• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তুমি আমার জীবন এত সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা : পরীমণি (ভিডিও)
চিত্রনায়িকা পরীমণির একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই।  শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে নানান খুনসুটিতে মেতে ওঠেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও সেসব শেয়ার করতেও ভোলেন না এই নায়িকা। এমনকি সময় সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন পরীমণি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পোস্ট দেন পরীমণি।    ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘খোদা! তুমি আমার জীবন এতো সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা! আমাকে আরও শত শত দিন এভাবে বাচঁতে দিও তুমি। পরীপুণ্য’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি বসে আছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর পরীমণি খুব আরাম করে সেটা উপভোগ করছেন।  ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ৯১ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টসবক্সে। একজন লিখেছেন, মা আর সন্তানের ভালোবাসা অটুট থাকুক আজীবন। চিত্রনায়িকার আরেক ভক্ত লেখেন, পরীপুণ্যের ভালোবাসা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।     
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯

কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। তবে সবার প্রিয় এই উৎসবটি এলেই সবার কানে বাজতে থাকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। এটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের মানুষই গানটির সঙ্গে এখন পরিচিত। গানটির এত জনপ্রিয়তা থাকলেও এটি কেন জনপ্রিয় এবং এর শুরু কীভাবে―তা হয়তো অজানা অনেকের। ২০০৯ সাল, অর্থাৎ দীর্ঘ পনেরো বছর আগে বেসরকারি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। ২০১১ সালে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে এটি। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, আমাদের সময়ের কথা ভেবে খুবই ভালো লাগে। গানটির কথার সঙ্গে এর সুর ও কণ্ঠের জন্যও ভালোবেসে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন মানুষ। ২০০৯ সালের ঘটনা। ঈদের খুব বেশি বাকি নেই তখন। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে। আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। এরপর গানটি হাবিব ওয়াহিদ সুর করেন। তার ধানমন্ডির হোম স্টুডিওতে গানটির কথাগুলো পান সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, গানটির সুর হওয়ার পর হাবিব নিজেই গাইছিল। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।  এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৬

কেন এত সোনা কিনছে চীন!
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ কিনেছে৷ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও গাজার সংঘাতের পাশাপাশি চীনের এ পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে৷ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে সুদের হার কমানোর চেষ্টা ও চীনের স্বর্ণ জমা করার কারণে এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো মূল্যবান এ ধাতুটির দাম দুই হাজার ২১২ ইউরো ছাড়িয়েছে৷ বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক অস্থিরতা ও মুদ্রাস্ফীতির সময় স্বর্ণকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করেন৷ তাই করোনা পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে চলমান সংঘাত স্বর্ণের সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে৷ চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার (পিবিসি) এই পদক্ষেপে উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও প্রভাবিত হয়েছে৷ তারাও স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, পিবিসি সবশেষ ১৬ মাস ধরে তার স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়িয়েছে৷ ২০২৩ সালে অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় পিবিসি বেশি স্বর্ণ কিনেছে৷ সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীন ২২৫ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে৷ যা বিশ্বের অন্য সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কেনা এক হাজার ৩৭ টনের প্রায় এক চতুর্থাংশ৷ এ মুহূর্তে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে প্রায় দুই হাজার ২৫৭ টন স্বর্ণ মজুদ আছে৷ পিবিসির পাশাপাশি, চীনের সাধারণ নাগরিকেরাও স্বর্ণের মুদ্রা, বার ও গহনা কিনছেন৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রধান মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট জন রিড গত মাসে ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, বছরের শুরু থেকেই আমরা চীনকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ কিনতে দেখেছি৷ চীনের অভ্যন্তরীণ সাংহাই গোল্ড এক্সচেঞ্জে রেকর্ড পরিমাণ বেচাকেনা দেখেছি৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য চীন মার্কিন ডলারের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল৷ বিশ্বের সংরক্ষিত মুদ্রা হিসাবে, বেশিরভাগ পণ্যের দাম ডলারে হয় ও বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি বাণিজ্য মার্কিন ডলার ব্যবহার করে পরিচালিত হয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য গত ৩০ বছরে চীন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করেছে, যার বেশিরভাগই ডলার৷ একই পরিস্থিতি ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ এ দেশগুলোর অর্থনীতি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে প্রস্তুত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ব্রিকস ভবিষ্যতে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করার কথাও ভাবছে৷ যা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ মুদ্রা হিসাবে পরিচিত মার্কিন ডলারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে৷ ওয়াশিংটন তার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রাখতে ডলারকে কিভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে তা নিয়ে চীনসহ ব্রিকস এর সদস্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন৷ ডলারে বিনিময়ের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম খরচে ঋণ নিতে পারে৷ উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সময় ওয়াশিংটন এই মুদ্রাকে কূটনীতির হাতিয়ার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারে৷ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ জব্দ করাসহ মস্কোর উপর বেশ কয়েক দফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ মার্কিন চাপের মুখে, বেশিরভাগ রাশিয়ান ব্যাংককে সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সহজেই লেনদেন করা যায়৷ এছাড়াও ভবিষ্যতে চীন যদি তার সামরিক শক্তি আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় বা ওয়াশিংটনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ায় , তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একইরকম নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে বলে চিন্তিত চীনের রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ৷ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ প্রয়োজনে বলপূর্বক তাইওয়ানকে পুনরায় দখল করতে পারে৷ গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে বেইজিং তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে৷ ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনার এই ধারা আরও কয়েক বছর ধরে চলমান থাকবে৷ এ প্রক্রিয়াটিকে ডলারের বিকল্প তৈরির একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন তিনি৷
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

‘আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে মানুষের এত সমস্যা কেন’
ব্যাট হাতে প্রতিটি ফরম্যাটেই নিয়মিত রান করেন পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার বাবর আজম। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সঙ্গে বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট নিয়ে বাবর অভিযোগ উঠছে। এবার নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। বাবর বলেন, ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারালে মেরে খেলা কঠিন। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মুক্তভাবে খেলাও সম্ভব হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত বাবর ম্যাচ খেলেছেন ২৯০টি। ব্যাট করেছেন প্রায় ১৩০ স্ট্রাইক রেটে। তিনি বলেন, আমি শুধু দলের জয়ের কথাই ভাবি। কীভাবে ইনিংসটাকে গড়ে তুললাম, সেটা ভাবি। স্ট্রাইক রেট ব্যাপারটা ভিন্ন গল্প। ইনিংস গড়া আর ম্যাচ জেতানো দুইটি ভিন্ন বিষয়।  ‘আমি ক্রিকেট খেলতে জানি। আমি জানি, বাড়তি কী যোগ করতে হবে, স্টাইলে কী সংযোজন করতে হবে। এখানে পরিস্থিতিটাই আসল। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তো আমি মুক্তভাবেই খেলব।’ তিনি আরও বলেন, ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করলেও অনেকে প্রশ্ন তুলবে। হাতে উইকেট থাকলে ২০০ স্ট্রাইক রেটেও খেলা যায়। আমি বুঝি না, আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে মানুষের কেন এত সমস্যা। তারা বলবে ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা উচিত।  ‘এরপর আমি যদি ১৭০-এ ব্যাট করি, তখন বলবে ২০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা উচিত। প্রত্যেকের খেলার নিজস্ব স্টাইল আছে, আমি অন্য কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে পছন্দ করি না।’  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৫

বাইরের জীবন এত কঠিন জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম : জল্লাদ শাহজাহান
আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান বলেছেন, ৪৪ বছর কারাবন্দি থেকে বাইরে এসে নানা প্রতারণায় পড়ে মনে হচ্ছে কারাগারেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শাহজাহান বলেন, ৪৪ বছর পর জেল থেকে ফিরে এক অন্যরকম দেশ দেখছি। এ সমাজে চলতে গিয়ে প্রতারণার মধ্যে পড়তে হচ্ছে আমাকে। আমি কল্পনাও করতে পারিনি। বাইরের লোকের সম্পর্কে আমার এমন ধারণা ছিল না, তারা এতটুকু নির্দয় হতে পারে আমার জানা ছিল না। আমি জানতাম না এত প্রতারক বাংলাদেশে রয়েছে।  তিনি বলেন, জেল থেকে বের হয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছি। সাথী আক্তার নামের ২৩ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছি। মেয়েটি আমার সব টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো আমার নামে মামলা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজাহান বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার কোনোটিই আমি পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বলেন, আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগানদাতা নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি।  ৪৪ বছর কারাভোগ শেষ করে এসে আমি এখন বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না।  জল্লাদ শাহজাহান বলেন, আমি প্রতি জায়গায় প্রতারণার খপ্পরে পড়ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়েছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও আমার কাছে থাকা ১০ লাখ টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথায় পালিয়ে গেল। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিলো। আমি থানায় মামলা দিতে গেলেও বউয়ের নামে মামলা করা যায় না বলে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। পরে আইনজীবীর সহযোগিতায় রোববার (৩১ মার্চ) আদালতে আমার স্ত্রী, শাশুড়িসহ ৬ জনের নামে মামলা করেছি। তিনি বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার ভাগনে নজরুল আমাকে অটোরিকশা কিনে দেবে বলে আমার টাকা মেরে দেয়। এরপর চায়ের দোকান দিই, আমার সঙ্গে থাকা ছেলেটি ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার সময় স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার সব প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। শাহজাহান বলেন, কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর কারাগারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে আশীর্বাদ হিসেবে পাওয়া টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা আমি সাহায্য হিসেবে পাই। সেই টাকা দিয়েই মূলত আমি বিয়ে করে এখন সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমি এখন কীভাবে বাঁচব, আমার জীবন কীভাবে চলবে, কোথায় থাকব কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন খেয়ে না খেয়ে অনাহারে আমার জীবন চলছে। এই জল্লাদ বলেন, আমি এখন দুই অথবা তিন দিন পর ভাত খাই। আমি আমার উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপির কাছে গিয়েছি কিন্তু কেউ কাজ দেয়নি, সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। এভাবে চলতে থাকলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। জল্লাদ শাহজাহান বলেন, শেখের বেটির কাছে আমার চাওয়া, ঘৃণ্য অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে আমাকে একটি আবাসন ও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যেন চলতে পারি সেজন্য সহজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। সমাজের বিত্তবানদের কাছেও আমার একই দাবি। আমার এ অসহায়ত্বের অবসান চাই। দয়া করে আমাকে বাঁচান।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৮

সোমালিয়ান জলদস্যু কেন এত শক্তিশালী?
সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুতা মূলত এই উপকূলে অবৈধভাবে মাছ ধরার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল। বিদেশি জাহাজ থেকে এই উপকূলের জলের মধ্যে বিষাক্ত বর্জ্য ডাম্পিং করার ফলে স্থানীয়দের পরিবেশ বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিল। এর প্রতিবাদে স্থানীয় জেলেরা সশস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে বিদেশি জাহাজ এ অঞ্চলে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিকল্প আয় হিসেবে তারা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ মুক্তিপণের জন্য ছিনতাই শুরু করে। ২০০৯ সালের ওয়ার্ডিরনিউজ কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ উপকূলবর্তী সম্প্রদায় দেশের জলসীমার মধ্যে বিদেশি জাহাজের প্রবেশ বন্ধে জলদস্যুতাকে শক্তভাবে সমর্থন করে।  জলদস্যুদের বিশ্বাস, তারা তাদের মাছ ধরার অঞ্চল রক্ষা করছে, ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দেশের সামুদ্রিক সম্পদ বহির্দেশের কাছ থেকে রক্ষা করে চলেছে।  দস্যুরা কীভাবে এত শক্তিশালী? উত্তর-কেন্দ্রিক সোমালিয়ার গ্যালমাদাগ প্রশাসন এ সকল জলদস্যু গ্যাংদের দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ব্যবহার করে থাকে। সোমালিয়ার সেনাবাহিনী, কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা এমনকি অন্যান্য দেশের বড় বড় ব্যাবসায়ী এই লুটের টাকার ভাগ পেয়ে থাকে। জলস্যুদের মুক্তিপণের অর্থায়নে সেখানে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। দেশটির অন্যান্য অংশ থেকেও বিনিয়োগকারীরা সেখানে অর্থ খাটাচ্ছে। জলদস্যুতা এখন সোমালিয়ার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, বলছেন অর্থনীতিবিদরা। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমালিয়ায় উপযোগী কোস্টগার্ড বাহিনী না থাকায় এবং দেশে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় সামরিক বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় জেলেরা একত্রিত হয়ে দেশের জলসীমা রক্ষায় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পাহারায় নিয়জিত রয়েছে। এ ধরনের সংবাদ মূলত জলদস্যুতা সমর্থিত নেটওয়ার্ক থেকেই বেশি শুনতে পাওয়া যায়। যেমন—জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক কোস্টগার্ড, যা জলদস্যুদের প্রাথমিক প্রেরণা হিসেবে তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকে। জলদস্যুতা যেহেতু অত্যধিক লাভজনক হয়ে উঠেছে সুতরাং, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছাই জলদস্যুদের জলদস্যুতা পেশা বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের ভাষ্যমতে, দেশটির সাবেক ও বর্তমান উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের উভয় প্রশাসনই জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত। আন্তর্জাতিক জোট জলদস্যুদের সমুদ্রে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি তাদের লোকানো বিভিন্ন স্থানেও আক্রমণ করে থাকে। ফলে ২০১০ এর প্রথম ছয় মাসেই জলদস্যুদের দ্বারা আটক জাহাজের সংখ্যা ৮৬ থেকে কমে ৩৩-এ নেমে আসে। এ ছাড়াও এর ফলে জলদস্যুরা এ অঞ্চল ত্যাগ করে সোমালি বেসিন ও ভারত মহাসাগরের প্রতি ঝুঁকে পরে। ২০১১-এর শেষ দিকে জলদস্যুরা এডেন অঞ্চল থেকে মাত্র চারটি জাহাজ সোমালিয়ার উপকূলে নিতে সমর্থ হয়। অবশ্য তারা ৫২টি ভেসেলে হামলা পরিচালনা করে যদিও সফল হতে পারেনি। ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর জলদস্যুরা একটি বড় জাহাজ ছিনতাই করে এবং ৫২ জনকে বন্দি হিসেবে আটক রাখে। আক্রমণের সময় হিসেবে তারা মূলত রাত কিংবা ভোরের দিকটাকেই বেছে নেয়। জলদস্যুরা বড় জাহাজগুলোর কাছে পৌঁছাতে ছোট ছোট মটরচালিত নৌকা ব্যবহার করত। যা দ্রুত গতির পাশাপাশি বড় জাহাজের রাডারে সহজে ধরা পড়ে না। জানা যায়, সমুদ্র বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার কারণে সোমালিয়ান জলদস্যুরা এতটা সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে পারে। কেবল ক্ষিপ্রগতিতেই নয় বরং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা হানা দেয়। আক্রমণের সময় হিসেবে তারা মূলত রাত কিংবা ভোরের দিকটাকেই বেছে নেয়। বড় জাহাজগুলোর কাছে পৌঁছাতে তারা ছোট ছোট মটরচালিত নৌকা ব্যবহার করত। যা দ্রুত গতির পাশাপাশি বড় জাহাজের রাডারে সহজে ধরা পড়ে না। জলদস্যুরা সাধারণত জাহাজগুলোর পেছন দিক থেকে আক্রমণ চালায়। এক মাথায় হুক লাগানো লম্বা দড়িতে চেপে তারা দ্রুত জাহাজে উঠে যায়। যা মূলত জাহাজের পেছন দিকে লাগানো হুকের সঙ্গে আটকানো হয়। এই কাজগুলো তারা এত দ্রুত করে যে জাহাজের ক্রুরা কিছু বুঝে ওঠা কিংবা এলার্ম বাজানোর আগেই তারা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তাছাড়া গভীর সমুদ্রে আক্রমণ সাজানোর সময় তারা একটি মাদারশিপ থেকে অভিযান পরিচালনা করে। গণমাধ্যমের দাবি, জলদস্যুদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য AK47, AKM, Type56, TT33, RPK, RPG-7 এবং PK অস্ত্র ব্যবহার করে। তাছাড়া RGD-5 ও F1 এর মতো শক্তিশালী হাত বোমাও তারা ব্যবহার করে থাকে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি পতাকাবাহী একটি জাহাজ। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

জাপার এত শক্তি, জানতামই না : চুন্নু
‘দলে এত সক্রিয় কর্মী ছিল, এত শক্তি ছিল, আমি মহাসচিব হিসেবে জানতাম না। এটা তো আমার ব্যর্থতা। তারা আবার পদত্যাগ করছেন, এতে আমি অবাক হয়ে গেলাম।’ জাতীয় পার্টির (জাপা) ঢাকা মহানগরীর ৯ থানার ৬৭১ নেতাকর্মীর পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টিতে রাতারাতি এত কর্মী কোথা থেকে উদয় হলো, মূলত তা নিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।   শফিকুল ইসলাম সেন্টুর এত কর্মী কি আকাশ থেকে এসেছে, এমন প্রশ্ন রেখে জাপা মহাসচিব বলেন, রাতারাতি এত কর্মী এলো কোথা থেকে, সেটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যদিও পদত্যাগকারীদের মধ্যে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে আমি ৭ থেকে ৮ জনকে চিনি, আর কাউকে কোথাও দেখিনি। এ ছাড়া নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করলেও দলে কোনো প্রভাব পড়বে না চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকেও অনেক কর্মী চলে গেছেন। এতে দলের কোনো ক্ষতি হয় না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটির ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৭১ নেতাকর্মী গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন।    
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৫

এত সাড়া কোনো কাজ থেকে পাইনি : অমি
দেশের নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম কাজল আরেফিন অমি। এক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নয়, নির্মাণ করেছেন একাধিক একক নাটক, ড্রামা সিরিজ ও ওয়েব সিরিজ। নতুন বছরের শুরুতে এই নির্মাতা দর্শকদের জন্য সমাজের এই সময়ের গল্পগুলো তুলে ধরে নিয়ে এসেছেন ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’। সম্প্রতি দেশের একটি ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে এটি। সোশ্যাল মিডিয়া দেখা যাচ্ছে, সব শ্রেণির দর্শক ‘অসময়’ দেখে প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি প্রতিবারের মতো এবারও নতুন এই কন্টেন্টি  মুক্তির পর থেকে সব শ্রেণির দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছেন নির্মাতা অমি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-খ্যাত এই নির্মাতা আরটিভিকে বলেন, আমার জীবনে এতো দ্রুত এত সাড়া কোনো কাজ থেকে পাইনি। মুক্তির পর মানুষের যেভাবে ভালোবাসা পাচ্ছি, এমন সব মানুষ আমাকে ফোন করছেন যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। আলহামদুল্লিলাহ! আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ।  তারকা বহুল ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’ এ অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ, ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, রুনা খান, তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, মনিরা মিঠু, শাশ্বত দত্ত, সুমন পাটোয়ারী, শিমুল শর্মা, লামীমা লাম, ইশরাত জাহিন এবং বিশেষ চরিত্রে হাজির হয়েছেন জিয়াউল হক পলাশ।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

যে কারণে এত বেশি বাংলাদেশির জন্ম ১ জানুয়ারি
বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশির ভাগ বাংলাদেশির জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি। জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্টের জন্ম তারিখ যাচাই করে এ তথ্য জানা যায়। তবে বিভিন্ন জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে দেখা গেছে জানুয়ারির এক তারিখের প্রাধান্য রয়েছে। শিশুদের নিয়ে কাজ করেন—এমন বিশেষজ্ঞরাও এই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলেছেন, ‘বিষয়টি এমন না যে, জানুয়ারির এক তারিখে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হচ্ছে। আসলে এখনও আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিশুদের জন্ম হয় বাড়িতে, বিশেষ করে যারা গ্রামীণ এলাকায় থাকে। সেখানে এখনও শিক্ষার হার ততটা ভালো না। ফলে অভিভাবকরাও জন্ম নিবন্ধনের ব্যাপারে ততটা সতর্ক নন। তিনি বলেন, আমাদের জন্ম নিবন্ধনও সঠিকভাবে সঠিক তারিখে হয় না। বাড়িতে বা হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুদেরও ঠিকভাবে নিবন্ধন হচ্ছে না। পরবর্তী একসময় যখন তারা স্কুলে ভর্তি হয় বা কোনো সার্টিফিকেট পরীক্ষার সময় তার জন্ম তারিখটা দরকার হয়ে পড়ে। তখন অনেক সময় স্কুলের শিক্ষকরা ইচ্ছামতো একটি তারিখ বসিয়ে দেন। নতুন করে জন্মদিন বসাতে গিয়ে তারা একটি কমন তারিখে জন্মদিন বসিয়ে দেন, যা সহজে মনে রাখা যায়। দেখা যায়, বেশির ভাগ সময়েই সেটা জানুয়ারির এক তারিখ হয়ে থাকে। এ কারণে দেখা যায় এখানে এটা খুবই কমন যে, মানুষের দুইটা করে জন্মদিন থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন, তার নিজের এবং আরও দুজন চাচাতো ভাইয়ের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি। কারও জন্মতারিখই বাবা-মা লিখে রাখেননি। ফলে স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা তারিখটি বসিয়ে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, ভারত-পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানেও এই প্রবণতা রয়েছে। তবে শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলছেন, অনেকের জন্ম তারিখ বানিয়ে দেওয়া হলেও এই তারিখেও কিন্তু সত্যিকারে বাংলাদেশে অনেক শিশুর জন্ম হচ্ছে, যাদের জন্মদিন আসলেই ১ জানুয়ারি। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে বছরের প্রথম দিনে ৮ হাজার ৪২৮টি শিশুর জন্ম হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আর এদিন পৃথিবীতে জন্ম হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২টি শিশুর। ইউনিসেফের হিসাবে, প্রথম দিনে জন্ম নেওয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর এদিনের মোট শিশুদের অর্ধেক জন্ম নেবে নিচের আটটি দেশে : ভারত-৬৯৯৪৪, চীন- ৪৪৯৪০, নাইজেরিয়া-২৫৬৮৫, পাকিস্তান-১৫১১২, ইন্দোনেশিয়া-১৩২৫৬, যুক্তরাষ্ট্র-১১০৮৬ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো-১০০৫৩, বাংলাদেশ-৮৪২৮। সূত্র : বিবিসি
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়