• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বোনের বাসায় লুট, বাধা দেয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমুকে (৩৮) হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তার সহোদর ভাই ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পিবিআই। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এবং রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নিহতের ভাই কাপাসিয়া উপজেলার কুলগঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং তার সহযোগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মামদাবাদী গ্রামের আস্কর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)। পুলিশ তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যার শিকার শাহনাজ বেগহম শিমুর ভাই কামরুজ্জামান রুবেল গাজীপুরের একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতো। প্রায় ৫ মাস পূর্বে রুবেল চাকরি ছেড়ে দেয়ায় সে আর্থিক অভাবে পড়ে। এ সময় সে বিভিন্ন পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সে তার বোনের বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার দুইদিন আগে আসামী রুবেল তার সহযোগী মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে রুবেল ও মিনাল একটি ব্যাগে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর আসে।  তারা শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড হতে অটোরিকশা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিকশায় রাত ৮ টায় সিংহশ্রী ব্রিজে যায়। তারা সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে পায়ে হেটে আসামী রুবেলের বোন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ির সামনে আখ (গেন্ডারী) খেতে লুকিয়ে থাকে। রাত ১২ টার পর আসামিরা শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে। পরে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। পরে রান্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে এসে ঘরের পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ঘরের দরজার সিটকারী খুলে ঘরে প্রবেশ করে। আসামি রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে শিমুর ঘরে প্রবেশ করে। শিমুল তাদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আসামি মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না, চিৎকার বন্ধ কর। তাদের কথা শুনে শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে মিস্টার গামছা দিয়ে শিমুলের মুখ চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামী রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আঁচড় লেগে আসামি রুবেলের বাম ও ডান হাতে জখম হয়।  শাহানাজ আক্তার সিমু তার ভাই রুবেলকে যেন চিনতে না পারে সেজন্য শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে মিস্টার। আসামি রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। এসময় আসামী মিষ্টারের সাথে শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামি মিষ্টার শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে তার বুকের ওপর বসে গলায় চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামি রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ তিন হাজার টাকা এবং শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে যায়। আসামি রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেঁধে বাড়ির পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। পরদিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রিজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ১ লাখ ৫০ টাকা বিক্রি করে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে শাহনাজ বেগম শিমুকে হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পুলিশ ওইদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে। শিমুর স্বামী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

এপ্রিলে ভোক্তা ঋণের সুদ সাড়ে ১৪ শতাংশ
এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ভোক্তা ঋণে গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ। রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ‘স্মার্ট’র সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এতদিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে। যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেই হিসাবে, এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে, ঋণ ও ভোক্তা ঋণের সুদহার মার্চে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সাধারণত গাড়ি, আবাসন, শিক্ষা, ফ্রিজ, টিভি ও কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত যে ঋণ নেওয়া হয় সেগুলো মূলত ভোত্তা ঋণ।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

ক্ষুদ্র ঋণের অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
ভোক্তা ঋণ ও অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে ঋণের প্রশাসনিক ব্যয় শিল্প ও অন্যান্য ঋণের চেয়ে বেশি হওয়ায় এসব ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ আরোপের বিধান রয়েছে। কিছু ব্যাংক ভোক্তাদের থেকে এর চেয়েও বেশি চার্জ আদায় করছে। তাই আদায় করা অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সার্কুলার জারি করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা খাতের ঋণ প্রদানে ব্যাংকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ প্রদানের বিধান রয়েছে। এই সুপারভিশন চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ বা সুদ আরোপ করা যাবে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সুপারভিশন চার্জ হিসাব করার কারণে ক্ষেত্রমতে গ্রাহক থেকে অধিক পরিমাণ সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়া বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাব করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের ওপর কোনো ধরনের জরিমানা বা সুদ আরোপ করা যাবে না। ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধ সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে  চার্জ আদায়যোগ্য হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় প্রাপ্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে। তলবি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদান্তে পরিশোধের সময় এককালীন বা উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে মেয়াদের মধ্যে একাধিক কিস্তিতে আদায় করা যাবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হলে, বছরান্তে প্রাপ্ত গড় স্থিতির হিসাবের ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ সমন্বয় করতে হবে। শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৮

ঋণের চাপে আত্মহত্যা বাড়ছে
ঋণের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সর্বশেষ সোমবার মেহেরপুরে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আরও একজন ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন৷ এক সপ্তাহ আগে মুন্সিগঞ্জে দুই সন্তান নিয়ে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ঋণের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার কারণ কী? সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে অনেকেই আয়েসে জীবন যাপন করছেন। তাদের ঐ সম্মানবোধটাই নেই। এখন পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে গরিব আরো গরিব হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের নুর আলীর স্ত্রী নুরজাহান খাতুন এনজিওর ঋণের কিস্তির চাপে (৪২) গলায় ফাঁস দিয়ে লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আটটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলে নুরজাহান। একটা থেকে ঋণ নিয়ে আরেকটা শোধ করত। এভাবে করতে করতে তারা আর শোধ করতে পারেনি। ঋণের কিস্তির জন্য যখন চাপ দিচ্ছে, তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বেধে যেত। শুধু নুরজাহান নয়, ঋণের চাপে আমার গ্রামের চরটি পরিবার পালিয়ে গেছে। এনজিওগুলো যেভাবে জাল বিছিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের সেখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ কীভাবে কমানো যায়? জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এনজিও থেকে যে ঋণটা একজন নিচ্ছে, অন্যজন সেটা জানে না। কারণ তাদের ঋণের কোন কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই। যেমন ধরেন একটি ব্যাংক থেকে আপনি যদি ঋণ নেন, সেটা সার্ভারে পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে। ব্যাংকের ক্ষেত্রে একজনের নামে একটি ঋণ থাকলে অন্য ব্যাংক সাধারণত আর দেয় না। কিন্তু গ্রামের একজন মানুষকে ৮-১০টি এনজিও ঋণ দিচ্ছে। তার হয়ত সেই ঋণ শোধ করার সামর্থ্যই নেই। তাহলে তিনি দেবেন কীভাবে? এজন্য আমরা বলছি, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রেও একটা কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকা প্রয়োজন। এবং কোন ব্যক্তিকে একাধিক এনজিও ঋণ দিতে পারবে না। এগুলো নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট আরও বাড়বে। একই দিনে মেহেরপুরের গাংনীতে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে বিষপান করেছেন রিপন হোসেন (৩২) নামের একজন ব্যবসায়ী। যদিও তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। রিপন আলী গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কেন এমন করলেন? জানতে চাইলে রিপন বলেন, আমি মাংসের ব্যবসা করি, পাশাপাশি আমার একটা জুয়েলারিও আছে। আমি তিনটি এনজিও থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। একটা এনজিও থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছি। প্রতিমাসে সেখানে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। এটা এক বছরে শোধ হওয়ার কথা। আরেকটা থেকে ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছি, সেখানে মাসে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এটাও এক বছরে শোধ হওয়ার কথা। আরেকটা থেকে নিয়েছি ৭০ হাজার টাকা। সেখানে সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এটা ৫ মাসে শোধ হওয়ার কথা। জুয়েলারি ব্যবসায় আমার ৬ লাখ টাকার মতো বাকি আছে। সেই টাকা তুলতে পারছি না, আবার এনজিওগুলোও ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এ কারণে এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেছিলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হৃদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠে লিখে যাওয়া শেষ চিরকুটে, সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী? জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। সরকার এত ব্যাংক দিয়েছে। তারপরও ৪২ থেকে ৪৫ ভাগ মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে। যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে তারা তো প্রয়োজন হলে এনজিও থেকে ঋণ নেবে। কারণ ব্যাংকের সঙ্গে তো তাদের সম্পর্ক নেই। আর একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিলে তো ফাঁদে পড়তেই হবে। শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা। পাশাপাশি দেশের সব মানুষকে ব্যাংকিং সেবার মধ্যে আনতে হবে। তাহলে এই ধরনের পরিস্থিতি কমে আসবে। গত মাসের শুরুতে নীলফামারীর আশিকুর মোল্লা বাবু নামে একজন ব্যবসায়ী স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশিকুরের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, বাবার মৃত্যুর পর ব্যাংক থেকে নেওয়া ২২ লাখ টাকা ঋণ শোধ করতে গিয়ে আশিকুরের ব্যবসার পুঁজি শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি যে ব্যবসা করতেন, সেখানেও বড় ধরনের লস করেছেন। তার গোডাউনে রাখা রসুন সব পচে গেছে। মানসিক বিপর্যয় থেকে তিনি এ কাজ করেছেন বলে আমাদের বলেছেন। গত বছরের মে মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তবা আলী আত্মহত্যা করেন। ঋণের চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মুস্তবা আলীর ছেলে আহমেদ ওয়াসিফ প্রিতুল সে সময় জানিয়েছিলেন, তার বাবা ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যুরো বাংলাদেশ, বীজ এনজিওসহ কয়েক জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মাসুদ আলম, কিশোরগঞ্জের রোকন উদ্দিন, রাজশাহীর চারঘাটের মাছ চাষি আবদুল কুদ্দুস, কুমিল্লার তিতাসের কড়িকান্দি বাজারের কলা ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তাসলিমা আক্তারসহ অন্তত দুই ডজন মানুষ ঋণের কিস্তির চাপে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এমন ঘটনা এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। প্রসঙ্গত, এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি, আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৩

ঋণের দায়ে বিদেশফেরত যুবকের আত্মহত্যা
বগুড়ার আদমদীঘিতে বিদেশফেরত ঋণগ্রস্ত এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মহসীন আলী শেখ (২৫) নামে ওই যুবক বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহসীনের মৃত্যু হয়। মহসীন উপজেলার শাঁওইল মধ্যপাড়ার মুকুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ যান মহসীন আলী শেখ। ভালো কাজ না পাওয়ায় দেশে ফিরে আসেন। অর্থ উপার্জন না করেই দেশে ফেরায় তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তিনি নানা দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যার জন্য পরিবারের সকলের অগোচরে বিষাক্ত গ্যাস খেয়ে ছটফট করতে শুরু করেন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, মৃতের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

রেললাইনে ফোনে কথা বলছিলেন, ট্রেন এসে কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ
গাইবান্ধায় রেললাইন ধরে কথা বলতে বলতে চলার সময় পেছন থেকে ‘লালমনি একপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে উৎপল চন্দ্র (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত উৎপল চন্দ্র দাস গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাবাড়ি ইউনিয়নের চিকার ভিটা নামক এলাকার কার্তিক চন্দ্র দাসের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে লালমনিহরহাট গামি ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের সুখান দীঘি নামক এলাকা অতিক্রম করছিলো। এ সময় উৎপল চন্দ্র রেললাইন ধরে হাটার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। দ্রুতগামী ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে উৎপল ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে তার মৃত্যু হয়। উৎপল গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালির বাজারে একটি সারের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তালুকদার স্থানীয় খেত-খামারে কর্মরত প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, রেল লাইন ধরে হাটার সময় ফোনে কথা বলার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে উৎপল চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, এটি একটি অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনা।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ল
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার আরও বাড়াতে পারবে। পাশাপাশি ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণ এবং ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারও বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এর সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সুদ হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি খাতের প্রি-শিপমেন্ট ঋণ, পল্লী ও কৃষি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে হবে। এ হিসাবে এসব খাতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি ঋণের সুদের হার বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ হারও বাড়াতে পারবে। কারণ আগে আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করা থাকলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমানতের সুদ হারের কোনো সীমা নেই। এ ছাড়া ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণের সুদ নতুন হারে বাড়ানো যাবে। তবে যেসব ঋণের মেয়াদ ছয় মাসের কম রয়েছে সেগুলোর সুদ বাড়ানো যাবে না। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণ এবং আমানতের সুদ হার বাড়াতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠান ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে ঋণ বা লিজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। সে হিসাবে সুদের সর্বোচ্চ হার হবে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি আমানতের ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এতে আমানতের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের নিয়ম চালু করতে গত বছরের জুন থেকে স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) সুদহার চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার ঘোষণা করছে। এর আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ও আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়