• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রমজানের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত কী?
রোজার আভিধানিক অর্থ সিয়াম। এটি ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। এই মাস কল্যাণময় মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস। এ মাস সবরের মাস। এ মাস জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়। কোরআনে আছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন। এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ-মাস পাবে, সে যেন এ-মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির তাকে অন্য দিনে এ-সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পার।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রায়্যান নামক একটি বিশেষ তোরণ আছে। এ তোরণ দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজাদাররাই প্রবেশ করবেন। তাঁদের প্রবেশের পরে এই দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে, তাঁরা ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ রমজান মাসে বিশেষ ফরজ হলো  ১ মাস রোজা পালন করা। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, সাবালক, রোজা পালনে সক্ষম এমন সব বিশ্বাসী মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ। ঋতুমতী নারী, প্রসূতি মা (স্রাব চলাকালীন) এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা পরবর্তী সময়ে রোজা কাজা আদায় করবেন। এমন অক্ষম ব্যক্তি, যিনি পুনরায় সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ্য লাভের সম্ভাবনা নেই, তাঁরা প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ফিদিয়া গরিব-মিসকিনকে প্রদান করবেন এ মাসে ফরজে কিফায়া দুটি- ১.শাবানের চাঁদের হিসাব রাখা, ২.রমজানের তারিখের হিসাব রাখা। রমজান মাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ওয়াজিব দুটি- ১.সদকাতুল ফিতর প্রদান করা, ২. ঈদের জামাতে শামিল হওয়া। রমজানের সুন্নত : রজব ও শাবান মাসে বরকতের জন্য এবং রমজান মাস প্রাপ্তির দোয়া করা; রজব ও শাবান মাস থেকে রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা ও বেশি পরিমাণে নফল রোজা পালন করা ও নফল নামাজ আদায় করা। রমজান মাসে প্রতি রাতে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া এবং তারাবি নামাজে খতমে কোরআন বা পূর্ণ কোরআন করিম পড়ার বা শোনার ব্যবস্থা করা। রোজার জন্য সাহ্‌রি খাওয়া, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, ইফতার করা এবং ইফতার করানো। অত্যধিক পরিমাণে দান-খয়রাত করা; জাকাত প্রদান করা। কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করা। রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করা (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া); রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়