• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। মারধরের ঘটনা সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, কমিটির অপর দু’সদস্য নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থল সোনাগাজী ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র রেগুলেটর এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করছেন।  এর আগে, মঙ্গলবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকারকে প্রধান করে নোয়াখালী ও ফেনীর দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। তদন্ত কমিটি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্ত ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন, ভিকটিম আলী আজগর সজলও উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ঈদের পরের দিন শুক্রবার আলী আজগর সজল, তার স্ত্রী ফারজাহান আক্তার, দুই সন্তান, ভাই পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুক ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুরাঘুরি শেষে নিজ এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। ওই মোটরসাইকেলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। কিছু পথ আসার পর বিপরীত দিক থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে জ্যামের সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে গাড়ি থেকে একজন (সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন) একটি লাঠি নিয়ে নেমে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই লোকজনকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। এ সময় গালাগালি করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আজগরকে কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আহতরা সবাই নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অবশ্যই বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি দাবি করে সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন বলেন, সড়কে জ্যাম থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাই। কাউকে মারেননি বলে দাবি করেন সহকারী পুলিশ সুপার। বিষয়টি তাদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৮

ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিচার শুরু
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার চার্জগঠন করেছেন আদালত। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন তিনি। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জানান, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে এ মামলাটি ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর দায়ের করেন এক নারী। ভুক্তভোগী এ নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। তখনি আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। অভিযোগে ওই নারী বলেন, পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।  
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়