• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিশ্বের মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা এখন শ্রেষ্ঠ : মোরশেদ আলম
বিশ্বের মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা এখন শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর সেনবাগে তিনি এ মন্তব্য করেন। মোরশেদ আলম বলেন, বিশ্বের মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা এখন শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাকে আমাদের সকলের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা শুরু করেছে আ.লীগ সরকার। যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা মূল্যায়ন পাবেন। আমি এমপি হয়ে সেনবাগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছি, আওয়ামী লীগে দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি। তাই দল এখন চাঙ্গা।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে। এর কারণে আওয়ামী লীগ ২২ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। মোরশেদ আলম বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ভারতের আগরতলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছি। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করা ছিল আমার কাজ। বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে তা লেখা থাকবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশটি স্বাধীন হয়েছে। এ জাতি চিরদিন তাদের স্মরণ করবে। শহীদদের নাম আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৮

‘মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে’
অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, আইনের শাসনহীন এ দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ডামি নির্বাচনের পর এই সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্য। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সংকট। বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

বিদেশি ঋণ এখন ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ডলার। তার মানে পরের তিন মাসে ৪ বিলিয়ন বা ৪০৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সরকারের বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় বিদেশি উৎস থেকে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ নেয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও ছিল খুবই কম। কিন্তু এর পর থেকে সরকারের বিদেশি ঋণ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি খাতেরও। সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের স্থিতি গত ডিসেম্বর শেষে ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। সে হিসাবে গত ১৩ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৩৯৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদেশি ঋণ স্থিতি মোট জিডিপির প্রায় ২৩ শতাংশ। ঋণের এ অনুপাতকে অর্থনীতির জন্য মোটেই উদ্বেগজনক নয় বলে মনে করে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‌বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও দেশের জিডিপির আকারের তুলনায় এটি খুব বেশি নয়। এখনও অনেক বিদেশি ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। বিশ্ববাজারে সুদহার বাড়ায় দেশের বেসরকারি খাতের স্বল্পমেয়াদি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ কমে গেছে। এটি না হলে বিদেশি ঋণের স্থিতি অনেক আগেই ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। আর গত ২০২২–২৩ অর্থবছর শেষে তা ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত আট বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বেড়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের শেষে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা)। যদিও গত জুনের হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ছিল ৫৭৪ ডলার। আট বছর আগে এটা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। মোট বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারি খাতে ৭৯ শতাংশ আর বেসরকারি খাতে ২১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। তার আগের তিন মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫২৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের শেষ তিন মাসে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৫ কোটি ডলার। যা গত সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ১২৮ কোটি ডলার। সরকার বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নেয়। এই সব ঋণ নেওয়া হয় মূলত প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বাজেট সহায়তা হিসেবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) গত ডিসেম্বরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঋণদানে শীর্ষ দেশ ও সংস্থার মধ্যে ছিল বিশ্বব্যাংক, জাপান, এডিবি ও চীন। সাম্প্রতিককালে চীনা ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দিয়েছে ভারত। এ ছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণসহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের স্থিতি এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ রয়েছে ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর থেকে অনেক মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হচ্ছে। এতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে। এমনিতেই দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ায় আরও বেশি পরিমাণে ডলারের প্রয়োজন হবে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়সহ দেশের ডলার সংস্থান বাড়ানো যাচ্ছে না। বিপরীতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় ক্রমাগত বাড়ছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

‘দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে’
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধীদলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো যেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। রাজিব আহসান এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো দখলদার আওয়ামী সরকারের নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ। তিনি বলেন, আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

তারল্য ঘাটতি / ব্যাংকে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি
ব্যাংকগুলোর কাছে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি। ফলে স্থানীয় মুদ্রা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রিনব্যাক কিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে সহজে অর্থ ঢালতে বাধ্য হয়েছে। কেননা সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। দেশের মুদ্রা বাজারের সংকট উল্টো দিকে মোড় নিয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ব্যাংকে ডলার হোল্ডিং বাড়ার সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার শান্ত হয়েছে এবং টাকার তারল্য চাপের মুখে পড়েছে, যা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমদানি বিল কমে যাওয়া এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর দৈনিক ডলার হোল্ডিং এক মাস আগের নেতিবাচক অবস্থান থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে উন্নতি করেছে। ডলার হোল্ডিংয়ের বিকাশও দেশের চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে প্রতিফলিত হয়, যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থেকে এফওয়াই ২৪-এর জুলাই-জানুয়ারিতে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উদ্বৃত্তে পরিণত হয়েছে। তবে, আমদানি বিধিনিষেধের ফলে স্থানীয় মুদ্রার তারল্যের অবনতি ঘটে। যা ব্যাংকিং শিল্পকে নগদ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্টের (সিআরআর) ঘাটতিতে ফেলে দেয়, যা আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।   রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা হল নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল যা একটি ব্যাংক হঠাৎ আমানত প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা পূরণ করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে রিজার্ভে থাকে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকিং শিল্পে দৈনিক সিআরআর ঘাটতি ছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। এই সংকট কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারল্য ঘাটতি পূরণের জন্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেও সহজ অর্থ পাম্প করার জন্য একটি মুদ্রা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করতে প্ররোচিত করেছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নতুন ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৩ শতাংশের কম সুদে ১০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। কারেন্সি সোয়াপ রেট রেগুলার লোয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট রেপো রেট ৮ শতাংশের অনেক নিচে। ফলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকিং শিল্পে সিআরআর ঘাটতি ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। তবে সব ব্যাংক না থাকলেও বেশিরভাগ ইসলামী ব্যাংকই এই তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের সূত্র বলছে, গত ৬ মার্চ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে সিআরআর ঘাটতি ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু শুধু প্রচলিত ব্যাংকগুলোর কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল, অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ এসেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর। স্বল্প সুদে টাকা ঢাললেও কিছু ইসলামী ব্যাংক এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ রাখতে পারছে না, যার ফলে চেক ডিজঅনার হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকায় ফেব্রুয়ারির বেতনের চেক ছাড়পত্র না পাওয়ায় সম্প্রতি একটি করপোরেট হাউজ একটি ইসলামী ব্যাংকের চেক অসম্মানের সম্মুখীন হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার থেকে স্থানীয় বাজারে সংকটের এই পরিবর্তনটি অর্থের হারেও স্পষ্ট। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবমূল্যায়নে না যাওয়ায় গত তিন মাস ধরে ডলারের আনুষ্ঠানিক বিনিময় হার ১১০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে একই সময়ে বাজারে বিনিময় হার ১২০ টাকার ওপরে স্থিতিশীল রয়েছে। সরকারি রেট ও বাজার দরের পার্থক্য এখনো ১০ টাকার ওপরে থাকলেও ডলারের তারল্য বাড়ায় গত তিন মাসে ডলারের দামের ওঠানামা বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারিতে ঘোষিত অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) পরামর্শ অনুযায়ী অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ডলারের দামের মধ্যে ব্যবধান হ্রাস করার জন্য একটি ক্রলিং পেগ প্রবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে এখন রমজানের আগে নতুন পদ্ধতিতে না যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কারণ এটি ডলারের দাম ১ টাকা বা ২ টাকা বাড়িয়ে দেবে, মুদ্রাস্ফীতি আরও তীব্র করবে। এই নতুন প্রক্রিয়াটি রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট (আরইইআর) এর সাথে যুক্ত হবে, যা ট্রেডিং অংশীদার দেশগুলির মুদ্রা ঝুড়ির বিপরীতে পরিমাপ করা হবে এবং একটি পূর্বনির্ধারিত বিনিময় হার করিডোরের মধ্যে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী বলেন, বর্তমানে আরইইআর সূচক নির্দেশ করে যে ডলারের দাম ১১৪ টাকা হওয়া উচিত এবং এই মূল্য গ্রহণ করার জন্য ১১০ টাকার বর্তমান মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য করতে আরও অবমূল্যায়ন প্রয়োজন, যা মুদ্রাস্ফীতির উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে স্থানীয় তারল্য সংকটে ঋণের সুদহার ১২ শতাংশের ওপরে এবং কল মানি রেট ৯ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আমদানি হ্রাসে শতভাগ মার্জিন, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল কমানো, ডলার সংকটের মধ্যে জোরপূর্বক ঋণ বৃদ্ধি, ওভারকেনাসহ একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত শতভাগ মার্জিন মেটাতে এলসি খোলার জন্য আমদানিকারকরা ঋণ নিচ্ছেন, এতে ব্যাংকগুলোর তারল্যের চাপ পড়ছে। ডেফার্ড এলসিতে আমদানিকারকরা এখন আগ্রহী নন। ফলে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছেন বলে জানান তিনি। একটি বড় গ্রুপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী গ্রুপটি বিলম্বিত পেমেন্টে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করত, কিন্তু এখন তারা দৃশ্যমান মূল্য পরিশোধ করছে। বিলম্বিত পেমেন্টে তারা এক বছর পর পেমেন্ট করতে পারলেও এখন তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সেই পেমেন্ট করার জন্য, যার ফলে তারল্যের চাপ পড়ছে। তিনি আরও বলেন, ডলার সংকটের কারণে ঋণগ্রহীতারা পরিশোধ করতে না পারায় বাধ্যতামূলক ঋণ ও ওভারকেয়া বাড়ছে, এটিও টাকার তারল্য সংকটের একটি কারণ। আরেকটি বিষয় হলো, ইল্ড রেট ১১ শতাংশের ওপরে থাকায় ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে আসে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪

‘ভারতের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে’
ভারতের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।  ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ মন্তব্য করেছেন তিনি।  দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিচালনার কাজ এবং তা কার্যকরী করার সার্বিক ক্ষমতা এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের হাতে জানিয়ে রাজীব কুমার বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কোনকিছুকে তোয়াক্কা করবে না। যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবল প্রয়োগ করবে কমিশন। এ পরিস্থিতিতে ভারতে নকশাল দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সূত্র বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মহারাষ্ট্রের গড়চি রৌলিতে নিহত হয়েছে চার মাওবাদী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সহিংসতা ছড়ানোর উদ্দেশেই তারা তেলেঙ্গানা থেকে গড়চিরৌলি ঢুকেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।  মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলার পুলিশ সুপার জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে তৎপর হয়েছিল তেলেঙ্গানা রাজ্য কমিটির কিছু সদস্য।গতকাল সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে এই তথ্য আসে। সেই নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাওবাদী অভিযানে নামে সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের সি-৬০ কমান্ডাররা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় ঘটলে মারা যায় ওই চার মাওবাদী।  স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, ওইসব অঞ্চলে এখনও মাওবাদীরা লুকিয়ে থাকতে পারে এবং সে কারণে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চলছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৮

বাজার এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম (ভিডিও)
রমজানে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। রমজান পণ্যের দাম রোজা শুরুর অনেক আগে থেকেই চড়া হতে শুরু করে। যা বর্তমানে চরম সীমায় পৌঁছেছে। বাজার যেন এখন নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। বাড়তি দামের আগুনে পুড়ছে মানুষ। বাজার সহনীয় করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কাজে আসছে না তেমন। রাজধানীর কাওরান বাজারে দেখা যায়, সরকারের বেধে দেওয়া দামেও মিলছে না খেজুর। সরকার সাধারণ মানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে বেশিতে। ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।  রমজানে সবচেয়ে বেড়েছে খেজুরের দাম। এ জন্য বিলাসী পণ্যের তকমা দিয়ে ট্যাক্স বাড়ানোকে দায়ী করছে ব্যবসায়ীরা। খেজুরের দাম সরকার বেধে দিলেও মিলছে না সে দামে।  বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। অন্য দিকে, বাজারে দাপট দেখাচ্ছে  লেবু, শসা, বেগুন, মাছ, মাংস ও মুরগী এবং তরমুজও। প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির উপরে হলেও বিক্রেতাদের দাবি কমতির দিকে মূল্য। তবে অস্বস্তির কথা জানাচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। অতি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের বিদেশি ফল।   বিক্রেতারা বলছেন, আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আনার ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দামও দুই শ’ টাকা কেজির উপরে।  বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকায়। বিক্রেতারা মাছের দাম কমতির দিকে বললেও ক্রেতার কাছে তা চড়া। এ ছাড়া লেবু প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা হলেও শসার কেজি ৮০ টাকা। পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও কেজি প্রতি দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।  বাজার সহনীয় করতে সরকারের কাছে কঠোর ব্যবস্থা চায় সাধারণ মানুষ।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি / ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি
ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি এক একর জমির উপর অবস্থিত বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (বাইগাম)। বাংলাদেশ সরকারের তৈরি করে দেওয়া স্থাপনায় এবং সরকারি বরাদ্দকৃত টাকায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বাইগাম এ বিগত কয়েকটি কার্যনির্বাহী কমিটির দূর্নীতি ও অনিয়মতান্ত্রিক স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের পথে।  লাগামহীন দূর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি যখন বন্ধ হবার উপক্রম সেই মুহূর্তে আশার আলো হয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর এগিয়ে আসে এবং একজন প্রশাসক নিয়োগ দেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত টিকে আছে এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে কাজ এখনো কাজ চলছে।  প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ (লটারি ফান্ড ৪ কোটি ১০ লক্ষ এবং মেম্বার সাবক্রিপশন ফান্ড ৮৮ লক্ষ টাকা) বিগত কমিটিগুলো পূর্বেই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তসরুপ করে খরচ করে ফেলেছে। এখন শুধুমাত্র কর্মচারিদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাগুলো জমা রয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটিগুলোর লাগামহীন দুর্নীতি (৭২ লক্ষ টাকা সাব-স্টেশন স্থাপন বাবদ, ৪৩ লক্ষ টাকায় পিকনিক বাবদ, ২৫ লক্ষ টাকা কার্যনির্বাহী কমিটির সিটিং ও মিটিং ভাতাবাবদ, ২২ লক্ষ টাকা এজিএম বাবদ, ৬৮ লক্ষ টাকা ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন বাবদ, ২২ লক্ষ টাকা প্যাথলজি বিভাগে মেশিন ক্রয় বাবদ এবং কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য ও ২০২৫ সালের লটারি দূর্নীতি ৪৭ লক্ষ টাকা) এবং তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে গত দুই অর্থ বছর ধরে বাইগাম এর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ এখন পর্যন্ত ছাড় দেয়নি। ফলশ্রুতিতে আমরা বাইগামের কর্মকর্তা কর্মচারিরা গত ১ (এক) বছর যাবৎ বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে আমাদের কি অবস্থা হবে সে বিষয়েও আমরা চিন্তিত।  বাইগাম আগারগাঁয়ে সরকারি ১(এক) একর জমির উপর সমাজসেবা অধিদফতর এর পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত ভবনে এবং সরকারি বরাদ্দকৃত টাকায় পরিচালিত হচ্ছে। বাইগামের প্রবীণ নিবাসকে (বৃদ্ধাশ্রম)  সাধারণ মানুষসহ সরকারি নানা মহলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবীণ নিবাস হিসেবেই চিনে থাকেন। বর্তমানে আমরা মাত্র ৪০ জন প্রবীণকে প্রবীণ নিবাসে জায়গা দিতে পারছি। কিন্তু প্রতিদিনই প্রবীণ আসছে এখানে আশ্রয়ের আশায়, আশাহত হয়ে দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছে, আমরা কিছুই করতে পারছি না।  বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠী বাড়ছে, বর্তমানে জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ প্রবীণ। গবেষণা বলছে ২০৪০-৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যায় ২২ শতাংশ প্রবীণ জনগোষ্ঠী থাকবে। আরও ভয়ংকর তথ্য হলো ইউনিসেফের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিতে ২য় স্থানে রয়েছে। সে গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৯ সালে বাংলাদশ প্রবীণপ্রবন সমাজে পা দিতে যাচ্ছে এবং ২০২৯ সালে বাংলাদেশ প্রবীণ প্রধান দেশে পরিনত হবে। রাস্ট্রীয়ভাবে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাইগামকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রথম সারির প্রবীণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বন্ধপ্রায় প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন রুপে সাঁজিয়ে এখানে ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।   এমতাবস্থায়, বাইগামে কর্মরত আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারিরা গত ১ বছর ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতরভাবে দিনপার করছি। আমরা বিশ্বাস করি, কার্যনির্বাহী প্রথা সিস্টেমটি বিলুপ্তি করে প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হলে এটি একসময় বাংলাদেশে প্রবীণকল্যাণে রাস্ট্রীয়ভাবে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। প্রবীণদের কল্যাণে তৈরি করা এই প্রতিষ্ঠানটিতে ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ তৈরির মাধ্যমে প্রবীণ কল্যাণে কার্যকর একটি প্রতিষ্ঠান রুপান্তিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করার সময়ে এসেছে।  ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করতে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সরকারি অফিসে এবং ঢাকায় ৫ হাজার খোলা চিঠি বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার দিকে পথ চেয়ে বসে আছি। আমরা চাই উন্নত বিশ্বের আদলে দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সেবায় ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ আপনি আমাদের উপহার হিসেবে তৈরি করে দিবেন এবং আমাদের চাকুরীসহ বেতন ভাতার নিশ্চায়তা প্রদান করবেন।    ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ নির্মানের মাধ্যমে প্রবীণসেবায় রোল মডেল হিসেবে যে সমস্ত কাজ প্রতিষ্ঠানটি শুরু করতে পারে এবং আমাদের চাওয়াসমূহ – ১. বাইগাম পরিচালিত প্রবীণ নিবাসে (বৃদ্ধাশ্রম) বর্তমানে মাত্র ৫০ জন প্রবীণ বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছে, যা বর্তমান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। প্রতিদিনই অসহায় প্রবীণ এখানে আসছে, আবাসনের অভাবে তাদের আমরা রাখতে পারছি না। অসহায় প্রবীণরা ব্যাগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অজানা ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে ফিরে যাচ্ছে। তাই এখানে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট প্রবীণ নিবাস তৈরি করার আবেদন/অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রবীণ নিবাসে বসবাস করার বর্তমান নিয়ম হচ্ছে, যাদের বয়স ৬০ এবং যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ প্রবীণ কেবলমাত্র তারাই থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু যারা শারিরীক ও মানসিক ভাবে সুস্থ নয়, তাদেরও থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ২. ‘লং টার্ম কেয়ার সেন্টার’ তৈরি করা - উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও বাড়ছে ৮০ বছরের উর্ধ্বে বয়স্ক প্রবীণের সংখ্যা। এই বয়সে গেলে বেশিরভাগ মানুষই বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন এবং তার পৃথিবী তৈরি হয় শুধুমাত্র একটি বিছানাকে কেন্দ্র করে। তাকে বিছানাতেই ফিজিওথেরাপি, খাওয়ানো, গোসল করানো ও টয়লেটিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজের দায়িত্ব যেটাকে বলা হয় কেয়ার গিভিংয়ের দায়িত্ব নেবার পাইলট প্রকল্প চালু করে উন্নত বিশ্বের মতো একটি মডেল চালু করার সময় এসেছে এবং এই মুহূর্তে এটি বাংলাদেশে খুবই প্রয়োজন। ৩. প্রবীণ হাসপাতালের মাধ্যমে প্রবীণদের জন্য আউটডোর চিকিৎসাসেবা এবং আগারগাঁয়ে নির্মিত সরকারি টারশিয়ার লেভেলের হাসপাতালগুলোর (পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল দেশের উন্নয়নের অবকাঠামোতে যথারীতি রয়েছে) সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে প্রবীণ নিবাসে বসবাসরত প্রবীণদের জন্য দ্রুত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এখানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট প্রবীণ হাসপাতাল পরিচালনা করা।  ৪. প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার, ইন্ড লাইফ (মৃত্যপথ যাত্রী) কেয়ার সেন্টার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। ৫. প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা কেন্দ্র স্থাপন করা এবং প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরকারি হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে দেশের যেকোনো স্থানে প্রবীণ জনগোষ্ঠী বিপদে পড়লে পিতা-মাতার ভরণপোষন আইন-২০১৩ এর প্রয়োগ করা এবং সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। ৬. ঢাকায় বসবাসরত অসুস্থ প্রবীণদের বাসায় গিয়ে কেয়ার গিভিং হোম সার্ভিসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৭. প্রবীণদের জন্য স্বল্পমূল্যে বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপি সার্ভিস ও এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা যেতে পারে। ৮. দক্ষ প্রবীণবান্ধব সেবাকর্মী (জেরিয়েট্রিক কেয়ার গিভার) তৈরির উদ্দ্যেগ গ্রহন করা এবং বাংলাদেশে প্রবীণ সেবাকর্মীর চাহিদা মিটিয়ে উন্নত বিশ্বে দক্ষ জনবল হিসেবে তরুণদের কাজ করতে প্রেরণ করা। বাংলাদেশ থেকে উন্নতবিশ্বে এই জনবল পাঠানোর চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। কিন্তু সঠিক ট্রেনিংয়ের উদ্দ্যেগ গ্রহণের অভাবে আমরা প্রবীণ সেবাকর্মী এখন পর্যন্ত তৈরি করতে পারছি না, এই উদ্যোগ গ্রহণ করাও এখন সময়ের দাবি।   মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে (বাইগাম) এ  বর্তমানে ১২০ জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা ও কর্মচারি প্রবীণ সেবায় দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি এক একর জমির উপর সরকারি অনুদানে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত দূর্দশার ভিতর দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। কিন্ত গবেষণা ও তথ্য বলছে আগামীর বাংলাদেশ প্রবীণ নির্ভর বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে ‘ বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্সে’ রুপান্তরিত করে প্রবীণ কল্যাণে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন করে পুরোপুরি সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠানটিই হবে বাংলাদেশের প্রবীণকল্যাণে জন্য একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০১৮ পাশ হয়েছে, ভবিষ্যতে ভিন্ন আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি না করে বাইগামে ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’ তৈরি করে প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনটিও এখানে পরিচালনা যায় কিনা তা ভেবে দেখা যেতে পারে।    পরিশেষে বলা যায়, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। আমাদের সদিচ্ছা এবং বাস্তবমূখী নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবীণদের বর্তমান ও ভবিষ্যত সমস্যার ব্যাপকতা কমিয়ে আনা অনেকাংশেই সম্ভব। তাই এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে এবং গতিশীল পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সস্তিময় বার্ধক্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তরুনদের প্রবীণ কল্যাণে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আজকের তরুনই আগামীকালকের প্রবীণ। সকলেরই বার্ধক্য সস্তিময় ও শান্তিময় হোক। আধুনিক বাংলাদেশ নির্মানের রুপকার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বিশ্বাস করি আপনার হাত দিয়েই বাংলাদেশের সেকেন্ড ক্যাপিটাল খ্যাত আগারগাঁয়ে সরকারী এই ১(এক) একর জমির উপর তৈরি হবে বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে ‘বঙ্গবন্ধু প্রবীণ কমপ্লেক্স’।   লেখক :  বার্ধক্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষক/ উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী  ওজরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (বাইগাম)  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯

আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে : মাহি
দ্বিতীয় স্বামী রকিব সকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে ছেলে ফারিশকে নিয়ে একাই থাকছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। বর্তমানে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়িকা। নির্বাচনে হেরে যাওয়া, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ— বলা যায়, এসব নিয়ে বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন মাহি। তবে সবকিছু সামাল দিয়ে কাজে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি ভালুকাতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মাহি। সেখানে স্টেজ পারফর্ম করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে। মঞ্চে পারফর্ম করার আগে উপস্থিত সবাইকে মাহি প্রশ্ন করেন— আপনারা সবাই কি আমাকে চেনেন? কী নাম আমার? জবাবে কেউ কেউ মাহিয়া মাহি বলে চিৎকার করেন। আবার অনেকেই তাকে ট্রাক ট্রাক বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। এখন আমার নামও ট্রাক হয়ে গেছে। আজকে এখানে এসেছি শুধু ট্রাক মার্কার জন্য।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি এই নায়িয়া। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান মাহি।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

বেজোস-ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয়-তৃতীয় ধনী, শীর্ষে কে?
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে সরিয়ে প্রথমবারের মতো ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা লুই ভিতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বেনাখ আরনো। শনিবার (৯ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মোট ৪ হাজার কোটি ডলার হারিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে নেমেছেন ইলন মাস্ক। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৯ বিলিয়ন বা ১৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে নেমেছে। মোট ১৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আমাজন ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। আর ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে বিশ্বে ধনীর তালিকার শীর্ষে আছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা লুই ভিতো কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বেনাখ আরনো। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মাস্ককে ছাড়িয়ে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন বেজোস। এবার তাকেও ছাড়িয়ে গেলেন বেনাখ আরনো। প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান নিজের দখলে রেখেছিলেন ইলন মাস্ক। এই সপ্তাহের শুরুতে চীনে খুব কম সংখ্যক বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করছে টেসলা। নাশকতার কারণে বার্লিনের কাছে কারখানাটির উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব ঘটনা কোম্পানিটির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করেছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়