• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত এফডিসি
আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ২০২৪-২৬ মেয়াদের এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ভোটের দিন এফডিসিতে সমিতির ভোটার ছাড়া অন্যদের প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন নির্মাতারা। যে কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে এফডিসিতে। চলচ্চিত্র পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কোনো পরিচালক অ্যাকশন না বলা পর্যন্ত যে শিল্পীরা মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে থাকে, তারাই আজকে পরিচালকদের এফডিসিতে ঢুকতে নিষেধ করছে, কি চমৎকার !’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিচালক বুলবুল বিশ্বাসও। তিনি লিখেছেন, ‘পরিচালকরা যে অভিনয়শিল্পীদের বাপ, তা মনে হয় শিল্পী সমিতি ভুলে গেছে। সময় এসেছে তাদের তা মনে করিয়ে দেওয়ার’    পরিচালক সাজ্জাদ খান লিখেছেন, ‘বিএফডিসিকে কি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি মনে করছে নাকি কেউ! এফডিসি কোনো একটা সংগঠনের জন্য না। আগেরবার ঠিকঠাক প্রতিবাদ না-হওয়ায় এবারও তারা এই সাহস দেখাচ্ছে। এফডিসি নির্বাচন মানে নতুন পুরাতনের মিলনমেলা। এই সুন্দর পরিবেশ যারাই নষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তারাই সিনেমার প্রধান শত্রু। কোনো রাজনৈতিক নেতার ফোন থাকলে এবার তার নাম প্রকাশ করা হোক। জাতি চিনে রাখুক কে সেই নেতা।’ এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অদ্য ১৫ এপ্রিল বিকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন- ২০২৪-২০২৬ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিএফডিসির সভাকক্ষে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন বোর্ড এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল বিএফডিসির অভ্যন্তরে শিল্পী সমিতির স্টাডিরুমে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচন উপলক্ষে শুধুমাত্র শিল্পী সমিতির ভোটারগণ ব্যতিত অন্য কাউকে বিএফডিসির অভ্যন্তরে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’ এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচনের দিন এফডিসিতে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট বসানো হবে বলেও জানানো হয়।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০২

উদ্বোধনের দিনেই যানজটে কাবু এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি এক্সিট র‌্যাম্প
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি গেট খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই তীব্র যানজটের সম্মুখীন হলো যাত্রীরা। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার পর এই অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিকে গাড়ির সংখ্যা একটু কম থাকলেও বিকেল সাড়ে ৫টার পর গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। হাতিরঝিল-এফডিসি মোড় থেকে যানজট চলে যায় র‌্যাম্প হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। দেখা গেছে, বিমানবন্দর-বনানী থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এসে গাড়িগুলো এফডিসি মোড় নামছে। সেখান থেকে গাড়িগুলো চারটি গন্তব্য— তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কারওয়ান বাজার দিকে যাচ্ছে। এফডিসি অংশের র‌্যাম্প শেষ হয়েছে মহানগর হাঁস-মুরগি বাজারজাতকরণ সমবায় সমিতির লিমিটেড ভবনের সামনে। এর প্রায় ১২০ মিটার দূরেই হাতিরঝিল-এফডিসি মোড়। উড়ালসড়ক থেকে নেমে আসা ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার, ছোট ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মিনি বাসগুলোকে র‌্যাম্প দিয়ে নেমে এই মোড়ের দিকে যেতে হচ্ছে। গাড়িগুলো ওই মোড় হয়ে বাঁয়ে তেজগাঁওয়ের দিকে, সোজা হাতিরঝিলের দিকে, ডানে মগবাজারের দিকে ও ইউ টার্ন নিয়ে সোনারগাঁও-কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছে। ফেসবুকের ট্রাফিক এলার্ট গ্রুপে দেখা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপরে থাকা অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও যাত্রী পোস্ট করে জানিয়েছেন তারা তেজগাঁও পর্যন্ত জ্যামে আটকে আছেন। এখান থেকে বের হতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগছে প্রতিটি গাড়িকে। ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমিসহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করছি। আমরা সচিব (সেতু সচিব) স্যারের সঙ্গে এর আগেও কথা বলেছি এবং প্রকল্পের যে পিডি আছেন তার সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা বলেছিলাম, আপনারা র‌্যাম্প চালু করার আগে অবশ্যই বাঁ পাশের লেন ক্লিয়ার করে দেবেন। ইউটার্ন এবং মাঝখানের আইল্যান্ড ভাঙার কথা বলেছিলাম। তারা এতদিনে এ কাজটা করতে পারেননি। এজন্য আজকে এখানে যানজট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আইল্যান্ড ভাঙার কাজ আজ রাতেই শুরু করবে। যেহেতু র‌্যাম্পটি আজ চালু হয়েছে তাই গাড়ির চাপও বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণে সব অফিসাররা রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। আমরা অনেকটা প্রেশার কমিয়েছি। তারা (এলিভেটেড কর্তৃপক্ষ) যদি এটা দুই দিনের মধ্যে ঠিক করে না দেয় তাহলে আমাদের পক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। এর আগে, আজ সকালে এই এক্সিট র‌্যাম্পের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই অংশের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। তিনি এটিকে দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলে আখ্যা দেন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ (সাড়ে ১১ কিলোমিটার) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই অংশে যান চলাচল শুরু হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে তিন চাকার গাড়ি (থ্রি-হুইলার), মোটরবাইক, বাইসাইকেল, পথচারী চলাচল করতে পারে না।  
২০ মার্চ ২০২৪, ২২:৫০

খুলে দেওয়া হলো এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের র‌্যাম্প
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্মুক্ত করেন। এ নিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৬টি র‌্যাম্প চালু হলো। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র‌্যাম্প খুলে দেওয়া হলো। এটি রাজধানীবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার। তিনি বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।  উদ্বোধনের পরপরই এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার র‌্যাম্প দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এই র‌্যাম্প চালু হওয়ায় উত্তরা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে আসা গাড়ি সরাসরি মগবাজার, হাতিরঝিল ও কাওরান বাজার এলাকায় নামতে পারবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‌্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০০

‘এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের র‍্যাম্প প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র‍্যাম্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এফডিসি অংশের র‍্যাম্প উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি রাজধানীবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার। তিনি বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।  ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‍্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে। এর আগে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলে দেওয়া হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪২

৪ মাস বেতন না পেয়ে বিপাকে এফডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। একসময় লাইট, ক্যামেরায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি জায়গা মুখরিত থাকলেও আজ তা শুধুই অতীত। কমে গিয়েছে সিনেমার শুটিং। বেঁচে থেকেও যেন প্রাণহীন প্রিয় এফডিসি ! এর সঙ্গে জড়িত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিস্থিতও এখন এমন। গেল চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না তারা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন এফডিসির ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদিকে আর কদিন পরই শুরু হচ্ছে রমজান। সব মিলিয়ে অনিশ্চিতায় মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন তারা। উপায় না দেখে বেতন-ভাতার দাবিতে আগামী ১১ মার্চ এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে মানববন্ধন করবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেতন অনিশ্চিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ এফডিসির আয় কমে যাওয়া। একসময় প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক ছিল, সরকারের রাজস্বেও জোগান দিতো। বর্তমানে আয় কমার পেছনের কারণগুলো- ৩৫ মিলিমিটারে (সেলুলয়েড) সিনেমা নির্মাণের সময় কাঁচা ফিল্ম বিক্রয় বা ল্যাব প্রিন্ট হতো। ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার পর সেটি এখন বন্ধ। এ ছাড়া এফডিসির ভবন নির্মাণে তিনটি ফ্লোর ভেঙে ফেলাতে প্রতিষ্ঠানটি ৭০ ভাগ আয় কমে গেছে। পাশাপাশি দেশে সিনেমা হল কমে যাওয়ায় প্রযোজকদের সিনেমা নির্মাণের আগ্রহও কমেছে। বর্তমানে ফ্লোর, ক্যামেরা, ডাবিং, এডিটিং, লাইট, কালার গ্রেডিং, বিএফএক্স, শুটিং স্পট ইত্যাদি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে মাসে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় হয় এফডিসির। তার বিপরীতে ২১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ-পানির বিলসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মাসে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। আয় কমাতে এফডিসি এখন চরম সংকটে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, সবশেষ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এফডিসির কিছু জায়গা অধিগ্রহণ বাবদ সরকার ৬ কোটি টাকা প্রদান করে এফডিআর করে রাখে। ওই এফডিআর থেকে ঋণ নিয়ে গত ৮ মাস যাবৎ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়। ঋণের পরিমাণ এফডিআর’র কাছাকাছি হওয়ায় এখন ঋণ নেওয়া সুযোগও নেই। ফলে গত চার মাস ধরে বকেয়া পড়েছে বেতন-ভাতা।  এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকে থাকা এফডিসির এফডিআর ভাঙিয়ে বেতন ও যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হতো। একসময় এফডিআর শেষ হয়ে যাওয়ায় সরকারি প্রণোদনায় কিছুদিন ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছিল।  সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় হতে টাকা সময়মতো পাওয়া যায় না বলেই এফডিসির হাল এখন বেহাল হয়ে পড়েছে। গত চার-পাঁচ বছরের অবসরে যাওয়া এফডিসির প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের ছুটি নগদায়ন এবং গ্র্যাচুয়িটি বাবদ পাওনা প্রায় ১৫ কোটি টাকা এখনও বুঝে পায়নি।  এফডিসির সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকারের রাজস্ব ভুক্ত হলেও জাতির পিতার হাতে গড়া দেশের সবচেয়ে বড় স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটি এত বছরেও সরকারের রাজস্বভুক্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে বায়োপিক ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণে এফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। অথচ এই ফান্ডে টাকা থাকলেও তা খরচ করতে পারছে না তারা। প্রতিষ্ঠানটি রাজস্বভুক্ত না হওয়ায় অবসরের পর পেনশনও পাচ্ছেন না। ফলে দিনের পর দিন অর্ধাহারে, অনাহার কাটছে তাদের জীবন। অর্থের অভাবে চিকিৎসাও ব্যহত হচ্ছে। অর্থকষ্ট আর হতাশায় অবসরকালীন সময়ে এ পর্যন্ত মোট আটজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে তারা আশাবাদী, ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলে এফডিসির এই দৈন্যদশা এক দিন শেষ হবে। তবে এই প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। এই সময়টুকু পার করতে সরকারের আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়