• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ : একদিনে বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আর ১১ সদস্য পালিয়ে এসেছে। এ নিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) একদিনে নতুন করে আরও ২৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিকেলে টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত দিয়ে তিনজন ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারাঝিরি সীমান্ত দিয়ে আটজন নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে ভোরে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য এসে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ নিয়ে শুক্রবার আসা ২৪ জনসহ মোট ২৮৫ জন ১১-বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধীনে আশ্রয়ে রয়েছেন। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১-বিজিবি) অধীনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে গত বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এই দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তারও আগে রোববার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির ১৪ জন সদস্য। তিনি আরও বলেন, এর আগে থেকে এখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিলেন। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৩

একদিনে সড়কে ঝরল ১৮ প্রাণ
ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ মোটরসাইকেল আরোহী। বৃহস্পতিবার ( ১১ এপ্রিল) এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।  নিহতদের মধ্যে পঞ্চগড়ে চারজন, খাগড়াছড়িতে তিনজন, নরসিংদীতে দুইজন, ঢাকায় একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, যশোরে একজন, নেত্রকোনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন এবং নড়াইলের দুইজন রয়েছেন।  পঞ্চগড়   পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া সুপারিতলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৬), একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (১৭), দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মজনু রহমানের ছেলে সাব্বির (২২) ও একই এলাকার হজরত আলীর ছেলে বরকত (১৭)। খাগড়াছড়ি  খাগড়াছড়ির গুইমারায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গুইমারা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদের ছেলে আলী হোসেন (১৭), বড়পিলাক এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান পায়েল (২০) এবং মহালছড়ির মুবাছড়ি এলাকার বাসিন্দা দিগন্ত চাকমা (১৮)। তারা তিনজনই মোটরসাইকেল আরোহী। নরসিংদী   নরসিংদীতে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার গাউসিয়া শাওগাট এলাকা শাহিন (২৩) ও সানি (২২)।  ঢাকা   রাজধানীর গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মমতা শিকদার (২৭) নামে ওই নারী একজন এক নার্স ছিলেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শফিকুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর উত্তর পাড়ার ইদন মিয়ার ছেলে।  যশোর  যশোরের মনিরামপুরে ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২২) নামে এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। রাকিবুল ইসলাম রাব্বি মনিরামপুর উপজেলার বাজুয়াডাঙা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। নেত্রকোনা  নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা কুমিল্লাপাড়া গ্রামের কবীর মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২৩), আমতলা গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার ছেলে হালিম হোসেন (১৮) ও হাটশিরা শিবনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নবী হোসেন (৩৫)। নড়াইল নড়াইলের ডৌয়তলায় এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমোরপট্টি গ্রামের আসাদ মাতুব্বরের ছেলে আলছাফ মাতুব্বর (২২) এবং অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সদরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শামিম হোসেন (১৭) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামিম সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের শাহ জামালের ছেলে। এ ছাড়া রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬), তাদের মেয়ে মাইশা (৩), পটুয়াখালী সদরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮) এবং ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে রবিউল (১৯)।  
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

পদ্মা সেতুতে একদিনে টোল আদায়ে রেকর্ড
ঈদ আসলেই পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এতে টোলও আদায় হয় বেশ। তবে, এবারের ঈদ যাত্রার একদিনে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা, যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা।  এ ছাড়া জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পার হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৪টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর আগে, গত বছরের ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে সাড়ে ৪৩ হাজার গাড়ি পার
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। উত্তরবঙ্গসহ কয়েকটি রুটের ঘরমুখো এসব যাত্রীদের বহন করা বাস এসে ভিড়ছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। একে একে পার হচ্ছে গাড়ি। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে এ সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সেতুর ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দিগুণেরও বেশি গাড়ি চলাচল করেছে। আজকেও প্রচুর গাড়ি পার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাভাবিকের তুলনায় দিগুণেরও বেশি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি টাকারও বেশি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়েছে ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন। এরমধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২৭ হাজার ২৩২ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১৬ হাজার ১৯৫ গাড়ি চলাচল করেছে। একদিনে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব টোলপ্লাজায় এক কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বেড়েছে, এতে যানজটও বাড়ছে। এতে চরম দুর্ভো‌গে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) সেতুর ওপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। এ ছাড়াও সেতুর ওপর প‌রিবহনের দীর্ঘ সারি তৈ‌রি হয়েছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে প‌রিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগ‌তিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর ওপর এক‌টি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫‌ মি‌নিট বন্ধ ছিল প‌রিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন‌্য প‌রিবহনগুলোতে ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এক দেড় সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা নিয়েছি মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র কোনো গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এখন তার বাস্তবায়ন করছি। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আমাদের হাইওয়ে পুলিশ তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স আছে। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করতেছি, যেখানেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আজকে ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকদের একটি বড় চাপ আছে, এ কারণেই গাড়ির সংখ্যা বেশি। কোথাও গাড়ি থেমে নেই, চলছে। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলছে, কোথাও থেমে নেই।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৪

ট্রেনের টিকিট : একদিনে গ্রাহকের ৪০ কোটি টাকা লোকসান
আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছয় দিনের মধ্যে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রেলের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। এদিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন অথবা অ্যাপে টিকিট কাটার চেষ্টায় দুই কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে তা চার কোটির বেশি বার। এতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার প্রতি গ্রাহক টিকিট কাটতে গিয়ে ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ করেছেন। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহক টিকিট পাননি। সেই হিসেবে এদিন টিকিট কাটতে যেয়ে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। যদিও গ্রাহকদের দাবি প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টায় ২০ টাকা করে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তবে এ সময় গড়ে প্রতি টিকিট ৫০০ টাকা ধরে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় মাত্র ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে যে ১০ হাজার গ্রাহক সাড়ে ৩৩ হাজার টিকিট নিতে সক্ষম হয়েছেন তাদেরও টিকিটপ্রতি অনলাইন সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ হয়েছে। এদিন সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় ৯৫ শতাংশ টিকিট। এদিকে দুপুর ২টায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি চেয়ার, কেবিন, নন-এসি চেয়ার ও এসি-চেয়ারের টিকিটও শেষ হয়ে যায়। তার পরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য অ্যাপে প্রবেশ করেন। জনগণের টাকা লোকসান এবং সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের এত উন্নয়ন ও এত সক্ষমতা থাকার পরও টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি বেসরকারি খাতকে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় ব্যক্তি পকেটে চলে যাচ্ছে, গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, টিকিট বিক্রয়ের স্থান থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছুই রেলের, সরকার চাইলেই টিকিট বিক্রয়ের পুরো বিষয়টা রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৩

একদিনে ৭ জনের শিরশ্ছেদ করল সৌদি 
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সৌদি আরবে একদিনে ৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিরশ্ছেদের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে শুধু একবার দেশটিতে এর চেয়ে বেশি সংখ্যক অপরাধীর শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল একদিনে। ২০২২ সালের মার্চে একদিনে ৮১ জনের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল সৌদিতে। সেবার বিশ্বজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল দেশটির সরকার। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রয়ত্ত বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি ও অর্থায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন এই ৭ জন। তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে, তাদের নামের বিষয়টি ইঙ্গিত করছে যে তারা সবাই সৌদির নাগরিক ছিলেন। সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে আরও বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন সন্ত্রাসী সংগঠন তৈরি এবং অর্থায়ন করেছিলেন। একইসঙ্গে সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন তারা।  তবে, তাদের প্রতিষ্ঠিত গ্রুপের নাম কী ছিল বা কী ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তারা, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও কিছু জানায়নি সৌদি প্রেস এজেন্সি। উল্লেখ্য, বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিক দিয়ে শীর্ষ তিন দেশের অন্যতম সৌদি আরব। এ বছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৯ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৭০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরা করা হয়েছিল সৌদিতে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে ৩৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।  এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা থাকলেও সৌদি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আইন ও কোরআনভিত্তিক শরীয়াহ শাসন অক্ষুন্ন রাখতে মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষ তিন দেশের অপর দুটি দেশ হলো চীন ও ইরান। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮

একদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ১৭ জনের
সারাদিনে দেশের ৬ জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ সাতজন, বগুড়ায় তিনজন, জামালপুরে দুইজন, মৌলভীবাজারে তিনজন, ফরিদপুরে একজন ও চুয়াডাঙ্গায় একজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-   ময়মনসিংহ ময়মনসিংহে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদীয়া ইউনিয়নের চরবড়বিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতদর মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। যাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুরের আশাবট গ্রামের বাবলু আহমেদ (৪৫), তার স্ত্রী শিলা আক্তার (৩৫), তাদের ছেলে মো. সাদমান (৭) এবং একই উপজেলার অটোরিকশা চালক আলামিন সরকার (২৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলপুর থেকে ছেড়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি একটি গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে শেরপুরগামী আদিল পরিবহনের একটি বাসের সামনে পড়ে যায়। এ সময় বাসচাপায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা স্বামী-স্ত্রী ও সাত বছরের ছেলেসহ সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। বগুড়া বগুড়ার শাজাহানপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ট্রাকের চালক ও সহকারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বালুবাহী একটি ট্রাক বগুড়া থেকে নাটোরে যাচ্ছিল। পথে বীরগ্রামে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কুড়িগ্রামগামী একটি কয়লাবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ট্রাকের চালক ও এক হেলপার নিহত হন। মৌলভীবাজার মৌলভীবাজারের রাজনগরে সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। আহত হয়েছেন চারজন। বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নার দোকান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নম্বরবিহীন দুটি অটোরিকশার একটি রাজনগরের দাশটিলা থেকে তারাপাশা এলাকায় ও অপরটি কলেজ পয়েন্ট থেকে দাশটিলা গ্রামে যাচ্ছিল। পথে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নার দোকান এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান। জামালপুর জামালপুরে ক্রিকেট খেলে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর কাচারিপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে- শাহবাজপুর কাচারিপাড়া এলাকার সোহেল রানার ছেলে মো. কাঁকন মিয়া (১৬), এবং শারিফপুর ইউনিয়নের পিঙ্গলহাটি ঠিকাদার বাড়ি এলাকার মো. সুমন মিয়ার ছেলে সিনহাদ (১৬)। তারা দুইজনেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই বন্ধু মিলে ক্রিকেট খেলে। খেলা শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল তারা। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই কাকনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন সিনহাদকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফরিদপুর ফরিদপুরের নগরকান্দায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রবিউল ইসলাম (২৪) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার তালমা মোড়ের মাশাউজান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় দ্রুতগতির পিকনিকের বাসের ধাক্কায় মফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের তালসারি মোড়ে এ  দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত মফিজ উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থেকে বাসটি আটক করে হেফাজতে নিয়েছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। তবে চালক পলাতক রয়েছেন। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর কবীর বলেন, বাসটি মুজিবনগর থেকে আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছেন। সাতক্ষীরা থেকে মুজিবনগরে পিকনিকের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসটি। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই বলে জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ৮
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।তবে এ সময় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় সারাদেশে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে একজন এবং ঢাকার বাইরে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নয়জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে নয়জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৫

ময়মনসিংহে একদিনে ৫০ চাঁদাবাজ আটক
ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক, রাস্তা ও মোড়ে সবজি ও পণ্যবাহী ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে একদিনেই ৫০ জন চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে র‌্যাব-১৪ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাহিনীর অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র ময়মনসিংহের সড়ক মহাসড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তা মোড়ে পরিবহনে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। বিশেষ করে সবজি ও পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করার কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে, চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ ছিলো ভুক্তভোগীরা। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে এবং অপরাধী ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  তিনি জানান, এসব চাঁদাবাজদের হাতে নাতে আটক করতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশ ধারণ করে র‌্যাব-১৪ এর গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম। এসময় চাঁদাবাজি করা অবস্থায় জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মোড় থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়।  এসময় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

সীমান্তে একদিনে ৫ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ও থাইংখালী এলাকায় চারজন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কক্সবাজারের আহতরা হলেন পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকার আয়ুবুল ইসলাম, রহমতেরবিল এলাকার আনোয়ার হোসেন, পুটিবনিয়া এলাকার মোবারক হোসেন ও মো. কালা। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও মোবারকের অবস্থা গুরুতর।  এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে সৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি আহত হন। গোলাগুলির কারণে নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি প্রথমে গাছে লাগার পর সৈয়দ আলমের কপালের পাশ দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশ পারি তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ২০ পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, তুমব্রু কোনার পাড়া থেকে ৩০ পরিবার, ঘুমধুম পূর্ব পাড়া থেকে ২০ পরিবার, তুমব্রু হিন্দু পাড়া থেকে ১০ পরিবার  নিরাপদ আশ্রয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়