• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুরকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে মনোমুগ্ধকর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সংস্কৃতিচর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে। দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতিচর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।  আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টুর পরিচালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আনন্দধ্বনির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
৯ ঘণ্টা আগে

সেমির পথে এগিয়ে গেল আতলেতিকো
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই সফরকারীদের চেপে ধরেছিল আতলেতিকো। ফলে শুরুর দিকেই এগিয়ে গিয়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। তবে রক্ষণের ভুল এড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারতো ডর্টমুন্ড। বুধবার (১১ এপ্রিল) ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় প্রথম লেগে ২-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠে শুরুতেই ডর্টমুন্ডকে চেপে ধরে আতলেতিকো। এতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। তবে এজন্য সফরকারীদের রক্ষণভাগই দায়ী।  গোলরক্ষকের দেওয়া পাস চাপে নাগালে রাখতে পারেননি ইয়ান মাটসেন। সুযোগ লুফে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা রদ্রিগো ডি পল। এরপর পিছিয়ে পড়ে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ায় সফরকারীরা। বিপরীতে একের পর এক আক্রমণ করে আতলেতিকো। ম্যাচের ২৫ মিনিটের মধ্যেই ৭টি শট নেয় সিমিওনের শিষ্যরা; যার তিনটিই লক্ষ্যে ছিল। প্রবল আক্রমণের একপর্যায়ে দ্বিতীয় গোলেরও দেখা পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে আতোয়া গ্রিজমানের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্যামুয়েল লিনো। বিরতি থেকে ফিরে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায় ডর্টমুন্ড। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ডর্টমুন্ডের হয়ে গোল করে ব্যবধান কমান ক্যানসারজয়ী ফুটবলার সেবাস্তিয়ান হলার। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আতলেতিকো।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১

‘স্কাউটিংকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ 
স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী স্কাউটস দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের থিম ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটস’র বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছি। ‘রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর’ এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল গঠন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায় তার জন্য আমি নির্দেশনা প্রদান করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রত্যেক সদস্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সূত্র : বাসস
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০

‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসাথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন / জরিপে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ট্রাম্প
চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৭টি অঙ্গরাজ্যের ৬টিতেই জনপ্রিয়তায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা এবং নর্থ ক্যারোলিনায় ২ থেকে ৮ শতাংশ পয়েন্টে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। তবে উইসকনসিনে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন।  প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাজে ওই ছয়টি অঙ্গরাজ্যের নাগরিকরা অসন্তুষ্ট। এ ছাড়া অর্থনীতির গুরুতর অবস্থাও তার জনপ্রিয়তা কমার কারণ। জরিপের এসব অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী হিসাবে তৃতীয় পক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের রাখা হয়। এ ছাড়া শুধু বাইডেন ও ট্রাম্পকে রেখে করা জরিপেও একইরকম ফল দেখা গেছে। রিয়েলক্লিয়ার পলিটিকসের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত সব জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বাইডেনের তুলনায় গড়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

‘অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’
অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে কায়েম করে একনায়কতন্ত্র। স্থবির হয়ে পড়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জাতির পিতার নেওয়া সকল কার্যক্রম। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা তাদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে বিভোর হয়ে থাকে। শেখ হাসিনা বলেন, এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এদেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস। এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাদপদ দেশের তকমা পড়িয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এদেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। এসব বঞ্চনাকে তখন ভাগ্যের লিখন হিসেবে মেনে নিতো সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুঃস্থ মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, দুঃস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, কম্যুনিটি ক্লিনিক, নিরক্ষরতা দূর করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি আমরা। এই সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এভাবে বিগত পনের বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই পনের বছরের অভিযাত্রা একেবারেই কুসমাস্তীর্ণ ছিল না। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্র আমাদের চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করেছে বার বার। ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডর এবং কয়েক দফা প্রলঙ্কারী বন্যা উপকূলীয় এবং নিম্নাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মত উনড়বয়নশীল দেশগুলি চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলী বাহিনীর গণহত্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত ও তার সহযোগীদের কারণেও জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মত নৃশংসতা এখনও জনমনে গভীর দাগ কেটে আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েকশ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা এরপর বলেন, এসব অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিগত দেড় দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব রূপান্তর ঘটেছে। অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সব খাতে আজকে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের রূপকল্প এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। রোববার (১৭ মার্চ) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ‘জয় স্মার্ট সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার’ নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের কৃতী সন্তান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার নামে এই ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন করে দেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবে। স্পিকার বলেন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি আরও অধিকতর নতুন সেবা দিতে জয় সেট সেন্টার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করবে। স্পিকার আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় পাঁচ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট ফ্লোরে জয় সেট সেন্টার স্থাপন করা হবে। পীরগঞ্জবাসী এই সেন্টার থেকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ই-সার্ভিস পাবেন।   ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট উপহার নারী উদ্যোক্তাদের একটি ল্যাপটপ বিতরণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতার উৎকর্ষ সাধন করা হবে। রংপুরকে স্মার্ট ইকোনমিক হাব হিসেবে রূপান্তর করা হবে।   অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।   পরে শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘হার পাওয়ার প্রকল্প: প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে মোট ১ হাজার ১৯০টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪১

‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক যায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ পেয়েছি। এখন তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। রোববার (১৭ মার্চ) চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তারই আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি। তিনি বলেন, আমাদের পথ দেখাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক একটি উদার মানবতাবাদী, সুখী, শান্তিময়, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত একটি স্বাধীন স্বদেশ নির্মাণ করতে এবং আত্মমর্যাদাশীল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি সোনার মানুষ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আর নতুন প্রজন্মই হচ্ছে সোনার মানুষ। সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৪

জাতির পিতাও চাইতেন নারীরা এগিয়ে থাকুক : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সবসময় চাইতেন নারীরা এগিয়ে থাকুক। নারীদের যাতে শিক্ষা খাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়, তাই তিনি নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা দেন।   শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে যখন আমি ক্ষমতায় আসি তখন দেখলাম উচ্চ আদালতে কোনো নারী বিচারপতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উচ্চ আদালতে নারী বিচারক নিয়োগ দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, জাতির পিতা নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব যায়গায় নারীরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এর আগে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পাওয়া পাঁচ জয়িতা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া। প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০২

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী সমাজ এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নারীসমাজ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হবে বিনিয়োগ’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রতিটি কাজে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ এবং জেন্ডার-রেসপনসিভ অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ ও নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র চাকরি নির্ভর না হয়ে প্রতিটি নারী যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে এ লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারী আদায় করেছিল তার অধিকার। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারীত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিসিএ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকায় নারীর জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু বিকল্প জীবিকা এবং সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১০:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়