• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অনলাইনে বিমান-বাস ও ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়
হাজারও প্রতিবন্ধকতার মাঝে উন্নয়নের মুখ দেখতে শুরু করেছে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা। দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই টিকেট কাটতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলছে ঈদের সময়ের চরম দুর্ভোগ থেকে। তাছাড়া দেশের পর্যটন ও পরিবহন খাতে তথ্য-প্রযুক্তির যে সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে, এটি তারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  চলুন বিমান, বাস, ও ট্রেনের ই-টিকিট করার ১০টি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। বিমান, বাস, ও ট্রেনের টিকিট কাটার কয়েকটি অনলাইন পরিষেবা- ২০১২ সালের ২৯ মে চালু হয় ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। বিভিন্ন ব্যাংক বা এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস)-এর বদৌলতে দিন দিন আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে এই সরকারি পরিষেবা। eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে টিকিট কাটা যায়। এখানে প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব অ্যাপ “রেল সেবা” আরও এক ধাপ উন্নত করেছে বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম) ব্যবস্থাকে। যারা ট্রেনে যেতে চান, তারা এক লেনদেনে সর্বোচ্চ মোট চারটি টিকিট কিনতে পারেন। প্রতিদিন লেনদেন করা যায় সর্বোচ্চ দুটি; অর্থাৎ একজন যাত্রী এক দিনে সর্বোচ্চ আটটি টিকিট কাটতে পারেন। তবে এই ঈদে ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি লেনদেন করা যাবে। ফলে সর্বোচ্চ চারটি সিট পাওয়ার উপায় থাকছে। এই নিয়ম ফেরার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যা নির্ধারিত থাকবে ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস- ২০১০ সালে অনলাইন বিমান টিকিট বুকিং সুবিধা যুক্ত হয় বিমান বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য। ২০১৯ এ অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি হয় বিমান অ্যাপ। আসন্ন ঈদে biman-airlines.com ও বিমান অ্যাপ থেকে টিকিট ক্রেতাদের জন্য নতুন সুযোগ রয়েছে। টিকিট কেনার সময় BGDEAL24 প্রোমোকোড ব্যবহার করে যাত্রীরা নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। বিমান বাংলাদেশ অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিমান স্মার্ট কল সেন্টার নাম্বার ১৩৬৩৬। এটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সহজ- মূলত বাসের টিকেটের জন্য জনপ্রিয়তা পেলেও সহজ বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। ট্রেনের টিকিটগুলো বিআরআইটিএস ইস্যু করলেও সামগ্রিক কারিগরি বিষয়গুলো দেখাশোনা করে সহজ-সাইনেসিস-ভিন্সেন জেভি সিস্টেম। মালিহা এম কাদির ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সহজ। shohoz.com ওয়েবসাইটটি দেশের প্রায় সব পরিবহন প্রতিষ্ঠান, তাদের স্ব স্ব যাত্রাপথ, ও ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যের এক বিশাল সংগ্রহশালা। বাস-ট্রেনের পাশাপাশি এখানে লঞ্চ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ প্লেনের টিকিটও পাওয়া যায়। যে কোনো পরিবহনে যাত্রা পরিবর্তন বা বাতিলকরণে তাদের গ্রাহক সেবা নম্বর ১৬৩৭৪ সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত। বাসবিডি এবং বিডিটিকিটস- রবি আজিয়াটার টিকেটিং পোর্টাল বাসবিডি ও বিডিটিকিটস বাসের টিকিট সংগ্রহের জন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাসবিডির সাইট busbd.com.bd ২০১৩ সালে এবং বিডিটিকিটসের সাইট bdtickets.com ২০১৫ সালে চালু হয়। বর্তমানে অবশ্য বাসবিডি new.busbd.com.bd ওয়েব ঠিকানার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকিটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে। ওয়েবসাইটে যাত্রীর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে অথবা অ্যাপ থেকে যাত্রা সময় পরিবর্তন বা বাতিল সবই করা যায়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রয়েছে হটলাইন নাম্বার ১৬৪৬০। বাসের টিকিটগুলো অনলাইনে বুকিং দেওয়া গেলেও প্লেন বা লঞ্চের টিকেটের জন্য এই নম্বরে ফোন দিয়ে বুকিং দিতে হয়। অবশ্য ঈদের সময়টা একদম ভিন্ন। এ সময় কোনো টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের উপায় নেই। ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে। যাত্রী- বাস ট্র্যাকিংয়ের অনন্য সুবিধা যাত্রী নামক এই টিকিটিং প্ল্যাটফর্মকে আলাদা করেছে অন্যান্য পরিবহন পরিষেবাগুলো থেকে। বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে কখন সেটি স্ট্যান্ডে পৌঁছাবে তার একটা ধারণা লাভ করতে পারেন যাত্রীরা। ২০১৯ সাল থেকে চালু হওয়া infojatri.co ওয়েবসাইটটি এভাবেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে যাত্রীদের। টিকিট বাতিল বা যাত্রার সময় পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগের নাম্বার ০৯৬৪২০৮০৮০৮। সঙ্গত কারণে ফেরতযোগ্য অর্থ যাত্রীকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিয়ে থাকে। অবশ্য ঈদের সময়ের ক্ষেত্রে রিফান্ড তখনই করা হয়, যখন স্বয়ং পরিবহন প্রতিষ্ঠান ট্রিপ বাতিল করে এবং বিকল্প কোনো ট্রিপের ব্যবস্থা করে দিতে না পারে। পরিবহন- দেশের অন্যান্য পরিবহন সেবার সঙ্গে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে paribahan.com ওয়েবসাইটটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবা দিতে পারে। ফলে শুধু বাসেরই নয়, লঞ্চ ও প্লেনের টিকিটেরও ব্যবস্থা করতে পারে পরিবহন। এ ছাড়া টিকিট নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক সচল থাকে হটলাইন নাম্বার ০৯৬১৩৫৫৫০০০। সেইসঙ্গে রয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুবিধা। অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবার মতো পরিবহনেও ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত টিকেটের কোনো পরিবর্তন বা বাতিল গ্রহণযোগ্য নয়। চক্রযান- মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন চক্রযান। Chokrojan.com ওয়েবসাইটে রয়েছে ব্যবহারকারীদের জন্য স্বতন্ত্র অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার সুযোগ। ফলে নিজ প্রোফাইল থেকেই যাত্রীরা টিকিটের পরিবর্তন সম্পর্কে আবেদন রাখতে পারেন। চক্রযানের শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আছে। এই অ্যাপ আর হটলাইন নাম্বার ০১৭৯৯০০৫৭৪৭-এ যোগাযোগের মাধ্যমেও টিকিটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের আবেদন রাখা যায়। তবে এই সুযোগটি ঈদের মৌসুমে থাকে না। শেয়ার ট্রিপ- ২০১৩ সালে ট্রাভেল বুকিং বিডি নামক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্লেনের টিকিট ব্যবসায়ে অসামান্য সাড়া পান কাশেফ রহমান। এই ট্রাভেল বুকিং বিডি পরবর্তীতে ফুলে ফেপে ২০১৪ সালে শেয়ার ট্রিপের জন্ম দেয়। এটিই বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন বিমান টিকিটিং সিস্টেম, যেটি শুরু থেকে ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল দুই ফ্লাইটই পরিচালনা করে আসছে। শেয়ার ট্রিপের অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপেল দুই প্ল্যাটফর্মের জন্যই মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এমনকি sharetrip.net ওয়েবসাইট ও অ্যাপ দুটোই ফ্লাইটগুলোর বর্তমান সময় ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করে। অর্থ পরিশোধের পর কর্মদিবসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু করা ই-টিকিট ইমেইলের মাধ্যমে যাত্রীকে পাঠানো হয়। তবে ছুটি ও সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তনের জন্য অ্যাপ বা ওয়েব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদন রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সরাসরি কল করা যেতে পারে গ্রাহক সেবা নাম্বার ০৯৬১৭৬১৭৬১৭ বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৯৫৮৩৯১১৬৪-এ। গোজায়ান- ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া রিদওয়ান হাফিজের গোজায়ান বাংলাদেশের পথিকৃৎ ওটিএর (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি) মধ্যে অন্যতম। আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্লেন ভ্রমণের পাশাপাশি এটি পর্যটন শিল্পেও ইতোমধ্যে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সঙ্গে নিয়ে gozayaan.com সাইটটি উড়োজাহাজ ভ্রমণে উৎসুক শ্রেণির এক বিরাট অংশের চাহিদা পূরণ করছে। টিকিট ও ট্রিপ সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে সব সময় তাদের মেসেঞ্জার গ্রাহকদের সেবায় নিয়োজিত আছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রয়েছে হটলাইন নাম্বার ০৯৬৭৮৩৩২২১১। ফ্লাইট এক্সপার্ট- স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানি 'মক্কা গ্রুপ'এর একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থাতেই ছিল তাদের ট্রাভেল এজেন্সিটি। কিন্তু ২০১৭ সালের ১ মার্চ সালমান বিন রশিদ শাহ সাঈম পুরোদস্তুর কার্যকর এক টিকিটিং সিস্টেমে রূপ দেন। অতঃপর ২০২২ এর ৯ জুলাই flightexpert.com ওয়েব ঠিকানায় আত্মপ্রকাশ করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। ওয়েবসাইটটি মোবাইল-বান্ধব হলেও এর রয়েছে স্বতন্ত্র অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল অ্যাপ। ওয়েবসাইটের 'বুক ন্যাউ (পে লেটার)' ফিচারটি ফ্লাইট এক্সপার্টকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে সমসাময়িক এজেন্সিগুলোর থেকে। এর মাধ্যমে বুকিং আবেদন গ্রহণ করে কোনো পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য সিটটি বুক করে রাখা হয়। এভাবে বুকিং করা টিকেটের অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রাখা হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীর কাছে এলার্ট চলে যায় টিকিটটি কেনার জন্য। অর্থ পরিশোধের পর এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট ইস্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকেটের পিডিএফ ফাইল যাত্রীকে ইমেইল করা হয়। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কল সেন্টার নাম্বার ০৯৬১৭১১১৮৮৮ চালু থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর বাকি দিনগুলোতে এই নম্বরে যোগাযোগ করা যায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা। বাইটিকিটস- ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর একটি সহযোগী উদ্যোগ হিসেবে ২০১৮-এর ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাইটিকিটসের কার্যক্রম। সেই থেকে buytickets.com.bd সাইটটি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সব রকম বিমান টিকেটিং পরিষেবা দিয়ে আসছে। অন্যান্য ওটিএগুলোর মত এটিও ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে যাত্রীদের ই-টিকিট সরবরাহ করে থাকে। যাত্রা ও টিকিট মূল্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ০১৭৩০০২৪৪৮৭-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। অনলাইনে প্লেন, বাস, ও ট্রেনের টিকিট কাটার এই ১০টি মাধ্যম সার্বিক দিক থেকে ঈদে রাজধানীমুখী মানুষের জন্য উপযুক্ত উপায়। যেখানে ট্রেন ব্যবহারকারী বিশাল শ্রেণির জন্য এককভাবে নিবেদিত রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং সার্ভিস। বাসযাত্রীদের চাহিদা মেটাতে রয়েছে সহজ, বাসবিডি, বিডিটিকিটস, যাত্রী, পরিবহন, এবং চক্রযান। আর যারা প্লেনে আসতে চান, বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট, এবং বাইটিকিটস তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হতে পারে। কাগুজে টিকিটের সুবিধাজনক বিকল্প হলেও ভ্রমণের আগে ই-টিকিট প্রিন্ট করে নেওয়াটাই ভালো।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৭

হঠাৎ বেড়েছে সর্দি-কাশি-জ্বর, নিরাময়ে কিছু ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জ্বর ও সর্দি-কাশির মতো ঠান্ডাজনিত অনেক রোগের প্রকোপ বাড়ে। খুব বড় কোনো সমস্যা না হলে যার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, নিজে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু এ বছর যেন এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। চারদিকে বেড়ে গিয়েছে জ্বর, গলাব্যথা, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতোন সমস্যা। নানা নিয়মকানুন মেনে বা ওষুধ খেয়েও মিলছে না শান্তি। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়; যা এখনো চলমান। অধিকাংশ রোগীদের ঠান্ডা-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা ও জ্বর থাকে। হালকা মাত্রার ঠান্ডা-কাশি থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়েও অনেকেই ভুগছেন। জ্বরের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কম হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বেশি মাত্রার জ্বর হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের সুস্থ্য হতে এবং কাশি ভালো হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাসও লেগে যাচ্ছে। আর এ সময়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পরছেন নাক বন্ধের সমস্যা নিয়ে। যার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, ঠিকভাবে ঘুম হয় না। মাথা ধরে থাকে সারাক্ষণ।  চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না। তার চেয়ে বন্ধ নাক খোলার জন্য ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলো করলে বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে- আদা পুদিনার চা : এক কাপ পানিতে আদা থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে কয়েকটা তাজা পুদিনা পাতা দিন। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এতে আরাম পাবেন। রসুনমিশ্রিত পানি : এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন আর আধ চামচ হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ছেঁকে পান করলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। জোয়ান : মাঝারি আঁচে ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এক মুঠো জোয়ান শুকনো প্যানে ভাজতে থাকুন। জোয়ানোর রং গাঢ় হলে এবং সুগন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে এই ভাজা জোয়ান বেঁধে নাকের কাছে ধরে রাখুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, যাতে এর গরম ভাপটা নাকের ভেতরে পৌঁছায়। গোলমরিচ : হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়া এবং সামান্য সরিষার তেল দিন। আঙুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরিষার তেল নাকে দিয়ে টানলেও বন্ধ নাক খুলে যায় এবং নাক পরিষ্কার হয়। গরম পানিতে গোসল : নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বন্ধ নাক খুলে যায়। এর পাশাপাশি, যতটা সম্ভব গরম পানীয় খেতে পারেন। মাস্ক পরুন : শহরের দূষিত বাতাস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। তাজা ফলমূল খান: ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত তাজা ফলমূল খান। ইউক্যালিপটাস তেল : বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটা বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন ভালোভাবে। তারপর গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে সেই ভাপটা নিন। মাথার ওপর থেকে টাওয়েল ঢাকা দিয়ে গরম পানি থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক-মুখ দিয়ে টানতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ভাপ নেওয়ার সময় চোখ অবশ্যই বন্ধ রাখুন। এ ছাড়াও বিশ্রাম নিন। প্রচুর তরল পান করুন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫০

‘সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ। বিবিসি সোমালি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী ‘অপারেশন আটলান্টা’ সমুদ্রের পাশে জাহাজটিকে নজরদারিতে রেখেছে। আর জলদস্যুরা যেন সোমালিয়ার ভূমি থেকে কোনো সহযোগিতা না পায়, এ জন্য অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির পুলিশ। এখন এমভি আবদুল্লাহর জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই। এরইমধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ। এ বিষয়ে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেওয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা হয় সেটিকে। এরপর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। সেখান থেকে সরিয়ে নোঙর করা হয় উপকূলের মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরে। তারপর আরও এগিয়ে উপকূলের পৌনে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সেখানেই নোঙর করা আছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২২:২৯

ভালো খেজুর চেনার উপায়
স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খেজুর একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। খেজুর স্বাদেও যেমন সুস্বাদু, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। ইসলামি গবেষকরা বলেন, ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নত। রমজানে খেজুরের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। ফলে বাজারে এই চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি করেন। তাই খেজুর কেনার আগে তাতে কৃত্রিম কোনো উপাদান মেশানো আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। খেজুর চেনার বেশ কিছু উপায় আছে।  চলুন জেনে আসি- ভালো মানের খেজুরের চামড়া সাধারণত একটু কুঁচকানো হয়, তবে শক্ত নয়। আবার উপরের চামড়াও বেশি নরম হয় না, তবে চকচকে ও উজ্জ্বল হয়।আর যদি খেজুরের গায়ে দানাদার কিছু কিংবা তেল বা পাউডারজাতীয় কিছুর উপস্থিতি দেখেন তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল, মানহীন কিংবা নিম্নমানের খেজুর। ভালো কিংবা খারাপ বা নিম্ন মানের খেজুর কি না তা যাচাই করার আরও এক উপায় হলো খেজুরে উপস্থিত মিষ্টির মাত্রার স্বাদ নেওয়া। খেজুরের প্রাকৃতিকভাবে থাকা মিষ্টি হয় সহনীয় পর্যায়ের। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের খেজুরে কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকতে পারে। খেজুর কেনার আগে কোন দেশেরটা কিনছেন তা জেনে নেওয়া জরুরি। খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে মিশর বিশ্বে প্রথম। এরপর ইরান ও সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়। বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে আজওয়া, আনবারা, সাগি বা সুগায়ি, সাফাওয়ি, মুসকানি, মরিয়ম খেজুর অন্যতম। আরও আছে খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি। এদেশে আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের চাহিদা বেশি। ভালো খেজুর চেনার আরও এক কৌশল হলো পিঁপড়া ও মাছির উপস্থিতি লক্ষ্য করা। যদি দেখেন খেজুরের সামনে মাছি ও পিঁপড়া ভিড় করছে, তার মানে সেটি ভালো খেজুর না। এটি পরীক্ষা করতে ঘরের কোনো খোলা স্থানে খেজুর রাখুন। তারপর পরীক্ষা করুন। প্যাকিং করা খেজুর কেনাই সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালচে বা শুকিয়ে যাওয়া না হয়। খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ফ্রিজের নরমালে রাখলে খেজুর সবচেয়ে বেশি ভালো থাকে। সতর্কতা, অনেকেই ৫-১০ কেজি বক্সের খেজুর কিনে থাকেন। পরে দেখা যায়, বক্সের উপরে সাজানো বড় খেজুর ভেতরে এবং নিচে ছোট ছোট খেজুর। তাই বক্সের খেজুর কেনার আগে অবশ্যই বক্স খুলে সেটির উপরে ও নিচে একই ধরনের খেজুর রয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২২

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর ফাঁকে হোটেল বেয়েরিশার হফে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর বাসসের। বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‌প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি : ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে। এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।  তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য এ আলোচনা করেছে। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিনদিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছান। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০

গলা ব্যথা ও খুসখুসে ভাব সারানোর ঘরোয়া উপায়
শীতে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ছোট-বড় সবাই কমবেশি ভুগে থাকেন। আর ঠান্ডা লাগলেই অনেকের গলা ব্যথা, গলা খুসখুসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, সামান্য ঠান্ডাতেও তাদের গলা ব্যথা বেড়ে যায়। যা খুবই কষ্টদায়ক। খাবার বা পানি গিলতে প্রচণ্ড কষ্ট হয় গলা ব্যথা হলে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই গলা ব্যথা থেকে দ্রুত স্বস্তি মিলবে। কয়েকটি প্রাকৃতিক ভেষজের সাহায্যেই প্রচণ্ড গলা ব্যথা মহূর্তেই কমানো সম্ভব। কয়েকটি উপাদানের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়েই সারাতে পারবেন এ সমস্যা।  গলার ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়:  >> গলায় ব্যথা হলে অনেকেই গরম পানির সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার কিছু না করে গলার ব্যথা কাবু হয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গলার ব্যথা কমাতে ব্যবহার করুন মধু এবং গোল মরিচের। মধুর সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা দূর হবে সহজেই। তাদের মতে, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এর সঙ্গে গোল মরিচে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। গলার ব্যথার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও প্রতিরোধ করে। >> গলা ব্যথার সমস্যায় আদা চা খুবই উপকারী। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দ্রুত সারায় গলার যে কোনো সমস্যা। এ ছাড়াও চায়ে থাকে নানা উপকারী উপাদান। যা বহু সমস্যার করতে পারে সমাধান। >> সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা, গুড় ও জোয়ান হতে পারে দারুণ উপকারী। এজন্য সামান্য গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আদা কুচি ও জোয়ান। দেখবেন সেরে যাবে গলার সব সমস্যা। >> গলা ব্যথা বা গলা খুসখুসের সমস্যা সমাধানে লবণ পানি খুবিই কার্যকরী। দুদিন তিনবেলা করে লবণ পানি গার্গল করলেও খুব দ্রুত সেরে যাবে গলা ব্যথা। >> গলার ব্যথা কিংবা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলুদ দুধের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী হলুদ দুধ নিয়মিত রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে স্বাস্থ্যের খুবই উন্নতি হয়। এছাড়া গলায় যদি খুব ব্যথা হয় কিংবা গলা বসে যায়, তাহলে এক গ্লাস গরম দুধে দু চিমটে হলুদ দিয়ে তা রাতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গলার ব্যথা সারার পাশাপাশি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যদিও যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

তীব্র শীতে সহজ নিয়মে মেকআপ করার ৬ উপায়
সারা দেশে শীত বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। টানা কয়েক দিনের তীব্র শীতের পর দেশের অনেক জায়গায় আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। এই শীতে বাতাস বেশ শুষ্ক থাকে। এর প্রভাব ত্বক ও মেকআপের ওপর পড়ে। তবে সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে নিখুঁত মেকআপ লুক পাওয়া সম্ভব। শীতে গরমকালের মতো ঘাম হয় না দেখে অনেকেই কোনো কিছু চিন্তাভাবনা না করে ইচ্ছেমতো মেকআপ করেন। কিন্তু এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় মুখের শুকনা টান ধরা অংশগুলোয় ফাউন্ডেশন জমে গিয়ে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে মাত্র ছয়টি উপায় মেনে চললে খুব সহজেই শীতের মেকআপ-সংক্রান্ত এই ঝামেলাগুলো এড়ানো যাবে। ত্বক প্রস্তুত এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। এ জন্য ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। এমনকি মিশ্র ও তৈলাক্ত ত্বকও কিছুটা শুষ্ক হয়ে যায়। মেকআপ করার আগে ত্বক প্রস্তুত করতে হয়। তবে শীতের জন্য একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। মেকআপের আগে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তারা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে চাইলে হাইড্রেটিং সিরাম বা শিট মাস্ক বা টোনার ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার মেকআপ হালকা বা ভারী যেমনই হোক না কেন, প্রাইমার লাগাতেই হবে। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে এর বিকল্প নেই। এ ছাড়া রোমকূপ ছোট করা, ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা শুষ্কতা কমানো, বয়সের ছাপ কমাতে প্রাইমার ব্যবহার করা হয়। এমন আবহাওয়ায় ময়েশ্চারাইজিং প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। হালকা বেজ শীতকালে ত্বকে অনেক বেশি শুষ্কতার প্রভাব পড়ে। তাই এ সময়ে ত্বকের ফাউন্ডেশন হালকা রাখা উচিত। কারণ, ফাউন্ডেশনের চেয়ে খারাপ আর কিছুই নেই, যা মুখের শুষ্ক অংশগুলোকে হাইলাইট করে। এর চেয়ে বরং ত্বক হাইড্রেটেড রাখার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য বেজ মেকআপে ময়েশ্চারাইজিং ফাউন্ডেশন বা স্কিন টিন্ট ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। চাইলে সামান্য ফাউন্ডেশন নিয়ে তার সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে মুখে লাইট বেজ তৈরি করতে পারেন। কনসিলার ফাউন্ডেশনের পর ত্বকের দাগছোপ বা হাইপারপিগমেন্টেশন ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করতে হয়। বাজারে অনেক ধরনের কনসিলার পাওয়া যায়। শীতে কনসিলারও ফাউন্ডেশনের মতো ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং হতে হবে। ব্লাশঅন শীতে আবহাওয়ার কারণে অনেকের ত্বক বেশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তাই ত্বকে প্রাকৃতিক আভা আনতে গোলাপি বা পিচ শেডের ব্লাশঅন লাগাতে পারেন। তবে সেটা ক্রিম বা লিকুইড হতে হবে। এ সময়ে যতটা সম্ভব পাউডারভিত্তিক ব্লাশঅন বা অন্যান্য মেকআপ পণ্য (আইশ্যাডো, হাইলাইটার) এড়িয়ে চলুন। কারণ, এ ধরনের পণ্য ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে। লিপস্টিক পছন্দের ম্যাট বা সেমি ম্যাট লিপস্টিকগুলো গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালের জন্য তোলা থাক। শীতে ব্যবহার করুন ক্রিম লিপস্টিক। কারণ, এতে ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং উপাদান থাকে, যা ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩১

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স : চাকরির বাজারে বৈষম্য এবং উত্তরণের উপায়
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ)। সম্প্রতি বিবিসিতে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) পরিচালিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য এবং বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে এআই সামগ্রিক বৈষম্যকে আরও প্রভাবিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।   এ প্রতিবেদনে আইএমএফ জানায়, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর চাকরির বাজারে এআই বৃহত্তর প্রভাব ফেলবে যার পরিমাণ প্রায় ৬০ শতাংশ। যদিও এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে এআই কর্মীদের কাজের গতি বাড়াবে, যা তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে বেশির ভাগ পরিস্থিতিতে এআই চাকরির বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিম্ন-আয়ের অদক্ষ কর্মীরা পিছিয়ে পড়বে এবং উচ্চ-আয়ের দক্ষ কর্মীরা মজুরিতে অসম বৃদ্ধি দেখতে পাবে। তাই নীতিনির্ধারকদের এই প্রবণতা মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা যাতে প্রযুক্তিটি সামাজিক উত্তেজনা আরও উসকে না দেয়। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে যে কাজগুলো মানুষ করে থাকে, এআই সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারবে। এটি শ্রমের চাহিদা কমাবে, মজুরি প্রভাবিত করবে এমনকি চাকরি নির্মূল করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। অদূর ভবিষ্যতে এআই প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ফুল টাইম চাকরির সমতুল্য কাজ করতে সক্ষম হবে, যা চাকরির বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তবে এআই নতুন অনেক চাকরির ক্ষেত্রও তৈরি করবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়াও প্রযুক্তিগত কারণে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে প্রায় ২৬ শতাংশ কর্মসংস্থান প্রভাবিত হবে বলেও আইএমএফের বিশ্লেষণে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ক্রিস্টালিনা জর্জিভা আরও বলেন, অনেক দেশের কাছেই এআই এর সুবিধাগুলো কাজে লাগানোর জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো বা দক্ষ কর্মী নেই, যা উন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলির মাঝে প্রযুক্তিগত বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই তিনি দুর্বল কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীদের বৈষম্য কমানো সহজ হয়। এ ছাড়াও ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা জাল স্থাপন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন । আইএমএফের এই বিশ্লেষণ এমন একটি সময়ে প্রকাশ পেল যখন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এ অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে জড়ো হয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা। ফোরামে আলোচনার একটি বিষয় ছিলো এআই। বিশেষ করে যখন চ্যাটজিপিটির মতো এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং নানান দেশ এই প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে। গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের প্রথম ‘এআই অ্যাক্ট’ নামে একটি অস্থায়ী চুক্তি করেছেন। এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীন তাদের নিজস্ব এআই নির্দেশনা প্রকাশ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।   
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৪

শৈত্য প্রবাহে ফসল রক্ষার উপায়
সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। শীতে কাবু পুরো দেশ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ার কারণেও এত শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আরও পড়ুন : কুয়াশায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বিমান ও নৌ চলাচল    মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফসল রক্ষায় কিছু জরুরি পরামর্শসমূহ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যেমন- কুয়াশা ও মৃদু/তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে নতুন পানি দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশার দাপট আরও যতদিন থাকতে পারে   আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে। ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮

খাঁটি মুক্তা চেনার কয়েকটি উপায়
ঝিনুকের মধ্যে পাওয়া যায় ঝলমলে মহামূল্যবান রত্ন। যুগ যুগ ধরে মুক্তার গয়না নারীর সৌন্দর্যের পাশাপাশি আভিজাত্যকেও বাড়িয়েছে। অনেক ধরনের মুক্তা পাওয়া যায় ঝিনুকের খোলস থেকে। মিথ রয়েছে স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির পানি ঝিনুকের মধ্যে পড়লে মুক্তার জন্ম হয়। সে যা-ই হোক, মুক্তার প্রতি বেশিরভাগ মানুষের আলাদা একটি দুর্বলতা কাজ করে সবসময়। তবে শুধুমাত্র নারীর গয়না তৈরিতে নয় বিভিন্ন কারুশিল্পেও রয়েছে মুক্তার শীর্ষ অবস্থান।  তবে বিপত্তি ঘটে আসল মুক্তা চেনার বেলায়। বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে চিনতে হয় এটি। বাজারে আসল মুক্তার আদলে তৈরি নকল মুক্তাও রয়েছে। নকল মুক্তা হচ্ছে মেশিনে তৈরি পুঁতি। এগুলো সাধারণত কাচ, প্লাস্টিক বা অ্যালাবাস্টার থেকে তৈরি করা হয়। মুক্তার মতো আবরণ দেওয়া এসব পুঁতি দেখতে অবিকল আসল মুক্তার মতো।  মুক্তা চেনার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন তা হলো- > যেহেতু এটির বাস পানিতেই হয়, তাই ধরার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে এটি ঠান্ডা কি না। কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনাকে এটি শীতল অনুভূতি দেবে। নকল মুক্তা রুমের তাপমাত্রার মতো হয়। কাচের পুঁতি দিয়ে তৈরি নকল মুক্তা স্পর্শ করলে শীতল মনে হতে পারে। তবে সত্যিকারের মুক্তার চেয়ে ত্বক গরম হতে বেশি সময় লাগবে। > খুব কাছ থেকে মুক্তা দেখতে হবে। চারপাশে একেবারে নিখুঁত মনে হলে সব দিকে দেখতে একই রকম ও সমান হলে এটি নকল। প্রাকৃতিক মুক্তা নিখুঁত হয় না বা অসমান থাকে। > মুক্তা আলোর নিচে ধরুন। আসল মুক্তায় ভিন্নভাবে আলো প্রতিফলিত হয়। নকল মুক্তা দেখতে কাচের মতো ঝকঝকে দেখাবে মুক্তার রঙ পরীক্ষা করে দেখুন। আসল মুক্তার রঙের ওপরে গোলাপী ও সবুজের মিশ্রণ থাকবে। এক ও অভিন্ন রঙের মুক্তা নকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি সবসময় কার্যকর নয়। কারণ আসল মুক্তার রঙও স্বচ্ছ হতে পারে। > বেশিরভাগ আসল মুক্তা খুব কমই গোলাকার হয়। ডিম্বাকৃতি, বৃত্তাকারের মতো, কিছুটা লম্বাটে আবার মাঝখানে ঢেউ খেলানো আকৃতি বা অনিয়মিত আকারের হতে পারে। সাধারণত বৃত্তাকার মুক্তার দাম অন্যান্য আকারের মুক্তার তুলনায় বেশি হয়। নকল মুক্তা একই রকম গোলাকার হয় সবগুলোই।  > খাঁটি মুক্তা নকলের চেয়ে ভারী হয়। তাই হাতের সাহায্যে ওজনের পার্থক্য বুঝুন।  > আসল মুক্তাতে থাকে ড্রিলের ছিদ্রগুলো সাধারণত খুব ছোট হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রগুলো বড় হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রের চারপাশের আবরণ সাধারণত পাতলা হয় এবং দেখতে চকচকে হয়। গর্তের চারপাশের আবরণগুলো উঠে যাচ্ছে এমন মনে হতে পারে নকল মুক্তার ক্ষেত্রে।  > পৃষ্ঠের অনুভূতি পরীক্ষা করতে মুক্তা ঘষুন দাঁতের সঙ্গে। সামনের দাঁতগুলোতে হালকাভাবে মুক্তাগুলো ঘষবেন। নকল মুক্তা সাধারণত মসৃণ বা গ্লাসযুক্ত মনে হয়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়