• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এনআইডিতে নতুন ডিজি, জীবন বীমায় এমডি
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের (এনআইডি) মহাপরিচালক (ডিজি)। অন্যদিকে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুজ্জামানকে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জানা গেছে,  জীবন বীমা করপোরেশনে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ছয়জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুজহাত ইয়াসমিনকে জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. ছায়েদুজ্জামানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ইকোনোমিক মিনিস্টার মো. মাহমুদুল হাসানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্তি, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রেজানুর রহমানকে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব জোবায়দা বেগমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৩

ব্যাংকের এমডি ও সিইও হতে নতুন শর্ত, কমছে সুবিধা
কাউকে ব্যাংকের এমডি বা সিইও পদে নিয়োগ দিতে হলে তার কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা ও বয়স ন্যূনতম ৪৫ বছর হতে হবে, সেই সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ প্রসঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই দুই পদের কর্মকর্তার বেতন-ভাতা ও অনুমোদিত সুবিধার বাইরে পরোক্ষ সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জারি করা নির্দেশনায় এমডি ও সিইও হওয়ার নতুন মানদণ্ডের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এমডি হিসেবে নিয়োগ পেতে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা কিংবা ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা এমডি নিয়োগে অধিক গুরুত্ব পাবে।    শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে পারবে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনায় বলেছে, গ্রেডিং পদ্ধতিতে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০-এর কম এবং অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত সিজিপিএ-এর ক্ষেত্রে ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ২.৫০-এর কম ও ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.০০-এর কম হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।   বিদেশ থেকে ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রকাশিত ফলাফল (শ্রেণি/বিভাগ/জিপিএ) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এসবের পাশাপাশি প্রার্থীর নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী থাকতে হবে। এমডি পদে নিয়োগ হিসেবে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত পূর্ববর্তী পদে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে নতুন নির্দেশনায়।   তবে এসব যোগ্যতা থাকার পরেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি, পাওনাদারের প্রাপ্য পরিশোধ না করা, এমনকি আপস রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হতে অব্যাহতি লাভ করা ব্যক্তিও এমডি বা সিইও পদে নিয়োগের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। পাশাপাশি আদালতের দেউলিয়া ঘোষিত হলে বা দায়িত্ব পালনকালে কোনোরূপ অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হলেও তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগের মেয়াদ হবে সাধারণত ৩ বছর। তবে তিনি পুনঃনিয়োগের যোগ্য হবেন। যে মেয়াদের জন্যই প্রস্তাব করা হোক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রার্থীর সাক্ষাতকার নেওয়ার পর দেওয়া সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। একজন সিইও বা এমডি সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত এ পদে নিযুক্ত থাকতে পারবেন।   নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি আদালতের দণ্ডিত, জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তিনি অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। প্রার্থী সম্পর্কে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকা যাবে না। পাশাপাশি কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়ামাচার লঙ্ঘনজনিত কারণে দণ্ডিত হলেও প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হবেন।   আরও বলা হয়েছে, কখনও এমন কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় যুক্ত ছিলেন বা আছেন, তার নিবন্ধন অথবা লাইসেন্স বাতিল বা অবসায়িত হয়েছে, এমন ব্যক্তি ব্যাংকের এমডি বা সিইও হতে পারবেন না। কিংবা কোনো কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন, যার নিবন্ধন অথবা লাইসেন্স তার সরাসরি বা পরোক্ষ অপরাধজনিত কারণে বাতিল করা হলেও, সেই ব্যক্তি এমডি বা সিইও হতে পারবেন না।    এ ছাড়া অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি ও নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকাকালীন স্বীয় পদ হতে অপসারণ, বরখাস্ত, বা অবনমিত হয়েছেন এমন ব্যক্তিকেও এমডি বা সিইও হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে না ব্যাংক।   একইভাবে কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বা চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা কর্মকর্তা বা অন্য কোনো পদে আসীন থাকা অবস্থায় তাকে ওই পদ হতে অপসারণ, বরখাস্ত, বা অবনমিত করা হয়নি বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি এমন ব্যক্তিকে এমডি বা সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট বা অনসাইট পরিদর্শনে কারও বিরুদ্ধে বিরূপ পর্যবেক্ষণ থাকলে তিনি এমডি হতে পারবেন না। এর আগে এই পদে পদাধিকারীদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে কোনো সীমারেখা ছিল না। পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ১০ বছরই যথেষ্ট বলে গণ্য করা হতো।  যেসব সুবিধা কমছে এদিকে নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) বেতন-ভাতা ও অনুমোদিত সুবিধার বাইরে পরোক্ষ সব সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এমডি ও সিইও বিদেশে চিকিৎসা খরচ বা বাৎসরিক মেডিকেল চেক-আপ বাবদ খরচ, বিদেশে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচ, ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণ ভাতা ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন না। এখন থেকে এসব উচ্চ পদাধিকারীরা ব্যাংকের মুনাফার বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ, কমিশন, ক্লাবের জন্য কোনো চাঁদা বা খরচের সুবিধা ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন না। তবে এমডি বা সিইওর যদি একান্তই নিজের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয়, তাহলে চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের চিকিৎসা যথেষ্ট নয় মর্মে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে তিনি বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বিদেশ বলতে কেবল এশিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত যে কোনো দেশে অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংক থেকে চিকিৎসা ভাতার সুবিধা নিতে পারবেন।   নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব পদাধিকারীর উৎসাহ বোনাস বছরে ১৫ লাখ টাকার বেশি হবে না। ব্যাংকের অন্য কোনো কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত সীমার বেশি উৎসাহ বোনাস পাবেন না। এ ছাড়া বছরে দুটির বেশি উৎসাহ বোনাস দেয়া যাবে না এবং কোনো উৎসাহ বোনাস মূল বেতনের বেশি হবে না। এ ছাড়া ইউটিলিটি বিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিজের চিকিৎসা খরচ, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ামের সুনির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে হবে। তা ছাড়া এখন থেকে এমডি ও সিইওদের ব্যক্তিগত গাড়ি, জ্বালানি ও চালক সুবিধার মাসিক অর্থমূল্য বেতন-ভাতায় উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংক থেকে নেওয়া সব ধরনের সুবিধার বর্ণনা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রতিমাসে বেতনের সময় এসব সুবিধার অর্থমূল্যের হিসাব সংরক্ষণ রাখতে হবে।    এমডি ও সিইওর বেতন-ভাতা নির্ধারণ হবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা, কর্মকাণ্ডের ব্যাপকতা, ব্যবসার পরিমাণ, উপার্জন ক্ষমতা, শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংখ্যা বিবেচনায়। এ ছাড়া এখন থেকে বেতন-ভাতার বিপরীতে আয়কর এমডি বা সিইও নিজ উৎস থেকে দেবেন। এর বাইরে বিদেশে চিকিৎসা খরচ বা বাৎসরিক মেডিকেল চেকআপ বাবদ খরচ, বিদেশে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচ, ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণ ভাতাও ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৪

বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা : বিশ্বব্যাংকের এমডি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বেজার্ড। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে প্রথম সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আন্না বেজার্ড বলেন, মুদ্রা ও রাজস্ব নীতিতে দ্রুত এবং সাহসী সংস্কার বাংলাদেশকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম করবে। এ ছাড়া বিবৃতিতে বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি আন্না বেজার্ড।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমি গর্বিত। দেশটি লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সহায়তা করেছে। আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ুর অভিঘাত ও ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে কেউ যেন পিছিয়ে পড়ে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করব। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের এমডি। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংকের এমডি
বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ঋণ পরিশোধ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে তার সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  বাংলাদেশের সমসাময়িক ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরে সংবাদকর্মীদের  তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশ্বব্যাংক কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক সুরক্ষা, এসএমই খাতের উন্নয়ন নিয়েও কথা হয়েছে। অ্যানা বেজার্ড বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ যার বাইরে না। এসবের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ডের এটি তার প্রথম  বাংলাদেশ সফর। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এই ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রথম ঋণ নেয়। যার পরিমাণ ছিল ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা নেওয়া হয় জরুরি অগ্রাধিকার খাতে। একই বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়। পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে পানি সরবরাহ খাতের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানটি। এর পর থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ নেয় বিশ্বব্যাংক থেকে। বাংলাদেশে দুটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা সেতু) এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (দুই লেন) নির্মাণসহ এ পর্যন্ত ৩০০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। এখন নতুন করে চলমান রয়েছে আরও ৫৭টি প্রকল্প।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের এমডি
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যানা বেজার্ড রাতে ঢাকায় আসছেন। তার সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার। এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।  এর সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস জানায়, একদিনের সফরে অ্যানা বেজার্ড আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ঢাকায় আসছেন। দেশের ৮টি প্রকল্পের জন্য ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংক প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ৮৪৫ মিলিয়ন ডলারের দরিদ্রদের নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্প। এ প্রকল্পে গত নয় বছরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় হয়েছে। বর্তমানে কেবল ৫৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের বাকি রয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০০

পদত্যাগ করলেন এনআরবি ব্যাংকের এমডি 
এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন মাহমুদ শাহ পদত্যাগ করেছেন। চুক্তির শেষ প্রান্তে এসে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। গত ২১ জানুয়ারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আরও দুই সপ্তাহ তার মেয়াদ ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাকির আমিন চৌধুরী বর্তমানে ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পদত্যাগপত্রে মামুন মাহমুদ শাহ উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি আর এনআরবি ব্যাংকের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি না। এজন্য ২১ জানুয়ারি থেকে আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করুণ। পাশাপাশি অসুস্থতাজনিত কারণে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছুটি চেয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী ওই দিনই তার শেষ কর্মদিবস হওয়ার কথা ছিল। ২০১৯ সালে তিনি এনআরবি ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দেন। মামুন মাহমুদ শাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করে আইএফআইসি ব্যাংকে অবেক্ষাধীন (প্রবেশনারী) কর্মকর্তা হিসেবে তার ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। ৩০ বছরের বেশি কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও বহুজাতিক ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ইস্টার্ণ ব্যাংক, এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬

ওয়াসার এমডি বারবার দায়িত্ব পাওয়ায় যা বললেন মন্ত্রী
নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার (২১ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, বারবার কেন ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বে বর্তমান এমডি? এমন প্রশ্নে সাংবাদিকরা আমাকে বিভিন্ন সময় শক্ত করে ধরেছেন। বারবার সমালোচনা হয়েছে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে নিয়ে। তারা বলেছেন, কেন বারবার ওয়াসা এমডি হিসেবে বর্তমান এমডি থাকেন। কেন এতবার তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবে আমি সাংবাদিকদের বলেছি, কোনো মানুষই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০, ৩০ অথবা ৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন, কারণ তিনি তার যোগ্যতা সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন দেখেই বিবেচনা করা হয় একটা রাষ্ট্র কতটা উন্নত। সে কারণে ঢাকা ওয়াসাকেও এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা আমাদের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসা তাদের গুণগতমান, অগ্রগতির দিক থেকে তার প্রমাণ দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা তাদের কোয়ান্টিটি, কোয়ালিটি এবং মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে। তাদের অগ্রগতি অবশ্যই প্রশংসনীয়।  তাজুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের এমডির নেতৃত্বে কাজ করে ঢাকা ওয়াসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার সময় আমি বলেছি, ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা যদি উৎপাদন খরচ হয় তাহলে সেটা যদি আমি ১৫ টাকায় বিক্রি করি, তবে বাকি ১৫ টাকা আমি কোথা থেকে পাব? তাহলে এটা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সারাদেশের মানুষের থেকে সরকার ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে আর সেই অর্থ দিয়ে ওয়াসার পানির দাম না বাড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে যাব? তিনি বলেন, একজন মানুষ গুলশানে বসবাস করে সেখানে তার প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ওয়াসার পানির দাম মাসে ১০০ বা ২০০ টাকা বেড়ে গেলে তাদের সহ্য হবে না। তাহলে কি গরিব মানুষের থেকে টাকা এনে সরকার এই গুলশানের মানুষের জন্য পানিতে ভর্তুকি দেবে? তাহলে গরিব মানুষের প্রতি যে আমাদের কমিটমেন্ট আছে তার কি হবে? তিনি আরও বলেন, ওয়াসার নিজেদের মধ্যেকার কোনো দুর্নীতির কারণে যদি পানির দাম বাড়ে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষের টাকা এনে তা থেকে ওয়াসার পানির দাম কম রাখার জন্য ভর্তুকি দেওয়া হবে না।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৫

ঋণখেলাপির মামলায় নুরজাহান গ্রুপের এমডি কারাগারে
ছয় হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি মামলায় নূরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহির আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের অর্থ ঋণ আদালতে হাজির হন তিনি। পরে বাদি বিবাদির আইনজীবীর মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে তর্কবিতর্কের পর আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমান জহির আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেয় নূরজাহান গ্রুপ। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ছয় হাজার কোটিতে দাঁড়ায়। পাওনা আদায়ে জনতা, অগ্রণী, কমার্স ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকসহ নানা ব্যাংক জহির আহমেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে ৬০টি মামলা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩টি মামলার সবগুলোতেই সাজা পরোয়ানা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।  তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি দায়ে শুধুমাত্র অগ্রণী ব্যাংক জহির আহমেদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে। ব্যাংকটির আইন কর্মকর্তা নূরুল আমিন জানান, আমাদের ৪টি শাখার থেকে ঋণ নিয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী নুকবারাত জুমার জানান, জহির আহমদ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ঋণ খেলাপি হয়েছে। তার ঋণ যতটা বলা হচ্ছে ততটা নয়। আমরা জামিন চেয়েছি কিন্তু আদালত জামিন দেয়নি। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে ১৮টি ঋণ খেলাপির মামলায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশ জহির আহমদকে তার ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আদালত তার পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়