২৪ মার্চ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিবকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সদস্যদের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের কন্ট্রোলার/লাইসেন্স ম্যানেজার মো. জুলফিকার রহমান কোরাইশী, অ্যাসোসিয়েশ অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর প্রতিনিধি নাভিদুল হক ও রাফিদ কাদের রিভু, বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস (আকাশ) এর হেড অফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রকাশ কান্তী দাশ ও হেড অব লিগ্যাল মো. ইমতিয়াজ রহমান, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশারফ আলী চঞ্চল, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি মো. ইমদাদুল হক ও মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁঞা অংশগ্রহণ করেন। সভায় ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ ও ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১০ (সংশোধিত-২০২৩) অনুযায়ী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে ক্যাবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োজনীয়তার ওপর কমিটির সদস্যরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম সংক্রান্ত মতামত/সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের মতামত লিখিতভাবে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে কমিটির কাছে জমা দেবেন। সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত কমিটি দ্রত সময়ের মধ্যে ক্যাবল টিভি ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্ত একটি সমন্বিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করে তা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর কাছে পেশ করবেন।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৮

মনপুরায় ফিশারিজ কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির ত্রৈমাসিক সভা
ভোলার মনপুরায় উপজেলা ফিশারিজ কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্টের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ফিশিং ইন্টারভেনশন ফান্ড, অবরোধকালীন সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা, মডেল গ্রামে ফিশার্স গার্ড নিয়োগ, মনিটরিং টিম গঠন ও একনজরে মনপুরা ক্লাস্টারের অগ্রগতি তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। উপজেলা মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান।  সভা শেষে জেলেদের অবরোধকালীন বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য একটি স্ট্রিট ফুড মোবাইল ভ্যান, একটি আধুনিক কলেস্টোরেল ও একটি আধুনিক ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়। এ সময় আরও উপন্থিত ছিলেন কোস্টের মনপুরা শাখা ব্যবস্থাপক এসএম সায়েম, ফিল্ড ম্যানেজার আরাফাত হোসেনসহ স্থানীয় জেলে ও গণমাধ্যমকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে জবির তদন্ত কমিটির বৈঠক 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা অবন্তিকার আত্মহত্যার স্থান পরিদর্শন ও অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ের অরনিকা পার্কের বাসার দ্বিতীয়তলায় ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা এসেছেন আমার কাছে। উনারা তথ্য নিয়েছেন। উনারা বলেছেন, আমি ন্যায়বিচার পাব।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৫

ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা বৃহস্পতিবার
১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার নির্ধারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন। সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন। নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়। গত বছরের (২০২৩ সাল) নির্ধারিত ফিতরার হার ছিল উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের ক্ষেত্রে এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৩

অবন্তিকার মৃত্যু : তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির বিজ্ঞপ্তি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। সোমবার (১৮ মার্চ) কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন। কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের নিকট জমা করে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। এ ঘটনায় গত ১৬ মার্চ রাতে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৯

অবন্তিকার আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটির প্রথম সভা আজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রথম সভা বসছে আজ রোববার। কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় প্রথম সভা হবে। কিভাবে কত দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট প্রদান করা যায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কতদিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের কোনো সময় বেধে দেওয়া হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন উপাচার্য। আশা করি দ্রুততম সময়ে আমরা রিপোর্ট পেশ করতে পারবো। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। এদিকে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির কথাও উল্লেখ করেন। এর আগে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন দুজনকে। তারা হলেন, সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ইতোমধ্যে সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরকে আটক করেছে পুলিশ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১

বান্দরবানে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক
বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টায় রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ও পুনর্বাসন করতে আলোচনা হয়। এ সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, মনিরুল ইসলাম মনু, উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, সি অং খুশী, সিং ইয়ং ম্রোসহ ১৩ সদস্য এবং কেএনএফের মুখপাত্র লাল জং ময় বমের নেতৃত্বে কেএনএফের ৮ সদস্য বৈঠকে অংশ নেয়। কেএনএফের অন্য সদস্যরা হলেন- কেএনএফের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার, কেএনএফ’স রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগ-এর সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময় সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, উপদেষ্টা লালএংলিয়ন, এক্সেকিউটিভ মেম্বার পাস্টর ভানলিয়ান, গ্রাহাম বম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রুয়াললিন বম, সাংপাহ খুমি, আজৌ লুসাই।  বৈঠক শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা যথেষ্ট আন্তরিক, তারা বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করেছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে বৈঠক আরও হবে। একদিনে তো আর সব সমাধান হবে না। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে সমাধানের পথ খুঁজে পাবো। তবে আমাদের আজকের আলোচনা সফল হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ নভেম্বর রুমার মুনলাই পাড়ায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

শাবি প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক সম্পন্ন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব’ এর ১৯তম কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে।  সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানে নবগঠিত কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম রুদ্রের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীণ, ক্লিন ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উদাহরণ। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে শাবি প্রেসক্লাব। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের বুদ্ধি দেবেন, পরামর্শ দেবেন। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। এ জন্য আপনাদেরকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এতে উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় থাকবে। স্মার্ট সিটি গঠনে তিনি বলেন, সিলেটের সকল হকারদের বিক্রয়ের জায়গার সুবিধার্থে শহরের পাশে একটা জায়গা ব্যবস্থার কাজ চলছে। সিলেট সিটিকে রাজশাহী সিটির চেয়েও অধিক ক্লিন, গ্রীণ ও স্মার্ট সিটি গঠন করা হবে এবং আমরা সেদিকে এগুচ্ছি। এর আগে অতিথিবৃন্দ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের বার্ষিক ম্যাগাজিন ‘কথন-৪’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রেসক্লাবের চিফ অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শাবি প্রেসক্লাব ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন মিশন হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য। অনুষ্ঠানের কী-নোট স্পিকার হিসেবে আলোচনা করেছেন দেশের অন্যতম জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজকের পত্রিকার’ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। আলোচনায় তিনি বলেন, সমাজে প্রত্যেক প্রেসক্লাবের ইন্টারনাল পাওয়ার আছে, যেটি সমাজ উন্নয়ন ও পলিসি নির্ধারণে প্রভাব রাখে। সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজ গড়ার কারিগর। পেশাজীবী এ সংগঠন শুধু তথ্য সংগ্রহ করেই না, তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি জ্ঞান জগতকে প্রসারিত করে এবং তাতে বস্তুনিষ্ঠতা বের হয়ে আসে। সমাজের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মূল কারিগর সাংবাদিকরা। শাবি প্রেসক্লাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে ১৮ জন সাংবাদিক। তারা সংখ্যায় অল্প হলেও দেশব্যাপী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এজন্য ক্যাম্পাসের কল্যাণে তাদের সহযোগিতা করতে হবে। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টা, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক, গুণীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্যারিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০০:২৫

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কমিটির অভিষেক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির (২০২৪-২৬ মেয়াদ) অভিষেক অনুষ্ঠান ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।  নবগঠিত কমিটির সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেমন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, একইভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কেন্দ্রীক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেই বিশ্ববিদ্যালয় গতিপ্রাপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা রইলো। এই ভালোবাসা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনায় কর্মকর্তাদের যে অপরিসীম সহযোগিতা পেয়েছি, সেটি সত্যিই আমাকে বিমোহিত করে। আমি এই সংগঠনের সার্বিক সফলতা কামনা করছি। সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ রাসেল ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাকিবুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) মোফাজ্জল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু হলের সেকশন অফিসার আপেল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক পদে রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার মাহমুদুল আহসান (লিমন), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউদ্দৌলাহ প্রধান এবং ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এনায়েত কবির নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) এ কে এম জহিরুল হাসান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গোকুল চন্দ্র বসাক, বঙ্গবন্ধু হলের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান (মামুন), সিএসই বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (সফটওয়্যার) প্রকৌশলী মো. আলমগীর কবির ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার নুসরাত জাহান।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৯

শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যু, তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
গাজীপরে শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যুর ঘটনায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এ সময় তারা সেখান থেকে কয়েকটি মারা যাওয়া পাখির নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটাপাড়া গ্রামের পাখি মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ওইদিন (বুধবার) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিটপাড়া গ্রামে অর্ধশতাধিক পাখি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। পাখি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল সিট পাড়া গ্রামের গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড (পোশাক কারখানা) সামনে কয়েকটি গাছ এবং স্থানীয় কৃষকদের শস্যখেত রয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সরেজমিনে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে পাখি মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি ও মৃত পাখি সংগ্রহ করি। এ সময় জানতে পারি ওইদিন স্থানীয় গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড কারখানা শ্রমিক চা বিরতির সময় (সকাল ১০টায়) কারখানা থেকে বাহিরে বের হলে দেখতে পান কয়েকজন নারী ও শিশু মারা যাওয়া পাখিগুলো ওই কারখানার সামনে এনে এক জায়গায় জড়ো করে রাখছে। পরে সে মারা যাওয়া পাখিগুলোর ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পোস্ট করে। ফেসবুকে পোস্টে তথ্য প্রচার দেন কৃষকের খেতের ফসল প্রায় নষ্ট করে ফেলায় ক্ষেতে দেয়া বিষ বা বিষ মিশ্রিত পানি খেয়ে অর্ধশতাধিক পাখি মারা গেছে। বাস্তবে মৃত পাখির সংখ্যা আরও কম। বুধবার আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১২টি মৃত পাখির তথ্য জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে ২টি ছিল তিলা ঘুঘু এবং বাকি ১০টি ছিল বনছাতারে পাখি (অঞ্চলিক নাম খেই খেই পাখি)। এগুলোর মধ্যে ১০টি মৃত পাখি ঢাকায় আই আর ডিসি আর ল্যাবে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা হিসেবে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আকস্মিক পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, আশপাশে সবজিখেত রয়েছে। আগের দিন হয়তো কেউ সেখানে কীটনাশক স্প্রে/প্রয়োগ করেছে। ওই বিষ কিংবা কীটনাশক খাওয়া কোনো পোকামাকড় খেয়ে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এরকম ঘটনা ঘটে থাকতে পরে বলে মনে করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। সকাল বেলা খালি পেটে পাখির ফিডিং টাইমে ওই পোকামাকড় খাওয়ার পরে হয়তো পাখি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষ প্রয়োগ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে পাখি মারার জন্য কেউ বিষ প্রয়োগ করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এটা ছিল বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা। তবে ঢাকার রোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারে স্যাম্পল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সর্জিন মোস্তাফিজুর রহমানও জানালেন একই তথ্য। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি অফিসার রুবিয়া ইসলাম ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার খামারবাড়িতে কর্মরত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত ভেটেরিনারি সার্জন ফয়সাল আতিক, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ অফিসার কাজী নাজমুল হোসেন, চারজন ভেটেরিনারি সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়