• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দূতাবাসের অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চরম দুঃসময় ও এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে ছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সেদিনের সরকারের শপথ নেয়া জাতীয় চার নেতাকে জাতি যুগ যুগ ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে দেশের জন্য তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ,মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।  দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।  পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।  বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।  এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।  এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত। বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪০

ঐতিহাসিক সিরিজে টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ টাইগ্রেসরা
প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দুই ফরম্যাটের সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। ওয়ানডের পর টি-টোয়েটিতেও ৩-০ তে সিরিজ জিতেছে অজিরা। এতে ঐতিহাসিক সিরিজের দুই ফরম্যাটেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগ্রেসরা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেসদের ১৫৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে ৭৭ রানের জয় পায় অজিরা। ফলে ৩-০ ব্যবধারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৪৪ রানেই সাত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের পঞ্চম বলে ১ রান করে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। ১১ বলে ১০ রান করে রিতু মনি আউট হলেও শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন স্বর্ণা আক্তার। ১৮ বলে ১২ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার। এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দেন রাবেয়া খান (১), ফাহিমা খাতুন (১১), শরিফা খাতুন (০), নাহিদা আক্তার (১) এবং মারুফা আক্তার। শেষদিকে ফারিহাকে সঙ্গে নিয়ে অলআউট না হওয়ার জন্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে জ্যোতি বোল্ড আউট হলেও ৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ৭৭ রানের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ৩১ বলে ৩২ রান করেন টাইগ্রেস দলপতি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন টেলা ভ্লেমিঙ্ক। এ ছাড়াও জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম দুটি, মেগান স্কট, এলিশ পেরি, অ্যাশলেঘ গার্ডনার, শফি মোলিনেক্স ও আনাবেল সাদারল্যান্ড একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই অজি ওপেনার এলিশা হিলি ও বেথ মুনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনি। ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার।  ফিফটির কাছ থেকে ফেরেন হিলিও। ২৯ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন অজি দলপতি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এলিস পেরি। ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। অ্যাশলেঘ গার্ডনার করেন ২১ বলে ১৬ রান। জর্জিয়া ওয়েরহাম ৬ বলে ৪ রান করে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন তাহলিয়া ম্যাকগার্থ।  শেষ পর্যন্ত গ্রেস হ্যারিসের ১১ বলে ১৯ রান এবং ম্যাকগার্থের ২৯ বলের অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বড় পুঁজি পায় অজিরা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
আজ ১৭ রমজান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে ১৭ রমজান মদিনার মুসলিম ও কুরাইশদের মধ্যে ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে মুহাম্মাদ (সা.)-এর নেতৃত্বে তার সঙ্গে মুসলিম বাহিনীতে ছিলেন আবু বকর, উমর ইবনুল খাত্তাব, আলি ইবনে আবি তালিব, হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব, মুসআব ইবনে উমাইর, যুবাইর ইবনুল আওয়াম, আম্মার ইবনে ইয়াসির ও আবু যার আল-গিফারি। মুসলিম বাহিনীতে সৈনিক সংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। এর মধ্যে মুহাজির ছিলেন ৮২ জন এবং আনসারদের মধ্যে আওস গোত্রের ছিলেন ৬১ জন ও খাজরাজ গোত্রের ছিলেন ১৭০ জন। মুসলিমদের সাথে ৭০টি উট ও দুইটি ঘোড়া ছিল। ফলে তাদের সামনে পায়ে হেঁটে যাওয়া বা প্রতি দুই বা তিনজনের জন্য একটি উট ব্যবহার ছাড়া উপায় ছিল না। অন্যদিকে কুরাইশরা ১৩শ’ সৈনিকের এক বাহিনী গড়ে তোলা হয় এবং আবু জাহল বাহিনীর প্রধান হন। এই বাহিনীতে অসংখ্য উট, ১০০ ঘোড়া ও ৬০০ লৌহবর্ম‌ ছিল। আবু জাহল, উতবা ইবনে রাবিয়া, শাইবা ইবনে রাবিয়া, আবুল বাখতারি ইবনে হিশাম, হাকিম ইবনে হিজাম, নওফেল ইবনে খুয়াইলিদ, হারিস ইবনে আমির, তুয়াইমা ইবনে আদি, নাদার ইবনে হারিস, জামআ ইবনে আসওয়াদ ও উমাইয়া ইবনে খালাফসহ মক্কার অনেক অভিজাত ব্যক্তি মক্কার বাহিনীতে যোগ দেন। মক্কার কুরাইশরা যখন দেখল— নবী করিম (সা.) মদিনায় হিজরত করে পৌত্তলিক, ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের সমন্বয়ে পৃথিবীর প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র ‘মদিনা সনদ’-এর ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করেছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও দলমত নির্বিশেষে তার নেতৃত্বে মদিনাবাসী বিনা প্রতিবন্ধকতায় নিঃশঙ্কচ জীবনযাপন করছেন। ইসলামের মর্মবাণী ধীরে ধীরে আরব উপদ্বীপ ছেড়ে বহির্বিশ্বে প্রচারিত হচ্ছিল, তখন মক্কার কাফের সম্প্রদায় ও মদিনার ষড়যন্ত্রকারী মুনাফিকরা চক্রান্ত করে নবী করিম (সা.) ও ইসলামকে দুনিয়া থেকে চিরতরে উৎখাত করতে যুদ্ধের রণপ্রস্তুতি গ্রহণ করে। আরবের তৎকালীন যুদ্ধরীতি অনুযায়ী প্রথমে সংঘটিত মল্লযুদ্ধে মুসলিমদের হাতে কাফের বাহিনী পরাজিত হয়। মুসলিম বাহিনী বীরবিক্রমে লড়াই করে ইসলামের বিজয় কেতন ছিনিয়ে আনেন। বদর যুদ্ধে ৭০ জন কাফের নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। অন্যদিকে মাত্র ১৪ জন মুসলিম বীর সেনা শহীদ হন; কাফেরদের বহু অস্ত্র ও রসদপত্র মুসলমানদের হস্তগত হলো। বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘আজ যে ব্যক্তি কাফিরদের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে সওয়াবের প্রত্যাশায় যুদ্ধ করবে, শহীদ হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (বায়হাকি) ১৭ রমজান বদর যুদ্ধ থেকেই শুরু হয় ইসলামের যাত্রা। তওহিদ ও ইমান যে এক অজেয় শক্তি, এর সামনে দুনিয়ার সব শক্তিই মাথা নত করতে বাধ্য, এ কথা মুসলমানরা পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। বস্তুত, বদর যুদ্ধ ছিল ইমানের মহাপরীক্ষা। এতে রোজাদার সাহাবিরা যেভাবে সফলকাম হতে সক্ষম হয়েছেন, ইতিহাসে তার তুলনা নেই। সাফল্যের অপূর্ব বিজয়গাথা ইসলামের ত্যাগের শিক্ষায় সত্য ও ন্যায়ের পথে মুসলমানদের যুগ যুগ ধরে প্রাণশক্তি জুগিয়ে আসছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৯

ঐতিহাসিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের মেয়েরা
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। ঘরের মাঠে হওয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু অজিদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজটা মোটেও স্মরণীয় করে রাখতে পারলো না নাহিদা-জ্যোতিরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল সফরকারীরা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টাইগ্রেসদের আট উইকেটে হারিয়েছে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। বুধবার (২৭ মার্চ) টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করে অজিদের মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগ্রেসরা। জবাব দিতে নেমে ১৮৯ বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই ওপেনার এলিশা হিলি ও ফিব লিচফিল্ড। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি লিচফিল্ড। ২৭ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর হিলিকে সঙ্গ দেন এলিস পেরি। ৩৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এলিশা হিলি। শেষ পর্যন্ত এলিস পেরির ২৮ বলে ২৭ রান এবং বেথ মুনির ২২ বলের অপরাজিত ২১ রানে ভর করে ১৮৯ বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া নারী দল। বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন এবং রাবেয়া খাতুন একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য হাতে ফেরেন সুমাইয়া আক্তার। ১৪ বলে ৫ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার ফারজানা হক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুর্শিদা খাতুন। তবে টাইগ্রেস শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু রিতু মনি (১) ও ফাহিমা খাতুন (০) আউট হলে, ৩৯ বলে ১৬ রান করে তাদের সঙ্গ দেন নিগার সুলতানা। এরপর রাবেয়া খান (৪), নাহিদা আক্তার (০), স্বর্ণা আক্তার (১০) এবং সুলতানা খাতুন ১০ রানে আউট হলে ৮৯ রানে অলআউট হয় টাইগ্রেসরা। ১৪ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মারুফা আক্তার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কিম গার্থ এবং অ্যাশলেঘ গার্ডনার তিনটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এলিস পেরি এবং সোফি মোলিনেক্স দুটি করে উইকেট নেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৮

বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘুরের দাঁড়ানোর লড়াইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ভাগ্য বদলায়নি টাইগ্রেসদের। ব্যাটারদের ব্যর্থতার গল্পে বড় ব্যবধানে হেরেছে লাল-সবুজেরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো অজি মেয়েরা। শনিবার (২৪ মার্চ) মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৪ দশমিক ১ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৫৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারালেও কাঙ্ক্ষিত জয় ছিনিয়ে নিতে বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। এলিস পেরির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অজিরা। তিন বাউন্ডারিতে ৫০ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন পেরি। অন্যদিকে ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে তাকে সঙ্গে দেন অ্যাশলি গার্ডনার। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফোব লিচফিল্ডের উইকেট হারায় অজিরা। রান-আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার।  এরপর ব্যাট হাতে নেমে অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। নিজের জন্মদিনে মাত্র ১৫ রানে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর বেথ মুনি ও তাহিলা ম্যাকগ্রাথকেও দ্রুত ফেরায় টাইগ্রেসরা। ১২ বলে ৮ রানে মুনি ও ২২ বলে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। তবে শেষ পর্যন্ত জমে উঠেনি লড়াই। অ্যাশলি গার্ডনারকে নিয়ে বাকি ম্যাচটা শেষ করেন পেরি। এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বড় সংগ্রহ না পেলেও ইনিংসের অষ্টম ওভার পর্যন্ত কোনো উইকেট হারায়নি টাইগ্রেসরা। তবে নবম ওভারেই এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। মেগান শুটের বলে সাজঘরে ফেরেন সুবহানা মুস্তারী। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২০ বলে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। এরপর একে একে ফেরেন ফারজানা হক, মুর্শিদা খাতুন, জ্যোতিরা। অজি বোলারদের তোপের মুখে কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। টাইগ্রেসদের হয়ে কেবল তিনজন ব্যাটারই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পেরেছেন। ফাহিমা ১১, রিতু ১০ এবং শেষদিকে নাহিদার ২২ রান। দলের বাকিরা এক অঙ্ক ছুঁয়েই আউট হয়েছেন। নাহিদার সর্বোচ্চ ২২ রানের ইনিংসের সুবাদেই শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৯৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অজিদের হয়ে সোফি মলিনিউ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যালানা কিং ও জর্জিয়া ওয়্যারহাম। আর মেগান শ্যুটের শিকার এক উইকেট।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

রমজানে মেসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত
মেসওয়াক হলো মুসলমানদের দাঁত মাজার উপকরণ যা একটি গাছের ডাল, কাঠ বা শিকড়ও হতে পারে। এটি মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সুন্নাহ পদ্ধতি। একে অনেক ঐতিহাসিকেরা ব্রাশের প্রাথমিক রূপ মনে করেন। কারণ, রাসুল (সা.)-এর যুগে এটিই ছিল দাঁত মাজার একমাত্র মাধ্যম। ইসলামে মেসওয়াক একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে। অযু ও গোসলের পূর্বে মেসওয়াক করা সুন্নত। অন্যান্য সময় মোস্তাহাব। এছাড়া যেকোন ভালো কাজের পূর্বে নবীজি মেসওয়াক করতেন।   রাসুলু (সা.) বলেন, ‘এমনটি কখনও হয়নি, জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এসেছেন আর আমাকে মেসওয়াকের আদেশ করেননি। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, (বেশি ব্যবহারের ফলে) আমার মুখের অগ্রভাগ ক্ষয় না করে ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২২৬৯)  হজরত আয়েশা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মেসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (নাসায়ি: ৫) অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলু (সা.) বলেছেন, ‘যদি আমি আমার উম্মতের ওপর কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা না করতাম, তাহলে তাদের প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (বুখারি: ৮৮৭) রোজার দিনের যেকোনো সময় মেসওয়াক করা যাবে। হাসান (রহ) বলেন, ‘রোজা অবস্থায় দিনের শেষে মেসওয়াক করতে কোনো অসুবিধা নেই। মেসওয়াক পবিত্রতার মাধ্যম। অতএব দিনের শুরুতে এবং শেষেও মেসওয়াক করো’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ৪/২০২) আল্লামা ইবনে আবেদীন শামি (রহ.) উল্লেখ করেছেন, ‘মেসওয়াকের উপকারিতা সত্তরেরও অধিক। তন্মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে মেসওয়াক করলে মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হয়।’ (ফতোয়ায়ে শামি: ১/২৩৯) মেসওয়াকের রয়েছে অনন্য উপকারী উপাদান। যেমন- ট্রাইমিথাইল অ্যামিন, সালভাডোরাইন, অ্যালকালয়েড, ফ্লোরাইড, সিলিকা, সালফার, ভিটামিন সি, ফ্লেভোনয়েডস এবং স্টেরলস পদার্থ। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে মিসওয়াকে। যা শরীরের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়। মিসওয়াকের আশগুলো খুব নরম এবং মসৃণ হওয়ায় দাঁতের জন্য তা বেশ আরামদায়কও। নিয়মিত মিসওয়াক করলে মুখের ভেতর সৃষ্ট হওয়া ক্ষত বা ঘা দূর দূর হয়। এর আরেকটি উপকার হলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করা। মেসওয়াক কেমন হবে রাসুল (সা.) জাইতুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করেছেন। তাই এ দুটো হলে উত্তম। এছাড়া তিক্তস্বাদ যুক্ত গাছের ডাল দিয়েও মিসওয়াক করা যাবে। মেসওয়াক নিজ হাতের আঙুলের মতো মোটা ও এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উচিত। অজুতে হাত ধোয়ার পর কুলি করার পূর্বে মেসওয়াক করা উত্তম। মেসওয়াকের পদ্ধতি মিসওয়াক ধরার সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি হলো, ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলি মেসওয়াকের নিচে থাকবে। মধ্যমা ও তর্জনী ওপরে ও বৃদ্ধাঙ্গুলি নিচে রেখে মেসওয়াক ধরা। মুখের ডান দিক থেকে শুরু করা এবং ওপর থেকে নিচে মেসওয়াক করা। আড়াআড়িভাবে না করা।  মেসওয়াকের ক্ষেত্রে যেসব জিনিস থেকে বিরত থাকা জরুরি আলেমদের পরামর্শ মেনে রোজার বিশেষ ফজিলত অর্জনে টুথপেস্ট, টুথ পাউডার ব্যবহার থেকে বিরত থাকা জরুরি। তবে রমজানে দিনের বেলা টুথপেস্ট বা মাজন ব্যবহার করতে না পারলেও দাঁত ও মুখের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। কারণ, দুই দাঁতের মাঝখানে খাবার জমে থাকলে ডেন্টাল ক্যারিজ ও মাড়ির প্রদাহ হওয়ার সম্ভব থাকে। এজন্য রমজান মাসে ইফতার ও সেহরির পর মানসম্মত টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন ডেন্টিসরা। 
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:৩০

মিশরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার ৫৩ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।   বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রত্যুষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত সহকারে‌ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ। এদিন দুপুরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত।  দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানোর পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়।  আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তার বক্তব্যের শুরুতে ৭ মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংঙালি জাতির সকল শোষণ, নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠার এবং মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার এক গভীর ডাক। এ ডাক ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান। যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পায়।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সারা বিশ্বে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।  সামিনা নাজ বলেন, যুগে যুগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত, লাঞ্ছিত স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণা ও উদ্দীপনার উৎস হিসেবে কাজ করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগ্রত থাকবে।  এ সময় বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে Memory of the World International Register এর অন্তর্ভুক্ত করায় রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ভাষণটি জাতিসংঘের ৬টি অফিশিয়াল ভাষায় অনুদৃত হওয়া ছাড়াও জাপানী ও ভিয়েতনামী ভাষায় অনুদৃত হয়।  রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে চালিত করছেন। গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪১

গান, কবিতায় শিশু একাডেমিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন 
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে ‘৭ই মার্চের গল্প শোনো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটা ইতিহাসে একবারই আসে, শতাব্দীতে একবারই আসে, মহাকালে একবারই আসে। দেবদূতের মত দৈবদূতের মত আসে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণের শুরুতে ‘ভাইয়েরা আমার’ বলেই উপস্থিত সকল মানুষকে আপন করে নিয়েছিলেন। তার বক্তব্যের যে ভাষা তা ছিল মহাকাব্যের মত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু ভাষণ নয়। নানান দিক থেকে এই ভাষণ বৈচিত্র্যময়। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের অঙ্গভঙ্গি, শব্দচয়ন, উচ্চারণ, বক্তব্য, উপস্থাপন সবকিছুর মাঝেই ছিল এক অন্যরকম স্পৃহা, প্রতিশোধের জেদ। অলিখিত এই বক্তব্য ছিল ঐশ্বরিক। এই ভাষণের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। তিনি বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে জল্লাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু কোন আপোষ করেননি। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সবধরনের শোষণের বিরুদ্ধে তিনি বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর কীর্তি, মহত্ত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রাণিত করবে, সাহস যোগাবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশু শিল্পীদের গান কবিতায় স্মরণ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, শিশু এবং অভিভাবকবৃন্দ।
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০২

ভিয়েতনামে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উদযাপন
হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ-এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার ১৮ মিনিটের ভাষণটি ছিল বাঙ্গালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ঐতিহাসিক ভাষণের শক্তি এতটাই গভীর ছিল যে, তা দল-মত নির্বিশেষে পুরো বাঙালি জাতিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নিমিত্ত ঐক্যবদ্ধ করেছিল। কালজয়ী এই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের অস্তিত্বেরই অংশ। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ ইতোমধ্যে আমাদের দূতাবাস ভিয়েতনামের মাতৃভাষায় অনুবাদ করেছে যার মাধ্যমে আমাদের ভিয়েতনামের বন্ধুরাও বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবে। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।   অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়