• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পানির দাম বাড়ানো নিয়ে যা বললেন ওয়াসার ডিএমডি
চলতি বছরের জুন মাস থেকে পানির দাম বাড়ানোর খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি-বাণিজ্য) উত্তম কুমার রায়। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আগামী জুন মাস থেকে পানির দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উত্তম কুমার বলেন, শ্রেণিভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণের পরিকল্পনাটি কেবলমাত্র একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান সমীক্ষা করেছে। এ ব্যাপারে আমরা নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং সরকারের বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পানির দাম বাড়ানোর কথা যেভাবে গণমাধ্যমে আসছে তা সঠিক নয়। কারণ, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের একার নয়, সরকারের সিদ্ধান্ত সবার আগে। তাই এ বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। ওয়াসার ডিএমডি বলেন, পানির উৎপাদন খরচ বেশি বলে অনেকেই সমালোচনা করছেন। অথচ, গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও আমরা কিন্তু সেভাবে পানির দাম বাড়ায়নি। অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব (অব.) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সরকার এখনও নিরাপদ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য পানির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেনি। পানি অমূল্য সম্পদ, তাই পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা নেওয়া দরকার। ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রেণিভিত্তিক না করে উচ্চ শ্রেণির জন্য করের হার বাড়ানো যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

ওয়াসার এমডি বারবার দায়িত্ব পাওয়ায় যা বললেন মন্ত্রী
নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার (২১ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, বারবার কেন ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বে বর্তমান এমডি? এমন প্রশ্নে সাংবাদিকরা আমাকে বিভিন্ন সময় শক্ত করে ধরেছেন। বারবার সমালোচনা হয়েছে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে নিয়ে। তারা বলেছেন, কেন বারবার ওয়াসা এমডি হিসেবে বর্তমান এমডি থাকেন। কেন এতবার তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবে আমি সাংবাদিকদের বলেছি, কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০, ৩০ অথবা ৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন, কারণ তিনি তার যোগ্যতা সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন দেখেই বিবেচনা করা হয় একটা রাষ্ট্র কতটা উন্নত। সে কারণে ঢাকা ওয়াসাকেও এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা আমাদের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসা তাদের গুণগতমান, অগ্রগতির দিক থেকে তার প্রমাণ দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা তাদের কোয়ান্টিটি, কোয়ালিটি এবং মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে। তাদের অগ্রগতি অবশ্যই প্রশংসনীয়।  তাজুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমডির নেতৃত্বে কাজ করে ঢাকা ওয়াসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার সময় আমি বলেছি, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয় তাহলে সেটা যদি আমি ১৫ টাকায় বিক্রি করি, তবে বাকি ১৫ টাকা আমি কোথা থেকে পাব? তাহলে এটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারাদেশের মানুষের থেকে সরকার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আর সেই অর্থ দিয়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাব? তিনি বলেন, একজন মানুষ গুলশানে বসবাস করে সেখানে তার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ওয়াসার পানির দাম মাসে ১০০ বা ২০০ টাকা বেড়ে গেলে তাদের সহ্য হবে না। তাহলে কি গরিব মানুষের থেকে টাকা এনে সরকার এই গুলশানের মানুষের জন্য পানিতে ভর্তুকি দেবে? তাহলে গরিব মানুষের প্রতি যে আমাদের কমিটমেন্ট আছে তার কি হবে? তিনি আরও বলেন, ওয়াসার নিজেদের মধ্যেকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে তা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়