• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীতে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও ঢাকা থেকে বের হচ্ছে ট্রেনগুলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেখানে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে।  তবে লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দুই ট্রেন
মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের লোহাগাড়া থেকে চকরিয়া অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। দুই চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়া থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ছিল পর্যটক এক্সপ্রেস। ট্রেনে দুটিতে প্রায় ৮০০ করে যাত্রী ছিল। রেলওয়ে সূত্রে জানায়, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে এসে পৌঁছায় শুক্রবার বেলা ১টা ২২ মিনিটে। এসময় চকরিয়া স্টেশনমাস্টার আজিম উদ্দিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে চকরিয়া থেকে লোহাগাড়া যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। অপরদিকে, লোহাগাড়া স্টেশনমাস্টার লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পর্যটক এক্সপ্রেসকে সংকেত দেন। পাহাড়তলী নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকেও দুই ট্রেনকে নির্ধারিত স্টেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সংকেত পেয়ে দুই লোকমাস্টার (ট্রেনচালক) ট্রেন চালাতে শুরু করেন। তবে পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন করে ট্রেন কোথায় আছে জানতে চান।  জাহেদুল ইসলাম তাকে জানান, ট্রেন নিয়ে তিনি চকরিয়া থেকে লোহাগাড়ার দিকে রওনা দিয়েছেন। মোহাম্মদ গোলাম রসুলও জানান তিনিও ট্রেন নিয়ে লোহাগাড়া থেকে হারবাং স্টেশনে যাচ্ছেন। ট্রেনের অবস্থান জেনে দুই লোকোমাস্টারই বুঝতে পারেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। দুই ট্রেনের গতি ছিল তখন ৫০ কিলোমিটার। যদি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থামানো না হলে মাঝপথে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটবে। তারা দ্রুত পাহাড়তলীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে দুই ট্রেনকেই থামার নির্দেশ দেওয়া হয়।  দুই চালকই ট্রেন থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি। পর্যটক এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও স্টেশনমাস্টারদের সংকেত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন চালিয়ে থাকি। ওই দিন কী মনে করে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার মো. জাহেদুল ইসলামকে ফোন দিই। জানতে চাই, কোন স্টেশনে আছে, কোথায় ক্রসিং হবে। জাহেদ জানান, লোহাগাড়ার দিকে আসছে। আমিও আমার অবস্থান জানাই। এই খবর শুনে টেনশনে পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেন থামিয়ে দিই। জাহেদও ট্রেন থামিয়ে দেন। যদি ফোন না করতাম তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, স্টেশনমাস্টার ভুল সংকেতে এ দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। তবে চালকদের উপস্থিত বুদ্ধিতে ট্রেন দুটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় চকরিয়া স্টেশনমাষ্টার আজিম উদ্দিনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১১

চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন মা
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে আন্তঃনগর ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতুন (৩০) নামের এক মা। জান্নাতুন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার বাসিন্দা ও ইকবাল মিয়ার স্ত্রী। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও তালশহর এলাকার মাঝামাঝি চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন।  ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে মা ও নবজাতককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সস্ত্রীক ট্রেনে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ইকবাল। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন অতিক্রম করার পর ইকবালের স্ত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। ট্রেনটি আশুগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ওই বগিতে থাকা এক নারী চিকিৎসকসহ অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ওই মা। নবজাতকের বাবা ইকবাল মিয়া বলেন, আমরা ‘ড’ বগিতে ছিলাম। ভাগ্য সহায় থাকায় এ বগিতে একজন নারী চিকিৎসক ছিলেন। ট্রেনেই আমার স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে। এটি আমার দ্বিতীয় সন্তান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রসূতি সন্তানপ্রসব করায় ঢাকা কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:২১

নাটোরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
নাটোরে লালমনি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল আড়াই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুলপুর থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বিকল ইঞ্জিনটি উদ্ধার করার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেসর ইঞ্জিন বিকল হয়ে জংলি ও ইয়াসিনপুরের মাঝখানে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিল। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিকল ইঞ্জিনটিকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৭

নাঙ্গলকোটে ট্রেনের ৫ বগি উদ্ধার, লাইন সচল হতে লাগবে ৩ দিন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজের বাজারে বিজয় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত ৯টি বগির মধ্যে ৫টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ডাউন লাইনে চলাচল করতে হচ্ছে ট্রেনগুলোকে। উভয় রেললাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও তিনদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামস্থ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনচ্যুত ট্রেনটির ৫টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪টি বগি উদ্ধার বাকি রয়েছে। উদ্ধার ও মেরামত কাজ শেষ করতে আরও ২ দিন লাগবে। তিনি আরও জানান, উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও ৩ দিন। এ দিকে উদ্ধার ও মেরামত কাজের সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হয়। এতে করে ট্রেন চলাচলের নিয়মিত সিডিউল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেদিন থেকে এখনও উদ্ধার ও মেরামত কাজ চলছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮

বগি রেখেই ২ কিলোমিটার চলে গেল ট্রেন, অতঃপর...  
সীতাকুণ্ডে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ক্লিপ ভেঙে ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইঞ্জিনটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। তবে কোনো হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার উত্তরে ইয়াকুব নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনবাহী বগির ক্লিপ ভেঙে যায়। এতে ইঞ্জিনটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ১৪টি বগি। পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে একটি ইঞ্জিন বগি এনে সংযোজন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিকল্প পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৩

এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্সের সিইও হলেন বদিউজ্জামান লস্কর
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড (ইআইএল)-এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. বদিউজ্জামান লস্কর।  বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) রোববার (২৮ জানুয়ারি) তার নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বীমা পেশায় দীর্ঘ ২৮ বছর সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বদিউজ্জামান লস্কর ১৯৯৫ সালের ২ মে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ডেপুটি ম্যানেজার পদে যোগদানের মাধ্যমে বীমা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এ সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯৯ সালের ১ ডিসেম্বর ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও লোকাল অফিস শাখা প্রধান হিসেবে ২০০১ সালের ১ আগস্ট তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এ যোগদান করেন এবং হেড অব মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এখানে প্রায় এক যুগ দায়িত্ব পালনের পর ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দিলকুশা শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তাকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি ও কোম্পানির কাকরাইল শাখা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বদিউজ্জামান লস্কর ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০২১ সাল থেকে হেড অব মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পান। পরিচালনা পর্ষদের ৩০৫তম সভায় তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে বীমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) রোববার (২৮ জানুয়ারি) তার নিয়োগ অনুমোদন দেয়। বদিউজ্জামান লস্কর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি বীমা বিষয়ক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যোগদান করেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০

‘বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়’
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িতরা ধরা পড়েছে। মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে দিয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ানো হয়েছিল। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিখোঁজ শিক্ষার্থী আবু তালহার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করতে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, ট্রেনের মতো রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তারা এই দেশের ভালো চায় না। তারা এ দেশের সন্তান না। মানুষ পুড়ানোর রাজনীতি যারা চর্চা করে তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যুর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারেনা। তারপর তারা আগুনে পুড়িয়ে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে এটা সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী। যারা আগুন দিয়ে মানুষ মেরে ক্ষমতায় যেতে চায় আল্লাহ তাদের যেনো বিচার করে। মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ট্রেনে নাশকতা মোকাবিলায় আমরা কঠোর হচ্ছি। এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে আমরা কাজ করছি। সকল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি স্টেশন রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আনসার বাহিনী কাজ করছে। সর্বোপরি আমাদের জনগনকে সচেতন হতে হবে। তালহার পরিবারকে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেন জানান মন্ত্রী। এছাড়াও তিনি তালহার বাড়ির এলাকার কালুখালীর শিকজান বাজার থেকে শায়েস্তাপুরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কটি তালহার নামে করার ঘোষনা দেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তালহা (২৪) রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাং বথুনন্দিয়া বড়ইচারা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনো নিখোঁজ সে। এসময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহাগ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটু, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু, মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.মতিন, বালিয়াকান্দির জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু বিশ্বাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

ফের চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণ
  লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রেলওয়ের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট জিআরপি থানায় মামলা করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির বাড়ি ময়মনসিংহে। সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।   লালমনিরহাট জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, রাতে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলবশত ওই স্কুলছাত্রী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে। টিকিট চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলী মেয়েটিকে তার কক্ষে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে সকাল ৮টার দিকে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটির চেঁচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে আক্কাস আলীকে আটক করেন।  ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রেলওয়ে থানার এ এস আই ইদেল মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল টেস্টের জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত মেয়েটির পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫২

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রবন্ধ / শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পঞ্চমবারের মতো শপথ নেয়ায় তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেখানো বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আবার স্মরণ করাতে চেয়েছেন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট রাম মাধব। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি লেখায় তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের কবল থেকে বাঙালিদেরকে মুক্ত করেননি, তিনি নবগঠিত দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাজনীতির নৈতিকতা স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন।   ৫২ বছর আগে, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবগঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। আর তাঁর সন্তান শেখ হাসিনা গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নেন। নিজের লেখায় ঐতিহাসিক দুটি দিনকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রার যোগসূত্রে গাঁথতে চেয়েছেন রাম মাধব।  পাকিস্তান কখনোই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে পারেনি বলে মনে করেন রাম মাধব। দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ওয়েস্টমিনস্টার-মডেল গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সেই দেশে প্রতিষ্ঠা পায়নি বলা যায়। সূচনার প্রথম দশকে দেশটির সংবিধানই ছিল না। তখন এটি ভারত সরকার আইন ১৯৩৫ অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে এসে প্রথমবারের মতো একটি সংবিধান জারি করতে পেরেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১৯৫৮ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল আইয়ুব খানকে ক্ষমতায় আনায় তা ছিল স্বল্পস্থায়ী। ৭৫ বছরের পথ চলায় পাকিস্তান সামরিক শাসনের অধীনেই প্রায় অর্ধেক সময় কাটিয়েছে। এমনকি দেশটিতে যখন তথাকথিত নির্বাচিত সরকার ছিল, তারাও সবসময় সামরিক বাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে রাম মাধব নিজের লেখায় মনে করিয়ে দিয়েছেন। একের পর এক সামরিক শাসনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ব্যাপক বৈষম্যের সম্মুখীন হওয়ার যুগকে স্মরণ করে রাম মাধব লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য রুখে দাঁড়ান এবং সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে নিপীড়নের শিকার হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান যখন লাহোরে পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠার আশায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেন, তখন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি ভোটাররা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পেছনে দাঁড়ায়। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদে ১৬৬টি আসন জয় করে। বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠনের আহ্বান জানানোর পরিবর্তে, ইয়াহিয়া খান তাঁকে ১৯৭১এর ২৫ মার্চ কালরাতে গ্রেপ্তার করে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার হয়। এই পরিস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয় এবং মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্বে লড়াই শুরু হয়। রাম মাধব লিখেছেন, যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে, তখন ভারতের হস্তক্ষেপে পাকিস্তান বাহিনীর অপমানজনক পরাজয় ঘটে। পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় এবং একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। ১০ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বিজয়ী প্রত্যাবর্তনের জন্য লন্ডন ত্যাগ করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হিথ্রো বিমানবন্দরে দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন যে "আমি নিজেকে কখনই পাকিস্তানী ভাবিনি এবং কখনই তা ভাববো না”। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে এমন নীতির ভিত্তিতে তৈরি করতে, যা দেশটিকে পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তুলবে। মাতৃভূমিতে তাকে স্বাগত জানাতে আসা কয়েক মিলিয়ন জনতার উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার এই স্বাধীনতা বৃথা হবে, যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে না পায়, যদি বাংলার মা-বোনেরা সম্মান রক্ষার জন্য পোশাক না পায়, যদি আমার যুবকরা চাকরি না পায়। বাংলাদেশকে একটি দৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করাকে বঙ্গবন্ধু তার জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাম মাধব। পাকিস্তানের অশুভ ছায়া বাংলাদেশের এড়াতে না পারাকে দুর্ভাগ্য হিসেবে উল্লেখ করেন রাম মাধব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, যখন ভারত তার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছিল, তখন বাংলাদেশের কিছু কুচক্রী সেনা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী এবং তিন পুত্রসহ তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে, যাদের মাঝে সবচেয়ে ছোটজন শেখ রাসেলের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। রাম মাধব লিখেছেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান, যিনি পরে ওই বছরের নভেম্বরে ক্ষমতা দখল করেন, তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের বলেছিলেন, “আমি একজন সিনিয়র অফিসার। আমি এর সাথে জড়িত হতে পারি না। যদি কোনো জুনিয়র অফিসার এটি করতে চান, এগিয়ে যান”। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার বিপরীতে পাকিস্তানের ধাঁচে সামরিক স্বৈরাচারে পতিত হয় বাংলাদেশ এবং তা ১৫ বছর ধরে টিকে থাকে। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসক হন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং প্রায় এক দশক ধরে সেই ভূমিকা অব্যাহত রাখেন। সেই সময়ে, জিয়াউর রহমানের পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি পরপর সরকার পরিচালনার পাশাপাশি প্রহসনের নির্বাচনকে স্বাভাবিক বিষয় করে তোলে। রাম মাধব লিখেছেন, ১৯৯০ সালে ছাত্রদের একটি বড় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সেনাবাহিনীকে তার ব্যারাকে ফিরে যেতে বাধ্য করে এবং বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে পায়। গত তিন দশকে, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেছে। আওয়ামী লীগ ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার দৌড়ে এগিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পুরো পরিবারকে হত্যা করার সময় শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা ইউরোপে ছিলেন। দুই বোনকে দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী আশ্রয় দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন কিন্তু বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের নিপীড়ন ও গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হন তিনি। অবশেষে, ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসার সাথে সাথে, তিনি দুই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের একজন হয়ে ওঠেন এবং এ পর্যন্ত ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় তাঁকে আরও পাঁচ বছরের মেয়াদ দিয়েছে। একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য পঁচিশ বছর ক্ষমতায় থাকাকে রেকর্ড বলে উল্লেখ করেছেন রাম মাধব। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা শেখ হাসিনাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছে বলে মত রাম মাধবের। শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে তাঁর মনোযোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি চমৎকার স্তরে নিয়ে আসে। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দেশটি মাথাপিছু জিডিপি, হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স এবং অর্থনৈতিক দুর্বলতা সূচকের মতো মাপকাঠিগুলোতে তার প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে। তারপরও বাংলাদেশের গণতন্ত্রে দুর্বলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়ে গেছে বলে মনে করছেন রাম মাধব। তিনি বলেছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জন এবং সহিংসতার কারণে সাম্প্রতিক নির্বাচন বিঘ্নিত হয়েছে। বিএনপির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তকে কেউ সমর্থন করতে পারে না। পশ্চিমা কিছু মহলের সমালোচনা সমর্থনযোগ্য নয়। রাম মাধবের বক্তব্য, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তিনিই একমাত্র নেত্রী যিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র টেকানোর এবং দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং তাঁর পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়