• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে করণীয়
চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে প্রতি বছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখেন সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহারে বিরত থেকে। দীর্ঘ সময় পানি পান না করায় এবং ইফতারে পরিমাণমত পানি পান না করায় এ সময় হতে পারে খুব সহজেই পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন, অতিরিক্ত মুখ বা ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এর থেকে তৈরি হতে পারে নানা জটিলতা। নিয়মিত পরিমাণমতো পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।  রোজার সুস্থ ও পানিশূন্যতামুক্ত থাকতে চাইলে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি- >> ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত সময়ে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি খেতে হবে অবশ্যই। প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও কিছুক্ষণ পরে ১ গ্লাস করে পানি খেতে হবে। খাওয়ার মাঝখানে পানি খাবেন না কিংবা একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি খেয়ে ফেলবেন না। ঠান্ডা পানির তুলনায় দ্রুত শোষণ হয় বলে কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে। >> রোজায় সময় খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখবেন যেগুলো সহজে হজম হয়। ভাজাপোড়া কিংবা রিচ ফুড শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে। >> ইফতার মেন্যুতে পানিজাতীয় খাবার ও ফল রাখুন। বেশি করে খেতে পারেন শসা ও তরমুজ। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। সঙ্গে থাকতে পারে শরবত।  >> ডাবের পানি খেতে পারেন প্রতিদিন। প্রয়োজনে স্যালাইন খান।  >> প্রয়োজন ছাড়া রোদে যাবেন না কিংবা রোজা রেখে ভারি ব্যায়াম করতে যাবেন না। এতে ঘাম বেশি হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে। >> ইফতারের পর অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া অনুচিত। >> অনেকেই ইফতারের পর ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করেন, এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। >> নিয়মিত গোসল করতে হবে, খুব খারাপ লাগলে চোখেমুখে পানির ঝাপ্টা দিতে পারেন। >> টকদই ও লাচ্ছি যোগ করতে পারেন ইফতারে। >> খেজুর, ফল, জুসের সঙ্গে ইফতারে রাখতে পারেন পান্তাভাত, যা সারাদিনের রোজার শেষে আপনার দেহে পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। >> ডায়রিয়া বা জ্বর বা অতিরিক্ত বমি হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। >> গবেষণায় দেখা যায়, প্রচুর চিনি থাকায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে তৃষ্ণা বাড়ে। এর পরিবর্তে ফল খেতে পারেন, যা দেহে তরলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটায়।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৪

লোকসান এড়াতে সোনামসজিদ দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৯ দিন ধরে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের এড়াতে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাজারে ভারতীয় আলুর চাহিদা কমে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন। তাই গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছি।  তিনি আরও বলেন, এমনিতেই ভারতীয় আলুর বিক্রি কম। এখন বাজারে দেশি আলু রয়েছে। যেখানে আমদানিতে কেজিপ্রতি ভারতীয় আলু খরচ হয় ২৫-২৮ টাকা। আর সেখানে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা। এজন্য আমরা আলু আমদানি বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সমির ঘোষ বলেন, অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা মাত্র এক হাজার ১০৬ মেট্রিক টন ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন। সর্বশেষ তারা ১০ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানি করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৫

ক্যাম্পাসে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না জাবি কর্তৃপক্ষ : র‍্যাব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। কারণ বিভিন্ন সময় সেখানে মাদক, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই এলার্মিং (বিপজ্জনক)। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধ কাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সহযোগিতা চান, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। আমরা দেশের ভবিষ্যত সম্পদ, জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যতকে এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।  অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলবো না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমরা মনে করি, শুধু এখনই নয়, সব সময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়-দায়িত্ব আমাদের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকেও এর দায় নিতে হবে। প্রসঙ্গত, একজনকে মীর মশাররফ হলে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার সহযোগী বহিরাগত মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৩

পাঁচ বছরের সাজা এড়াতে ১৪ বছর পলাতক, অতঃপর...
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মো. সুজন (৩৮) নামের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, তাকে উপজেলার গনিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।   মো. সুজন উপজেলার গনিপুর গ্রামের আকবর শেঠসাংয়ের ছেলে।   পুলিশ জানায়, সুজন মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি ২০০৯ সালে একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হন। এরপর কিছুদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে ১৪ বছর পলাতক ছিলেন। এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

রাজনৈতিক প্রভাব এড়াতে বড় সংস্কার আসছে ব্যাংকিং খাতে
দেশের ব্যাংকিং খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে বড় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ঋণ খেলাপিদের ধরতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ব্যাংক খাতে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। সুশাসনের অভাবও দীর্ঘদিনের। প্রতিনিয়তই দুর্বল হয়ে পড়ছে কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তারল্য সংকটসহ ব্যাংকগুলোতে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। এই পরিস্থিতিতে টাকা ছেপে ওই কয়েকটি ব্যাংককে নিয়মিত তারল্য সহায়তা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম ব্যাংর্কাস সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানেই ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এসব নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নরসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।   সভায় মামলার জালে আটকে পড়া অর্থ আদায়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এমডিদের। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন, কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়া, প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া সংকটে থাকা দূর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।   সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর সংস্কারের জন্য আমরা প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ঘোষণা করেছি। সংস্কারের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া আছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব ধরে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে। ব্যাংকগুলোর এমডিদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। যেসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই দুর্বল তাদের ঋণ বিতরণ, আমানত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কার্যক্রমের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংক একীভূত (মার্জার) করেও দেওয়া হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো যদি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে তাহলে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা আসবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সম্প্রতি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলেছি আমাদের টার্গেট বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। এতে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। আগে থেকেই তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো করতে পারে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে। মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি একটি অ্যাকশন প্ল্যান করছে। সেখানে খেলাপি ঋণ কমানো এবং সুশাসন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আসবো। মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সময় ক্রলিং পেগ চালুর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। ডলারের মূল্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মামলা কমাতে এডিআরের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো মামলার সংখ্যা কমে আসবে। কোনো গ্রাহক যেন এই এডিআরের সুবিধা নিয়ে শুধু শুধু সময়ক্ষেপণ না করে, সে ব্যাপারেও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, গভর্নর বলেছেন, গ্রাহকের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তিনি ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে কোনো আপস করবেন না। অর্থাৎ আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টর ঘুরে দাঁড়াবে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাংকিং পরিচালনা হবে। ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের ধরতে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সব কিছুই নিতে গভর্নর নির্দেশ দিয়েছেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩২

নাশকতা এড়াতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে রেল
নিরাপদ হিসেবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন ট্রেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল-অবরোধে নিরাপদ এই বাহন ঘিরেই ঘটে গেছে একের পর এক নাশকতা। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এ ধরনের নাশকতা এড়াতে রেলকে তাই এবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আন্তনগর ট্রেন, এবং পরবর্তী  সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায়।  রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের কোচে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুড়ে যায়। দুদিন যেতে না যেতেই ১৯ নভেম্বর আরেকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে। এ ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুরোপুরি পুড়ে যায়; ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও একটি কোচ। ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা।  এরপর ১৩ ডিসেম্বর রেলওয়ের ভাওয়াল গাজীপুর এবং রাজেন্দ্রপুর সেকশনে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা ওই রেললাইনে দুর্ঘটনায় পড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ছয়টি কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়লে প্রাণ যায় এক যাত্রীর। আহত হন অনেকে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আবারও নাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।সেদিন দূর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয় মা ও শিশু সন্তানসহ চার জন। আহত হয় আরও ৮ জন। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এ আগুনে দগ্ধ হয়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুদিন আগে এই ঘটনা নাড়া দেয় দেশবাসীসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। নড়েচড়ে বসেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, হরতাল-অবরোধে সরকারি বাহন ট্রেনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোকেও  ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুধু ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে, ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। যেকোনও নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এটি। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।   
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়