• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বে প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা
বর্তমানে প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। এআই ব্যবহার করে এখন সব কাজেই সহযোগিতা পাওয়া যায়। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এই আয়োজন।   আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে-সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে। জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন তাকে মিস এআই শিরোপা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।  গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদেরকে অংশগ্রহণ করতে হোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।  সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।  আপাতত পুরোপুরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি নারী এআই মডেলের উপরই  হতে চলেছে মিস এআই কনটেস্ট। তবে কোন টুলের সাহায্যে এই মডেল বানানো হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।   বর্তমানে এআই অবতার বানানোর জন্য কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে— ওপেনএআইয়ের ডাল-ই, মিডজার্নি এবং কোপাইলট। মূলত এখানেই সবথেকে বেশি এআই অবতার বানিয়ে থাকে ব্যবহারকারীরা। হাজার হাজার প্রম্পট জমা পড়ে টুলগুলোতে। এবার সেই প্রম্পট থেকে তৈরি সেরা এআই মডেলকেই বেছে নেওয়া হবে বিশ্বের প্রথম মিস  এআই।
১ ঘণ্টা আগে

এআই সারাচ্ছে খেলোয়াড়দের চোট
বিশ্বের শীর্ষ ফুটবলারদের শরীরে চোট খুঁজতে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো, তাই এখন কাজে লাগছে সাধারণ খেলোয়াড়দের হাঁটু বা পিঠের ব্যথা সারাতে৷ স্পোর্টস মেডিসিনের পরীক্ষাগারে এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স অ্যানালিসিস পরীক্ষা চলছে৷ পরীক্ষকের ইশারায় হাওয়ায় লাফ দিয়ে এক পায়ে এসে নামতে হবে একটি নির্দিষ্ট বাক্সের ভেতরের জায়গাতেই৷ পরীক্ষকের ভূমিকায় ড. হাউকে ডেউইটৎজ। আরো একবার দরকার! ১৬ বছর বয়সি এই খেলোয়াড় লাফাতে থাকে, শরীরে ছোট বিড বা পুঁতি, অন্যান্য মার্কার ও ইলেকট্রোড নিয়ে, যা তার পেশির পরীক্ষা করে৷ কয়েক মাস ধরে ডান হাঁটুর ব্যথা ভোগাচ্ছে এই খেলোয়াড়কে৷ তাই সে আজ এই ল্যাবে৷ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হবার পর, খেলোয়াড়দের হাড় বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট প্রস্তুত৷ হাঁটুর মধ্যে থাকা পাটেলার টেন্ডন কেন আঘাতপ্রাপ্ত, এই পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন ড. ডেউইটৎজ৷ কেন অজান্তেই হাঁটু একদিকে হেলে যায়? পেশিগুলি কি ঠিকঠাক ভাবে শরীরের গতি কমাতে পারছে? হাড়ের সন্ধিস্থলে বা জয়েন্টে এর কেমন প্রভাব পড়ছে? বায়োমেকানিক্যাল বিশ্লেষণ এর উত্তর দিতে পারবে৷ দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে খেলোয়াড়কে দৌড়াতে হয়েছে দিক বদল করে করে৷ মাঝে ওঠবোস করতেও হয় তাকে৷ সাথে, শরীর কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে বা পেশির জোর কতটুকু তাও মাপা হয় পরীক্ষায়৷ খেলোয়াড়দের প্রতিদিনের যে সমস্যা কোলনে সবার সাথে অনুশীলন করতে আসেন নামকরা অ্যাথলেটরাও৷ পেশাদার ক্লাব ও তার খেলোয়াড়দের কাছে স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সমস্যার সমাধান বার করতে কোনো পথই ছাড়েন না তারা৷ ডেউইটৎজ বলেন, আগে থেকে প্রিভেন্টিভ কেয়ার নিতে খুব বেশি খেলোয়াড়রা আসেন না আমাদের কাছে৷ তাতে সমস্যা আগেই ঠেকানো সম্ভব, বলে মনে করেন তিনি৷ বেশিরভাগই আসেন কোন অপারেশন হবার বা চোট লাগার পর, যেমন যে সব চোট ঘন ঘন লাগে, ফাইবার ছিঁড়ে যাওয়া বা উরুর পেশিতে টান পড়া৷ নতুন ধরনের ব্যথা বা যন্ত্রণা ছাড়া খেলোয়াড়দের সমস্যাও আর পাঁচটা লোকের মতোই, যেমন টেন্ডনের ব্যথা, পেশি বা হাড় সন্ধি ধকল সইতে না পারা৷ এমনটাই বলছে ড. উইটৎজের অভিজ্ঞতা৷ তিনি বলেন, মানুষ সব সময় ভাবে যে পেশাদার খেলোয়াড়রা এতটা প্রশিক্ষিত বলেই তাদের পরীক্ষায় কোনো দুর্বলতা ধরা পড়ে না৷ কিন্তু বাস্কেটবল বা ফুটবলের মতো খেলায় দুর্বলতা থাকে গভীরে৷ উদাহরণস্বরূপ, গুরুত্বপূর্ণ পেশি দুর্বল হওয়া, হাড় সন্ধি চাপ নিতে না পারা, বলেন ডেউইটৎজ৷ আমাকে সেটা সব সময় অবাক করে, বলেন তিনি৷ কিন্তু মোশন অ্যানালিসিস বা গতি অধ্যয়ন থেকে সমস্যার কোনো সুরাহা হয় না৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে কাজে লাগবে লাইপৎজিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিকস ল্যাবের প্রধান প্রফেসর মারেন ভিট বলেন, এটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেবে৷ এআই পরীক্ষার ফলাফল ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও রোগীদের জানাবে ব্যথা কোথা থেকে আসছে ও কীভাবে তার সুরাহা হবে৷ ভিট বলেন, আমরা বর্তমানে দেখছি কীভাবে এই প্রযুক্তি, যা এত দিন শুধু শীর্ষ পদে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ ছিল, তা আজ বহু লোকের হাতের নাগালে৷ এক সময় ব্যক্তিগত পরীক্ষা করতে কয়েক দিন লাগত৷ এখন তাই সম্ভব কয়েক ঘন্টায়৷ ভিট আরো বলেন, ভবিষ্যতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শরীরে মার্কিং করা বা দাগ দেওয়াকেও অপ্রয়োজনীয় সাব্যস্ত করবে৷ সময় বাঁচাবার সাথে সাথে এটা তাদেরও সাহায্য করবে, যারা হাঁটু, কোমর বা পিঠের সমস্যায় পরীক্ষা করালেও সুইমস্যুট পরতে চান না৷ আগামী কয়েক বছরে, হাউকে ডেউইটৎজ আশা করেন যে ল্যাবের পাশাপাশি, স্বাভাবিক প্রশিক্ষণের পরিবেশে বা খেলার মাঠেই যাতে খেলোয়াড়রা নিজেদের পরীক্ষা করতে পারেন৷ তিনি বোঝান, তাতে আরো ব্যক্তিভিত্তিক পরীক্ষা সম্ভব হবে ও ব্যথার কেন্দ্রভিত্তিকও৷ টার্গেট ভিত্তিক প্রশিক্ষণ তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা চালিয়ে আশার আলো দেখছেন ডেউইটৎজ৷ সাড়ে ছয় ফুটেরও বেশি উচ্চতার এই তরুণ বাঁ পায়ে ভালোভাবে লাফ দিয়ে নামতে পারেন৷ কিন্তু ততোটা ভালোভাবে এটা ডানপায়ে হচ্ছে না৷ সেক্ষেত্রে, পা খানিকটা বেঁকে যায় ও পাটেলার টেন্ডনে চোট লাগে৷ টার্গেটেড প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেন তিনি৷ যার মধ্যে আছে উরু ও নিতম্বের পেশির জোর বাড়ানোর ব্যায়াম৷ সাথে আছে দৌড় ও লাফ দিয়ে নামার নানা কৌশলও৷ দৈনন্দিনের ব্যবহারে কতটা উপকারী হতে পারে এমন প্রশিক্ষণ? প্রফেসর ভিট বলেন, উচ্চ মাত্রার পারফর্মেন্সের খেলায় আমরা ধরে নিচ্ছি যে এটা কার্যকর৷ যদিও এর যুক্তি হিসাবে শুধু মুভমেন্ট বিশ্লেষণকে একা দেখলে হবে না৷ কারণ একজন খেলোয়াড়ের পারফর্মেন্সের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের নানা রকমের ভূমিকা থাকে৷ এক্ষেত্রে ডেউইটৎজ বলেন আরেক জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়ের কথা, যার হ্যামস্ট্রিং কয়েক বছর ধরেই ভোগাচ্ছিল ও কোনো পরিচিত মেডিকাল উপায়েই তার সমাধান আসছিল না৷ এই অ্যানালিসিস জানায় যে ব্যথার কারণ সহজ৷ একটি পেশির দুর্বলতার চাপ এসে পড়ছে আরেকটি পেশির ওপর৷ টার্গেটেড প্রশিক্ষণের সাহায্যে সমস্যা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল৷ তার বক্তব্য, যে কোনো ফিজিওথেরাপিস্ট বা স্পোর্টস বিজ্ঞানী এটা করতে পারেন৷ তার জন্য পেছনে বড় ফুটবল ক্লাব বা কয়েক মিলিয়নের সম্পদ থাকার প্রয়োজন নেই৷
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০

এআই থেকে উড়ন্ত গাড়ি
এআই, এআর থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রযুক্তির নানা প্রয়োগ চলতি বছরেও একাধিক চমক সৃষ্টি করছে৷ প্রথমদিকে উচ্চ মূল্য অন্তরায় হলেও ধীরে ধীরে এমন প্রযুক্তি আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে৷ ২০২৪ সালে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্ভাবনের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যেমন সুপারম্যানের মতো দৃষ্টিশক্তি, উড়ন্ত গাড়ি বা এআই-এর মাধ্যমে আমাদের আবেগের পূর্বাভাস৷ কিন্তু কোন প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে? অবশ্যই ২০২৩ সালে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে, সেই এআই-এর উল্লেখ করতে হয়৷ পার্সোনালাইজড এআই-এর প্রবণতা বাড়ছে৷ অর্থাৎ, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মডেল আপনার জীবনযাত্রা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট উত্তর দেবে৷ সেই সবই আরো বেশি মানুষের নাগালে চলে আসছে৷ বর্তমানে বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন ক্লাউড পরিষেবা হিসেবে পাওয়া যায়৷ তবে কোম্পানিগুলি এবার আপনার ব্যক্তিগত ডিভাইসে অফলাইন মডেল হিসেবে এআই কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে চায়৷ সেটা সম্ভব করতে আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে এমন এআই ক্ষমতাসম্পন্ন এক শক্তিশালী চিপ থাকতে হবে৷ ইন্টেল ও কোয়ালকমের মতো কোম্পানি ইতোমধ্যেই সেই লক্ষ্যে কাজ করছে৷ গত বছর জেনারেটিভ এআই-এর সূচনা ঘটেছিল৷ এবার তথাকথিত ইমোশন এআই-এর উদয় হতে পারে৷ অর্থাৎ এআই আপনার আবেগ বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী উত্তর দিতে পারবে৷ শুনতে গা ছমছমে মনে হলেও এই প্রযুক্তি ডিভাইসগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বিপ্লব আনতে পারে৷ যেমন, এআই গাড়ি চালকের আবেগ বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা ও যাত্রাপথ বাতলে দেবে৷ সে ক্ষেত্রে গাড়ি চালানো আরো নিরাপদ হয়ে উঠবে৷ গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে সেটাই চলতি বছরের একমাত্র পরিবর্তন নয়৷ অটোনোমাস ড্রাইভিং প্রযুক্তি চলতি বছর আরো উন্নত হয়ে উঠতে পারে৷ লস এঞ্জেলেস বা সান ফ্রানসিস্কোর মতো শহরে অটোনোমাস ট্যাক্সি পরিষেবা ইতোমধ্যেই চালু হয়ে গেছে বটে, কিন্তু সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলি দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে৷ ফলে জনপ্রতিনিধিরা হয়তো লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন৷ ২০২৪ সালে কি উড়ন্ত গাড়ি দেখা যাবে? উত্তরটা হ্যাঁ এবং না৷ একাধিক কোম্পানি চলতি বছরে প্রথম বাণিজ্যিক মডেল ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চায়৷ কিন্তু প্রায় পাঁচ লাখ ইউরো মূল্যের সেই যান অত্যন্ত কম মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে৷ তার চেয়ে বরং এয়ার ট্যাক্সি চড়া সস্তার হতে পারে৷ যেমন, জার্মানির এক কোম্পানি এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে এমন পরিষেবা চালু করতে চায়৷ তবে সেই পরিষেবার লাইসেন্সের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যাপেল কোম্পানি ভিশন প্রো নামের হেডসেট তুলে ধরেছে৷ চলতি বছরের শুরুতে সেটির বাজারে আসছে৷ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও বাস্তব জগতের সংমিশ্রণকে এআর বা অগমেন্টেড রিয়্যালিটি বলা হয়৷ সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী হাতের ইঙ্গিতের সাহায্যে বাস্তব পরিবেশে ডিজিটাল অ্যাপ ফুটিয়ে তুলতে পারে৷ তবে প্রায় তিন হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের সেই ডিভাইস খুব বেশি মানুষের পকেটের নাগালে থাকবে না৷ কমপক্ষে শুরুর দিকে উচ্চ মূল্যই অন্তরায় থেকে যাবে৷ এআই ও এআর সমন্বয় করলে আরো আকর্ষণীয় কিছু উঠে আসতে পারে৷ এআই প্রযুক্তি সম্বলিত এআর হেডসেট ব্যবহারকারীদের আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে সাহায্য করতে পারে৷ যেমন শহরের মাঝে হাঁটার সময়ে কোন রেস্তোরাঁয় খাওয়া যায়, মনে এমন ভাবনা এলে রেস্তোরাঁর পাশেই গ্রাহকদের রিভিউ ফুটে উঠবে৷
১৫ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪

ইউরোপীয় সংসদে এআই আইন চূড়ান্ত অনুমোদন পেল
ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন৷ আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে৷ বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে৷ দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে৷ আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে৷ বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল৷ তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে৷ এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে৷ জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে৷ জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে৷ যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে৷ কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে৷  এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে৷ এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে৷ চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে৷ তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে৷ নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে৷
১৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

সড়কে এআই ক্যামেরা, আইন ভাঙলেই স্বয়ংক্রিয় মামলা
রাজধানীর সড়কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সিস্টেম সংবলিত ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সব ধরনের গাড়ির গতিবিধি। সড়কে আইন ভাঙলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা দিতে পারবে এই সিস্টেম। জানা গেছে, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ স্পর্শ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে মামলা। গাড়ির লাইসেন্স ও মেয়াদ না থাকলেও ধরা পড়বে ক্যামেরায়।   যানজট কমানো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এ উদ্যোগ নিয়েছে। ডিএনসিসি জানিয়েছে, গুলশান-২ সিগন্যালে এমন এআই সিগন্যাল সিস্টেম সবলিত ক্যামেরা বসানো হয়েছে, রাজধানীর আরও ৬টি পয়েন্টে বসানো হবে এ ক্যামেরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিগন্যাল মেনটেন্যান্স সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, ইমেজ ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও অন্য সরঞ্জামাদি দিয়ে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এআই-এর আওতায় আনা হবে। গুলশান-২ নম্বর সিগন্যালে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক মামলা হবে। এ প্রযুক্তির ফলে অনেকেই সচেতন হয়েছেন। এতে ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা কমে আসবে ৯৯ শতাংশ। লালবাতি জ্বলা মাত্র সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন। এই আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও কমে আসবে অনেকাংশে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সিইও মীর খায়রুল আলম জানান, এখনই এই মামলায় জরিমানা লাগছে না। ট্রাফিক আইন ভাঙার তথ্য পেলেও এখনই শাস্তি দিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। কারণ শাস্তি দেওয়া পুলিশের কাজ আর সে উদ্দেশ্যে পুলিশের ডেল্টা-৩ সিস্টেমের সঙ্গে এই সিস্টেমের সমন্বয়ের কাজ চলছে। সমন্বয়ের কাজ হয়ে গেলে শাস্তি চালু করা সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে সারা রাজধানীজুড়ে এই সিস্টেম চালু করা হবে। গত এক মাসে শুধু এই সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভেঙেছে তিন লাখের বেশি গাড়ি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আইন ভঙ্গের হার বলছে, এ সিস্টেম চালু হলে রাজধানীজুড়ে একদিকে ভয়াবহ যানজট কমবে, অন্যদিকে যত্রতত্র পার্কিং কিংবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার প্রবণতাও কমবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তখন সিগন্যাল সিস্টেমে আসবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

এআই দিয়ে ভক্তদের চমকে দিলেন অমিতাভ
বলিউডের দাপুটে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে অভিনয়ে জীবনের ৫৫ বসন্ত পার করে ফেলেছেন এই অভিনেতা। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। যা আজও দাগ কেটে আছে অভিনেতার ভক্তদের মনে। এবার এআই দিয়ে রীতিমতো ভক্তদের চমকে দিলেন অমিতাভ।    শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফিল্মি ক্যারিয়ারের ৫৫ বছর উদযাপন করতে এআইয়ের শরণাপন্ন হয়েছেন অভিনেতা। ইন্সটাগ্রামে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে নিজের তিনটি ছবি বানিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। এতে দেখা যায়, অমিতাভের মাথায় সিনেমা নির্মাণের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ভিড়। মূলত এর মাধ্যমে অভিনেতা বোঝালেন, গোটা জীবন ধরে সিনেমাই তার ধ্যানজ্ঞান। তাই সোশাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগও ছাড়লেন না তিনি। যা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনেমাপ্রেমীরাও। ১৯৬৯ সালে অভিনয় ‘সাত হিন্দুস্তানি’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন অমিতাভ। বিগত পাঁচ দশকে অন্তত ২০০টির বেশি সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু সিনেমাই নয়, বিজ্ঞাপনী জগতটাও বিশাল এই অভিনেতার।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬

বিশ্বের প্রথম এআই শিশু বানালো চীন
বিশ্বে প্রথমবারের মতো এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) শিশু তৈরি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। শিশুটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা এমন একটি এআই শিশু তৈরি করেছেন, তিন থেকে চার বছর বয়সী মানব শিশুর সব ক্ষমতা আছে যার মধ্যে।  হুবহু মানব শিশুর মতোই আচরণ করতে সক্ষম তাদের তৈরি করা শিশুটি। সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আয়োজিত সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ফ্রন্টিয়ারে নিজেদের এই নতুন সৃষ্টি উন্মোচন করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। গবেষক দল এর নামকরণ করেছেন টং টং; চীনা ভাষায় যার অর্থ 'ছোট্ট মেয়ে'। এজিআই (কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা) এর দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই শিশুর এই সৃষ্টিকে।  প্রতিবেদন অনুসারে, এই উদ্ভাবনী এআই মডেলটি স্ব-শিক্ষায় সক্ষম এবং এটি বিশেষ মাত্রায় মানসিক সংযোগও প্রদর্শন করতে পারে, যা আগে কোনো এআই বিকাশে দেখা যায়নি।  বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর নির্মাতারা বলছেন, মানুষের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করার মাধ্যমে ক্রমাগত তার দক্ষতা এবং জ্ঞানের উন্নতি করছে টংটং। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬

গুগলের এআই বার্ডের নাম পাল্টে এখন জেমিনি
গুগল তাদের জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বার্ডের নাম পরিবর্তন করে ‘জেমিনি’ রেখেছে। নতুন নামটি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।  গুগল জানিয়েছে, ‘জেমিনি’ নামটি বার্ডের উন্নত ক্ষমতা এবং বহুমুখিতা  করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। জেমিনি নামটি রোমান পুরাণের দেবদ্বয় কাস্টর এবং পলক্সের নাম থেকে অনুপ্রাণিত, যারা দুই ভাই এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে যমজ নক্ষত্রের প্রতীক। গুগল জানায়, জেমিনি বার্ডের পূর্ববর্তী সংস্করণের সকল ক্ষমতা ধারণ করবে এবং এর সাথে আরও কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হবে। এর মধ্যে রয়েছে: উন্নত ভাষা অনুবাদ : জেমিনি ৫০ টিরও বেশি ভাষার মধ্যে অনুবাদ করতে পারবে, যা বার্ডের তুলনায় অনেক বেশি। সৃজনশীল লেখার ধরণ : জেমিনি বিভিন্ন ধরণের সৃজনশীল লেখার ধরণ তৈরি করতে পারবে, যেমন কবিতা, গান, স্ক্রিপ্ট, ইত্যাদি। তথ্যভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর : জেমিনি জটিল তথ্যভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে, যা বার্ডের পক্ষে সবসময় সম্ভব ছিল না। আরো থাকতে পারে বড় ফাইল থেকে তথ্য বিশ্লেষণের সুবিধা। তবে এটি ব্যবহারের জন্য অর্থ গুনতে হবে। গুগল আশা করছে যে জেমিনি বার্ডের চেয়ে আরও বেশি ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাবে এবং বিভিন্ন কাজে তাদের সাহায্য করবে।  এদিকে জেমিনি অ্যাপ  অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা লিখতে, ম্যাপ দেখতে এবং পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। জিমেইল, ম্যাপ ও ইউটিউবেও যুক্ত হবে জেমিনি। তবে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা অ্যাপ নিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। গ্রাহকদেরকে গুগল অ্যাপের মাধ্যমেই জেমিনি ব্যবহার করতে হবে।   উল্লেখ্য, গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফটও নিজেদের এআই চ্যাটবট বিং এখন কোপাইলট নামে পরিচিত করাচ্ছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

সামনে এআই সঙ্গীও পাওয়া যাবে : কৃতি
বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভাবনার পাশাপাশি ক্ষতির মুখেও ফেলছে। ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশ কজন ভারতীয় অভিনেত্রীর ডিপফেক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদেরকে। এসব নিয়ে আতঙ্কিত অন্য তারকারাও। এবার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন বলিউডের এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। অভিনেত্রী বলেন, সামনে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সঙ্গীও পাওয়া যাবে। সম্প্রতি মৃত দুই শিল্পীর কণ্ঠ দিয়ে তৈরি করে গান প্রকাশ করেছেন এআর রাহমান! সবার দাবি, এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের চাবি এখনই হাতে নেওয়া জরুরি। এ প্রসঙ্গে কৃতি বলেন, এটা উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি ডিপফেক ভিডিও ইতোমধ্যে সামনে এসেছে। কিন্তু এআই দিয়ে তৈরি করা সংবাদ পাঠকও আছে, যেটার মানে আমরা সামনের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছি। সুতরাং এটাও সম্ভব যে, সামনে এআই সঙ্গীও পাওয়া যাবে। একই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা শহীদ কাপুর বলেন, এটা মানুষই শুরু করেছে। এই প্রযুক্তি মানুষই পৃথিবীতে এনেছে। এখন আমরা এআইয়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছি। আসলে বাস্তবে বাঁচতে অভ্যস্ত নই আমরা। সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন জিনিস আমরা শেয়ার করি, যেটার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, সেটার সঙ্গে বাস্তবতার তুলনা করে হতাশায় পড়ি। এটাই সত্য।   প্রসঙ্গত, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে কৃতি-শহীদ অভিনীত সিনেমা ‘তেরি মাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’। এটি নির্মাণ করেছেন অমিত জোশি ও আরাধ্যনা শাহ। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন, ডিম্পল কাপাডিয়া, ধর্মেন্দ্র, রাকেশ বেদি প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪০ কোটি রুপি।  সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৮

বিজ্ঞাপন বানাবে গুগলের নতুন এআই টুল জেমিনি!
২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটির আত্মপ্রকাশের পর থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআইয়ের যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে বললেও মনে হয় ভুল হবে না। আর সেই পথে পা বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (Google)।  তারা নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক এআই টুল জেমিনি (Gemini)। বুদ্ধিতে মানুষকে যে অনায়াসেই পেছনে ফেলে দেবে বলে জানান সংস্থা। অ্যাড প্ল্যাটফর্মে এই এআই বিপ্লব আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা এবার বিজ্ঞাপনের কপি ও অন্য সবই তৈরি হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।  কীভাবে কাজ করবে জেমিনি-  জানা যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনদাতারা কেবল তাদের ওয়েবসাইটের ইউআরএল জেমিনির কাছে পৌঁছে দেবেন। ব্যাস, বাকিটা করে দেবে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি। জেমিনি প্রথমে ভালো করে সাইটটি পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর নিজেই এর বিজ্ঞাপনের জন্য ছবি, শিরোনাম, বিবরণ ও সার্চ অ্যাডে ব্যবহারযোগ্য কিওয়ার্ড সবই সাজেস্ট করবে। এখানেই শেষ নয়। জেমিনি ব্যবসার উপযুক্ত নতুন ধরনের ছবিও বানিয়ে দেবে। এর পাশাপাশি একটি বিতর্কিত চ্যাটবট ইন্টারফেসও থাকছে। যার সাহায্যে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপন সম্পর্কে তাদের মতামত যেমন দিতে পারবেন তেমনই করতে পারবেন সেই সংক্রান্ত প্রশ্নও। এ মাসেই লঞ্চ হয়েছে গুগল জেমিনি।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়