• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনবাগে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী 
সড়কের কোনো কোনো অংশ ভেঙে পড়ছে পুকুরে, কোথাও গাছের শিকড় গজিয়ে উঠছে সড়কের মাঝে, কোথাও আবার উড়ছে বালু আর ধুলো।  ২০ বছর আগে উপজেলা এলজিডি অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে রাস্তা মেপে গেছে । এরই মধ্যে অনেক নতুন সড়ক হলেও পুরাতন সড়কটির বেহাল দশা।  এটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর উত্তরপাড়া-হাজীরহাট সড়কের চিত্র। একই চিত্র দৌলতপুর-নাজিরনগর ও ছিলোনিয়-মানিকপুর সড়কের। দীর্ঘ ২ দশকে সংস্কারের কোনো কাজ না হওয়ায় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে গর্তের কারণে বর্ষকালে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। দূর থেকে মনে হয় সড়কটি পুকুর কিংবা ডোবা। একটু বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে যায় কাদাপানি, ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। গাড়িতে চলাচলে প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকশাভ্যানও যাত্রী ও মালামাল যেতে চায় না দুর্ঘটনার ভয়ে। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতকারীরা। বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।  অটোচালক আবদুর রহিম বলেন, আমরা গরিব মানুষ গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বেশির ভাগই সড়কের কারণে গাড়ি ঘন ঘন নষ্ট হয়ে মোরামতেই খরচ করতে হয়। স্কুলছাত্র কমারুল হাসান নাহিদ জানান, সড়কে গাড়ি যাওয়ার পর আর হাঁটা যায় না ধুলোবালুর কারণে। মনে হয় গ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।   স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকার ব্যবসায়ী লায়ন মো. জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি এ সড়ক। এর করুণ দশা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো ফল আসেনি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  এ ব্যাপারে স্থানীয় অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন জানান, তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছেন। এর আগে কয়েক বার এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন এসে মেপে নিলেও কোনো কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর আলম জানান, সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সংস্কারের জন্য আমাদের যে বরাদ্দ আসে সেগুলো উপজেলার এলজিইডির সড়কগুলোকে দিয়ে শেষ হয়ে যায়। ইউনিয়নের সড়কগুলো করার আর সুযোগ থাকে না।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, ট্রাকে আগুন দিলো এলাকাবাসী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মাটিবাহী ট্রাকচাপায় আফিয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে আগুন নেভান গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা। রোববার (১৭ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আফিয়া আক্তার স্থানীয় বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার আজিজুল বেপারীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় চাঁনখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে পড়তেন। স্থানীয়রা জানান, দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের পাশে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে মাটি ও বালু খনন করে বিক্রি করে আসছে। এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ অপরাধ চলছে। ট্রাকটি মাটি আনতে রোববার বিকাল ৪টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া যাচ্ছিল। পথে শিশু আফিয়া দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় দ্রুতগতির ট্রাকটির নিচে পড়লে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন ট্রাকটিতে ভাঙচুর চালান এবং আগুন ধরিয়ে দেন। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড স্টেশন ইনচার্জ মো. মিলন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকের আগুন নেভানো হয়েছে। নিহত শিশুর মরদেহ তার পরিবারের কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

নোয়াখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে রাস্তায় দাঁড়ালেন এলাকাবাসী
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।   শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর বৈশাখী বধূগঞ্জ এলাকায় তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এতে এলাকার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেন। কিন্তু কয়েকদিন পর তারা পুনরায় স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে সেখান থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে ৭০০-৮০০ পরিবার হুমকির মধ্যে পড়বে। এ ছাড়া একই গ্রামের সরকারি সড়ক, স্কুল, কবরস্থান এবং বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে।   ইউপি সদস্য তানভীর উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত ২০-২৫ দিন ধরে কৃষি জমি, বাড়ি এবং সরকারি সড়কের পাশে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সেখান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করার কথা হয়েছে। তারা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন পুনরায় শুরু করেছে।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা গ্রুপের ম্যানেজার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা না বলে এড়িয়ে যান।    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম রানা, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম, গৃহবধূ মিনারা বেগম প্রমুখ।   সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে একবার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিযান চালায়। তখন তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করে সরঞ্জামাদি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে আসেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ভূমির মালিক বালু উত্তোলন করার জন্য জেলা প্রশাসকের থেকে অনুমতি নিয়েছে কিনা আমি জানিনা। জেলা প্রশাসক বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে তারা তাদের জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি আমি দেখব।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬

ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়, কাঁদলেন এলাকাবাসী
রং-বেরঙের বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফুলের তোড়া। এলাকার সকল মুসল্লিরা তৈরি হয়ে এসেছেন মসজিদে। পুরো আয়োজনটি ছিল কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখের বিদায় সংবর্ধনায়। ১৯৯০ সালে শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ। ৩৫ বছর ইমামতি পর ৭৫ বছর বয়সে বার্ধক্যেজনিত কারণে অবসর নিয়েছেন তিনি। বিদায়বেলায় স্থানীয়দের কাছ থেকে পেলেন এমন রাজকীয় সংবর্ধনা। ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন এলাকাবাসী। কাপাশপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের সামনে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা ওয়াজউদ্দিন শেখকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা ফুলেল শুভেচ্ছা, নগদ টাকা ও নানা উপহারসামগ্রী দেয়। হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের উপসী গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিন শেখের ছেলে। তার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ দীর্ঘ ৩৫ বছর ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন তিনি কাপাশপাড়া বাইতূল নূর জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন তখন মসজিদটি ছিল ছোট একটি টিনের ছাউনি। তখন গ্রামবাসী তাকে বছরে ২২ মণ ধান দিতেন। পরে মাসে অল্প বেতনে তিনি ইমামতি চালিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ইমামতি শেষে বার্ধক্যের কারণে আজ তিনি অবসর নেন। নিজের অনুভূতি প্রকাশে করতে গিয়ে হাফেজ ওয়াজউদ্দিন শেখ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমি যখন এখানে আসি মসজিদটি জানালার কপাট ছাড়া ছোট একটি টিনের ঘর ছিল। বর্তমানে মসজিদটি এখন দোতলা ও টাইলস হয়েছে। এলাকার সকলে আমাকে অনেক সম্মান দেখিয়েছে। আল্লাহ তাদের সবাইকে ভালো রাখুক। মসজিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান চপল খান বলেন, আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুক, ভালো রাখুন এটাই আমাদের কামনা। মসজিদ কমিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান চপল খান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। কেননা আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয়কে বিদায় দিচ্ছি। যিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর আমাদেরকে দ্বীনি শিক্ষায় আলোকিত করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন এটাই আমাদের কামনা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়