• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’, কণ্ঠ দিচ্ছেন যে বাঙালি গায়ক
আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘পুষ্পা’। ২০২১ সালে মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল সিনেমাটি। রীতিমতো ঝড় তুলেছিল বক্স-অফিসে। শিগগিরই আবারও ধামাকা নিয়ে আসছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। এবার জানা গেল, বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা। আর এতে কণ্ঠ দিচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় এক গায়ক। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আল্লু অর্জুন। শুধু তাই নয়, রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে উত্তরণও ঘটেছে তার।   শোনা যাচ্ছে, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় বাংলা ভাষায় মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি সেখানে কণ্ঠ দিতে যাচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক তিমির বিশ্বাস। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে গায়ক জানান, সবটাই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনই কোনো কিছু খোলসা করতে রাজি নন তিনি। গেল বছর এপ্রিলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার প্রথম পোস্টার মুক্তি পেয়েছিল আল্লু অর্জুনের জন্মদিনে। সে সময় পোস্টারে আল্লু অর্জুনের ‘লুক’ দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। এর আগে অভিনেতাকে এই রূপে কখনও দেখা যায়নি। লাল টকটকে কপাল আর নীলাভ গাল। জোড়া ভ্রুর মাঝে জ্বলজ্বল করছে চন্দনের ফোঁটা। ওই পোস্টারে আল্লু অর্জুনের পরোনে ছিল শাড়ি, গলায় লেবুর মালা, মুখে দাড়ি-গোঁফ। হাতে ধরা বন্দুক। খানিকটা বৃহন্নলার সাজেই ধরা দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এর মাঝেই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় সিনেমাটির টিজার।   সেখানে একবারে নীল রঙের পট্টু শাড়িতে দেখা যায় আল্লুকে। তারপর থেকে যেন অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বার ‘পুষ্পা’কে বড় পর্দায় দেখতে অপেক্ষা করছেন দর্শকেরা।  প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাবে ও আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। সিনেমায় তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— রাশমিকা মান্দানা এবং ফাহাদ ফাসিল। এটি নির্মাণ করেছেন সুকুমার। তামিল, তেলুগু, মালায়ালম, কন্নড়, হিন্দি ছাড়া বাংলাতেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি।     সূত্র : আনন্দবাজার 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

‘আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে’
আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আজকে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে শহীদ মিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।   রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আজকে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ৬ থেকে ৭ বছর ধরে বন্দি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সব অধিকারকে আজ বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমি মনে করি, ‘আমরা আজও গণতন্ত্র-হারা। আমরা আজও অধিকার-হারা। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। কিন্তু সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে হানাদার শক্তি আমাদের ভাষার অধিকারকে আত্মসাৎ করেছিল, হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। ৫২ সালে এদেশের জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল বাংলা, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল উর্দু। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা অনেক রক্ত ঝড়িয়ে আমরা একাত্তরের স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কী পেয়েছি?’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই। সোচ্চার কণ্ঠে কথা বলতে চাই। নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই। সে অধিকারের মূল প্রেরণা ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাব।’
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১

ড. শফিকুল ইসলামের লিখা গানে কণ্ঠ দিলেন ড. প্রিয়াঙ্কা গোপ
ড. শফিকুল ইসলাম, পেশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। শিক্ষকতা করলেও গানের প্রতি তার রয়েছে বেশ টান। এবার তার লিখা গানে কণ্ঠ দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শিল্পী ড. প্রিয়াঙ্কা গোপ। “তুমি সমুদ্র বলে” শিরোনামের গানটির সুর করেছেন তানভীর আলম সজীব।  নতুন এই গানটি নিয়ে ড. শফিকুল ইসলাম আরটিভিকে বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি গানের প্রতি প্রবল ঝোঁক রয়েছে আমার। সময় পেলেই ভালো ভালো শিল্পীদের গান শুনি। সমুদ্র আর প্রেম আমার কাছে একই। এজন্যই এমন ভাবনা থেকে গানটি লিখেছি। আশা করি গানটি সবার ভালো গানটি শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ায় তানভীর আলম সজীব ও ড. প্রিয়াঙ্কা গোপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।  সম্প্রতি গানটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।           
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২০

ছেলের কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ
গেল বছরটি একেবারেই ভালো যায়নি দেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের। সেই রেশ যেন এখনও রয়ে গেছে এই গায়কের জীবনে। কারণ, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার ছেলে কুমার নিবিড়। এরপর থেকেই সব উলটপালট হয়ে গেছে তার। এখন শুধু ছেলের কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বিশ্বজিৎ।         টরন্টোর সেই দুর্ঘটনায় নিবিড়ের তিন সহপাঠীর মৃত্যু হলেও এক বছর হতে চলল কানাডার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন নিবিড়। আর তার পাশে থেকে সুস্থতা কামনায় দিন পার করছেন বাবা বিশ্বজিৎ। বলা যায়, থেমেই গেছে বিশ্বজিতের নতুন গানের চর্চা। তবে মাঝে একবার দেশে এসেছিলেন এই গায়ক। তখন ছেলেকে নিয়ে একটি গান গেয়েছেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘নিবিড় অপেক্ষা’। সেই গানটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি।       মূলত সন্তানকে নিয়ে বিশ্বজিতের মানসিক অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গীতিকবি হাসানুজ্জামান মাসুম। ‘বৃষ্টি এখন আর ভালো লাগে না, কান্নার শব্দ মনে হয়/ মেঘলা আকাশ কেমন যেন বেদনার চাদরে ঢেকে রয়/ আমার বুকে কেন বৃষ্টি অঝোরে ঝরে পড়ছে/ তবু সারাক্ষণ আমার হৃদয় মন নিবিড় অপেক্ষা করছে’—এমন কথার গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন কিশোর দাশ। গানের ব্যাপারে বিশ্বজিৎ বলেন, এটাকে আমি গান বলতে চাই না। এটা একজন পিতার আর্তি। আমি ভাবিনি, নিবিড় ও তার সহপাঠীদের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর আবারও গান গাইব। কারণ, সেই মানসিক শক্তি বা আগ্রহটা মরে গেছে আমার।  এখন শুধু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি, ওর কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায়। নিবিড়ের তিন সহপাঠীর অনুপস্থিতি আমাকে প্রতিনিয়ত পিতৃসমতুল্য বেদনায় আচ্ছন্ন করে।  জানা গেছে, সুরকার কিশোর ও গীতিকার মাসুমের অনুরোধেই মূলত গানটি গেয়েছেন বিশ্বজিৎ।  এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঝে কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম আমি। তখন কিশোর ও মাসুম গানটি করার জন্য অনুরোধ করছিল। কিন্তু আমি ইগনোর করছিলাম।কারণ, গানটা তো প্রাণ দিয়ে করেছি আজীবন। এখন তো আমার ভেতরে সেই প্রাণটা নেই। এরপরও একটা ডামি বানিয়ে আমাকে শোনায় ওরা। গানটি শোনার পর মনে হলো, কথাগুলো তো আমারই। সুরটাও আমার ভেতরের হাহাকারের মতো। যেগুলো আসলে প্রকাশ করতে পারছি না। তাই পরে রাজি হয়েছি গানটি গাওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত, প্ল্যাটফর্ম এন্টারটেইনমেন্টের পরিবেশনায় ‘নিবিড় অপেক্ষা’ গানটি একযোগে দেশের ১৮টি ব্যানার থেকে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জানুয়ারি। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়