• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অভিষেকের আগেই কপাল পুড়লো আলিসের
বিপিএলের দশম আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছিল আলিস আল ইসলাম। যার ফলে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাঠে নামার আগেই ছিটকে গেছেন এই বিস্ময় স্পিনার। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের হয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন আলিস। সে চোটই কাল হয়ে দাঁড়ালো। আঙুলের সেই চোট কাটিয়ে উঠতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।  তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা হচ্ছে না তার। বিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। জানা গেছে, আলিসের ফিট হতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তাই দলের সঙ্গে সিলেটে যাচ্ছে না সে। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে ৮ ম্যাচে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার অফস্পিনে নাকাল হয়েছেন বাঘা বাঘা ব্যাটার। তবে ইনজুরির কারণে ফাইনাল ম্যাচেও খেলতে পারেননি তিনি। ফাইনালে তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ছয় উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৭

কুমিল্লাকে হারিয়ে প্লে-অফে বরিশাল, কপাল পুড়লো খুলনার
চলমান বিপিএলে জয় আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে প্লে-অফ খেলতে কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হয় তামিমের দল। কিন্তু লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৪১ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। এতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তামিম-রিয়াদরা। বরিশালের এই জয়ে কপাল পুড়েছে খুলনার। প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে বিজয়ের দল। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। ৭ বলে ১ রান করে আউট হন আহমেদ শেহজাদ। এরপর কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। ২৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মায়ার্স। মুশফিক হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন   এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু ৪০ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক। ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন মুশফিক। ৪৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তরমিম। শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের ৬ রান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে দুই বল ও ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান। এ ছাড়াও আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ এনামুল একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নামলে দুর্দান্ত বোলিং করে লিটন-নারিনকে চেপে ধরে মিরাজ-তাইজুলরা। ১৮ বলে ১৬ রান করে আউট হলে সুনিল নারিন আউট হলে ১২ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।  চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মঈন আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রান করে তিনি। এরপর মঈনকে সঙ্গে দেন রাসেল। ২২ বলে ২৩ রান করে মঈন আলী আউট হলে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেল। ম্যাথিউ ফোর্ড (০) এবং এনামুল ৩ রান করে আউট হলে ব্যাট চালাতে থাকেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১৭ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পেল কুমিল্লা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৪

স্বতন্ত্ররা জোট করলে কপাল পুড়বে জাপার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর একাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল থাকা জাতীয় পার্টি (জাপা) জয় পেয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্ররা এক জোট হয়ে বিরোধী দল গঠন করলে কপাল পুড়বে জাপার। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা যদি জোট করে স্পিকারের কাছে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন করেন এবং তিনি সেটি গ্রহণ করেন, তাহলে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে না। এক্ষেত্রে ৬২টি জন স্বতন্ত্র সদস্য ওই জোটে না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সদস্যদের চেয়ে জোটের সদস্য বেশি হলে তারাই হবে বিরোধী দল। এখন নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করেন কিনা, সেটি দেখার বিষয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ বলেন, সংবিধানে বিরোধী দল গঠনের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এবার স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন। তারা যদি গ্রুপ বা জোট করে আসে, স্পিকারের কাছে যদি আবেদন করেন, তবে ওই জোট বা গ্রুপই বিরোধী দল হবে, এতে কোনো বাধা নেই।  এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে হাজী সেলিমের নেতৃত্বে একটি জোট তৈরি করেছিলেন। সেই জোটকে আনুপাতিক হারে তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের কোটাও দেওয়া হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পরে অবশ্য সেই জোটের নেতা হাজী সেলিমসহ বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগে ফিরে যান। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ২৫১টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে জাসদের নেতৃত্বে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি পেয়েছিল ১৯টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিল ২৫টি আসন। এ ছাড়া জাসদ তিনটি এবং ফ্রিডম পার্টি দুটি আসন পায়। সেসময় ফ্রিডম পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে আ স ম আব্দুর রব সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়