• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
প্রেডিক্ট এবং উইন গিফটস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
২০২৩ সালে ৫ অক্টোবর মাঠে গড়িয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে মাইক্লোর সহযোগিতায় প্রেডিক্ট এবং উইন গিফটস ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছিল আরটিভি। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের প্রেডিকশন জানিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মোট ৪৮ জন। মাইক্লোর সহযোগিতায় ইতোমধ্যেই বিজয়ীদের পুরস্কার হাতে তুলে দিয়েছে আরটিভি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে ইংলিশদের ৯ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল কিউইরা। সে ম্যাচে প্রেডিক্ট এবং উইন গিফটস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন মিতু ইসলাম। আসরের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন সাইফুল ইসলাম। লিগ পর্বের আরেক হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে ভারতকে প্রেডিক্ট করে পুরস্কার বিজয়ী হন ফরহাদ রেজা। বিশ্বকাপের সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ধরা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান লড়াইকে। এই ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় পায় স্বাগতিকরা। সেই সঙ্গে আরটিভির প্রেডিক্ট এবং উইন গিফটস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুবাইয়ের হোসেন সিয়াম। বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের কাছে মহাগুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই ম্যাচে জিততে না হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যেতো টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের হারিয়ে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিল সাকিব বাহিনী। এই বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন সুমন শাহ। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আসরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মাইটি অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্থ করে ফাইনাল নিশ্চিত করে অজিরা। এই দিন প্রেডিক্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন শাহিন মিশু। বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সব থেকে বড় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকের সামনে রোহিত-কোহলিদের কাঁদিয়ে হেক্সা মিশন সফল করে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে অজিদের বেছে নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন কুমিল্লার রাস্তি চৌধুরী নাভিল। প্রেডিক্ট এবং উইন গিফটস ক্যাম্পেইনের ৪৮ জন বিজয়ী হলেন :  মিতু ইসলাম, আরিয়ান শোভন, শরিফুল ইসলাম, শাহেদ আহমেদ, ফারহাদ রেজা, টি এম সিদ্দিকুর রহমান, এস এ বৃষ্টি, তামান্না ইসলাম, তাজমিরা আক্তার, তুষার মজুমদার, প্রান্ত দেবনাথ, জুবাইয়ের হোসেন সিয়াম, তৌফিক ইমন, আহমেদ স্বাধীন, নাফিস কামাল, সানোয়ার হোসেন, আদিবা সুলতানা মৌ, জহির আবেদীন রাদ, শারমিন সুলতানা ঊষা, চৈতী শাহা, রোজিনা জেয়া, তৌহিদুল ইসলাম সোহান, ফারজানা আক্তার রোমা, জালাল হোসেন, জামাল উদ্দিন খারশেদ, আলিনা সীমা, নাহিয়ান ইবনে আজিজ, আবির ফারহান, তাইয়েবা তাসকিন লামিয়া, রিফাত হাওলাদার, শরিফুল ইসলাম, শাকিল হোসেন, আরাফাত ইসলাম সুজন, রাসেল আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল তাইফ, লাজিনা আক্তার লুজু, মহিউদ্দীন আহমেদ, সুমন শাহা, সাইফুল ইসলাম, রিহাদ জেকেআর, দেওয়ান সাদিয়া শারমিন, মাজহারুল ইসলাম মাজহার, ইমরুল কায়েস প্রণয়, ফাতিয়া আয়াত, শিউলি খান, রুবেল হোসেন, শাফিন মিশু ও রাসতি চৌধুরী। মাইক্লোর সহযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে ইতোমধ্যেই পুরস্কার হাতে তুলে দিয়েছে আরটিভি। পুরস্কার হাতে পেয়ে একজন বিজয়ী বলেন, বিশ্বকাপের সময় আমি অনেকগুলো ম্যাচে প্রেডিকশন দিয়েছিলাম। তবে একটিতে বিজয়ী হয়েছি। পুরস্কারটা হাতে খুবই ভালো লাগছে, আরটিভি এবং মাইক্লোকে ধন্যবাদ। আরটিভির এই আয়োজনের প্রশংসা করে আরেক বিজয়ী বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আরটিভির মতো দেশের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোরও এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এতে সবার মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।
২ ঘণ্টা আগে

‘অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’
অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে কায়েম করে একনায়কতন্ত্র। স্থবির হয়ে পড়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জাতির পিতার নেওয়া সকল কার্যক্রম। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে বিভোর হয়ে থাকে। শেখ হাসিনা বলেন, এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এদেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস। এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাদপদ দেশের তকমা পড়িয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এদেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব বঞ্চনাকে তখন ভাগ্যের লিখন হিসেবে মেনে নিতো সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুঃস্থ মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, দুঃস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, কম্যুনিটি ক্লিনিক, নিরক্ষরতা দূর করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি আমরা। এই সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এভাবে বিগত পনের বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই পনের বছরের অভিযাত্রা একেবারেই কুসমাস্তীর্ণ ছিল না। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্র আমাদের চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করেছে বার বার। ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডর এবং কয়েক দফা প্রলঙ্কারী বন্যা উপকূলীয় এবং নিম্নাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মত উনড়বয়নশীল দেশগুলি চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলী বাহিনীর গণহত্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত ও তার সহযোগীদের কারণেও জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মত নৃশংসতা এখনও জনমনে গভীর দাগ কেটে আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েকশ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা এরপর বলেন, এসব অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিগত দেড় দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব রূপান্তর ঘটেছে। অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সব খাতে আজকে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

অবন্তিকার মৃত্যু : কুমিল্লায় জবির সহকারী প্রক্টর এবং সহপাঠীর বিরুদ্ধে মামলা 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে কুমিল্লায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জানিনা মামলা করে কতটুকু বিচার পাব। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে দায়ীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, রাত ৯টার দিকে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৪

ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী এবং কেন জরুরি
  ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের মধ্যে অনেক বড় একটা পার্থক্য রয়েছে, যা আমরা সাধারণ চোখে কখনোই ভেবে দেখি না। বেইলি রোড দুর্ঘটনার পর অনেকেই বলছেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য আগুনের ভয়াবহতা অনেক অনেক গুণ বেড়েছে। কথা ঠিক যে, অপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস আছে, যেগুলো থাকার কারণে একটা জায়গায় আগুন লেগে গেলে  তীব্রতা অনেক বেড়ে যেতে পারে। যেখানে দাহ্য পদার্থ যত বেশি থাকবে, সেখানে আগুন দ্রুত ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা নানারকম আলোচনা-সমালোচনা করে থাকি, কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা একটু চিন্তা না করে কোনো বিষয়ে কিছু একটা বলে ফেলার কারণে সমাজে এর অনেক বড় ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তেমনই একটা ক্ষতিকর প্রভাব হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা। ইন্টেরিয়র ডিজাইন কী?  খুব সহজে এবং সংক্ষেপে যদি বুঝতে চাই তাহলে, কোনো একটা আবদ্ধ স্থানকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট আবদ্ধ স্থান রয়েছে এখন এই আবদ্ধ স্থানটির কোথায় আপনি কোন কাজের জন্য ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করা। স্থাপত্যের ভাষায় বললে, কোনো স্থাপনার অভ্যন্তরীণ স্থানকে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ।  প্রথমত, এই কাজে অনেকগুলো বিষয় নিশ্চিত করতে হয়, যেমন- যথাসম্ভব পর্যাপ্ত বাহিরের আলো–বাতাসের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিটা মানুষ যেন আরামে বসে কাজ করতে পারে, কাজের স্থানে যেন চলাচলের সুব্যবস্থা থাকে, কাজের ধরন অনুযায়ী পর্যাপ্ত আসবাবপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকা, এমনভাবে আসনগুলোকে স্থাপন করা যেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে তাদের কাজের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারে। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকজন একসাথে বসে কাজ করতে পারে। কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটলে যেন সবাই খুব দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারে ইত্যাদি আরও অনেকগুলো বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি কাজ করে থাকেন।  দ্বিতীয়ত, ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ নির্ধারণ করা, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। ক্লায়েন্টের সামর্থ্য, পছন্দ, ব্যবহারকারীর ওপর প্রভাব ইত্যাদি নানান বিষয় মাথায় রেখে ডিজাইনের উপকরণ বাছাই করতে হয়। উপকরণের গঠন, রং, আলোর প্রতিফলন, ঠান্ডা-গরম এমনকি ব্যবহারকারীর মানসিক নানান দিক ও চিন্তা করতে হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন সম্পূর্ণরুপে একটি সৃষ্টিশীল বা সৃজনশীল কাজ।  ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন কী?  একটি আবদ্ধ স্থানকে যখন কাজের ধরন অনুযায়ী ভাগ করা হয়, তখন ওই ভাগ করা একেকটি অংশকে আমরা আমাদের পছন্দমতো উপকরণ দিয়ে অলংকৃত করি। মূলত এই অলংকরণ করাটাই হলো ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। এই কাজে খুব একটা সৃষ্টিশীলতার তেমন কিছু নেই। ব্যবহারকারীর রুচির ওপর বেশির ভাগ নির্ভর করে।   কেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি  ইন্টেরিয়র ডিজাইন একজন ব্যবহারকারীকে তার স্থানটিকে উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দিবে যা একজন ব্যবহারকারীর খুবই প্রয়োজন। একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি। আমাদের দেশে এই বিষয়টি খুব বেশি দিন আগে থেকে তেমন পরিচিত নয়। আবার নিয়ম-কানুন না মেনে অনেক কিছুই আমরা করে ফেলতে পারি বলে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের গুরুত্বকে তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাই যা বেশির ভাগ সময়ে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ডেকোরেশনের মধ্যে পার্থক্য না বোঝার কারণে আজকে একটা সুন্দর শিল্পকে আমরা ধ্বংশ করে ফেলতে যাচ্ছি। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের নামে শুধুমাত্র কিছু গৎবাধা ডেকোরেশন করে চালিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে আমি মনে করি। আমদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নয় আর এই অসচেতনতার সুযোগ নিচ্ছে একদল লোভী, সুবিধাভোগী মানুষ। তারা কিছু না জেনেই অতি মুনাফার আশায় মানুষের ক্ষতি করে আসছে। একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন করার জন্য একজন মানুষকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়, তাকে অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হয়, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হয় এবং ভালো মন-মানসিকতার অধিকারী হতে হয়, তারপর একজন মানুষ একটি ভালো কাজ উপহার দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোড ট্রাজেডির ফলে অনেকেই না বুঝে ইন্টেরিয়র ডিজাইনকে অনেকাংশে দায়ী করছেন।  আসলে দেখতে হবে যে, এই ট্রাজেডির জন্য কে দায়ী, ইন্টেরিয়র ডিজাইন নাকি ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন? আমাদের কিছু ভুল ধারণার কারণে একটা সুন্দর শিল্পকে যেন ধ্বংস করে না ফেলি! আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বা ইন্টেরিয়র স্থপতি পারেন একটি আবদ্ধ স্থানকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই খুব ভালো ভালো কাজ করছেন। আমরা অনেকেই জানিনা যে, আন্তর্জান্তিক পরিমণ্ডলে আমাদের দেশের স্থপতিদের করা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রজেক্ট পুরস্কার পাচ্ছে এবং সমাদৃত হচ্ছে।   অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে কোর্স করাচ্ছেন এমনকি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অনার্স (ব্যাচেলর ডিগ্রি) কোর্স ও করানো হচ্ছে। তাই আমরা জেনে-বুঝে ও শুনে একজন ডিজাইনারের পটভূমি যাচাই করে তবেই তাকে বা তার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাব। এখন সময় এসেছে এই শিল্পকে নিয়ে গর্ব করার। স্থপতি মো. মোকসেদুর রাহমান রিপন সাবেক শিক্ষক, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৫

রোজায় পুষ্টি এবং শক্তি পাবেন যেসব খাবারে 
রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেশি থাকে। আবার অনেকক্ষণ খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তিরও ঘাটতি হয়। যার কারণে রোজা রেখে আমরা অনেক খাবারই খাই; কিন্তু বিশেষ কিছু খাবারের দিকে সবার খেয়াল রাখা উচিত। খাদ্যতালিকায় কিছু সুপারফুড যুক্ত করা হলে শরীর একই সঙ্গে পুষ্টি এবং শক্তি পাবে। এসব খাবার শরীরের জন্য বেশ উপকারী।  এ ধরনের কিছু খাবার হলো- প্রতিদিন দু-তিন লিটার পানি : দেহের একটি আবশ্যিক উপাদান পানি। শরীরের পুরো ওজনের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ হচ্ছে পানি। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রায় ৪০ কেজি পানি থাকে। খাবার হজম ও শোষণে সাহায্য করা ছাড়াও দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ যেমন-ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া মূত্র ও ঘামের সঙ্গে নিষ্কাশন করে। এভাবে পানি দেহকে সুস্থ রাখে। রোজার সময় প্রতিদিন দু-তিন লিটার পানি পান করা উচিত। পানি গ্রহণের পরিমাণের সঙ্গে পানি ত্যাগের পরিমাণের (যেমন-মূত্র, মল, ঘাম) দিকে খেয়াল রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ-খাবার পানির পরিমাণ ২০০০ মিলি হলে মূত্রের মাধ্যমে পানি ব্যয় হবে ২০০০ মিলি, এর বেশি ব্যতিক্রম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিদিন ইফতারে রাখুন ফলমূল : ইফতারে ফলের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। ফল বলতে বিদেশিই হতে হবে বা দামি ফল হতে হবে তা নয়-দেশীয়, সস্তা মৌসুমি ফল প্রতিদিন ইফতারে রাখা যেতে পারে। আপেল-আঙুরের পরিবর্তে ইফতারে স্থান পেতে পারে আমড়া, পেয়ারা, গাব, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪১

জাবির ‘বি, আইবিএ-জেইউ এবং ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ), আইবিএ-জেইউ এবং ‘ই’ (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ শিফটে ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়। সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম মাইক্রোবায়োলজি ও রসায়ন বিভাগ ভবনের কেন্দ্রের ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে নিরলসভাবে পরিশ্রম করায় উপাচার্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টর অফিস, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, আনসার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আগামী ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত কলা ও মানবিকী অনুষদের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং ৫ মার্চ চারুকলা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

কবি ঋজু রেজওয়ানের কাব্যগ্রন্থ ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ 
‘অমর একুশে বইমেলা ২৪’-এ প্রকাশিত হয়েছে কবি ঋজু রেজওয়ানের কাব্যগ্রন্থ ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’। বইটি প্রকাশ করেছে ঘাসফুল প্রকাশনী।  ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ কবির তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করেছে ‘সুখ+মানুষ = জামা>গিলোটিন’ এবং ‘বিপ্রতীপতা (+) হাইটেক বাই ফোকাল’ নামের দুটি কবিতাগ্রন্থ। ঋজু রেজওয়ানের লেখালেখির চর্চা কৈশোরে স্কুল দেয়ালপত্রিকা ‘উদয়ন’-এর সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। তিনি নিয়মিত লিখছেন ছোট-বড় কাগজে এবং দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে। কবিতা, কবিতাবিষয়ক প্রবন্ধ, শিশুতোষ ছড়া ছাড়াও পদ্যও লিখছেন সমান আগ্রহে। ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঋজু রেজওয়ান বলেন, এর প্রতিটি কবিতা শাস্ত্রীয় ছন্দের নানারকম পরীক্ষা ও নীরিক্ষার এক আকর গ্রন্থ হলেও এর প্রতিটি কবিতা সাবজেক্টলি অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল দিক থেকে বিবেচনা করলে এ সবই আবহমান কবিতার চিরায়ত সুর ঝংকৃত হয়েছে এ কবিতাগ্রন্থে। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, তার প্রথম দুটি কবিতাগ্রন্থের বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ‘জ্যা~মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর।’ এ কবিতাগ্রন্থে দুটি পর্ব। ‘জ্যা ~ মন নাচমিতি’ পর্বে ২৪টি কবিতা ও ‘এবং জলপ্রহর’ পর্বে ২৭টি কবিতা সন্নিবেশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শামীম আরেফিন। পাওয়া যাবে ১৪৭-১৪৮ স্টলে।  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬

‘আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো’
ইটের স্তূপ এবং দেয়াল দেখলাম, স্থানীরা যতগুলো ইট তুলে রেখেছে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি একটা সাইটে এত পরিমাণ ইট তুলে কেউ গুছিয়ে রাখেনি। আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো  ঢাকার কাছে এত বড় একটা প্রতিস্থাপন, যেখানে কলচুরির রাজা লক্ষ্মকর্ণের ইতিহাসের কথা বলা হয়, লক্ষ্মকর্ণের কথা বলা হয়, এটা আমাদের পাশের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া দুর্গের কাছেই। এটা ইতিহাসের সমৃদ্ধ একটা স্থান এবং ইতিহাসের পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনার একটা জায়গা। এটা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে এখানে দেশের কোনো শাসক আছে বলে মনে হয় না। এখানে কোনো কাস্টোডিয়ান আছে বলে মনে হয় না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের বড়-দিঘি ও এর আশপাশের এলাকা দিনব্যাপী ঘুরে এসব মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, কর্ণপুর এখন একটি গ্রাম। কিন্তু একসময় যে এটা কত সমৃদ্ধ বসতি ছিল, কেউ এ জায়গায় না এসে বলতে পারবে না। তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয় লেখকরা সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আসেননি। এখানকার ইট দিয়ে কেমন করে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে, সবকিছু কেমন করে ধূসর হয়ে যাচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখজনক। এখানকার সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। তারা অবশ্যই তাদের জায়গার ইতিহাস দেখবেন এবং সংরক্ষণ করবেন। সংবিধানেও নিজ এলাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। তাহলে তারা কি তাদের সংবিধান মানছেন না? শুধু তারাই নয়, আমারা যারা গবেষণা করি, অধ্যাপকরাও দায়ী, মন্ত্রণালয় দায়ী, সরকার দায়ী। সকলেই আমরা একটা ধংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি। এটা কোনোভাবেই একটা দেশের জন্য শুভকর নয়। দেশকে বাঁচাতে গেলে ইতিহাস আমাদের একটা পরিচয়। সেই পরিচয় আমরা মুছে দিতে পারি না। খুব দ্রুত সরকারের উচিত এখানে এসে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা। তারপর যারা গবেষক তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো, তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এটা নাহলে দেশ এগোতে পারবে না। স্থানীয় আবদুল হাকিম আকন্দ বলেন, বড়-দিঘি থেকেই পাকিস্তান আমলে শ্রীপুরের কালু মণ্ডল সাহেব ইট তুলে নিয়েছিলেন। এরপর আমরাও সেখান থেকে কমপক্ষে দুই ফুট প্রশস্তের দেয়াল দেখেছি। স্থানীয়রা নানা প্রয়োজনে এসব সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজনে স্থাপনা করেছেন। স্থানীয় বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ইট সরিয়ে নেওয়ার পর পাথর বের হয়। দিঘির পাড়ের অনেকের বাড়িতেই ইট পাথর পাওয়া যাবে। নানান ধরনের নকশা করাও রয়েছে এসব পাথরে। এর আগে ড. সুফী মোস্তাফিজ একই ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের কিছু পুরাকীর্তির চিহ্ন দেখতে পান। ওই এলাকার আকন্দপাড়া, শেখপাড়া, টেক্কার ভিটার টেক-টিলা, একটি মাজারের আশপাশ ও প্রাকৃতিক অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। সেখানে থাকা প্রাচীন ইটের খণ্ড খণ্ড অংশ পর্যবেক্ষণ করেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের দরদরিয়া দুর্গের পশ্চিমে তথা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের অবস্থান। অধ্যাপক সূফী জানান, খোঁজেখানী গ্রামে যেসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে ,সেগুলো মধ্যযুগীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ত্রয়োদশ শতাব্দী বা তার পরে ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত সময়ের বলে মনে হচ্ছে। কোথাও স্থাপিত দেয়ালের অংশবিশেষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইতিহাস থেকে বলা যায়, দরদরিয়া যদি একদল দুর্গ হয় তাহলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় তুঘলকির অবস্থান ছিল। তুঘলকি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানে সেনাবাহিনীর বসতি ছিল এটা একটা একটা ক্লু। এসব জায়গায় প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।  ইট, মৃৎপাত্র, ছোট একাধিক ডিবি পাওয়া গেছে। এগুলো চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে আমরা সেগুলো কোন সময়ের সেটা বলার চেষ্টা করি। এটা খনন করার দরকার। খনন করা হলে বেশি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খোঁজেখানী গ্রামের কিছু কিছু অংশ খনন করা হলে ভালো কিছু পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। খননকাজে নিজেকে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বেশি প্রয়োজন। খোঁজেখানী গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, চার কোণাকৃতির যেসব ইট পাওয়া যায় সেগুলো গুঁড়া করে এলাকার অনেকেই বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। এগুলো বেশ শক্ত। তারাও এগুলো ব্যবহার করেছে। আরেক গৃহিণী রুনা আক্তার বলেন, আশপাশের জমিগুলো খনন করলে ইটের স্তর বের হতো। এখনও ইটের ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লেখক মিশকাত রাসেল বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বিশেষ করে এক যুগেরও আগে তিনি একটি বইয়ে ইতিহাস পড়ে এসব এলাকায় প্রাচীন স্থাপনার খোঁজ নিতে আসেন। বছরের পর বছর ধরে খোঁজ করতে করতে প্রাচীন স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কয়েকটি প্রবন্ধ তৈরি করেন। প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেউ কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেন। এখন এগুলো জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে। শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু বাক্কার ছিদ্দিক আকন্দ বলেন, প্রাচীন স্থাপত্য-কীর্তি একটি এলাকার মানুষের ঐতিহাসিক পরিচয় বহন করে। যেগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে দ্রুত সময়ে সেগুলোর সংরক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ হয় বাঙালিরা অনেক আগে থেকেই কর্মে বেশ সুদক্ষ ছিল। প্রাচীন পুরাকীর্তির সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি এলাকা পর্যটন-সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে। এতে মানুষের মানসিক চাহিদার পূরণের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। পুরাকীর্তির এসব স্থাপনা অনুসন্ধান করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের পর্যটন খাতও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। পুরাকীর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফুল ও ছকের আকৃতিবেষ্টিত পাথর বসানো রয়েছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনা কাদামুক্ত রাখতে প্রশস্ত ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশস্ত ইটগুলো সংরক্ষণ করেছেন পরবর্তী কোনো কাজের উদ্দেশ্যে।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে রাচিন এবং ও’রুর্ক
অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র ও তরুণ পেসার উইল ও’রুর্ককে অন্তর্ভুক্ত করে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন রাচিন। অন্যদিকে শুধু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ও’রুর্ককে রাখা হয়েছে। এদিকে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে টেস্টে ফিরছেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। উইলিয়ামসনের পাশাপাশি টম ব্লান্ডেল ও কাইল জেমিসনকেও রাখা হয়েছে। হোম কন্ডিশন বিবেচনায় সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের দল থেকে দুই স্পিনার ইশ সোধি ও অ্যাজাজ প্যাটেল স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। গত বছরের মার্চে ওয়েলিংটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ২০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পরই ফর্ম হারান হেনরি নিকোলস। এরপর শেষ ১১ টেস্টে ৪০ রানের কোটাও পার করতে পারেননি তিনি। তাই তার জায়গায় রাচিনকে নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে কানপুর টেস্টে রাচিনের অভিষেক হয়। কিন্তু টেস্ট দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্টে খেলেছেন তিনি। ব্যাট হাতে ৭৩ রানের পাশাপাশি ৩ উইকেট নিয়েছেন আইসিসির উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া রাচিন। এদিকে গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ও’রুর্কের। এই সিরিজে ৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। ঘরোয়া সুপার স্ম্যাশ টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের ৯ উইকেট শিকার করেছেন ও’রুর্ক।  আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ শুরু করবে। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হ্যামিল্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দল : টিম সাউদি (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল, ডেভন কনওয়ে, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, উইল ও’রোর্ক (দ্বিতীয় টেস্ট), গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, নিল ওয়াগনার, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়ং।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৯

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : চাকরির বাজারে বৈষম্য এবং উত্তরণের উপায়
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ)। সম্প্রতি বিবিসিতে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য এবং বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে এআই সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও প্রভাবিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।   এ প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর চাকরির বাজারে এআই বৃহত্তর প্রভাব ফেলবে যার পরিমাণ প্রায় ৬০ শতাংশ। যদিও এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে এআই কর্মীদের কাজের গতি বাড়াবে, যা তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে এআই চাকরির বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিম্ন-আয়ের অদক্ষ কর্মীরা পিছিয়ে পড়বে এবং উচ্চ-আয়ের দক্ষ কর্মীরা মজুরিতে অসম বৃদ্ধি দেখতে পাবে। তাই নীতিনির্ধারকদের এই প্রবণতা মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা যাতে প্রযুক্তিটি সামাজিক উত্তেজনা আরও উসকে না দেয়। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে যে কাজগুলো মানুষ করে থাকে, এআই সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারবে। এটি শ্রমের চাহিদা কমাবে, মজুরি প্রভাবিত করবে এমনকি চাকরি নির্মূল করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। অদূর ভবিষ্যতে এআই প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ফুল টাইম চাকরির সমতুল্য কাজ করতে সক্ষম হবে, যা চাকরির বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তবে এআই নতুন অনেক চাকরির ক্ষেত্রও তৈরি করবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়াও প্রযুক্তিগত কারণে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রায় ২৬ শতাংশ কর্মসংস্থান প্রভাবিত হবে বলেও আইএমএফের বিশ্লেষণে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ক্রিস্টালিনা জর্জিভা আরও বলেন, অনেক দেশের কাছেই এআই এর সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো বা দক্ষ কর্মী নেই, যা উন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলির মাঝে প্রযুক্তিগত বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই তিনি দুর্বল কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীদের বৈষম্য কমানো সহজ হয়। এ ছাড়াও ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা জাল স্থাপন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন । আইএমএফের এই বিশ্লেষণ এমন একটি সময়ে প্রকাশ পেল যখন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এ অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে জড়ো হয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা। ফোরামে আলোচনার একটি বিষয় ছিলো এআই। বিশেষ করে যখন চ্যাটজিপিটির মতো এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং নানান দেশ এই প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে। গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের প্রথম ‘এআই অ্যাক্ট’ নামে একটি অস্থায়ী চুক্তি করেছেন। এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীন তাদের নিজস্ব এআই নির্দেশনা প্রকাশ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।   
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়