• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির মন্ত্রীদের বউদের ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতে দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।  বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা দেখলাম চাদর খুলে পুড়ল। আমি এখন বলব, বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না, এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই। তিনি এরপর যোগ করেন, যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? ঈদের আগে দেখতাম, বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত। বিএনপি নেতাদের কখনও আক্কেল হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে তারা এখন ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো ভুলে যাচ্ছে। তাদের কখনও আক্কেল হবে না। এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তখন তারা কে কোথায় ছিল? যিনি বলে যান যে আওয়ামী লীগ নেতারা ২৫ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিল? স্বাধীনতার পর ৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল। এই খাদ্যসচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর তখন পুরস্কার পেয়েছিল।  শেখ হাসিনা বলেন, মঈন খানের বাবার নাম হলো মোমিন খান। সে ছিল খাদ্যসচিব। জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে খাবার আসতে দেয়নি বাংলাদেশে, দুর্ভিক্ষ ঘটানো হয়েছিল। আমি ৮১ সালে দেশে আসি। সারা বাংলাদেশ ঘুরি। তখন প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। কারণ, তারা আমাদের বিজয় নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যার কারণে জাতির পিতাকে হত্যা করল। এরপর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। আজ রাজনৈতিক দল করে অনেক বড় বড় কথা বলে তারা।  তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হলো কলকাতায়। ভারত-পাকিস্তান যখন বিভক্ত হয়, তখন তারা কিন্তু পূর্ব বাংলায় আসেনি, তারা করাচিতে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেখানে পড়াশোনা করে। সেখানেই আর্মিতে যোগ দেয়। সেখান থেকে সামরিক অফিসার হিসাবে পূর্ব বাংলায় এসেছিল দায়িত্ব পালন করতে। এটাই হলো বাস্তবতা। কিন্তু তার মনে তো পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।  শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগই সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করে। শুধু যুদ্ধ পরিচালনা নয়, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়। এক একটা সেক্টরের দায়িত্ব একেকজনকে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এই কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না।  প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিল জিয়াউর রহমান। সেই সময় যারা বেরিক্যাড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্যুয়াজ জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চ এ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায় সেই আক্রমণকারীর একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।  তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর ছিল এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। দেশটা ছিল পরাধীন। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এ দেশে ইতিহাস বিকৃতির পালা দেখেছি।আজ যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা কোথায় ছিলেন? সেটাও একটু বলেন! জবাব দিন!  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৩

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে সেসময় মানুষকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনের পর যখন ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দিলো না। ২৫ মার্চ যখন গণহত্যা শুরু করল। পরদিন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে বন্দি করে রাখা হলো। এরপরই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেনি, শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি দেয়নি, একটা যুদ্ধের বিজয় এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে যেভাবে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানিরা বলতো বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কিছু করতে পারবে না। বাংলাদেশ তাদের কাছে বোঝা ছিল, স্বাধীন হয়ে ভালই হয়েছে- এ ধরনের কথা তারা বলেছে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে যখন বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করলেন। এরপর যখন দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটাই স্বাধীনতাবিরোধীদের সহ্য হয়নি। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু যারা আমাদের দেশের, যারা দিনরাত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত, তাদেরই দেখলাম ঘাতকরূপে। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৩

হলে এনে নির্যাতন, ঢাবির ৩ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
ব্যবসায়ী ও তার বন্ধুকে বাসা থেকে তুলে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অপহরণের মামলায় আদালত এ আদেশ দেন। অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদি,  মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক মোনতাছির হোসাইন ও তার আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীন এবং ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন। জানা গেছে, আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি ব্যবসার কথা বলে মোনতাছির হোসাইনের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শাহাবুদ্দীন তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ১০-১২ জনকে নিয়ে আবদুল জলিল ও তার বন্ধু হেফাজ উদ্দীনকে হাতিরঝিলের হাজীপাড়ার বাসা থেকে তুলে এনে বিজয় একাত্তর হলে রাখে। এরপর হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রাখেন। আব্দুল জলিলের পরিবার মামলা দায়ের করার পর শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় পুলিশের অভিযানে মুহসীন হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা হয়।  হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল জব্বার বলেন, প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান বিদেশে থাকায় হল প্রশাসন এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি দেশে ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শবে বরাত উপলক্ষে ছুটি এবং প্রাধ্যক্ষ স্যার কালই ফিরবেন, তাই আমরা অপেক্ষা করছি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার উনি আসার পরেই নেবেন। তবে সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিন ছাত্রের মধ্যে দুজনের কোনো আবাসিকত্ব নেই। ফলে হল প্রশাসনের পক্ষে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না। প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আগামী ডিসিপ্লিন বোর্ডের সভায় তাদের বিষয়টি উত্থাপিত হবে। সেখানে তাদেরকে অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার করা হতে পারে অথবা অন্য শাস্তি দেওয়া হবে। আমরা বারবার বলছি- এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা-বহির্ভূতকাজে জড়িত থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯

ব্যবসায়ীকে তুলে এনে ঢাবি হলে নির্যাতন, তিন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
পাওনা টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দুই ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আটকে রেখে তিন দিন ধরে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতা ও সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক মোনতাছির হোসাইন, একই হলের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক উপসম্পাদক আল শাহরিয়ার মাহমুদ ওরফে তানসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসান সাঈদি। এ ছাড়াও ঘটনায় সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা মোনতাছিরের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসার কথা বলে ছাত্রলীগ নেতা মোনতাছির হোসাইনের আত্মীয় মো. শাহাবুদ্দীনের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন আবদুল জলিল। তিনি সময়মত টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দুইটার দিকে শাহাবুদ্দীন ১০ থেকে ১২ জনের দল নিয়ে আবদুল জলিল ও তার বন্ধু হেফাজ উদ্দীনকে হাতিরঝিলের হাজীপাড়ার বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসেন।   প্রথমে তাদের বিজয় একাত্তর হল ও পরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।ওই দলে ছাত্রলীগের গ্রেপ্তার তিন নেতাও ছিলেন।   ঘটনার পর আবদুল জলিল ও হেফাজ উদ্দীনের পরিবারের পক্ষ থেকে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় পুলিশের অভিযানে মুহসীন হলের ৫৪৪ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।   এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাবুদ্দীন ও তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানার পুলিশ।   আবদুল জলিল বলেন, শাহাবুদ্দীন আমার কাছে ৩৫ লাখ টাকা পান। মাঝে কিছুদিন তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত দুইটায় দলবল নিয়ে আমাকে বাসা থেকে তুলে আনা হয়। আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।   নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেছেন, আবদুল জলিলের শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।   হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় হওয়া মামলায় শাহাবুদ্দীন ও অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি জিরো টলারেন্স। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের থানায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।   এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়ায় এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য জানা যায়নি।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

ভারত থেকে চিনি-পেঁয়াজ এনে বিক্রি হবে টিসিবির মাধ্যমে
ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি এনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিপণন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল যে, চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না। কিন্তু এখন তারা আমাদের আবেদনটা সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, রমজানের আগেই আমরা একটা ইতিবাচক সাড়া পাব। সেই চিনি ও পেঁয়াজ আমরা টিসিবির মাধ্যমে বিপণন করতে পারবো। তিনি বলেন, ভারত আমাদেরকে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনি দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের চাহিদা আরেকটু বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, নিজেদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবে না তারা। যতটুকু সহনীয়, ততটুকুই তারা দেবে। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, আমরা গত ২২ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছি। সেখানে চিনির যে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে, সেটা রমজান উপলক্ষে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের জায়গায় পাঁচ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। আর খেজুরের একটা ভ্যালু (মূল্য) ঠিক করা ছিল, আমরা বলেছি, ইনভয়েস ভ্যালুতে (চালান মূল্য) করটা নির্ধারণ করার জন্য। এখন এনবিআরকে আপনারা প্রশ্ন করেন, যত দ্রুত তারা এটা দেবে, আমার জন্য মার্কেট অপারেশন তত সহজ হবে। এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করা হবে কি না, জানতে চাইলে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এনবিআরের সঙ্গে আর বৈঠক করার দরকার নেই। গেল ২২ জানুয়ারি আমরা চিঠি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এখন এনবিআর কেন দিচ্ছে না, সেটা গিয়ে তাদের বলতে হবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২১

জাল ভোটের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন জাপা প্রার্থীর
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. এনায়েত হোসেন ভোট বর্জন করেছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এনায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও তারাকান্দা ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকরা জাল ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া ফুলপুর ও তারাকান্দার প্রায় সব কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়।  এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবগত করলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ লাঙ্গলের এজেন্টদের।  লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জানান, সার্বিক বিষয় ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়