• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কবুতর পালার আড়ালে ছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা
নারায়ণগঞ্জ শহরে একটি আবাসিক ভবনে কবুতর পালার আড়ালে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি কারখানা দেওয়ার অভিযোগে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আটক করা হয় তাকে। আটক ব্যক্তির নাম করিম মিয়া। তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাসিন্দা।  নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া শাহ সুজা রোড এলাকায় বোনের ভাড়া করা বাসায় থাকতেন। গোয়েন্দা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে দুটি পিস্তল ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ধরেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, করিমের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান (এক নলা বন্দুক), একটি কার্তুজ, শটগানের গুলি, দেশি রিভলবার ও পাইপগান তৈরির সরঞ্জাম, ড্রিল মেশিন ও কাটার জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করিম মিয়া পিস্তল ও রিভলবার তৈরি করে বিক্রি করতেন। প্রায় এক মাস আগে থেকে আমরা তাকে নজরে রাখছিলাম। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত, ক্রেতা কারা, তাও খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। তার আরেকজন সহযোগী আছে বলেও জেনেছি৷ তাকেও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনব৷ এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন৷
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

বিষ প্রয়োগে ৪০০ কবুতর হত্যা
যশোরের মণিরামপুরে মটরশুটি খেতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৪০০ কবুতর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তাজপুর গ্রামে খেতের মালিক সাজ্জাত হোসেনের দেওয়া বিষে ওই ৪০০ কবুতরগুলো মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় ওই খেত মালিক সাজ্জাতের কোনো আফসোস নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাজ্জাত হোসেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার তাজপুর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। জানা যায়, উপজেলার মুক্তারপুর তালসারি তেঁতুলতলা মাঠে দুই বিঘা জমিতে মটরশুটি চাষ করেছেন একই গ্রামের সাজ্জাত হোসেন। তিন দিন আগে ওই খেতে বিষ প্রয়োগ করেন তিনি। এতে গত দু’দিনে মটরশুটি খেয়ে অন্তত ৪শ কবুতর মারা গেছে। তাজপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন, তোরাফ আলী, আজিজুর রহমান, ফজলুর রহমানসহ ক্ষতিগ্রস্ত কবুতর মালিকরা জানান, গ্রামের অনেক মানুষের পোষা কবুতর এভাবে মারা হয়েছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা। এ বিষয়ে খেতের মালিক সাজ্জাত হোসেন বিষ প্রয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, লাভের আশায় মটরশুটি লাগিয়েছি। টাকা-পয়সা খরচ করে চাষকৃত মটরশুটি কবুতর খেয়ে ফেলায় বিষ প্রয়োগ করেছি। এতে কবুতর মারা গেলে তার কিছু করার নেই। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, কবুতরকে মেরে ফেলার বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২১

৮ বছর ধরে আশরাফুলের দোকানে খেতে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে কবুতর
আট বছর আগে দোকানের বারান্দায় একটি অচেনা কবুতর এসেছিল। কবুতরটিকে খেতে দেন দোকানি আশরাফুল ইসলাম। পরদিন একই সময়ে দোকানে আসে তিনটি কবুতর। তাদেরও খেতে দেন তিনি। এর পর থেকে দোকানের সামনে বারান্দায় বাড়তে থাকে কবুতরের সংখ্যা। এখন প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা বাজলেই দুই শতাধিক কবুতর এখানে এসে হাজির হয়। খাবার ছিটিয়ে দিলে তা খেয়ে আবার চলে যায়। কবুতরের প্রতি ভালোবাসা দেখানো দেখাই সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে।  প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় দয়াল ভান্ডার নামের সবজির আড়তে। আড়তের মালিক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের বাড়ি পৌরসভার মাহমুদপুর মহল্লায়। আট বছর ধরে তিনি এসব কবুতরকে প্রতিদিন নিয়ম করে দুপুরের খাবার হিসেবে গম, সরিষা খাওয়ান। টিনের চালের ওপরে বিদ্যুতের তারে পূর্ব-পশ্চিম লম্বা সারিতে বসে আছে অনেক কবুতর। বাকবাকুম, বাকবাকুম শব্দে মুখর আশপাশ। আশরাফুল যখনই হাতে খাবারের থলে নিয়ে দোকানের বারান্দায় আসেন, তখনই কবুতরগুলো তাকে ঘিরে ধরে। খাবার ছিটিয়ে দিলে পাল্লাপাল্লি করে তা খেয়ে নেয়। তখন বাজারের অন্য দোকানি, ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ মুগ্ধ হয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করেন। কবুতরগুলো কোথা থেকে আসে, তা জানেন না আশরাফুল। তবে কবুতরগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি আনন্দ পান। এসব কবুতরকে খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন তাকে দেড় থেকে দুই কেজি গম ছিটাতে হয়।  বিরামপুর নতুন বাজারের আছমান আলী, রবিউল ইসলাম, মোসলেম উদ্দীন বলেন, কবুতর ছাড়াও একই সময়ে দোকানের টিনের চালে খাবারের জন্য আসে অচেনা ২০ থেকে ৩০টি কাক। তাদেরও নিয়ম করে খাবার হিসেবে পাউরুটির টুকরা ছিটিয়ে দেন টিনের চালে। এতেই থেমে থাকেননি আশরাফুল ইসলাম। দিনের বিভিন্ন সময় দোকানে খাবার খেতে মা-ছানাসহ আসে চারটি বিড়াল। পাশের আড়তের সবজি ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন আদর করে পুরুষ বিড়ালটির নাম রেখেছেন ‘সম্রাট’। নাম ধরে ডাকলে বিড়ালটি আশরাফুলের দোকানে ছুটে আসে খাবার খেতে। তাদের খাবার হিসেবে দেন পাশের দোকান থেকে কেনা কেক। জীবের প্রতি তার এই ভালোবাসা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উচ্ছুক জনতা। কবুতরপ্রেমী আশরাফুল ইসলাম বলেন, কবুতরগুলো টিনের চালে ঝাঁকে ঝাঁকে এলে কখনো আশরাফুল নিজে খাবার দেন। কখনো দোকানের কাজে তিনি ব্যস্ত থাকলে দোকানের কর্মচারী খাবার দেন। খাওয়া শেষে কবুতরগুলো চলে যায় যে যার গন্তব্যে। কবুতরগুলোকে এভাবে খাওয়াতে পেরে মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে, নিজের মধ্যে তৃপ্তি লাগে। বিরামপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, জীবে প্রেম তো নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় কাজ। ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম নিঃস্বার্থভাবে এতগুলো পশুপাখিকে প্রতিদিন খাবার দিচ্ছেন, সেটি প্রকৃতির প্রতি তার অকৃত্রিম প্রেম। পশুপাখি থেকে কেউ কোনো স্বার্থ আশা করেন না। কবুতর তো সুখের পায়রা। কবুতর যেখানে ভালোবাসা পায়, সেখানে যায়। বিরামপুর পৌর মেয়র আক্কাস আলী মন্ডল বলেন, আশরাফুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ এবং সফল ব্যবসায়ী। মানুষকে ভালোবাসার পাশাপাশি তিনি জীবকে অনেক ভালোবাসেন। এটি আসলেই একটি মহৎ কাজ। কবুতরগুলো মানুষটির কাছে ভালোবাসা পাচ্ছে। আমি এটিকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখছি। 
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়