• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কবি নজরুল কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল নুর (২৩) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শামীম (২৪) নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) উত্তর মুগদায় রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুগদা লিটন এঞ্জেল গলিতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন নুর। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুরের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

কবি ঋজু রেজওয়ানের কাব্যগ্রন্থ ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ 
‘অমর একুশে বইমেলা ২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে কবি ঋজু রেজওয়ানের কাব্যগ্রন্থ ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’। বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী।  ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ কবির তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করেছে ‘সুখ+মানুষ = জামা>গিলোটিন’ এবং ‘বিপ্রতীপতা (+) হাইটেক বাই ফোকাল’ নামের দুটি কবিতাগ্রন্থ। ঋজু রেজওয়ানের লেখালেখির চর্চা কৈশোরে স্কুল দেয়ালপত্রিকা ‘উদয়ন’-এর সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। তিনি নিয়মিত লিখছেন ছোট-বড় কাগজে এবং দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে। কবিতা, কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধ, শিশুতোষ ছড়া ছাড়াও পদ্যও লিখছেন সমান আগ্রহে। ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঋজু রেজওয়ান বলেন, এর প্রতিটি কবিতা শাস্ত্রীয় ছন্দের নানারকম পরীক্ষা ও নীরিক্ষার এক আকর গ্রন্থ হলেও এর প্রতিটি কবিতা সাবজেক্টলি অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল দিক থেকে বিবেচনা করলে এ সবই আবহমান কবিতার চিরায়ত সুর ঝংকৃত হয়েছে এ কবিতাগ্রন্থে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, তার প্রথম দুটি কবিতাগ্রন্থের বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর।’ এ কবিতাগ্রন্থে দুটি পর্ব। ‘জ্যা ~ মন নাচমিতি’ পর্বে ২৪টি কবিতা ও ‘এবং জলপ্রহর’ পর্বে ২৭টি কবিতা সন্নিবেশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শামীম আরেফিন। পাওয়া যাবে ১৪৭-১৪৮ স্টলে।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬

একুশের ভোরে চিরবিদায় নিলেন কবি শামছুদ্দিনের ছেলে
‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে বাঙালি, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি’- মর্মস্পর্শী এ গানের রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শেখ শামছুদ্দিনের বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন খোকন (৬৬) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  বেশ কিছুদিন ধরেই দেলোয়ার হোসেন অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ সন্তান ও এক ভাই রেখে গেছেন। বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বাবার স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনা আর অভিমান নিয়েই একুশের ভোরে কবি পুত্রের এ প্রস্থান বলছেন তার পরিবারের সদস্যরা।  দেলোয়ার হোসেনের পরিবার বলছে, ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরেও চারণ কবি শেখ শামছুদ্দিন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় এক বুক অভিমান নিয়েই বিদায় নিয়েছেন কবিপুত্র।  উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সময় পাক সেনাদের নির্বিচার গুলিতে ছাত্র নিহত হওয়ার খবর বাগেরহাটে পৌঁছার পর ওই রাতেই কবি শামছুদ্দিন ‘ভাষা আন্দোলন’ নিয়ে গান রচনা করেন। পরদিন সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠে (বর্তমান এসি লাহা মিলনায়তন) এক আবেগঘন প্রতিবাদ সমাবেশে কবি শামছুদ্দিন স্বরচিত ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে বাঙালি, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি’ লেখা গানটি নিজ কণ্ঠে গেয়েছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২২

ড. কামাল আবদুল নাসেরের সঙ্গে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের মতবিনিময়
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।  ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।  যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীরকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি জনাব তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।  কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

কবি বঙ্গ রাখালের দুটি কবিতার বই ‘কে বলে দাঁড়িয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়’ ও ‘জন্মান্ধ ঘোড়া’ 
এবারে বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে কবি বঙ্গ রাখালের দুটি নতুন কবিতার বই ‘কে বলে দাঁড়িয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়’ ও ‘জন্মান্ধ ঘোড়া।’  ‘কে বলে দাঁড়িয়ে আছি তোমার অপেক্ষায়’ কবিতার বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন প্রচ্ছদশিল্পী মঈন ফারুক। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে ২৩৯ নম্বর স্টলে।  ‘জন্মান্ধ ঘোড়া’ কবিতার বইটি প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন প্রচ্ছদশিল্পী তৌহিন হাসান। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে অনুপ্রাণন প্রকাশনীর ৮৫-৮৬ নম্বর স্টলে।  কবি বঙ্গ রাখালের কবিতা সম্পর্কে কবি ও গবেষক সুমন শামস বলেন, কলহমোহনীয় কোনো উর্বশীর মতো ঠোঁটকাটা সুন্দর তার কবিতা। জোয়ানী রোদে পেশি ফুলিয়ে অক্ষর জ্বেলে তারা বাঁচে। স্বঘোষিত মহারাজার মতো তার কবিতার মাস্তান হয়ে ওঠেন তিনি নিজেই। যখন বলেন, ‘আমি আসলে ঝিনাইদহের ছেলে। বিশাল পৃথিবীর এককোণে ঝুলে থাকে ঝিনাইদহ–মুখের ওপর বলতে পারি না। মেজাজটা আজ খারাপ তাই কাউকে কুত্তা-মাগীর ছা বলতেও ছাড়ি না।’ অক্ষরের শরীরহীন মুণ্ডু হাতে নিয়ে তিনি লেখেন শ্বাপদ ঠেঙানো কবিতা। রাজনীতি আর স্তনফোলা ক্ষমতার মাঝখানে শতাব্দীর ধারালো চাকু বসিয়ে দেন তিনি। নির্মোহ নির্দয় এ ক্ষেত্রে তার কবিতার স্বরাট। প্রেম বিলাসেও খুব সন্তর্পণে তিনি ক্ষমতা ও রাজনীতিকে প্রাসঙ্গিক করে তোলেন।  পাঠে একটা সুখদায়ক আরামের অনুভূতি থাকে তার কবিতায়। খুব অবলীলায় প্রান্তিক ভাষাকে তিনি জুড়ে দেন কবিতার সাহেবিআনার সাথে। তাতে কবিতার ভাষা মধ্যবিত্ত অহমিকায় নিটোল দাঁড়িয়ে থাকে। সহজের ভেতরে একটা কী যেন অনির্বচনীয়তা ঠুকে দিতে পারেন তিনি। তখন তার কবিতাকে মনে হয় প্রিয়তমার অপার্থিব মুখ। কোনো মোনালিসা নয়; রাজিয়া, রোজিনা অথবা আফরোজা; কিংবা বিনিদিতা তারা। কবি বঙ্গ রাখালের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫), লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬), মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭), হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮), মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮), অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯), পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯), লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯), যৈবতী কন্যা ইশকুলে (কবিতা, ২০২০), কবিতার করতলে (প্রবন্ধ, ২০২০), অন্ধ যাজক (কবিতা-২০২১), ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ-২০২১), জন্মান্ধ ঘোড়া-২০২৩। তিনি প্রবন্ধে পেয়েছেন আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার (প্রবন্ধ-২০২০), ডেইলী স্টার, ঢাকা। জলধি সাহিত্য সম্মাননা (কবিতা-২০২১), ঢাকা। সাহিত্য সম্মাননা-২০২২ (মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা) শেরপুর সংস্কৃতি পরিষদ, শেরপুর, বগুড়া। নিহারণ, শঙ্খধ্বনি, শব্দকুঠি, দোতারাসহ সম্পাদনা করেছেন বেশকিছু ছোট কাগজ। বুক রিভিউ, সাহিত্য সমালোচনা, মতামত এবং নবীন-প্রবীণদের নতুন বই সম্পর্কে লেখা পাঠাতে ইমেইল করুন- [email protected]]
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১

বইমেলায় পলিয়ার ওয়াহিদের ‘আলিফ লাম মীম ও মহুয়ার মরমী গম’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় কবি পলিয়ার ওয়াহিদের নতুন কবিতার বই ‘আলিফ লাম মীম ও মহুয়ার মরমী গম।’ নতুন এই বই সম্পর্কে কবি পলিয়ার ওয়াহিদ বলেন, ‘আলিফ লাম মীম’ মূলত সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের দ্বন্দ্বের লড়াই। অজানা বিষয়কে জানার চেষ্টা। সভ্যতার শিরা-উপশিরা, ভাষার ডিজাইন ও কৃষি উপমায় আধুনিক মননের সরল কিন্তু গভীর ডায়ালগে সুমিষ্ট পরিবেশন। পাঠক বইটি সংগ্রহ করলে বিস্মিত হবে, চমকে যাবে। ‘গম’ ভাগাভাগি হোক। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল। পাওয়া যাবে মেলার ঘাসফুল-এর ১৪৭-১৪৮ নম্বর স্টলে। প্রচ্ছদ করেছেন শামীম আরেফিন। ঘাসফুল-এর স্বত্বাধিকারী মাহ্দী আনাম জানান, বইটি প্রকাশ করেছি নতুন চিন্তা ও কবির সাহসীকতার জন্য। সুফির সহজ পথের মন ধরে বাউলের গরল দেহের বাড়িতে পৌছানোর তরিকা এই কিতাব। আসমানি ভাষা-নকশা ও মরমী আবহের কঠিন কাজটি সফলভাবে করতে পেরেছেন বিশ্বাস করি। দেহের শেকড় ও মনোদৈহিক এইসব জার্নি বাংলা কবিতার নতুনত্ব ও গর্বের। পলিয়ার ওয়াহিদের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ পাঁচটি- পৃথিবী পাপের পালকি (২০১৫), সিদ্ধ ধানের ওম (২০১৬), সময়গুলো ঘুমন্ত সিংহের (২০১৮), দোআঁশ মাটির কোকিল (২০২০)। ভারতের ব্ল্যাকহোল থেকে তার ইংরেজি অনুবাদের কবিতার বই ‘সঙ অফ সয়েল’ প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। এ ছাড়া ‘সিদ্ধ ধানের ওম’ প্রকাশের বছরে সেরা দশটি বইয়ের আলোচনায় স্থান করে নেয়। অন্যদিকে ‘দোআঁশ মাটির কোকিল’র জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে পেয়েছেন ‘কৃত্তিবাস, তারাপদ রায় সম্মাননা’ পুরস্কার। এরপর দুই বাংলায় ব্যাপক পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন প্রতিভাবান এই কবি।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৭

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ২ সাংবাদিক আহত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে ছবি তুলতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যায়যায়দিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. হাবীব এবং আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মো. ফাহাদ বিন সাইদ। এ সময় আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।     আহত সাংবাদিকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষের সিট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে ছবি তুলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবের অনুসারী যাযাবর নাইমের নেতৃত্বে এই অতর্কিত হামলা চালানো হয়।  পরে আহত সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন হয়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।   এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর আহত সাংবাদিকদেরকে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। এ সময় তিনি বলেন, যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯

‌‘বাংলা সাহিত্যকে বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন কবি জসীম জসীম উদ্‌দীন’
পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে একটি বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরে ‘জসীম পল্লীমেলা ২০২৪’ উপলেক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি জসীম উদ্দীন গ্রাম বাংলার মানুষের সংগ্রামী জীবন-জীবিকার কথা সাহিত্যের পাতায় পাতায় তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে একটি বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। আবহমান পল্লী প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কবি জসীম উদ্‌দীনের কবিতার ভাব, ভাষা, রস ও বর্ণে ফুটে উঠে। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন ছিলেন পরম বন্ধু। তাদের পরস্পরের প্রতি ছিল অপরিসীম শ্রদ্ধাবোধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সর্বদা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করতেন কবি জসীম উদ্দীন।  তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জসীম পল্লীমেলা কবির অনন্য সাহিত্য প্রতিভা এবং দেশাত্মবোধ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ‘জসীম পল্লীমেলা-২০২৪’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৭

হাবিপ্রবির কবি সুফিয়া কামাল হলের নতুন হল সুপার অধ্যাপক ড. নূর- ই-নাজমুন নাহার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের নতুন হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসা. নূর- ই-নাজমুন নাহার। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।  দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকটে যাবার অধিকতর সুযোগ তৈরি হবে। এ দ্বায়িত্ব দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। অধ্যাপক ড. নূর- ই-নাজমুন নাহার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং মনবুশো স্কলারশিপের আওতায় জাপানের ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের তৃতীয়বারের মতো বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়