• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আ.লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের মতো আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করতে চায়। এবার তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে সদর উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। প্রায় ৬০ লাখ নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারাগারে এক দিনে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার মানুষকে। এভাবে তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারিনি, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে সেটি তার প্রমাণ। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই, তাদের যদি ক্ষমতায় আরও থাকতে দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার এবং কথা বলার অধিকারের জন্য। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ১৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন নিজের নামে। এরপরও নামে–বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। আওয়ামী লীগ এভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারামুক্ত দলীয় নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩১

একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালুর শঙ্কা জি এম কাদেরের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি না। সবসময়ই আমাদের আশঙ্কা ছিল যে, নির্বাচনে এনে আমাদের কোরবানি দেওয়া হয় কি না।  রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরে নিজ সংসদীয় আসনের শিশু মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমাদের কোরবানি দিলে যা হবে, তা হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন বা একটা নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেশে কায়েম হয়ে যাবে। আমরা এই আশঙ্কায় রয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না দেখে আমি আর কিছু বলতে পারব না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু খবর পেয়েছি এবং যতটুকু দেখলাম, খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের স্বাভাবিক উপস্থিতি রয়েছে। সামনের দিকে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।   তিনি আরও বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকে পাওয়া বিভিন্ন খবর স্বস্তিদায়ক নয়। কিছুক্ষণ আগে আমি মোবাইল ফোনে জানতে পারলাম যে কুমিল্লাতে আমাদের একজন প্রার্থীর সব পোলিং এজেন্টকে জোর করে আওয়ামী লীগের লোকজন বের করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাকেও বের করে দিচ্ছেন। এখন তিনি কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না।   জি এম কাদের বলেন, আমরা শনিবার রাতে খবর পেয়েছি ঢাকা-১ (দোহার নবাবগঞ্জ) এলাকায় প্রায় সব ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের কর্মী দিয়ে ভোট ডাকাতি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এজেন্টদের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ঘটেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।  তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওখানকার মানুষের মাঝে অস্বস্তি রয়েছে যে, সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে কি না। কিংবা ভোট দেওয়ার পর কী হবে, সেটি নিয়ে মানুষ খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না। এ রকম খবর কয়েক জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক জায়গা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হওয়ার খবরই পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখন তো আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখন তো আর বর্জন করার কোনো স্কোপ নেই। নির্বাচনের ফলাফল দেখে পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। কারণ, একটি জিনিস শুরু হয়ে গেলে হঠাৎ করে থামিয়ে দিতে খুব অসুবিধা।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়