• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের পরেই কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার : শাজাহান খান
জঙ্গিবাদসহ সব ধরনের অসামাজিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ঈদের পরেই সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টায় মাদারীপুরে ঈদের নামাজ আদায় শেষে তিনি এ কথা বলেন। শাজাহান খান বলেন, মানুষের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সামাজিক অবস্থান সৃষ্টি, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও দেশ থেকে সন্ত্রাস পরিহার করার জন্য সরকারের অঙ্গিকার রয়েছে।  তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই চেতনা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ বুকে ধারণ করছে এবং তার ভিত্তিতেই রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আগে, মাদারীপুরের কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সোয়া ৮টায় একইস্থানে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জামাত।  ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ পড়ান জেলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াস হাবিবুল্লাহ।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩

ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা যেই ঘটাক আমরা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবো। আমরা কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেবো এটার। এটার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখনো এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তথ্য না জেনে আমরা কিছু বলতে পারব না। এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। সেভাবে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল- তারা শান্তি চায়, এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন, আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। পহেলা বৈশাখে নাশকতার কোনো তথ্য নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে। আমাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি। তারপরও আমাদের যে সতর্কতা সেটা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় শিল্পকারখানায় আগুন লাগার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখায় হামলা করে। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা নিতে না পারলেও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে একং ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। তার একদিন পরই বুধবার (৩ এপ্রিল) দিনদুপুরে বান্দরবানের থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে শাখায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অর্থ লুট করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যরা (কেএনএফ)।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

ঈদযাত্রায় বেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার
সড়ক, রেল ও নৌপথে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা নিলে এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালালে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, অতীতে লাইসেন্স ছাড়া হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্সবিহীন কেউ গাড়ি চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি হলে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন। সেটি যেন সুন্দর করতে পারি, সেজন্য আমাদের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। ঈদে নৌ-রেল-সড়ক সবকিছুতেই আমাদের নজর থাকবে, তবে সড়ক পথের প্রতি আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়টি সভায় উপস্থিত বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।  তিনি আরও বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে ম্যানেজমেন্টগুলো আছে, সেগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে করা হয়। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা প্রবেশ ও বহিঃগমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। পথগুলোতে যেন আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন। কমিশনার বলেন, ঢাকা থেকে বেরোনোর কিছু জায়গায় সমস্যা আছে। কয়েকটি পয়েন্টে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এর সঙ্গে এই সমস্যাগুলো নিরসনে সকল কর্মকর্তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। বাস মালিকরা জানিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে কোনোভাবেই যেন এসব গাড়ি রাস্তায় চলতে না দেয়।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৩

অছাত্ররা হল না ছাড়লে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা কিছু সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হলেও যারা হল ছেড়ে যাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাত্র বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বা অনুসারী যিনি হউক না কেন, অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে আবাসিক হল ছেড়ে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।’ সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরেন উপাচার্য। হল থেকে অছাত্রদের বের করতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘হলগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের রিপিটার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মাদকের বিস্তাররোধে র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার এবং তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’ দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনা প্রবাহে কয়েকটি দাবি উল্লেখপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার জন্য ২/১টি পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনার পর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা-সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, মাদক নির্মূল, ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৮

বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার
রমজান মাস এলেই আলোচনায় আসে বাজার ‘সিন্ডিকেট’। এই সিন্ডিকেট বলতে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিলে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া বা নির্দিষ্ট স্বার্থ হাসিলকে বোঝানো হয়। এ কাজ ভালো কিংবা খারাপ দুটোই হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে সিন্ডিকেট বলতে মূলত ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বোঝায়। যেটি নেতিবাচক অর্থেই ব্যবহার হয় আসছে। যেখানে এক দল ব্যবসায়ী বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে ইচ্ছামতো পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাম বাড়িয়ে অবৈধভাবে মুনাফা অর্জন করে। অভিযোগ আছে, এরকম ব্যবসায়ীরা অনেক সময় বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। অর্থাৎ পণ্যের উৎপাদনে কোনও ঘাটতি না থাকা এবং সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকার পরও তারা গুদামজাত করে এবং সংকটের কথা বলে বেশি দামে বিক্রি করে। কিছুদিন পর পর কোন না কোন পণ্য সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ছে। কখনও মুরগী, পেঁয়াজ, আটা, সয়াবিন তেল, কাঁচা মরিচ, ডিম, খেজুর, এমনকি ডাব ও রোগীকে দেয়া স্যালাইনও বাদ যাচ্ছে না। রমজান মাসে এই বাজার সিন্ডেকেট আরও বেশি সক্রিয় হয়। যদিও রমজান মাসটি পুণ্যের হলেও বেশি মুনাফার আশায় থাকেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। লাভ করতেও মরিয়া তারা। একটি রীতিতে পরিণত করেছে এসব ব্যবসায়ীরা। ব্যতিক্রম ঘটছে না এবারও। এবার মাসখানেক আগে থেকে নানা অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছেন তারা। সরকার এবার রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তাদের নানা আশ্বাস দিলেও সম্ভব হচ্ছে না। ছোলা, বেগুন, লেবু, মাছ-মাংস প্রায় সবই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। যদিও বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দির্দেশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেন, ‘সরবরাহের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় অথবা একটা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ মজুতদারি করে পচিয়ে ফেলবে কিন্তু বাজারে দেবে না—এই জাতীয় অবস্থার সৃষ্টি করে। সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন সাধারণ মানুষের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারে সেদিকে সবাইকে যথাযথভাবে নজর দিতে হবে।’ এ ছাড়া আটটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বার থাকবে। যাতে দীর্ঘ মেয়াদে পণ্যগুলো মেইনটেন করে বাজারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কাজ করছে। মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে মাছ ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে বাজার মনিটিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া রমজান উপলক্ষে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম বিক্রয় ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।’ সিন্ডিকেটের প্রভাব বিস্তারের পেছনে বাংলাদেশের ইনফরমাল বাজার ব্যবস্থাপনাকে দুষছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘সাধারণত, ফরমাল বাজার সিস্টেমে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার হাত পর্যন্ত পৌঁছাতে যতো এজেন্ট কাজ করে তাদের সবাই নিবন্ধিত থাকেন বা প্রত্যেকের আলাদা বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। অনিবন্ধিত কেউ এই বাজারে লেনদেন করতে পারে না। সেইসাথে, সরকারের নজরদারি সংস্থা, বাজারের প্রতিটি পর্যায়ে লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখতে পারে। কে কী পরিমাণ পণ্য মজুদ রাখছেন, কে কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করছেন বা বিক্রি করছেন, কী দামে বিক্রি করছেন। সব তথ্য সরকারের হাতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় এর কোন সুযোগ সুবিধা নেই। এ কারণে সরকারের কোন সংস্থা বাজারের কোন লেনদেন নজরদারি করতে বা তথ্য রেকর্ড করতে পারে না। ফলে নিয়ন্ত্রণ আরোপও সম্ভব হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সরকারের ঘোষিত দামে বিক্রি করছে না, লেনদেনের রিসিট রাখছে না। মজুদের তথ্য গোপন করছে। এভাবে তারা বাজারে একটি অযাচিত প্রভাব বিস্তার করছে। এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয়ে আলাদাভাবে টাস্কফোর্স গঠন করা এবং সেই টাস্কফোর্সের পরামর্শে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশমালা তৈরি করা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা।’
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক 
ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হবে এই শ্রেণির খেলাপিদের জন্য। সেইসঙ্গে তাদের ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমনকি ঋণ খেলাপিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের সংজ্ঞায়িত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা যুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।    ইচ্ছাকৃত খেলাপি কে? সার্কুলারে  বলা হয়, কোনো ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ করে না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোন ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালেও তা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে।   যেভাবে চিহ্নিত করা হবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে  আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যালয়ে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন।   তবে জাতীয় শিল্পনীতিতে বর্ণিত সংজ্ঞানুযায়ী ‘বৃহৎ শিল্প’ খাতের ৭৫ কোটি ও তদূর্ধ্ব, ‘মাঝারি শিল্প’ খাতের ৩০ কোটি ও তদূর্ধ্ব এবং অন্যান্য খাতের ১০ কোটি ও তদূর্ধ্ব স্থিতিসম্পন্ন ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির বা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণ আবশ্যক হবে।   ইচ্ছাকৃত খেলাপির বিরুদ্ধে নেওয়া হবে যেসব ব্যবস্থা ইচ্ছাকৃত খেলাপির বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরকেএসসি) নিকট কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে তালিকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত খেলাপির গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছেও তালিকা পাঠানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি কোনো ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাওয়ারও যোগ্য হবেন না।   ইচ্ছাকৃত খেলাপি হলে পরিচালক পদ বাতিল নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যাহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে।   ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতাসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে। অডিট কমিটি উক্ত উপস্থাপিত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি পর্যালোচনা শেষে গুরুত্ব বিবেচনায় এ বিষয়ে তাদের মতামত বা সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্ষদ সভাকে জানাবে। ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত বা বিশেষ অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির বিষয়ে পর্যালোচনাসহ একটি আলাদা অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তা নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে টিকা আকারে প্রকাশ করতে হবে।   ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না, করা যাবে না পুনঃতফসিলও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপির ঋণ হিসাবের বিপরীতে আরোপিত বা অনারোপিত কোনও সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং এই ঋণ পুনঃতফসিলও করা যাবে না। ইচ্ছাকৃত খেলাপির ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টেকওভার করা যাবে না। ওই ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবেই বিবেচিত হবেন।   ইচ্ছাকৃত খেলাপির ঋণ সম্পর্কিত তথ্য নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে  ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত ও  চূড়ান্ত করার পর এ সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতাকে সিআইবিতে উইফুল ডিফল্টার হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে প্রতি তিন মাস শেষে পরবর্তী মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-১) এর নিকট দাখিল করতে হবে এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় দলিলাদিসহ হালনাগাদ বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা মোতাবেক উপস্থাপন করতে হবে।   ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা  কোনো ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপি সম্পর্কিত জারিকৃত নির্দেশনা মানছে না মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট বিবেচিত হলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উক্ত নির্দেশনা লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা করবে।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪০

সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : আইজিপি
সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। আইজিপি বলেন, পণ্য পরিবহনসহ যেকোনো সেক্টরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে কোনো ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।  তিনি আরও বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে। এ সময় আইজিপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং এবং পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সেহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন তিনি। সভায় সব অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, র‌্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ পুলিশের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ডিআইজি (এফডিএমএন), সব জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে, ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কমান্ডাররা ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
অর্থপাচার ঠেকাতে অবৈধ হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হওয়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট প্রতিদিনই বন্ধ করা হচ্ছে। সোমবার (১১ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দপ্তরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আবদুর রউফ বলেন, হুন্ডির টাকা এখন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমেও পাঠানো হয়। সে বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক শক্ত অবস্থানে রয়েছে।  তিনি বলেন, অনেক প্রবাসী ওখানেই (বিদেশ) পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে বলছেন বাংলাদেশ তার পরিবারকে দিতে। অথচ ওই টাকা বিদেশেই থেকে যায়। তার বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো একজন প্রতিনিধি টাকাটা ওই পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ‘আগে ওই টাকাটা প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রবাসীর বাড়ি গিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন এমএফএসের মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হচ্ছে। এ ধরনের ১ থেকে ২০০ অ্যাকাউন্ট প্রতিদিন বন্ধ করা হচ্ছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, মানি চেঞ্জাররা ডলারের রেট বাড়িয়ে দিলে অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখেন। আর এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এজন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।  এ সময় অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন প্রতিরোধে সরকারি সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান আবদুর রউফ তালুকদার।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৩

সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ আইজিপির
সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। রোববার (৩ মার্চ) সকালে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪-এর শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ দেন। আইজিপি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যদের নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মামলার সাজার হার বাড়ানোর নির্দেশ দেন। বিশেষ করে স্পর্শকাতর মামলার সাজা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন পুলিশ প্রধান। সম্মেলনে ২০২২ সালে সারাদেশে মামলার সাজার হার ১৭ ভাগ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয়। এ সময় আইজিপি বলেন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আস্থা অর্জনে সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব পুলিশ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে র‍্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
রমজানে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে এখন ডলারের সংকট নেই। রেটটা বেশি আছে, সেটা নিয়েও ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই সেটাও একটা জায়গায় দাঁড়াবে। তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যে কাজটা করে, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সারাদেশের ডিসি-এসপিদের ঢাকায় ডাকবেন। কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেবেন। সালমান এফ রহমান বলেন, আল্লাহর রহমতে এই রমজান আমরা সুন্দরভাবেই শেষ করব। আশ করি কোনো সমস্যা হবে না।  তিনি বলেন, পণ্য মজুত করলেও রমজানে না ছাড়লে দোকানদারদের লোকসান হয়ে যাবে, পণ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তাদেরকে পণ্য বিক্রি করতেই হবে। তখন চাইলেও তারা বেশি দাম নিতে পারবে না।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়