• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর বর্ষবরণ, যা বলছে ডিএমপি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ডিএমপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর। এতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়। ডিএমপি আরও বলেছে, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীকালে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসকল হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন। এর আগে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত কয়েক বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ক্যাম্পাসে সব আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু উদীচী সে নির্দেশনা না মেনে পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগে ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল' শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম। তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের  অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্যারিসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে।  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’র মাধ্যমে ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ হয় প্যারিস এর সেইন্ট ডেনিস মিউনিসিপালিটি স্থায়ী শহীদ মিনারে। সেন্ট ডেনিসের সহকারী মেয়র ও বাংলাদেশ থেকে আগত যুগ্ম সচিব মাফুজা আক্তার স্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন  করেন। পরে সিকানু বাঙালি এসোসিয়েশন এর সভাপতি সরুফ ছদিওল, উপদেষ্টা ও আয়েবার মহাসচিব তুলুস এবং প্যারিসের স্থায়ী শহীদ মিনারের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত উল্লাহ ইনু, বীর  মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ফ্রান্স বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমেদ চৌধুরী, একুশ উদযাপন পরিষদ ফ্রান্সের আহবায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ ও সদস্য সচিব এমদাদুল হক স্বপন, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলী হোসেন সহ ফ্রান্স প্রবাসী বাঙালি সংগঠন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ফ্রান্স, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফ্রান্স, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটি, বরিশাল বিভাগীয় সমিতি ফ্রান্স, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্স, ইকোনমিক চেম্বার ফ্রান্স, নরসিংদী জেলা কমিউনিটি ইন ফ্রান্স, দোহা নবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন, ইপি এস বাংলা, যুব ইউনিয়ন, গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিউনিটি ফ্রান্সসহ প্যারিসের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ  ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার অঙ্গন। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।  নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮

বিশ্ব ইজতেমা / বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বয়ানে মগ্ন লাখো মুসল্লি
তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আর প্রথম দিনেই বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ মুসল্লি। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বয়ানে মশগুল ছিলেন লাখো মুসল্লি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা। তবে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এ সময় ভোগান্তিতে পড়েন ময়দানে থাকা লাখ লাখ মুসল্লি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা বয়ানের পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে নেন।  দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন ইজতেমার ময়দানে বৃষ্টি ছিল না। সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ইজতেমা ময়দানে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টিতে মুসল্লিদের থাকার জায়গা ও রাস্তাসহ ময়দান কাদায় পরিণত হয়। ফলে মুসল্লিদের চলাফেরা বিভিন্ন কাজকর্মে কষ্ট হয়।  বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লি আবু তালেব বলেন, ময়দানে নিজ খিত্তায় সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করছি। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে বৃষ্টি শুরু হয়। এতে আমাদের ভোগান্তি হয়েছে। রান্নাবান্না এবং থাকাসহ বিভিন্ন কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। তবুও ভোগান্তি নিয়ে শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের বয়ান শুনছি। ভোগান্তি হলেও আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত এখানেই থাকব, ইনশাল্লাহ।  প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। যদিও বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্ব ইজতেমার মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মুরুব্বী মুফতি জহির ইবনে মুসল্লী বলেন, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)  বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লোকজন বেশি হওয়ায় এবং ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় একদিন আগেই বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এর আগে বাদ ফজর আমলি বয়ান করেন হিন্দুস্তানের মাওলানা আহমদ লাট। বাদ আছর বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক এবং বাদ মাগরিব বয়ান করেন হিন্দুস্তানের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।  তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে মুসল্লিদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবুও মুসল্লিরা ধৈর্য সহকারে নিজ নিজ খিত্তায় বসে আমল করছে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আগামী রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।  আর ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০১

শীত উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক
কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নাকাল অবস্থা জেলার মানুষের। বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষেরা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায় গত একসপ্তাহ ধরে। শীত উপেক্ষা করে অনেকেই কর্মস্থলে ও বিভিন্ন কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার পর সূর্যের মুখ দেখা যায়। কিন্তু রোদের উত্তাপ তেমন না থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসেনি। বিকেলের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা কমতে থাকে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এখানে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দেখা যায়, দুপুরের পর পানিতে নেমে জমি তৈরি করছে অনেক কৃষক। গরম কাপড় মুড়ি দিয়ে জমিতে কেউ কেউ বীজতলার পরিচর্যা করছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পানিতে অবস্থান করতে পারছে না। ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় বিলম্বিত হচ্ছে বোরো রোপনের কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার কৃষকরা।  জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ৫ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা ৬ হাজার দুইশত হেক্টর জমিতে বীজতলা লাগানো হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে বীজতলা নষ্ট না হয়। সে অনুযায়ী শীতে কুয়াশা সরিয়ে নেয়া ও প্রয়োজনীয় পানি দেওয়া তারা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও যদি কিছুটা ক্ষতি হয় তা বোরো আবাদে সমস্যা হবে না। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত সর্দি-কাশিসহ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর শ্বাসজনিত নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১৩ শিশু।   এদিকে, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও আবারও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর জেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহেও ক্লাস শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

‘জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ছিল। জনগণ যেন ভোট বর্জন করে সেই চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু জনগণ সব বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্রের হার কমেছে, মানুষের আয় বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, সাক্ষরতার হার বেড়েছে। সবদিক থেকে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব যখন বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, তখন আমাদের দেশে কিছু আছে দালাল শ্রেণি আর কিছু বাহিরের লোক, তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। মনে হয় যেন, একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলেই তারা খুশি।  তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য একটি চক্রান্ত ছিল। হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পুড়িয়ে মারা, অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা করা, পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করার দৃশ্য মানুষ দেখেছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে মারা মানুষ দেখেছে। জনগণ যাতে নির্বাচনে ভোট না দেয়, সেজন্য লিফলেট বিলি করে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখার চেষ্টাও তারা (বিএনপি) করেছে। আমরা কিন্তু বাধা দেইনি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। এই নির্বাচনকে তারা গ্রহণ করেছে। সেজন্য আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭মে যখন আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, সেদিন আমার বাবা-মা-ভাই কাউকে পাইনি। সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যে দেশের মানুষের জন্য আমার আমার বাবা-মা, ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন। এই স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। এই বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার, তাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেয়েছি আমার বাবা-মা-ভাইয়ের স্নেহ। আর সেইভাবেই আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি যেন, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি।  এর আগে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে উদ্যানের চারদিকে জড়ো হন ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা। দুপুর দেড়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন প্রবেশ গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে শুরু করে। পরে শেখ হাসিনা সমাবেশ মঞ্চে উঠলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

কুয়াশা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার
উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। কয়েক দিন থেকেই শীতের প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশাতে ঢেকে থাকছে চারপাশ। এর মধ্যেও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। তবে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। দিনাজপুরের ৬টি আসনে ৮৩০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৯৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ২৩১টি কেন্দ্রকে সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ৬টি আসনে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে সেনা, বিজিবি, র‌্যাব-পুলিশ-আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নির্বাহী ও জুডিশিয়াল মিলে ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে মাঠে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সাত টিমের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য ও ৩৩ প্লাটুন বিজিবি, ১৫টি টহল গাড়িতে ১০৫ জন র‌্যাব সদস্য ও ৯ হাজার ৯৬০ জন আনসার সদস্য ভোটকেন্দ্রে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১৬টি টিমে ১৩৬ জন আনসার সদস্য এবং ২ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ভিডিপির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। দিনাজপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জেলার ছয়টি আসনে ২৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৬ জন পুরুষ ও ১২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৫ জন মহিলা ভোটার। ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে ছয়টি আসনে ৮৩০টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৬৬১টি ভোট কক্ষ করা হয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়